ব্যায়ামে বিষণ্নতা জয়

উম্মে শায়লা রুমকী
আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২১, ১১: ৪২
Thumbnail image

সব বয়সের মানুষের বিষণ্নতা দেখা দিতে পারে। ব্যায়াম বিষণ্নতা কমাতে সহায়তা করে। আপনার কিশোরী কন্যাটিকে নিয়মিত ব্যায়াম করতে উদ্বুদ্ধ করুন। এতে সে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকবে।

•    যারা আগে ব্যায়াম করেনি বা গত ছয় মাসের মধ্যে ব্যায়াম করেনি, তাদের ক্ষেত্রে যে কোনো ব্যায়াম শুরুর আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
•    শরীরে প্রয়োজনীয় মাত্রার চেয়ে কর্টিসল বা এড্রেনালিনের মতো স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা বেড়ে গেলে শরীরের অন্যান্য অংশে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। বিষণ্নতা বেড়ে যাওয়া তার মধ্যে অন্যতম। নিয়মিত ব্যায়ামে কর্টিসল হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। ব্যায়াম মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়িয়ে দেয় বলে শরীরের ওপর একটি ইতিবাচক প্রভাব পড়ে।
•    ব্যায়ামের কারনে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বেড়ে যায় বলে তার কার্যক্ষমতা বেড়ে যায়। স্ট্রেস থেকে মুক্তি এবং মুড বদলানোর জন্য ব্যায়ামের বিকল্প নেই।
•    জগিং, দৌড়ানো, সাঁতার, হাইকিং, সাইক্লিং ধরনের কার্ডিয়াক বা হৃদ্পেশির শক্তিবর্ধক অ্যারোবিকস ব্যায়াম বিষণ্নতা কমায়। নিয়মিত সপ্তাহে পাঁচ দিন ৩০ মিনিট করে সাইক্লিং, সাঁতার বা জগিংয়ের মতো ব্যায়ামের ফলে সহজেই কার্যক্ষম এবং চনমনে থাকা সম্ভব।
•    প্রাণবন্ত থাকার জন্য আপনার কিশোরী কন্যার নিয়মিত হাঁটাহাঁটির অভ্যাস গড়ে তুলুন, পাশাপাশি সামাজিক 
কার্যক্রমে তার অংশগ্রহণ বাড়ানোর ব্যবস্থা করুন।
•    হাঁটা বা সাঁতার কাটার পর্যাপ্ত সুযোগ না থাকলে বাড়িতে একই জায়গায় দাঁড়িয়ে জগিং বা পা বাম-ডান করতে পারেন। মনে রাখতে হবে, যেকোনো ব্যায়াম করার আগে উষ্ণ বা ওয়ার্মআপ এবং শেষে কুলডাউন বা শীতলীকরণ করতে হবে।

বিষণ্নতার লক্ষণ
নেগেটিভ মুড বা মুড সুইং, কাজে আগ্রহ হারানো, শারীরিক অস্থিরতা, যেমন: হাত নাড়ানো বেড়ে যাওয়া বা নড়াচড়া কমে যাওয়া, কথা কম বলা, হঠাৎ ওজন বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়া, অতিরিক্ত ঘুমানো বা ঘুম কমে যাওয়া, ক্লান্তিবোধ, তীব্র অপরাধবোধ কাজ করা, সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগা, সবকিছুতেই অনাগ্রহ প্রকাশ, আত্মহত্যার প্রচেষ্টা।

লেখক: ফিজিওথেরাপি পরামর্শক, ফিজিক্যাল থেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার (পিটিআরসি)

আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত