ভ্রমণ ডেস্ক
ব্রিটিশ ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফি অ্যাওয়ার্ড ২০০৯ সাল থেকে শুরু হওয়া একটি বার্ষিক ফটোগ্রাফিক প্রতিযোগিতা। এবারের ছবিগুলোতে ব্রিটেনের প্রকৃতি, বনভূমি ও জলাভূমি থেকে অন্যান্য বাস্তুতন্ত্রের ছবি উঠে এসেছে। ছবিগুলোতে দেখা গেছে বাদামি খরগোশ, শিয়াল, ব্যাঙ কিংবা তিতিরের মতো পাখিসহ বন, গাছ, সমুদ্রসহ আরও অনেক কিছুই। পেশাদার কিংবা অপেশাদার ফটোগ্রাফারদের কাজের স্বীকৃতি দিয়ে প্রতিযোগিতাটি ব্রিটেনের বন্যপ্রাণীর সৌন্দর্য এবং এদের সংরক্ষণ সম্পর্কে সচেতনতা প্রচার করে। এবার জমা পড়া ১৪ হাজারেরও বেশি ছবি থেকে সেরা ছবির পুরস্কার জিতে নিয়েছেন রায়ান স্টকার। সম্প্রতি মোট ১১টি বিভিন্ন বিভাগে নির্বাচিত সেরা ছবিগুলো প্রকাশ করা হয়েছে।
১. পানিতে পড়ে থাকা একটি বল। এমন একটি দৃশ্য কি কোনো গল্প বলে? বলটির শুধু উপরিভাগ দেখা যাচ্ছে। কিন্তু এই দৃশ্য গল্প হয়ে যাবে যখন পানির ওপরের দিক আর নিমজ্জিত দিক দুটোই একসঙ্গে দেখা সম্ভব। এই অর্ধনিমজ্জিত বলটি খালি চোখে একবারে দেখা সম্ভব একমাত্র ক্যামেরার লেন্সের মাধ্যমে। এমনই একটি অর্ধনিমজ্জিত বলের ছবি পেয়েছে ব্রিটিশ ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফির সেরা ছবির পুরস্কার। ছবিটির ক্যাপশন কিছুটা এমন ছিল, ‘পানির ওপরে শুধুই ফুটবল। কিন্তু জলরেখার নিচে প্রাণীদের উপনিবেশ। আটলান্টিক পেরিয়ে বিশাল সমুদ্রযাত্রার পর ফুটবলটি ডরসেটে ভেসে গেছে।’ ছবিটিতে পানির ওপরে একটি পরিত্যক্ত ফুটল দেখা গেলেও পানির নিচে ফুটবলের নিমজ্জিত অংশে দেখা যাচ্ছে অসংখ্য ঝিনুকের বাস। ছবিটি তুলেছেন রায়ান স্টকার। এটি উপকূল ও সামুদ্রিক বিভাগেও পুরস্কার জিতেছে।
২. ‘দ্য টাইট রোপ ওয়াকার’ শিরোনামের ছবিটি ডেনিয়েল ভালভার্দে ফার্নান্দেজের তোলা। তিনি ছবিটি তুলেছেন নটিংহ্যামশায়ারের শেরউড পাইনস ফরেস্ট পার্কে। ছবিটি সেরা হয়েছে হ্যাবিট্যাট ক্যাটাগরিতে। এর শিরোনাম ও ছবিটি সম্পর্কে ফার্নান্দেজ বলেছেন, ‘এই ছবিতে আপনি একটি লাল শিয়ালকে মাটি থেকে যথেষ্ট উচ্চতায় একটি গাছের ডাল বরাবর হাঁটতে দেখতে পাচ্ছেন। এটা প্রমাণ করে যে এই প্রাণীগুলো প্রকৃতির সত্যিকারের টাইট রোপ ওয়াকার’।
৩. সাদা-কালো ক্যাটাগরিতে সেরা হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে একটি উড়ন্ত দাঁড়কাকের ছবি। আইল অব আরানের ওপর দিয়ে উড়ন্ত দাঁড়কাকের ছবিটি তুলেছেন রবিন ডড। আরান আইল স্কটল্যান্ডের একটি দ্বীপ। সেই দ্বীপের সর্বোচ্চ পর্বত হলো গোটফেল। রবিন ডড তাঁর এই ছবি গোটফেলের চূড়া থেকে তুলেছেন। গোটফেলে হাইকিং শেষে চূড়ায় পৌঁছানোর পর এর নির্জন শিখরের আকাশে দুটি দাঁড়কাক দেখতে পান রবিন। যারা সেই নির্জনতায় নিজেদের আধিপত্য দেখাচ্ছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি।
৪. অ্যানিমেল বিহেভিয়ার ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জিতেছে পানিতে ভাসমান তিনটি ব্যাঙের একটি ছবি। এটি তুলেছেন ইয়ান ম্যাসন। ‘থ্রি ফ্রগস ইন অ্যামপ্লেক্সাস’ শিরোনামের এই ছবি দেখতে বেশ মজার। যেন তিনটি ব্যাঙ একে অন্যের সঙ্গে গাঁ ঘেঁষাঘেঁষি করে খেলছে। ছবিটি ম্যাসন তুলেছেন তাঁদের বাড়ির বাগানের পুকুর থেকে। মার্চ মাসের কোনো এক সময় তোলা এই ছবি নিয়ে ম্যাসন বলেন, ‘প্রতি মার্চে আমাদের বাগানের পুকুরগুলো হঠাৎ করে শত শত ব্যাঙ দিয়ে ভরে যায়।’ ব্যাপারটা খুব রাতারাতি ঘটে যায় বলেও উল্লেখ করেন তিনি। সঙ্গে ম্যাসন করেছেন কিছুটা স্মৃতিচারণও। বলেছেন, ‘আমি অনেক বছর ধরে তাদের ছবি তুলছি এবং আমি সব সময়ই তাদের কর্মকাণ্ডে মুগ্ধ ও বিমোহিত হই।’
৫. ওয়েলসে তোলা একটি তিতিরের এই ছবির সঙ্গে ১১ বছরের কম বয়সী এক খুদে বিজয়ী আছে সেরাদের তালিকায়। বসন্তের এক কুয়াশাচ্ছন্ন ভোরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি তিতির ক্যামেরাবন্দী করে জেমি স্মার্ট। এই খুদে আলোকচিত্রী জানায়, বসন্তের কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে মুরল্যান্ডে বক্সিং খরগোশ খোঁজার জন্য এক ঠান্ডায় আমরা খুব ভোরে উঠেছিলাম। তখন তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।’ আর ঠিক তখনই বরফে ঢাকা পরিবেশে একটি তিতির দেখতে পেয়ে তাকে ক্যামেরাবন্দী করে জেমি স্মার্ট।
ব্রিটিশ ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফি অ্যাওয়ার্ড ২০০৯ সাল থেকে শুরু হওয়া একটি বার্ষিক ফটোগ্রাফিক প্রতিযোগিতা। এবারের ছবিগুলোতে ব্রিটেনের প্রকৃতি, বনভূমি ও জলাভূমি থেকে অন্যান্য বাস্তুতন্ত্রের ছবি উঠে এসেছে। ছবিগুলোতে দেখা গেছে বাদামি খরগোশ, শিয়াল, ব্যাঙ কিংবা তিতিরের মতো পাখিসহ বন, গাছ, সমুদ্রসহ আরও অনেক কিছুই। পেশাদার কিংবা অপেশাদার ফটোগ্রাফারদের কাজের স্বীকৃতি দিয়ে প্রতিযোগিতাটি ব্রিটেনের বন্যপ্রাণীর সৌন্দর্য এবং এদের সংরক্ষণ সম্পর্কে সচেতনতা প্রচার করে। এবার জমা পড়া ১৪ হাজারেরও বেশি ছবি থেকে সেরা ছবির পুরস্কার জিতে নিয়েছেন রায়ান স্টকার। সম্প্রতি মোট ১১টি বিভিন্ন বিভাগে নির্বাচিত সেরা ছবিগুলো প্রকাশ করা হয়েছে।
১. পানিতে পড়ে থাকা একটি বল। এমন একটি দৃশ্য কি কোনো গল্প বলে? বলটির শুধু উপরিভাগ দেখা যাচ্ছে। কিন্তু এই দৃশ্য গল্প হয়ে যাবে যখন পানির ওপরের দিক আর নিমজ্জিত দিক দুটোই একসঙ্গে দেখা সম্ভব। এই অর্ধনিমজ্জিত বলটি খালি চোখে একবারে দেখা সম্ভব একমাত্র ক্যামেরার লেন্সের মাধ্যমে। এমনই একটি অর্ধনিমজ্জিত বলের ছবি পেয়েছে ব্রিটিশ ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফির সেরা ছবির পুরস্কার। ছবিটির ক্যাপশন কিছুটা এমন ছিল, ‘পানির ওপরে শুধুই ফুটবল। কিন্তু জলরেখার নিচে প্রাণীদের উপনিবেশ। আটলান্টিক পেরিয়ে বিশাল সমুদ্রযাত্রার পর ফুটবলটি ডরসেটে ভেসে গেছে।’ ছবিটিতে পানির ওপরে একটি পরিত্যক্ত ফুটল দেখা গেলেও পানির নিচে ফুটবলের নিমজ্জিত অংশে দেখা যাচ্ছে অসংখ্য ঝিনুকের বাস। ছবিটি তুলেছেন রায়ান স্টকার। এটি উপকূল ও সামুদ্রিক বিভাগেও পুরস্কার জিতেছে।
২. ‘দ্য টাইট রোপ ওয়াকার’ শিরোনামের ছবিটি ডেনিয়েল ভালভার্দে ফার্নান্দেজের তোলা। তিনি ছবিটি তুলেছেন নটিংহ্যামশায়ারের শেরউড পাইনস ফরেস্ট পার্কে। ছবিটি সেরা হয়েছে হ্যাবিট্যাট ক্যাটাগরিতে। এর শিরোনাম ও ছবিটি সম্পর্কে ফার্নান্দেজ বলেছেন, ‘এই ছবিতে আপনি একটি লাল শিয়ালকে মাটি থেকে যথেষ্ট উচ্চতায় একটি গাছের ডাল বরাবর হাঁটতে দেখতে পাচ্ছেন। এটা প্রমাণ করে যে এই প্রাণীগুলো প্রকৃতির সত্যিকারের টাইট রোপ ওয়াকার’।
৩. সাদা-কালো ক্যাটাগরিতে সেরা হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে একটি উড়ন্ত দাঁড়কাকের ছবি। আইল অব আরানের ওপর দিয়ে উড়ন্ত দাঁড়কাকের ছবিটি তুলেছেন রবিন ডড। আরান আইল স্কটল্যান্ডের একটি দ্বীপ। সেই দ্বীপের সর্বোচ্চ পর্বত হলো গোটফেল। রবিন ডড তাঁর এই ছবি গোটফেলের চূড়া থেকে তুলেছেন। গোটফেলে হাইকিং শেষে চূড়ায় পৌঁছানোর পর এর নির্জন শিখরের আকাশে দুটি দাঁড়কাক দেখতে পান রবিন। যারা সেই নির্জনতায় নিজেদের আধিপত্য দেখাচ্ছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি।
৪. অ্যানিমেল বিহেভিয়ার ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জিতেছে পানিতে ভাসমান তিনটি ব্যাঙের একটি ছবি। এটি তুলেছেন ইয়ান ম্যাসন। ‘থ্রি ফ্রগস ইন অ্যামপ্লেক্সাস’ শিরোনামের এই ছবি দেখতে বেশ মজার। যেন তিনটি ব্যাঙ একে অন্যের সঙ্গে গাঁ ঘেঁষাঘেঁষি করে খেলছে। ছবিটি ম্যাসন তুলেছেন তাঁদের বাড়ির বাগানের পুকুর থেকে। মার্চ মাসের কোনো এক সময় তোলা এই ছবি নিয়ে ম্যাসন বলেন, ‘প্রতি মার্চে আমাদের বাগানের পুকুরগুলো হঠাৎ করে শত শত ব্যাঙ দিয়ে ভরে যায়।’ ব্যাপারটা খুব রাতারাতি ঘটে যায় বলেও উল্লেখ করেন তিনি। সঙ্গে ম্যাসন করেছেন কিছুটা স্মৃতিচারণও। বলেছেন, ‘আমি অনেক বছর ধরে তাদের ছবি তুলছি এবং আমি সব সময়ই তাদের কর্মকাণ্ডে মুগ্ধ ও বিমোহিত হই।’
৫. ওয়েলসে তোলা একটি তিতিরের এই ছবির সঙ্গে ১১ বছরের কম বয়সী এক খুদে বিজয়ী আছে সেরাদের তালিকায়। বসন্তের এক কুয়াশাচ্ছন্ন ভোরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি তিতির ক্যামেরাবন্দী করে জেমি স্মার্ট। এই খুদে আলোকচিত্রী জানায়, বসন্তের কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে মুরল্যান্ডে বক্সিং খরগোশ খোঁজার জন্য এক ঠান্ডায় আমরা খুব ভোরে উঠেছিলাম। তখন তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।’ আর ঠিক তখনই বরফে ঢাকা পরিবেশে একটি তিতির দেখতে পেয়ে তাকে ক্যামেরাবন্দী করে জেমি স্মার্ট।
১৯৫১ সাল। ইরানের রাজা রেজা শাহ পাহলভি এলেন পৃথিমপাশা জমিদারবাড়িতে। সে এক হুলুস্থুল ব্যাপার! এ বাড়ির পূর্বপুরুষেরা ইরান থেকে এসেছিলেন বলে জানা যায়।
১ দিন আগেশীতে কাপড় ভালো রাখতে সেগুলোকে যেমন রোদে মেলে দিতে হয়, সম্পর্ক উন্নয়নে মাঝেমধ্যে তেমনি ভ্রমণেও যেতে হয়। শীত চলে এসেছে। ভ্রমণপ্রেমীরা হয়ে উঠেছেন সরব।
১ দিন আগেপর্যটন বন্ধে কারফিউ! হ্যাঁ, তেমনটিই ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। গ্রামের নাম বুকচন হ্যানোক। দক্ষিণ কোরিয়ার জংনো জেলায় এর অবস্থান। বুকচন হ্যানোক দেশটির ‘মাস্ট ভিজিট’ পর্যটন গন্তব্য।
১ দিন আগেভ্রমণের স্বাদ একবার রক্তে ঢুকলে, তা থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। এক অদৃশ্য তাড়না কাজ করতে থাকে ভেতরে-ভেতরে।
১ দিন আগে