সানজিদা সামরিন, ঢাকা
ক্লিওপেট্রা, ক্লিওপেট্রা
মিসরের এই অপরূপ রানির নাম শুনলেই চোখের সামনে যাঁর মুখ ভেসে ওঠে, তিনি আরেক কিংবদন্তি– এলিজাবেথ টেইলর। ১৯৬৩ সালে মুক্তি পাওয়া ঐতিহাসিক ড্রামা ফিল্ম ‘ক্লিওপেট্রা’য় মূল চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। ১৯৪০ সালের একেবারে শুরুর দিকে পর্দায় শিশুশিল্পী হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করে ক্ল্যাসিক্যাল হলিউড সিনেমার জনপ্রিয় তারকাদের একজন হয়ে ওঠেন তিনি। আর এর ১০ বছরের মধ্য়েই টেইলর সর্বাধিক সম্মানীপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র তারকার তালিকায় নাম লেখান। ১৯৯৯ সালে আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউট তাঁকে ক্ল্যাসিক হলিউড সিনেমার পর্দায় সপ্তম শ্রেষ্ঠ নারী কিংবদন্তি হিসেবে অভিহিত করে। এত ভারিক্কি ব্যাপারের মধ্যে সহজ ও সরল কথা হলো, দর্শক ও ভক্তদের কাছে এলিজাবেথ টেইলর এক লাস্য়ময়ী তারকা। পোশাক-আশাক ও মেকআপ করার দিক থেকে সমকালীন নারীদের কাছে ছিলেন অনুকরণীয়। ‘ক্যাট অন এ হট টিস রুফ’ (১৯৫৮) সিনেমায় সাদা হালকা ফুলকা ফ্রক পরে হিল জুতোয় পা গলিয়ে, গা দুলিয়ে তাঁর সিঁড়ি ভেঙে নেমে আসার দৃশ্য বা বিছানায় কনুইয়ে ভর করে আনমনা এই তারকার চোখের অভিব্যক্তি ভোলেনি কেউই। আজ এ অভিনেত্রীর জন্মদিন।
হলিউডের কিংবদন্তি অভিনেত্রী এলিজাবেথ টেইলরের অকৃত্রিম সৌন্দর্য কখনো মেকআপের আব্রুতে ঢেকে যায়নি। তিনি এমনভাবেই মেকআপ করতেন, যা তাঁর ব্যক্তিত্বকে ছাপিয়ে যেত না। টেইলরের পোশাক ও অলংকারে সামগ্রিক নান্দনিকতা খুঁজে পাওয়া যায়। তাঁর ড্রেসিং টেবিলে সাজানো প্রসাধনী ব্যবহারে যে কৌশল তিনি অবলম্বন করতেন, তাই তাঁকে লাস্য়ময়ী করে তুলেছিল। এখনো ইউটিউবে সার্চ অপশনে গেলে দেখা যায়, অনেকেই ‘লুক অ্যালাইক এলিজাবেথ টেইলর’ দিয়ে সার্চ করেছেন।
অপশনে ক্লিক করে পাওয়া যায় মেকআপের সেই সব টিউটোরিয়াল, যেগুলো অনুসরণ করে নিজেই সেজে নেওয়া যাবে একেবারে এলিজাবেথ টেইলরের মতো। তবে এ সময়ের মতো এত আধুনিক প্রসাধনী সে সময়ে না থাকলেও বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরীক্ষিত প্রসাধনীই ছিল টেইলরের ড্রেসিং টেবিলে। আর নিজের সৌন্দর্যে এলিজাবেথ টেইলর কী করতেন, তা জানতে কে না চাইবেন।
নিজেই নিজের মেকআপ করতেন
অনস্ক্রিন, অফস্ক্রিন বা লালগালিচায় হাঁটার জন্য কিংবদন্তি এই অভিনেত্রী বেশির ভাগ সময়ই নিজেই নিজের মেকআপ করে নিতেন। এমনকি তাঁর অভিনীত বিখ্যাত চলচ্চিত্র ‘ক্লিওপেট্রা’তেও চোখের ড্রামাটিক মেকআপ তিনি নিজেই করেছিলেন বলে জানা যায়। পর্দার এই ক্লিওপেট্রা একবার বলেছিলেন, ‘যখন আমি একদমই তরুণী ছিলাম, তখন দীর্ঘ সময় যাবৎ সিনেমায় কোনো মেকআপ নিইনি; যখন থেকে মেকআপ নিতে শুরু করি, তখন নিজেই করেছি।’
মেকআপে তাড়াহুড়ো নয়
মেকআপ বাক্সের প্রতি দারুণ ভালোবাসা পুষতেন এলিজাবেথ টেইলর। সময় নিয়ে মেকআপ করতেন একেবারে পারফেক্ট না হওয়া পর্যন্ত। ধীরে-সুস্থে নিয়ম মেনে পরতের পর পরত মেকআপ বসাতেন। টেইলরের ব্যক্তিগত সহকারী টিম মেন্ডেলসনের ভাষায়, ‘টেইলর ঠোঁটের মেকআপ করতেই সময় নিতেন আধঘণ্টার মতো, ওদিকে চোখ সাজাতে সময় নিতেন দেড় ঘণ্টার মতো। কারণ তিনি তাঁর মেকআপ করার সময়টাকে উপভোগ করতেন।’
ড্রাগ স্টোর থেকে প্রসাধনী কিনতেন
টেইলর স্কিনকেয়ার ব্র্যান্ড জার্গেন্সের লোশনের ভক্ত ছিলেন। খুব যত্ন করে ত্বকে লোশন লাগাতেন। সময়ের ধারাবাহিকতায় তিনি ভক্তদের লা প্রেইরির মতো আরও অনেক লাক্সারিয়াস ব্র্যান্ডের পরিচয় করিয়ে দিলেও জার্গেন্সের প্রতি তাঁর ভালোবাসা কমেনি শেষ অবধি।
আইলাইনার প্রসঙ্গে সনাতনবাদী
বিশেষজ্ঞ দ্বারা অনুমোদিত ‘ক্লিনিক আইলাইনার’ নামে একটি আইলাইনারই টেইলর ব্যবহার করতেন বলে জানা যায়। একেবারে ক্ল্যাসিক ব্ল্যাকে না ঝুঁকে প্রাধান্য দিতেন একটু ধূসর রঙা আইলাইনারে।
লিপগ্লস ছিল প্রিয়
ট্রেন্ড থাকুক বা না থাকুক, লিপগ্লস সব সময়ই টেইলরের কাছে প্রিয় ছিল। প্রথমে লিপ লাইনার দিয়ে ঠোঁট এঁকে তার ওপর বুলিয়ে নিতেন ম্যাচিং লিপগ্লস। এ ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময় শ্যানেলই ছিল তাঁর ভরসার ব্র্যান্ড।
ভ্রুর দিকে বিশেষ খেয়াল
এলিজাবেথ টেইলরের ভ্রুর প্রেমেই পড়েছেন এমন ভক্তের সংখ্যাও কম নাকি? ভ্রু যুগলের পেছনেও কম সময় ব্যয় করেননি এই কিংবদন্তি। ভি শেপ করা ভ্রু সুন্দর করে এঁকে রাখতেই ভালোবাসতেন তিনি।
মুখ শেভ করতেন
যদিও এ কথা শুনলে সৌন্দর্যসচেতন অনেক নারীই শিউরে উঠবেন—এলিজাবেথ টেইলর মুখের ত্বক শেভ করতেন। তিনি ভাবতেন, শেভ করার ফলে ত্বকের মরা কোষ দূর হবে ও উজ্জ্বলতা আসবে। ফলে মেকআপও সুন্দরভাবে বসবে।
মেকআপের পর স্নান
এলিজাবেথ টেইলর মেকআপ নেওয়ার পর অল্প সময়ের একটা স্নান করতেন। এতে করে তাঁর মেকআপ ত্বকে আরও ভালোভাবে মিশে যেত আর একটা আর্দ্র ভাব আনত। বর্তমানে হাইলাইটার যে কাজটি করছে আরকি! ভাবা যায় বিষয়টি আজকালকের দিনে?
সূত্র: ভোগ ম্যাগাজিন অবলম্বনে
ক্লিওপেট্রা, ক্লিওপেট্রা
মিসরের এই অপরূপ রানির নাম শুনলেই চোখের সামনে যাঁর মুখ ভেসে ওঠে, তিনি আরেক কিংবদন্তি– এলিজাবেথ টেইলর। ১৯৬৩ সালে মুক্তি পাওয়া ঐতিহাসিক ড্রামা ফিল্ম ‘ক্লিওপেট্রা’য় মূল চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। ১৯৪০ সালের একেবারে শুরুর দিকে পর্দায় শিশুশিল্পী হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করে ক্ল্যাসিক্যাল হলিউড সিনেমার জনপ্রিয় তারকাদের একজন হয়ে ওঠেন তিনি। আর এর ১০ বছরের মধ্য়েই টেইলর সর্বাধিক সম্মানীপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র তারকার তালিকায় নাম লেখান। ১৯৯৯ সালে আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউট তাঁকে ক্ল্যাসিক হলিউড সিনেমার পর্দায় সপ্তম শ্রেষ্ঠ নারী কিংবদন্তি হিসেবে অভিহিত করে। এত ভারিক্কি ব্যাপারের মধ্যে সহজ ও সরল কথা হলো, দর্শক ও ভক্তদের কাছে এলিজাবেথ টেইলর এক লাস্য়ময়ী তারকা। পোশাক-আশাক ও মেকআপ করার দিক থেকে সমকালীন নারীদের কাছে ছিলেন অনুকরণীয়। ‘ক্যাট অন এ হট টিস রুফ’ (১৯৫৮) সিনেমায় সাদা হালকা ফুলকা ফ্রক পরে হিল জুতোয় পা গলিয়ে, গা দুলিয়ে তাঁর সিঁড়ি ভেঙে নেমে আসার দৃশ্য বা বিছানায় কনুইয়ে ভর করে আনমনা এই তারকার চোখের অভিব্যক্তি ভোলেনি কেউই। আজ এ অভিনেত্রীর জন্মদিন।
হলিউডের কিংবদন্তি অভিনেত্রী এলিজাবেথ টেইলরের অকৃত্রিম সৌন্দর্য কখনো মেকআপের আব্রুতে ঢেকে যায়নি। তিনি এমনভাবেই মেকআপ করতেন, যা তাঁর ব্যক্তিত্বকে ছাপিয়ে যেত না। টেইলরের পোশাক ও অলংকারে সামগ্রিক নান্দনিকতা খুঁজে পাওয়া যায়। তাঁর ড্রেসিং টেবিলে সাজানো প্রসাধনী ব্যবহারে যে কৌশল তিনি অবলম্বন করতেন, তাই তাঁকে লাস্য়ময়ী করে তুলেছিল। এখনো ইউটিউবে সার্চ অপশনে গেলে দেখা যায়, অনেকেই ‘লুক অ্যালাইক এলিজাবেথ টেইলর’ দিয়ে সার্চ করেছেন।
অপশনে ক্লিক করে পাওয়া যায় মেকআপের সেই সব টিউটোরিয়াল, যেগুলো অনুসরণ করে নিজেই সেজে নেওয়া যাবে একেবারে এলিজাবেথ টেইলরের মতো। তবে এ সময়ের মতো এত আধুনিক প্রসাধনী সে সময়ে না থাকলেও বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরীক্ষিত প্রসাধনীই ছিল টেইলরের ড্রেসিং টেবিলে। আর নিজের সৌন্দর্যে এলিজাবেথ টেইলর কী করতেন, তা জানতে কে না চাইবেন।
নিজেই নিজের মেকআপ করতেন
অনস্ক্রিন, অফস্ক্রিন বা লালগালিচায় হাঁটার জন্য কিংবদন্তি এই অভিনেত্রী বেশির ভাগ সময়ই নিজেই নিজের মেকআপ করে নিতেন। এমনকি তাঁর অভিনীত বিখ্যাত চলচ্চিত্র ‘ক্লিওপেট্রা’তেও চোখের ড্রামাটিক মেকআপ তিনি নিজেই করেছিলেন বলে জানা যায়। পর্দার এই ক্লিওপেট্রা একবার বলেছিলেন, ‘যখন আমি একদমই তরুণী ছিলাম, তখন দীর্ঘ সময় যাবৎ সিনেমায় কোনো মেকআপ নিইনি; যখন থেকে মেকআপ নিতে শুরু করি, তখন নিজেই করেছি।’
মেকআপে তাড়াহুড়ো নয়
মেকআপ বাক্সের প্রতি দারুণ ভালোবাসা পুষতেন এলিজাবেথ টেইলর। সময় নিয়ে মেকআপ করতেন একেবারে পারফেক্ট না হওয়া পর্যন্ত। ধীরে-সুস্থে নিয়ম মেনে পরতের পর পরত মেকআপ বসাতেন। টেইলরের ব্যক্তিগত সহকারী টিম মেন্ডেলসনের ভাষায়, ‘টেইলর ঠোঁটের মেকআপ করতেই সময় নিতেন আধঘণ্টার মতো, ওদিকে চোখ সাজাতে সময় নিতেন দেড় ঘণ্টার মতো। কারণ তিনি তাঁর মেকআপ করার সময়টাকে উপভোগ করতেন।’
ড্রাগ স্টোর থেকে প্রসাধনী কিনতেন
টেইলর স্কিনকেয়ার ব্র্যান্ড জার্গেন্সের লোশনের ভক্ত ছিলেন। খুব যত্ন করে ত্বকে লোশন লাগাতেন। সময়ের ধারাবাহিকতায় তিনি ভক্তদের লা প্রেইরির মতো আরও অনেক লাক্সারিয়াস ব্র্যান্ডের পরিচয় করিয়ে দিলেও জার্গেন্সের প্রতি তাঁর ভালোবাসা কমেনি শেষ অবধি।
আইলাইনার প্রসঙ্গে সনাতনবাদী
বিশেষজ্ঞ দ্বারা অনুমোদিত ‘ক্লিনিক আইলাইনার’ নামে একটি আইলাইনারই টেইলর ব্যবহার করতেন বলে জানা যায়। একেবারে ক্ল্যাসিক ব্ল্যাকে না ঝুঁকে প্রাধান্য দিতেন একটু ধূসর রঙা আইলাইনারে।
লিপগ্লস ছিল প্রিয়
ট্রেন্ড থাকুক বা না থাকুক, লিপগ্লস সব সময়ই টেইলরের কাছে প্রিয় ছিল। প্রথমে লিপ লাইনার দিয়ে ঠোঁট এঁকে তার ওপর বুলিয়ে নিতেন ম্যাচিং লিপগ্লস। এ ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময় শ্যানেলই ছিল তাঁর ভরসার ব্র্যান্ড।
ভ্রুর দিকে বিশেষ খেয়াল
এলিজাবেথ টেইলরের ভ্রুর প্রেমেই পড়েছেন এমন ভক্তের সংখ্যাও কম নাকি? ভ্রু যুগলের পেছনেও কম সময় ব্যয় করেননি এই কিংবদন্তি। ভি শেপ করা ভ্রু সুন্দর করে এঁকে রাখতেই ভালোবাসতেন তিনি।
মুখ শেভ করতেন
যদিও এ কথা শুনলে সৌন্দর্যসচেতন অনেক নারীই শিউরে উঠবেন—এলিজাবেথ টেইলর মুখের ত্বক শেভ করতেন। তিনি ভাবতেন, শেভ করার ফলে ত্বকের মরা কোষ দূর হবে ও উজ্জ্বলতা আসবে। ফলে মেকআপও সুন্দরভাবে বসবে।
মেকআপের পর স্নান
এলিজাবেথ টেইলর মেকআপ নেওয়ার পর অল্প সময়ের একটা স্নান করতেন। এতে করে তাঁর মেকআপ ত্বকে আরও ভালোভাবে মিশে যেত আর একটা আর্দ্র ভাব আনত। বর্তমানে হাইলাইটার যে কাজটি করছে আরকি! ভাবা যায় বিষয়টি আজকালকের দিনে?
সূত্র: ভোগ ম্যাগাজিন অবলম্বনে
খাবার মজাদার করতে আমরা সাধারণভাবে তেল-মসলার খুব বাড়াবাড়ি করে ফেলি। সেখান থেকে বাদ যায় না পেঁয়াজ কিংবা রসুন। পেঁয়াজকে কায়দা করে সরিয়ে রাখলেও খাবার মজাদার হতে পারে। তেমনই কিছু রেসিপি...
৭ ঘণ্টা আগেবাংলা অঞ্চলে মিষ্টিজাতীয় প্রাচীন খাবারগুলোর মধ্যে সন্দেশের নাম আছে একেবারে প্রথম দিকে। সব মিষ্টির কিছু না কিছু বদল হলেও, এর বদল হয়েছে খুবই কম। যশোরের নলেন গুড়ের সন্দেশ, মানিকগঞ্জ বা নাগরপুরের প্যারা সন্দেশ, পাবনার মাছের পেটি সন্দেশ ইত্যাদি কে না খেতে পছন্দ করে!
৭ ঘণ্টা আগেজীবনানন্দ দাশের কবিতায় ঘুরেফিরে এসেছে দারুচিনি দ্বীপের কথা, তার রহস্যময় শ্যামলিমার কথা, সেই সবুজের গহিনে দিকহারা নাবিকের আশ্রয়-আকাঙ্ক্ষার কথা। এই দারুচিনি দ্বীপ কি আসলে কোনো সমুদ্রঘেরা ভূখণ্ড, নাকি বনলতা সেন নিজেই, তা নিয়ে কবিরা বিতর্ক করুক। আমরা বরং এই দ্বীপের তত্ত্বতালাশ করি।
৭ ঘণ্টা আগে‘প্রসেসেস’-এ প্রকাশিত এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ভাতের মাড় ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য একটি হজমযোগ্য স্বাস্থ্যকর পানীয় হিসেবে কাজ করে। এমনকি এটি ওজন কমাতে পারে।
৭ ঘণ্টা আগে