মইনুল হাসান
রাজকুমারীকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। গভীর রাতে সবাই যখন ঘুমিয়ে, তখন সবার চোখ এড়িয়ে পালিয়ে গেছেন রাজকুমারী অ্যান। চারদিকে তন্ন তন্ন করে খুঁজেও তাঁকে পাওয়া গেল না। কোথায় হাওয়া হয়ে গেল, রাজার আদুরে ললনা রাজকন্যা!
রাজপ্রাসাদের চোখধাঁধানো ঐশ্বর্য, আর উপচে পড়া বিলাস, কঠিন নিয়মকানুন আর অনুশাসনের সোনার খাঁচায় বন্দী এক নিরানন্দ জীবন। তাই রাজকন্যা পালিয়ে এসে ব্যস্ত নগরীর সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে গেলেন। জমকালো রাজপোশাক মসৃণ ত্বকের দেহ থেকে সরিয়ে ফেললেন। সাধারণ পোশাকে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে গেলেন। তাঁকে আর আলাদা করে চেনার উপায় নেই। উচ্ছ্বসিত যৌবনের শুরুতে আর দশজন উচ্ছল তরুণীর মতো মুক্তির আনন্দে বাঁধ ভাঙা নদীর মতো নিজেকে আবিষ্কার করেন অন্যভাবে, অন্য জগতে। যেখানে নিয়মের বাঁধাধরা গণ্ডির মধ্যে বিষণ্ন জীবনের অস্তিত্ব নেই, নেই কঠিন অনুশাসনের সোনার শিকল।
ভাগ্যক্রমে জুটে গেলেন এক চমৎকার বন্ধু, সুদর্শন যুবক কাগজের রিপোর্টার জো ব্রাডলি। একটি ভেসপায় চড়ে দুটি তরুণ প্রাণ আনন্দের উচ্ছ্বাসে রোম নগরীতে প্রজাপতির মতো ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সে এক চমৎকার প্রণয়, প্রেমের অনবদ্য উপাখ্যান। ১৯৫৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘রোমান হলিডে’ নামের সাদাকালো সিনেমাটি আজও রঙের বিন্দুমাত্র বর্ণচ্ছটা হারায়নি। আজও দর্শকদের মনে দাগ কাটে। উইলিয়াম ওয়াইলার পরিচালিত সিনেমা রোমান হলিডে জিতে নেয় তিন তিনটি অস্কার। রাজকন্যা অ্যানের ভূমিকায় অভিনয় করে কোটি দর্শকের হৃদয় কাঁপিয়েছেন অনিন্দ্যসুন্দরী ব্রিটিশ অভিনেত্রী অড্রে হেপবার্ন। বাস্তব জীবনে রাজমুকুট মাথায় না থাকলেও এ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে মাত্র ২৪ বছর বয়সে সেরা অভিনেত্রীর স্বীকৃতি পান তিনি। আর সাংবাদিক জো ব্রাডলির ভূমিকায় অভিনয় করেন মার্কিন অভিনেতা গ্রেগরি পেক।
তরুণ রিপোর্টার জো ব্রাডলির ভালোবাসা এবং সেই সঙ্গে রোমের রাস্তায় এই দুই প্রেমিক-প্রেমিকার ভেসপা স্কুটারে মুক্ত বিহঙ্গের মতো ঘুরে বেড়ানোর মনকাড়া সেই সব দৃশ্য আজও অনেকের স্মৃতিতে ভাস্বর হয়ে আছে। এ ছবিতে রোম্যান্টিক জুটির প্রেম, ভালোবাসার সঙ্গে ভেসপা স্কুটার পরিণত হয়েছিল একটি অবিস্মরণীয় আইকনে। ১৯৪৬ সালে কারাডিনো ডি’আস্কানিও এর ডিজাইন করা এই মোটরসাইকেল বাজারে ছেড়েছিল ইতালির পিয়াজ্জিও কোম্পানি। অড্রে হেপবার্ন নিজেই বলেছেন, ‘আমি অস্কার জিতেছি তাতে খুব খুশি হয়েছি, তবে ভেসপারও অস্কার পাওয়া উচিত ছিল।’
ভেসপার ভাগ্যে অস্কার না জুটলেও, চলচ্চিত্রের আকাশে উজ্জ্বল নক্ষত্র অড্রে হেপবার্ন এবং গ্রেগরি পেকের সঙ্গে ভেসপাও রাতারাতি তারকা হয়ে ওঠে। সারা বিশ্বে প্রচার পায়, খবর পৌঁছে যায় পৃথিবীর সব প্রান্তে।
সিনেমার জগতের সবার দৃষ্টি পড়ে ভেসপার দিকে, সেলুলয়েডের বর্ণিল ভুবনে অপ্রতিদ্বন্দ্বী নায়কের স্থানটি দখল করে বসে দৃষ্টিনন্দন এই বাহন। পঞ্চাশ, ষাটের দশকে নামকরা সব অভিনেতা, অভিনেত্রীর বাহন হিসেবে একনাগাড়ে পর্দায় দ্যুতি ছড়িয়েছে বহুদিন। মার্সেলো মাস্ত্রোয়ানি, অনিতা একবার্গ, জেমস স্টুয়ার্ট, টায়রন পাওয়ার, লিন্ডা ক্রিশ্চিয়ান, কিম নোভাক, অ্যাবে লেন, মারলন ব্র্যান্ডো, জর্জ লুকাস, আলফ্রেড হিচকক, মার্সেল কার্নি, ফেদেরিকো ফেলিনি, স্টিভেন স্পিলবার্গ, ন্যানি মোরেত্তি, রোল্যান্ড এমারিক—ভেসপাপ্রেমীদের এমন তালিকা আরও অনেক বড় হবে।
‘রোমান হলিডে’ সিনেমাটিতে অন্য রকম মাত্রা যোগ করেছে দুই চাকার বাহন এই জগৎ বিখ্যাত ভেসপা স্কুটার; বিশেষ করে নারী মুক্তির আকাঙ্ক্ষা আরেকটু বেশি উসকে দেয় এই নতুন ডিজাইনের স্কুটার ভেসপা। কারণ, এটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছিল, যাতে প্রলম্বিত স্কার্ট, শাড়ি ইত্যাদি যেকোনো পোশাকে একজন নারী সহজেই চালাতে পারেন এ বাহন। তা ছাড়া ডিজাইনের কারণেই চলার সময় রাস্তার কাদা, ময়লা পানি বা ইঞ্জিনের তেল ইত্যাদি ছিটকে কাপড় নোংরা হবে না। সুতরাং, পরিষ্কার কাপড়ে সুন্দর সেজেগুজে ফুরফুরে বাতাসে যেন উড়ে উড়ে চলা যায়। আর তাই ‘ডলসে ভিটা’, অর্থাৎ উপচে পড়া আনন্দময় বর্ণাঢ্য জীবনের প্রতীক হয়ে ওঠে এই দুই চাকার শৈল্পিক সৃষ্টি।
এনরিকো পিয়াজ্জিও ২৩ এপ্রিল ১৯৪৬ ইতালির ফ্লোরেন্সে ভেসপা স্কুটারের কৃতিস্বত্ব (পেটেন্ট) নিবন্ধন করেন। সে হিসাবে এ বছর ভেসপা ৭৫ বয়সে পা রাখল। প্রথম বছর মাত্র ২ হাজার ৪৮৪টি ভেসপা স্কুটার বিক্রি হয়। তবে সাত বছরের মাথায়, ১৯৫৩ সালে বিক্রি হয় ১ লাখ ৭১ হাজার ২০০টি ভেসপা এবং প্রায় ১০টি দেশে এর কারখানা গড়ে ওঠে। রোমান হলিডে সিনেমায় রাজকন্যার জাদুর ছোঁয়া পেয়ে বিশ্ব জয় করতে নামে এই ভেসপা। এই পৃথিবীর খুব কম রাস্তাঘাটই বাকি আছে, যেখানে এই ডলসে ভিটার ছাপ পড়েনি। তারপর আবারও ৪০ বছর পর সিনেমার জগতে ঝড় তোলে ভেসপা, ১৯৯৩ সালে ন্যানি মোরেত্তি পরিচালিত ‘কারো ডিয়ারিও’ (ব্যক্তিগত ডায়েরি) সিনেমায়।
কেউ কেউ বাঁধনমুক্ত রাজকন্যার চোখে-মুখের সেই আনন্দ উচ্ছল অভিব্যক্তি, মুক্তো ঝরানো মিষ্টি হাসি ভুলে গেছেন বা ভুলতে বসেছেন। চলচ্চিত্রের আকাশে অক্ষয় নক্ষত্র অড্রে হেপবার্ন এবং গ্রেগরি পেক আমাদের চিরচেনা লৌকিক জগৎ থেকে বহু আগেই মিলিয়ে গেছেন। মিলিয়ে যায়নি বিস্ময়কর, অনেকটাই অলৌকিক এক কিংবদন্তি ভেসপা।
মইনুল হাসান: ফ্রান্সপ্রবাসী গবেষক
রাজকুমারীকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। গভীর রাতে সবাই যখন ঘুমিয়ে, তখন সবার চোখ এড়িয়ে পালিয়ে গেছেন রাজকুমারী অ্যান। চারদিকে তন্ন তন্ন করে খুঁজেও তাঁকে পাওয়া গেল না। কোথায় হাওয়া হয়ে গেল, রাজার আদুরে ললনা রাজকন্যা!
রাজপ্রাসাদের চোখধাঁধানো ঐশ্বর্য, আর উপচে পড়া বিলাস, কঠিন নিয়মকানুন আর অনুশাসনের সোনার খাঁচায় বন্দী এক নিরানন্দ জীবন। তাই রাজকন্যা পালিয়ে এসে ব্যস্ত নগরীর সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে গেলেন। জমকালো রাজপোশাক মসৃণ ত্বকের দেহ থেকে সরিয়ে ফেললেন। সাধারণ পোশাকে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে গেলেন। তাঁকে আর আলাদা করে চেনার উপায় নেই। উচ্ছ্বসিত যৌবনের শুরুতে আর দশজন উচ্ছল তরুণীর মতো মুক্তির আনন্দে বাঁধ ভাঙা নদীর মতো নিজেকে আবিষ্কার করেন অন্যভাবে, অন্য জগতে। যেখানে নিয়মের বাঁধাধরা গণ্ডির মধ্যে বিষণ্ন জীবনের অস্তিত্ব নেই, নেই কঠিন অনুশাসনের সোনার শিকল।
ভাগ্যক্রমে জুটে গেলেন এক চমৎকার বন্ধু, সুদর্শন যুবক কাগজের রিপোর্টার জো ব্রাডলি। একটি ভেসপায় চড়ে দুটি তরুণ প্রাণ আনন্দের উচ্ছ্বাসে রোম নগরীতে প্রজাপতির মতো ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সে এক চমৎকার প্রণয়, প্রেমের অনবদ্য উপাখ্যান। ১৯৫৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘রোমান হলিডে’ নামের সাদাকালো সিনেমাটি আজও রঙের বিন্দুমাত্র বর্ণচ্ছটা হারায়নি। আজও দর্শকদের মনে দাগ কাটে। উইলিয়াম ওয়াইলার পরিচালিত সিনেমা রোমান হলিডে জিতে নেয় তিন তিনটি অস্কার। রাজকন্যা অ্যানের ভূমিকায় অভিনয় করে কোটি দর্শকের হৃদয় কাঁপিয়েছেন অনিন্দ্যসুন্দরী ব্রিটিশ অভিনেত্রী অড্রে হেপবার্ন। বাস্তব জীবনে রাজমুকুট মাথায় না থাকলেও এ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে মাত্র ২৪ বছর বয়সে সেরা অভিনেত্রীর স্বীকৃতি পান তিনি। আর সাংবাদিক জো ব্রাডলির ভূমিকায় অভিনয় করেন মার্কিন অভিনেতা গ্রেগরি পেক।
তরুণ রিপোর্টার জো ব্রাডলির ভালোবাসা এবং সেই সঙ্গে রোমের রাস্তায় এই দুই প্রেমিক-প্রেমিকার ভেসপা স্কুটারে মুক্ত বিহঙ্গের মতো ঘুরে বেড়ানোর মনকাড়া সেই সব দৃশ্য আজও অনেকের স্মৃতিতে ভাস্বর হয়ে আছে। এ ছবিতে রোম্যান্টিক জুটির প্রেম, ভালোবাসার সঙ্গে ভেসপা স্কুটার পরিণত হয়েছিল একটি অবিস্মরণীয় আইকনে। ১৯৪৬ সালে কারাডিনো ডি’আস্কানিও এর ডিজাইন করা এই মোটরসাইকেল বাজারে ছেড়েছিল ইতালির পিয়াজ্জিও কোম্পানি। অড্রে হেপবার্ন নিজেই বলেছেন, ‘আমি অস্কার জিতেছি তাতে খুব খুশি হয়েছি, তবে ভেসপারও অস্কার পাওয়া উচিত ছিল।’
ভেসপার ভাগ্যে অস্কার না জুটলেও, চলচ্চিত্রের আকাশে উজ্জ্বল নক্ষত্র অড্রে হেপবার্ন এবং গ্রেগরি পেকের সঙ্গে ভেসপাও রাতারাতি তারকা হয়ে ওঠে। সারা বিশ্বে প্রচার পায়, খবর পৌঁছে যায় পৃথিবীর সব প্রান্তে।
সিনেমার জগতের সবার দৃষ্টি পড়ে ভেসপার দিকে, সেলুলয়েডের বর্ণিল ভুবনে অপ্রতিদ্বন্দ্বী নায়কের স্থানটি দখল করে বসে দৃষ্টিনন্দন এই বাহন। পঞ্চাশ, ষাটের দশকে নামকরা সব অভিনেতা, অভিনেত্রীর বাহন হিসেবে একনাগাড়ে পর্দায় দ্যুতি ছড়িয়েছে বহুদিন। মার্সেলো মাস্ত্রোয়ানি, অনিতা একবার্গ, জেমস স্টুয়ার্ট, টায়রন পাওয়ার, লিন্ডা ক্রিশ্চিয়ান, কিম নোভাক, অ্যাবে লেন, মারলন ব্র্যান্ডো, জর্জ লুকাস, আলফ্রেড হিচকক, মার্সেল কার্নি, ফেদেরিকো ফেলিনি, স্টিভেন স্পিলবার্গ, ন্যানি মোরেত্তি, রোল্যান্ড এমারিক—ভেসপাপ্রেমীদের এমন তালিকা আরও অনেক বড় হবে।
‘রোমান হলিডে’ সিনেমাটিতে অন্য রকম মাত্রা যোগ করেছে দুই চাকার বাহন এই জগৎ বিখ্যাত ভেসপা স্কুটার; বিশেষ করে নারী মুক্তির আকাঙ্ক্ষা আরেকটু বেশি উসকে দেয় এই নতুন ডিজাইনের স্কুটার ভেসপা। কারণ, এটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছিল, যাতে প্রলম্বিত স্কার্ট, শাড়ি ইত্যাদি যেকোনো পোশাকে একজন নারী সহজেই চালাতে পারেন এ বাহন। তা ছাড়া ডিজাইনের কারণেই চলার সময় রাস্তার কাদা, ময়লা পানি বা ইঞ্জিনের তেল ইত্যাদি ছিটকে কাপড় নোংরা হবে না। সুতরাং, পরিষ্কার কাপড়ে সুন্দর সেজেগুজে ফুরফুরে বাতাসে যেন উড়ে উড়ে চলা যায়। আর তাই ‘ডলসে ভিটা’, অর্থাৎ উপচে পড়া আনন্দময় বর্ণাঢ্য জীবনের প্রতীক হয়ে ওঠে এই দুই চাকার শৈল্পিক সৃষ্টি।
এনরিকো পিয়াজ্জিও ২৩ এপ্রিল ১৯৪৬ ইতালির ফ্লোরেন্সে ভেসপা স্কুটারের কৃতিস্বত্ব (পেটেন্ট) নিবন্ধন করেন। সে হিসাবে এ বছর ভেসপা ৭৫ বয়সে পা রাখল। প্রথম বছর মাত্র ২ হাজার ৪৮৪টি ভেসপা স্কুটার বিক্রি হয়। তবে সাত বছরের মাথায়, ১৯৫৩ সালে বিক্রি হয় ১ লাখ ৭১ হাজার ২০০টি ভেসপা এবং প্রায় ১০টি দেশে এর কারখানা গড়ে ওঠে। রোমান হলিডে সিনেমায় রাজকন্যার জাদুর ছোঁয়া পেয়ে বিশ্ব জয় করতে নামে এই ভেসপা। এই পৃথিবীর খুব কম রাস্তাঘাটই বাকি আছে, যেখানে এই ডলসে ভিটার ছাপ পড়েনি। তারপর আবারও ৪০ বছর পর সিনেমার জগতে ঝড় তোলে ভেসপা, ১৯৯৩ সালে ন্যানি মোরেত্তি পরিচালিত ‘কারো ডিয়ারিও’ (ব্যক্তিগত ডায়েরি) সিনেমায়।
কেউ কেউ বাঁধনমুক্ত রাজকন্যার চোখে-মুখের সেই আনন্দ উচ্ছল অভিব্যক্তি, মুক্তো ঝরানো মিষ্টি হাসি ভুলে গেছেন বা ভুলতে বসেছেন। চলচ্চিত্রের আকাশে অক্ষয় নক্ষত্র অড্রে হেপবার্ন এবং গ্রেগরি পেক আমাদের চিরচেনা লৌকিক জগৎ থেকে বহু আগেই মিলিয়ে গেছেন। মিলিয়ে যায়নি বিস্ময়কর, অনেকটাই অলৌকিক এক কিংবদন্তি ভেসপা।
মইনুল হাসান: ফ্রান্সপ্রবাসী গবেষক
খাবার মজাদার করতে আমরা সাধারণভাবে তেল-মসলার খুব বাড়াবাড়ি করে ফেলি। সেখান থেকে বাদ যায় না পেঁয়াজ কিংবা রসুন। পেঁয়াজকে কায়দা করে সরিয়ে রাখলেও খাবার মজাদার হতে পারে। তেমনই কিছু রেসিপি...
১ দিন আগেবাংলা অঞ্চলে মিষ্টিজাতীয় প্রাচীন খাবারগুলোর মধ্যে সন্দেশের নাম আছে একেবারে প্রথম দিকে। সব মিষ্টির কিছু না কিছু বদল হলেও, এর বদল হয়েছে খুবই কম। যশোরের নলেন গুড়ের সন্দেশ, মানিকগঞ্জ বা নাগরপুরের প্যারা সন্দেশ, পাবনার মাছের পেটি সন্দেশ ইত্যাদি কে না খেতে পছন্দ করে!
১ দিন আগেজীবনানন্দ দাশের কবিতায় ঘুরেফিরে এসেছে দারুচিনি দ্বীপের কথা, তার রহস্যময় শ্যামলিমার কথা, সেই সবুজের গহিনে দিকহারা নাবিকের আশ্রয়-আকাঙ্ক্ষার কথা। এই দারুচিনি দ্বীপ কি আসলে কোনো সমুদ্রঘেরা ভূখণ্ড, নাকি বনলতা সেন নিজেই, তা নিয়ে কবিরা বিতর্ক করুক। আমরা বরং এই দ্বীপের তত্ত্বতালাশ করি।
১ দিন আগে‘প্রসেসেস’-এ প্রকাশিত এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ভাতের মাড় ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য একটি হজমযোগ্য স্বাস্থ্যকর পানীয় হিসেবে কাজ করে। এমনকি এটি ওজন কমাতে পারে।
১ দিন আগে