ফিচার ডেস্ক
চলছে চেরি ব্লসম বা সাকুরা ঋতু। চেরি ফুলের জাপানিজ নাম সাকুরা। মার্চের শেষ থেকে এপ্রিলের শেষ পর্যন্ত ফোটে এই ফুল। তবে এপ্রিল মাস চেরি ফোটার চূড়ান্ত সময়। একেই বলা হয় চেরি ব্লসম অর্থাৎ সাকুরার ‘পিক ব্লুম’।
ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এখন ভরে আছে চেরিফুলের অপার্থিব সৌন্দর্য আর মিষ্টি সৌরভে। মানে বুঝতেই পারছেন, কী বলতে চাইছি– সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রল করলেই সাদা আর গোলাপিরঙা চেরি ফুলের ছবি ভেসে আসছে।
চেরি মূলত জাপানের ফুল। সেখান থেকেই ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। চেরি ফুলের ৬০০টির বেশি প্রজাতি রয়েছে। এর ওপর নির্ভর করে এগুলো মার্চ থেকে মে মাসের শুরু পর্যন্ত ফুটে থাকে। প্রতিটি প্রজাতির পাপড়ির সংখ্যা, রং ও আকার ভিন্ন। সাকুরার জনপ্রিয় প্রজাতি সাদার মধ্যে গোলাপি রঙের সোমে ইয়োশিনো। চেরির কিছু হাইব্রিড প্রজাতিও আছে।
জাপানের সংস্কৃতিতে তো বটেই, পৃথিবীর ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিকে ভীষণভাবে প্রভাবিত করেছে এই চেরি ব্লসম। জাপানে চেরি ব্লসম নতুন এবং ক্ষণস্থায়ী জীবনের প্রতীক। নরম গোলাপি চেরি ফুল ফোটার সঙ্গে সঙ্গে টোকিওবাসী ঋতুগত ফ্যাশন পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বেছে নেয় প্যাস্টেল এবং ফ্লোরাল প্যাটার্নের পোশাক। বলা বাহুল্য, সেগুলো চেরি থেকে উৎসারিত। ডিজাইনাররা এই ফুল ও তার বিভিন্ন প্যাটার্ন থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে তৈরি করেন বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন। ফ্লোরাল প্রিন্টে সজ্জিত নিয়মিত পোশাক থেকে শুরু করে বিভিন্ন ফ্যাশন অনুষঙ্গে চেরি ব্লসমের প্রভাব থাকে সুস্পষ্ট।
হালকা গোলাপি পাপড়িযুক্ত এই ফুল আমাদের দেশের না হলেও সৌন্দর্য ও ট্রেন্ডের কারণে জায়গা করে নিয়েছে পোশাক, গয়নাসহ বিভিন্ন ফ্যাশন অনুষঙ্গে। ফ্যাশনসচেতনেরা এখন ঋতুভিত্তিক পোশাকের দিকে ঝুঁকেছেন অনেকটাই। একেবারে ক্যালেন্ডার ও ঋতু মেনে পোশাক গায়ে তোলেন অনেকে। সময়টা যেহেতু চেরি ব্লসমের, তাই পোশাকেও এখন বেশ চোখে পড়ছে এই ফুল।
ফ্যাশন উদ্যোক্তারা সুতি, হাফসিল্ক, জামদানি ও মসলিন শাড়ি এবং পাঞ্জাবিতে আংশিক বা পুরো পোশাকজুড়ে ফুটিয়ে তুলছেন চেরি ফুলের নকশা, কখনো মূর্ত আর কখনো বিমূর্তভাবে। বেশির ভাগ কাজ হচ্ছে হ্যান্ডপেইন্ট ও স্ক্রিনপ্রিন্টে। সুই-সুতার ফোঁড়েও অনেকে চেরি ব্লসম ফুটিয়ে তুলছেন গয়নায়।
অফ হোয়াইট, বেবি পিংক বা আইভরি রঙের জমিনের ওপর গোলাপি অথবা সাদা চেরি ফুল। আঁচল আর পাড়েও তাই। পুরুষের শার্ট, কটি ও পাঞ্জাবিতেও থাকছে এই ফুলের প্রিন্ট। আবার অনেকে কাস্টমাইজ করে অর্ডার দিয়ে চেরি ব্লসমের পোশাক নকশা করিয়ে নিচ্ছেন। অনেকে ক্রসবডি, ক্লাচ বা ব্যাকপ্যাকেও চেরি ব্লসমের প্রিন্ট করিয়ে নিচ্ছেন।
গলার নেকলেস, কানের দুল, আংটি, হাতের চুড়ি ও বালা ইত্যাদি গয়নায় জায়গা করে নিয়েছে চেরি ব্লসম। মূলত কাঠ ও কিছু কিছু কাপড়ের গয়নায় ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে চেরি ফুল। এখন আবার অনেকে ক্লে দিয়ে গয়না তৈরি করে নেন। তাঁরা সময়োপযোগী অন্যান্য গয়নার মতো চেরি ফুলের নকশাযুক্ত গয়না তৈরি করিয়ে নিচ্ছেন।
কোথায় পাবেন
বিভিন্ন ফ্যাশনবিষয়ক অনলাইন পেজে চেরি ব্লসম প্রিন্ট ও হ্যান্ডপেইন্টের শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, গয়না, টিপ, ব্যাগ ইত্যাদি পেয়ে যাবেন। অনলাইন পেজ শরদিন্দু, রিসাম ক্লজেট, মধুবন্তী, স্বপ্নযাত্রা, ডেইজি প্রিন্ট ইত্যাদিতে পেয়ে যাবেন পছন্দের চেরি ব্লসম পোশাক।
দরদাম
এ ধরনের পোশাকের দাম ফ্যাব্রিকসের ধরন অনুযায়ী হয়। প্রতিষ্ঠান ও উপকরণের ভিন্নতার কারণে একই পোশাকের দাম কমবেশি হতে পারে। সাধারণত কামিজ ৮০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, বিভিন্ন ধরনের শাড়ি ১ হাজার ৫০০ থেকে ৫ হাজার টাকায় পাওয়া যাবে। গজ ভয়েল কাপড়ের ব্লাউজ পিসের দাম ৬০০ থেকে এক হাজার টাকা। কাঠ ও ক্লের গয়না, যেমন চুড়িসহ গলার মালা, কানের দুল ও আংটির দাম আকারভেদে ৭০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা। চুড়ি ছাড়া গলার মালা, কানের দুল ও আংটির দাম ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা।
চলছে চেরি ব্লসম বা সাকুরা ঋতু। চেরি ফুলের জাপানিজ নাম সাকুরা। মার্চের শেষ থেকে এপ্রিলের শেষ পর্যন্ত ফোটে এই ফুল। তবে এপ্রিল মাস চেরি ফোটার চূড়ান্ত সময়। একেই বলা হয় চেরি ব্লসম অর্থাৎ সাকুরার ‘পিক ব্লুম’।
ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এখন ভরে আছে চেরিফুলের অপার্থিব সৌন্দর্য আর মিষ্টি সৌরভে। মানে বুঝতেই পারছেন, কী বলতে চাইছি– সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রল করলেই সাদা আর গোলাপিরঙা চেরি ফুলের ছবি ভেসে আসছে।
চেরি মূলত জাপানের ফুল। সেখান থেকেই ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। চেরি ফুলের ৬০০টির বেশি প্রজাতি রয়েছে। এর ওপর নির্ভর করে এগুলো মার্চ থেকে মে মাসের শুরু পর্যন্ত ফুটে থাকে। প্রতিটি প্রজাতির পাপড়ির সংখ্যা, রং ও আকার ভিন্ন। সাকুরার জনপ্রিয় প্রজাতি সাদার মধ্যে গোলাপি রঙের সোমে ইয়োশিনো। চেরির কিছু হাইব্রিড প্রজাতিও আছে।
জাপানের সংস্কৃতিতে তো বটেই, পৃথিবীর ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিকে ভীষণভাবে প্রভাবিত করেছে এই চেরি ব্লসম। জাপানে চেরি ব্লসম নতুন এবং ক্ষণস্থায়ী জীবনের প্রতীক। নরম গোলাপি চেরি ফুল ফোটার সঙ্গে সঙ্গে টোকিওবাসী ঋতুগত ফ্যাশন পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বেছে নেয় প্যাস্টেল এবং ফ্লোরাল প্যাটার্নের পোশাক। বলা বাহুল্য, সেগুলো চেরি থেকে উৎসারিত। ডিজাইনাররা এই ফুল ও তার বিভিন্ন প্যাটার্ন থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে তৈরি করেন বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন। ফ্লোরাল প্রিন্টে সজ্জিত নিয়মিত পোশাক থেকে শুরু করে বিভিন্ন ফ্যাশন অনুষঙ্গে চেরি ব্লসমের প্রভাব থাকে সুস্পষ্ট।
হালকা গোলাপি পাপড়িযুক্ত এই ফুল আমাদের দেশের না হলেও সৌন্দর্য ও ট্রেন্ডের কারণে জায়গা করে নিয়েছে পোশাক, গয়নাসহ বিভিন্ন ফ্যাশন অনুষঙ্গে। ফ্যাশনসচেতনেরা এখন ঋতুভিত্তিক পোশাকের দিকে ঝুঁকেছেন অনেকটাই। একেবারে ক্যালেন্ডার ও ঋতু মেনে পোশাক গায়ে তোলেন অনেকে। সময়টা যেহেতু চেরি ব্লসমের, তাই পোশাকেও এখন বেশ চোখে পড়ছে এই ফুল।
ফ্যাশন উদ্যোক্তারা সুতি, হাফসিল্ক, জামদানি ও মসলিন শাড়ি এবং পাঞ্জাবিতে আংশিক বা পুরো পোশাকজুড়ে ফুটিয়ে তুলছেন চেরি ফুলের নকশা, কখনো মূর্ত আর কখনো বিমূর্তভাবে। বেশির ভাগ কাজ হচ্ছে হ্যান্ডপেইন্ট ও স্ক্রিনপ্রিন্টে। সুই-সুতার ফোঁড়েও অনেকে চেরি ব্লসম ফুটিয়ে তুলছেন গয়নায়।
অফ হোয়াইট, বেবি পিংক বা আইভরি রঙের জমিনের ওপর গোলাপি অথবা সাদা চেরি ফুল। আঁচল আর পাড়েও তাই। পুরুষের শার্ট, কটি ও পাঞ্জাবিতেও থাকছে এই ফুলের প্রিন্ট। আবার অনেকে কাস্টমাইজ করে অর্ডার দিয়ে চেরি ব্লসমের পোশাক নকশা করিয়ে নিচ্ছেন। অনেকে ক্রসবডি, ক্লাচ বা ব্যাকপ্যাকেও চেরি ব্লসমের প্রিন্ট করিয়ে নিচ্ছেন।
গলার নেকলেস, কানের দুল, আংটি, হাতের চুড়ি ও বালা ইত্যাদি গয়নায় জায়গা করে নিয়েছে চেরি ব্লসম। মূলত কাঠ ও কিছু কিছু কাপড়ের গয়নায় ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে চেরি ফুল। এখন আবার অনেকে ক্লে দিয়ে গয়না তৈরি করে নেন। তাঁরা সময়োপযোগী অন্যান্য গয়নার মতো চেরি ফুলের নকশাযুক্ত গয়না তৈরি করিয়ে নিচ্ছেন।
কোথায় পাবেন
বিভিন্ন ফ্যাশনবিষয়ক অনলাইন পেজে চেরি ব্লসম প্রিন্ট ও হ্যান্ডপেইন্টের শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, গয়না, টিপ, ব্যাগ ইত্যাদি পেয়ে যাবেন। অনলাইন পেজ শরদিন্দু, রিসাম ক্লজেট, মধুবন্তী, স্বপ্নযাত্রা, ডেইজি প্রিন্ট ইত্যাদিতে পেয়ে যাবেন পছন্দের চেরি ব্লসম পোশাক।
দরদাম
এ ধরনের পোশাকের দাম ফ্যাব্রিকসের ধরন অনুযায়ী হয়। প্রতিষ্ঠান ও উপকরণের ভিন্নতার কারণে একই পোশাকের দাম কমবেশি হতে পারে। সাধারণত কামিজ ৮০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, বিভিন্ন ধরনের শাড়ি ১ হাজার ৫০০ থেকে ৫ হাজার টাকায় পাওয়া যাবে। গজ ভয়েল কাপড়ের ব্লাউজ পিসের দাম ৬০০ থেকে এক হাজার টাকা। কাঠ ও ক্লের গয়না, যেমন চুড়িসহ গলার মালা, কানের দুল ও আংটির দাম আকারভেদে ৭০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা। চুড়ি ছাড়া গলার মালা, কানের দুল ও আংটির দাম ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা।
সন্ধ্যার পর বাতি নিভিয়ে খোলা বারান্দায় পাটি বিছিয়ে বা টুল নিয়ে বসতে খারাপ লাগে না। একটু বড় জায়গা থাকলে বারান্দা বাগান তো বটেই, স্থায়ী বসার জায়গাও তৈরি করেন নেন অনেকে। আবার বাড়িতে অতিথি এলে হয়তো বারান্দাতেই জমে ওঠে দীর্ঘ আড্ডা। বারান্দাকে নতুন করে সাজিয়ে তোলার মৌসুম কিন্তু চলে এসেছে।
৪ ঘণ্টা আগেপিসির ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা এক স্টোরিতে দেখা গেছে, এলইডি লাইট থেরাপি মাস্ক পরে উড়োজাহাজে দিব্যি আরাম করছেন। যেন রূপচর্চা আর আরামের একেবারে আদর্শ যুগলবন্দী!
২১ ঘণ্টা আগেসময়ের সঙ্গে পরিবেশ বদলায়, আর পরিবেশের সঙ্গে বদলায় চুলের যত্নের ধরন। চুলে নিয়মিত তেল-শ্যাম্পু ব্যবহার এবং মাসে দুদিন হেয়ারপ্যাক ব্যবহার এখন যথেষ্ট নয়। আগের তুলনায় গ্রীষ্মকালে গরম আরও বেড়েছে, বেড়েছে দূষণ। সেই সঙ্গে বেড়েছে চুল আর মাথার ত্বকের বিভিন্ন সমস্যাও।
২ দিন আগেশিশুর বয়স ছয় মাস হওয়া পর্যন্ত তেমন ভাবনা নেই। নরম সুতির ফিতে দেওয়া নিমা পরেই দিন পার হয় ছেলে কিংবা মেয়েশিশুর। কিন্তু সে যখন বসে বসে খেলতে শেখে বা একটু হেঁটে বেড়ায়, যখন পুরো ঘরই তার জন্য এক বিস্ময়ের জগৎ। সারা বাড়ি ঘুরে দেখা, এটা-ওটা ধরে খেলা করতে গিয়ে ঘাম হয়...
২ দিন আগে