কাশফিয়া আলম ঝিলিক, ঢাকা
ভাদ্রের শেষ বৃষ্টি বেশ ঠান্ডাই বটে। সঙ্গে বাতাস কাঁপিয়ে দিয়ে যায় শরীর। এই বৃষ্টিভেজা দিনে আমরা দেখতে বসি এক উঠতি ডিজাইনারের নতুন নিরীক্ষার কাজ। নাম জান্নাতুন নাইমা। একটার পর একটা ছবি দেখতে থাকি। খাদির ওপর নতুন ধরনের কাজ।পুরোটাই তরুণমনের কল্পনা মেশানো। কে জানে, এসব পোশাকই একদিন আমাদের ট্রেন্ড সেট করবে কি না!
খাদির কথা উঠলে মনে পড়ে এক দীর্ঘ রাজনৈতিক গল্পের। রাজনীতির হাত ধরেই কুমিল্লা অঞ্চলে বিকাশ লাভ করে খাদি। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড) এবং নোয়াখালীর গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টের কারণে এর বিস্তার ঘটে স্বাধীন বাংলাদেশে। ধীরে ধীরে এটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এ দেশের মানুষের কাছে। ফলে ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে এর আলাদা গুরুত্ব তৈরি হয়।
৫০ বছরের বেশি সময় ধরে এটি আমাদের ফ্যাশনের এক দারুণ স্টেটমেন্ট হয়ে উঠেছে। নবীন ও প্রবীণ—সব বয়সের ফ্যাশন ডিজাইনাররা খাদি কাপড়ের পোশাক তৈরির কাজ করেছেন। সেই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি ডিজাইনার জান্নাতুন নাইমা খাদি নিয়ে তাঁর নিরীক্ষাধর্মী কাজ শেষ করেছেন। খাদির যে অসমতল টেকশ্চার, তার ওপর ঐতিহ্যবাহী নকশিকাঁথার মোটিফ ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি।
বিশ্বদরবারে দেশকে উপস্থাপন করে, এমন উপকরণ নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা থেকেই খাদি, টাঙ্গাইল, জামদানিসহ বিভিন্ন ধরনের তাঁতের কাপড় নিয়ে কাজ শুরু করেন নাইমা। ঐতিহ্যবাহী মোটিফের সঙ্গে পোশাকের ফিউশন করতে চেয়েছেন তিনি। সে জন্যই সারারা, টপস, কামিজ কিংবা ফ্রকের মতো প্রচলিত পোশাক তৈরির জন্য খাদি কাপড় সংগ্রহ করেছেন কুমিল্লা থেকে। তার ওপর করেছেন নকশা।
ইচ্ছা ছিল, দেশি কাপড়ের ওপর দেশীয় মোটিফের নকশা থাকবে তাঁর কাজে। তাই বেছে নিয়েছেন দেশীয় ঐতিহ্যবাহী মোটিফ। সঙ্গে রেখেছেন নকশিকাঁথার ট্রেডমার্ক ফোঁড়—রান স্টিচ, ভরাট কিংবা ক্রস স্টিচ। যেন দেখেই বোঝা যায়, লোকজ মোটিফকে নকশিকাঁথার ঐতিহ্যে বেঁধে রাখা হয়েছে খাদির ক্যানভাসে। কোনো পোশাকে ফুটে উঠেছে কলকা, গ্রামের বাড়ির খড়ের ঘরের নকশা। কোনোটিতে আবার ফুল, পাতা কিংবা হাতি, ঘোড়া। নকশার প্যাটার্নে পুরোনো দিনের হাতপাখাও রাখা হয়েছে, কিছুটা চমক আনার জন্য।
চীনা বা জাপানিজ ঐতিহ্যে যেমন হাতপাখার নকশা বা তার প্যাটার্ন পোশাকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ব্যবহার করা হয়, আমাদের দেশে সাধারণত না হলেও নাইমা করার চেষ্টা করেছেন। যেহেতু পুরো পরিকল্পনাটাই নিরীক্ষামূলক, তাই স্বাধীনতাটা তিনি নিয়েছেন বেশি, যত দূর কল্পনা করা সম্ভব হয়েছে। তাতে রঙের ব্যবহারেও কনট্রাস্টের কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করেছেন।
দেশীয় মোটিফ বিভিন্ন মাধ্যমে বিকশিত হয়েছে বলে মনে করেন নাইমা। সেগুলো নিয়ে কাজও হচ্ছে বিভিন্নভাবে। এ ছাড়া বাংলাদেশের ফ্যাশন ধীরে হলেও বহির্বিশ্বে পরিচিতি পাচ্ছে। দেশের মানুষের মধ্যে ফ্যাশন-সচেতনতা এসেছে। ফ্যাশন হাউসের সংখ্যা এবং ডিজাইনারদের কাজের পরিধিও বেড়েছে। এই বাড়ন্ত ইন্ডাস্ট্রিকে সম্ভাবনাময় বলে মনে করেন নাইমা।
তিনি জানিয়েছেন, কাপড় সংগ্রহ করতে অনেক সমস্যা হয় নতুন ডিজাইনারদের। এটি দূর করা জরুরি। এ ছাড়া নিয়মিত যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের কাছে উঠতি ডিজাইনারদের পৌঁছাতে বেগ পেতে হয় অনেক। ফলে আদান-প্রদানটা ঠিকমতো করা যায় না। থ্রিডি নকশা বা ক্রনোলজিক্যাল নকশার দিকেও দেশের ফ্যাশন দুনিয়া কিছুটা পিছিয়ে আছে বলে মনে করেন নাইমা।
নাইমা জানান, হ্যান্ড স্টিচের কালার সিলেকশন থেকে মোটিফ বেছে নেওয়া পর্যন্ত সব মিলিয়ে যাত্রাটা দারুণ উপভোগ্য। ফলে সব নেতিবাচকতা অতিক্রম করে ভবিষ্যতে ফ্যাশন জগতে ডিজাইনার হিসেবে কাজ করতে চান। ঐতিহ্যবাহী অনুষঙ্গগুলোকে নিয়েই বেশির ভাগ কাজ করার ইচ্ছা তাঁর।
ভাদ্রের শেষ বৃষ্টি বেশ ঠান্ডাই বটে। সঙ্গে বাতাস কাঁপিয়ে দিয়ে যায় শরীর। এই বৃষ্টিভেজা দিনে আমরা দেখতে বসি এক উঠতি ডিজাইনারের নতুন নিরীক্ষার কাজ। নাম জান্নাতুন নাইমা। একটার পর একটা ছবি দেখতে থাকি। খাদির ওপর নতুন ধরনের কাজ।পুরোটাই তরুণমনের কল্পনা মেশানো। কে জানে, এসব পোশাকই একদিন আমাদের ট্রেন্ড সেট করবে কি না!
খাদির কথা উঠলে মনে পড়ে এক দীর্ঘ রাজনৈতিক গল্পের। রাজনীতির হাত ধরেই কুমিল্লা অঞ্চলে বিকাশ লাভ করে খাদি। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড) এবং নোয়াখালীর গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টের কারণে এর বিস্তার ঘটে স্বাধীন বাংলাদেশে। ধীরে ধীরে এটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এ দেশের মানুষের কাছে। ফলে ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে এর আলাদা গুরুত্ব তৈরি হয়।
৫০ বছরের বেশি সময় ধরে এটি আমাদের ফ্যাশনের এক দারুণ স্টেটমেন্ট হয়ে উঠেছে। নবীন ও প্রবীণ—সব বয়সের ফ্যাশন ডিজাইনাররা খাদি কাপড়ের পোশাক তৈরির কাজ করেছেন। সেই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি ডিজাইনার জান্নাতুন নাইমা খাদি নিয়ে তাঁর নিরীক্ষাধর্মী কাজ শেষ করেছেন। খাদির যে অসমতল টেকশ্চার, তার ওপর ঐতিহ্যবাহী নকশিকাঁথার মোটিফ ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি।
বিশ্বদরবারে দেশকে উপস্থাপন করে, এমন উপকরণ নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা থেকেই খাদি, টাঙ্গাইল, জামদানিসহ বিভিন্ন ধরনের তাঁতের কাপড় নিয়ে কাজ শুরু করেন নাইমা। ঐতিহ্যবাহী মোটিফের সঙ্গে পোশাকের ফিউশন করতে চেয়েছেন তিনি। সে জন্যই সারারা, টপস, কামিজ কিংবা ফ্রকের মতো প্রচলিত পোশাক তৈরির জন্য খাদি কাপড় সংগ্রহ করেছেন কুমিল্লা থেকে। তার ওপর করেছেন নকশা।
ইচ্ছা ছিল, দেশি কাপড়ের ওপর দেশীয় মোটিফের নকশা থাকবে তাঁর কাজে। তাই বেছে নিয়েছেন দেশীয় ঐতিহ্যবাহী মোটিফ। সঙ্গে রেখেছেন নকশিকাঁথার ট্রেডমার্ক ফোঁড়—রান স্টিচ, ভরাট কিংবা ক্রস স্টিচ। যেন দেখেই বোঝা যায়, লোকজ মোটিফকে নকশিকাঁথার ঐতিহ্যে বেঁধে রাখা হয়েছে খাদির ক্যানভাসে। কোনো পোশাকে ফুটে উঠেছে কলকা, গ্রামের বাড়ির খড়ের ঘরের নকশা। কোনোটিতে আবার ফুল, পাতা কিংবা হাতি, ঘোড়া। নকশার প্যাটার্নে পুরোনো দিনের হাতপাখাও রাখা হয়েছে, কিছুটা চমক আনার জন্য।
চীনা বা জাপানিজ ঐতিহ্যে যেমন হাতপাখার নকশা বা তার প্যাটার্ন পোশাকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ব্যবহার করা হয়, আমাদের দেশে সাধারণত না হলেও নাইমা করার চেষ্টা করেছেন। যেহেতু পুরো পরিকল্পনাটাই নিরীক্ষামূলক, তাই স্বাধীনতাটা তিনি নিয়েছেন বেশি, যত দূর কল্পনা করা সম্ভব হয়েছে। তাতে রঙের ব্যবহারেও কনট্রাস্টের কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করেছেন।
দেশীয় মোটিফ বিভিন্ন মাধ্যমে বিকশিত হয়েছে বলে মনে করেন নাইমা। সেগুলো নিয়ে কাজও হচ্ছে বিভিন্নভাবে। এ ছাড়া বাংলাদেশের ফ্যাশন ধীরে হলেও বহির্বিশ্বে পরিচিতি পাচ্ছে। দেশের মানুষের মধ্যে ফ্যাশন-সচেতনতা এসেছে। ফ্যাশন হাউসের সংখ্যা এবং ডিজাইনারদের কাজের পরিধিও বেড়েছে। এই বাড়ন্ত ইন্ডাস্ট্রিকে সম্ভাবনাময় বলে মনে করেন নাইমা।
তিনি জানিয়েছেন, কাপড় সংগ্রহ করতে অনেক সমস্যা হয় নতুন ডিজাইনারদের। এটি দূর করা জরুরি। এ ছাড়া নিয়মিত যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের কাছে উঠতি ডিজাইনারদের পৌঁছাতে বেগ পেতে হয় অনেক। ফলে আদান-প্রদানটা ঠিকমতো করা যায় না। থ্রিডি নকশা বা ক্রনোলজিক্যাল নকশার দিকেও দেশের ফ্যাশন দুনিয়া কিছুটা পিছিয়ে আছে বলে মনে করেন নাইমা।
নাইমা জানান, হ্যান্ড স্টিচের কালার সিলেকশন থেকে মোটিফ বেছে নেওয়া পর্যন্ত সব মিলিয়ে যাত্রাটা দারুণ উপভোগ্য। ফলে সব নেতিবাচকতা অতিক্রম করে ভবিষ্যতে ফ্যাশন জগতে ডিজাইনার হিসেবে কাজ করতে চান। ঐতিহ্যবাহী অনুষঙ্গগুলোকে নিয়েই বেশির ভাগ কাজ করার ইচ্ছা তাঁর।
১৯৫১ সাল। ইরানের রাজা রেজা শাহ পাহলভি এলেন পৃথিমপাশা জমিদারবাড়িতে। সে এক হুলুস্থুল ব্যাপার! এ বাড়ির পূর্বপুরুষেরা ইরান থেকে এসেছিলেন বলে জানা যায়।
২ দিন আগেশীতে কাপড় ভালো রাখতে সেগুলোকে যেমন রোদে মেলে দিতে হয়, সম্পর্ক উন্নয়নে মাঝেমধ্যে তেমনি ভ্রমণেও যেতে হয়। শীত চলে এসেছে। ভ্রমণপ্রেমীরা হয়ে উঠেছেন সরব।
২ দিন আগেপর্যটন বন্ধে কারফিউ! হ্যাঁ, তেমনটিই ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। গ্রামের নাম বুকচন হ্যানোক। দক্ষিণ কোরিয়ার জংনো জেলায় এর অবস্থান। বুকচন হ্যানোক দেশটির ‘মাস্ট ভিজিট’ পর্যটন গন্তব্য।
২ দিন আগেভ্রমণের স্বাদ একবার রক্তে ঢুকলে, তা থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। এক অদৃশ্য তাড়না কাজ করতে থাকে ভেতরে-ভেতরে।
২ দিন আগে