নাহিন আশরাফ
শীত এলে অনেকের মনই ফুরফুরে হয়ে ওঠে। একে তো গরমে ঘেমে-নেয়ে একাকার হওয়ার দিন ফুরোয়, অন্যদিকে রংবেরঙের ফ্যাশনেবল পোশাক পরারও ফুরসত মেলে। তাই শীতের জন্য অনেকে তুলে রাখেন অনেক ধরনের টপস, প্যান্ট, কটি, শর্ট ব্লাউজ। তবে মুশকিলটা হয় যখন খুব শীত পড়ে না, আবার বিকেল হলেই শীত শীত অনুভব হয়। ভোরবেলায় বের হলেও খানিকটা গায়ে কাঁটা দেয়। এই সময়টায় শীতের পোশাক না পরলে ঠান্ডা অনুভূত হয় আবার শীতের শাল, সোয়েটার, কার্ডিগান পরলেও গরম লাগে। তাই হালকা শীতের পোশাক এমন হওয়া উচিত যা গায়ে রাখলে ঠান্ডাও লাগবে না আবার গরমে ঘেমে যাওয়ারও আশঙ্কা থাকবে না। উপরন্তু ফ্যাশনেবল লুকও পাওয়া যাবে।
শীতের পোশাক কেমন হওয়া উচিত তা নিয়ে কথা হয় ফ্যাশন ডিজাইনার ও যাদুর বাক্সের স্বত্বাধিকারী মেহবুব যাদুর সঙ্গে। তিনি জানান, হালকা শীত শীত আবহাওয়ায় খুব ভারী বা হালকা-পাতলা পোশাক কোনোটাই পরা যায় না। সে ক্ষেত্রে বেছে নেওয়া যেতে পারে ফুল স্লিভ পোশাক। এসব পোশাক শরীর ঢেকে রাখে বলে ঠান্ডা কম অনুভব হয়। আর এখন গরমটা বেশ সহনীয়। তাই চাইলে দিনের বেলাও ফুল স্লিভ পরা যেতে পারে।
সুতির ফুল স্লিভ কটি
এখনকার আবহাওয়া অনুযায়ী উপযুক্ত পোশাক হচ্ছে সুতির কাপড়ে তৈরি বিভিন্ন স্টাইলের কটি। বর্তমানে তরুণদের কাছে ফ্যাশনেবল কটির বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে। নানান কাট ও নকশার কটি পাওয়া যায়, যা ফ্যাশনের পাশাপাশি ঠান্ডা থেকেও রক্ষা করে থাকে। শুধু কামিজ, কুর্তি বা টি-শার্টের সঙ্গেই নয়, হালকা শীতে যেকোনো অনুষ্ঠানে নারীরা শাড়ির সঙ্গেও কটি পরতে পারেন।
পঞ্চে এসেছে নতুনত্ব
হালকা শীতে পরার জন্য আরেকটি জনপ্রিয় পোশাক হচ্ছে সুতির পঞ্চ। পাঁচ কোনার এই পোশাক হালকা শীতের জন্য উপযোগী আর ফ্যাশনেবলও বটে। একসময় পঞ্চ শুধু উল দিয়ে তৈরি করা হতো। তাই এটি খুব বেশি শীত না পড়লে পরা যেত না। তবে এখন মোটা সুতি, খাদি, লিনেন, জর্জেট ও বিভিন্ন কাপড়ে তৈরি হয় বলে বারো মাস পরা যায়। এর মধ্যে বৈচিত্র্য নিয়ে আসার জন্য ব্লক, বাটিক, এমব্রয়ডারি কিংবা হাতের কাজ করা হয়ে থাকে।
এ ছাড়া ডলার, চুমকি, পুঁতি ইত্যাদি দিয়ে নকশা করা পঞ্চ যেকোনো পার্টিতেও পরে যাওয়া যায়। এটি সাধারণত লেগিংস কিংবা জিনসের সঙ্গে বেশি পরা হয়ে থাকে।
শাল হুডি ব্লেজার
শীতের পোশাকে যত ধরনের বৈচিত্র্য আসুক না কেন শাল বা চাদরের কদর কোনো দিনই কমবে না। শালের একঘেয়েমি নকশায় নিয়ে আসা হচ্ছে নতুনত্ব। করা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের স্ক্রিন প্রিন্ট। আরও করা হচ্ছে প্যাচওয়ার্কের চাদর। এ ছাড়া ফুল, লতাপাতা, পাখির এমব্রয়ডারি করা চাদর তো রয়েছেই। হালকা শীতে উষ্ণতা পেতে বেছে নেওয়া যেতে পারে পাতলা গড়নের শাল। তবে এমন শাল বেছে নেওয়া উচিত, যা ব্যাগে বহন করা যায়।
পুরুষের জনপ্রিয় একটি শীত পোশাক হচ্ছে ব্লেজার। এখন সুতির কাপড়ে বিভিন্ন স্টাইলের ব্লেজার তৈরি হচ্ছে। সাদামাটা রঙের বদলে এসব ব্লেজারে থাকছে হট পিংক, লাল, সবুজ, লেমনের মতো মনকাড়া রং। ফরমাল কিংবা ক্যাজুয়াল যেকোনো লুকের জন্যই ব্লেজারের তুলনা নেই। এই হালকা শীতে ব্লেজার পরা যেতে পারে। তা ছাড়া এখন পুরো বছর পরা যায় এমন ব্লেজার তৈরি করা হয়। তবে ব্লেজারের ক্ষেত্রে অবশ্যই ফিটিংসের দিকে নজর রাখতে হবে। কারণ ব্লেজারের ফিটিং ভালো না হলে বেমানান লাগে।
নিট ফেব্রিকস ও সুতির কাপড়ে তৈরি বিভিন্ন ধরনের হুডি পাওয়া যায়। এগুলো ভরা শীতে পরার উপযোগী নয়। তবে হেমন্তের ভোরে অনেকটাই আরাম দেবে আপনাকে।
কোথায় পাবেন
রঙ বাংলাদেশ, বিশ্বরং, কে ক্র্যাফট, অঞ্জনস, যাদুর বাক্স, ইজি, ইয়েলো, ক্যাটসআই ও এক্সট্যাসিতে পাওয়া যাবে হালকা শীতের পোশাক। নন-ব্র্যান্ড শীতের পোশাক ঢাকার বিভিন্ন মার্কেটসহ জেলা শহরগুলোর সুপার মার্কেটেও পাওয়া যায়।
শীত এলে অনেকের মনই ফুরফুরে হয়ে ওঠে। একে তো গরমে ঘেমে-নেয়ে একাকার হওয়ার দিন ফুরোয়, অন্যদিকে রংবেরঙের ফ্যাশনেবল পোশাক পরারও ফুরসত মেলে। তাই শীতের জন্য অনেকে তুলে রাখেন অনেক ধরনের টপস, প্যান্ট, কটি, শর্ট ব্লাউজ। তবে মুশকিলটা হয় যখন খুব শীত পড়ে না, আবার বিকেল হলেই শীত শীত অনুভব হয়। ভোরবেলায় বের হলেও খানিকটা গায়ে কাঁটা দেয়। এই সময়টায় শীতের পোশাক না পরলে ঠান্ডা অনুভূত হয় আবার শীতের শাল, সোয়েটার, কার্ডিগান পরলেও গরম লাগে। তাই হালকা শীতের পোশাক এমন হওয়া উচিত যা গায়ে রাখলে ঠান্ডাও লাগবে না আবার গরমে ঘেমে যাওয়ারও আশঙ্কা থাকবে না। উপরন্তু ফ্যাশনেবল লুকও পাওয়া যাবে।
শীতের পোশাক কেমন হওয়া উচিত তা নিয়ে কথা হয় ফ্যাশন ডিজাইনার ও যাদুর বাক্সের স্বত্বাধিকারী মেহবুব যাদুর সঙ্গে। তিনি জানান, হালকা শীত শীত আবহাওয়ায় খুব ভারী বা হালকা-পাতলা পোশাক কোনোটাই পরা যায় না। সে ক্ষেত্রে বেছে নেওয়া যেতে পারে ফুল স্লিভ পোশাক। এসব পোশাক শরীর ঢেকে রাখে বলে ঠান্ডা কম অনুভব হয়। আর এখন গরমটা বেশ সহনীয়। তাই চাইলে দিনের বেলাও ফুল স্লিভ পরা যেতে পারে।
সুতির ফুল স্লিভ কটি
এখনকার আবহাওয়া অনুযায়ী উপযুক্ত পোশাক হচ্ছে সুতির কাপড়ে তৈরি বিভিন্ন স্টাইলের কটি। বর্তমানে তরুণদের কাছে ফ্যাশনেবল কটির বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে। নানান কাট ও নকশার কটি পাওয়া যায়, যা ফ্যাশনের পাশাপাশি ঠান্ডা থেকেও রক্ষা করে থাকে। শুধু কামিজ, কুর্তি বা টি-শার্টের সঙ্গেই নয়, হালকা শীতে যেকোনো অনুষ্ঠানে নারীরা শাড়ির সঙ্গেও কটি পরতে পারেন।
পঞ্চে এসেছে নতুনত্ব
হালকা শীতে পরার জন্য আরেকটি জনপ্রিয় পোশাক হচ্ছে সুতির পঞ্চ। পাঁচ কোনার এই পোশাক হালকা শীতের জন্য উপযোগী আর ফ্যাশনেবলও বটে। একসময় পঞ্চ শুধু উল দিয়ে তৈরি করা হতো। তাই এটি খুব বেশি শীত না পড়লে পরা যেত না। তবে এখন মোটা সুতি, খাদি, লিনেন, জর্জেট ও বিভিন্ন কাপড়ে তৈরি হয় বলে বারো মাস পরা যায়। এর মধ্যে বৈচিত্র্য নিয়ে আসার জন্য ব্লক, বাটিক, এমব্রয়ডারি কিংবা হাতের কাজ করা হয়ে থাকে।
এ ছাড়া ডলার, চুমকি, পুঁতি ইত্যাদি দিয়ে নকশা করা পঞ্চ যেকোনো পার্টিতেও পরে যাওয়া যায়। এটি সাধারণত লেগিংস কিংবা জিনসের সঙ্গে বেশি পরা হয়ে থাকে।
শাল হুডি ব্লেজার
শীতের পোশাকে যত ধরনের বৈচিত্র্য আসুক না কেন শাল বা চাদরের কদর কোনো দিনই কমবে না। শালের একঘেয়েমি নকশায় নিয়ে আসা হচ্ছে নতুনত্ব। করা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের স্ক্রিন প্রিন্ট। আরও করা হচ্ছে প্যাচওয়ার্কের চাদর। এ ছাড়া ফুল, লতাপাতা, পাখির এমব্রয়ডারি করা চাদর তো রয়েছেই। হালকা শীতে উষ্ণতা পেতে বেছে নেওয়া যেতে পারে পাতলা গড়নের শাল। তবে এমন শাল বেছে নেওয়া উচিত, যা ব্যাগে বহন করা যায়।
পুরুষের জনপ্রিয় একটি শীত পোশাক হচ্ছে ব্লেজার। এখন সুতির কাপড়ে বিভিন্ন স্টাইলের ব্লেজার তৈরি হচ্ছে। সাদামাটা রঙের বদলে এসব ব্লেজারে থাকছে হট পিংক, লাল, সবুজ, লেমনের মতো মনকাড়া রং। ফরমাল কিংবা ক্যাজুয়াল যেকোনো লুকের জন্যই ব্লেজারের তুলনা নেই। এই হালকা শীতে ব্লেজার পরা যেতে পারে। তা ছাড়া এখন পুরো বছর পরা যায় এমন ব্লেজার তৈরি করা হয়। তবে ব্লেজারের ক্ষেত্রে অবশ্যই ফিটিংসের দিকে নজর রাখতে হবে। কারণ ব্লেজারের ফিটিং ভালো না হলে বেমানান লাগে।
নিট ফেব্রিকস ও সুতির কাপড়ে তৈরি বিভিন্ন ধরনের হুডি পাওয়া যায়। এগুলো ভরা শীতে পরার উপযোগী নয়। তবে হেমন্তের ভোরে অনেকটাই আরাম দেবে আপনাকে।
কোথায় পাবেন
রঙ বাংলাদেশ, বিশ্বরং, কে ক্র্যাফট, অঞ্জনস, যাদুর বাক্স, ইজি, ইয়েলো, ক্যাটসআই ও এক্সট্যাসিতে পাওয়া যাবে হালকা শীতের পোশাক। নন-ব্র্যান্ড শীতের পোশাক ঢাকার বিভিন্ন মার্কেটসহ জেলা শহরগুলোর সুপার মার্কেটেও পাওয়া যায়।
১৯৬০ সালের দিকে স্যাম পানাপুলোস এবং তাঁর ভাই ঐতিহ্যবাহী পিৎজায় এক নতুন উপাদান যোগ করার সিদ্ধান্ত নেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী পিৎজার উপাদানের সঙ্গে যুক্ত হলো প্যাকেটজাত আনারস। এর নাম রাখা হয় হাওয়াইয়ান পিৎজা। মাসখানেকের...
৩ দিন আগেঅ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীদের জন্য নেপাল উপযুক্ত জায়গা। উঁচু পাহাড়ে ট্রেকিং থেকে শুরু করে প্যারাগ্লাইডিং কিংবা বাঞ্জি জাম্পিংয়ের মতো দুর্দান্ত সব কর্মকাণ্ডের জন্য এক নামে পরিচিত দেশটি। তবে এসব অ্যাকটিভিটি ছাড়াও সব ধরনের ভ্রমণপিয়াসির জন্য নেপালে কিছু না কিছু কর্মকাণ্ড রয়েছে।
৩ দিন আগেপাহাড় বলতে বান্দরবানই আমাকে বেশি মুগ্ধ করে। এর নৈসর্গিক ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মুখে বলে কিংবা ছবিতে দেখিয়ে শেষ করা যাবে না।
৩ দিন আগেপঞ্চাশ হাজার ফুলের বীজ থেকে তৈরি হয়েছে ৩৬০ বর্গমিটার দীর্ঘ একটি কার্পেট। এতে আরও যোগ হয়েছে ঐতিহ্যবাহী জ্যামিতিক নকশা ও মার্বেল পাথর। সেটি দেখতে ভিড় জমেছে পর্যটকের।
৩ দিন আগে