মো. আশিকুর রহমান
একসময় বাংলাদেশ টেলিভিশনে কিছু অনুষ্ঠান প্রচারিত হতো, যেখানে ফোন করে বিশেষজ্ঞদের কাছে নিজের সমস্যা সম্পর্কে জানানো যেত। এ বিষয়টিকে ডিজিটালাইজড করার ভাবনা থেকে ২০১৮ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শাওন খুলেছিলেন ‘বিজ্ঞান প্রিয় পরিবার’ নামে একটি ফেসবুক গ্রুপ। শুরুতে বন্ধুবান্ধবকে যেকোনো বিজ্ঞানবিষয়ক প্রশ্ন করার জন্য উৎসাহ দিতেন তিনি। সে জন্য প্রতি সপ্তাহে পুরস্কার হিসেবে থাকত বই। প্রথম দিকে গ্রুপে একাই উত্তর দিলেও পরে একটি টিম তৈরি হয়ে যায় তাঁর। ছয় বছরের ব্যবধানে তাঁদের ফেসবুক গ্রুপে প্রায় ৭ লাখ সদস্য যুক্ত হয়েছেন। এ পর্যন্ত সেই গ্রুপ থেকে প্রায় ২ লাখ ১৬ হাজার বিজ্ঞানকেন্দ্রিক প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে শাওন ও তাঁর দল। এখনো প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১৪ হাজার প্রশ্ন তাঁদের গ্রুপে এসে জমা হয়।
বিজ্ঞান প্রিয় নামের এই প্রতিষ্ঠান সাধারণ পাঠক ও দর্শকের জন্য বিজ্ঞানের কঠিন বিষয়গুলো সহজ করে উপস্থাপন করে। গুজব, কুসংস্কার এবং অপবিজ্ঞানের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে কাজ করে প্রতিষ্ঠানটি। এসবের জন্য রয়েছে তাদের ‘প্রজেক্ট সত্য’। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে তারা সর্বস্তরের মানুষের কথা বিবেচনায় রেখে সাবলীল ভাষায় ফেসবুক পেজে ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট ও ইনফোগ্রাফি প্রকাশ করে থাকে। বিজ্ঞান প্রিয়র ফেসবুক পেজের এই ভিডিও কনটেন্টগুলো ২ কোটির বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে প্রতিনিয়ত।
বিজ্ঞান প্রিয় বিভিন্ন ধরনের গুজবের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার কাজ করে থাকে। দেশের কোনো প্রান্তে যদি কোনো গুজব ছড়ায়, সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের মানুষ যদি বিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠিত যুক্তি দিয়ে তা ব্যাখ্যা করতে না পারে, তবে বিজ্ঞান প্রিয় সে জায়গায় গিয়ে রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা করে। সেই সঙ্গে স্থানীয় মানুষদের সচেতন করে তোলে গুজবের বিরুদ্ধে।
নিজেদের কাজ সম্পর্কে বিজ্ঞান প্রিয়র প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ শাওন মাহমুদ জানান, দেশ ও ভাষার জন্য কাজ করেন তাঁরা। এ পর্যন্ত ১০ লাখের বেশি মানুষকে তাঁরা বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন, বিজ্ঞান যৌক্তিক জিনিস। এর মাধ্যমে অনেক সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।
অ্যাওয়ার্ড
ইতিমধ্যে বিজ্ঞান প্রিয় তাদের কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড ২০২২’ ও আরভি ফাউন্ডেশনের ‘হিরো অ্যাওয়ার্ড ২০২২’ পেয়েছে।
ভবিষ্যতে একটি এআই বেইজড ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপ লঞ্চ করতে চায় বিজ্ঞান প্রিয়, যেখানে বাংলা ভাষায় নির্ভুলভাবে বিজ্ঞানের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা যাবে। বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানভিত্তিক ভিজ্যুয়াল কনটেন্টকে আরও প্রতিষ্ঠা করতে চায় তারা। প্রাথমিক চিকিৎসার প্রশিক্ষণে প্রজেক্ট প্রাচি প্রতিষ্ঠা করা ও প্রাথমিক চিকিৎসার উন্নয়নে এআইভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম তৈরি করাতে চায় শাওন ও তাঁর দল।
শাওন জানান, বিজ্ঞান প্রিয়কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে তাঁরা একটি ‘বিজ্ঞানমনস্ক পরিবেশ’ তৈরি করতে চান দেশে। বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানকে জানার পরিসর খানিকটা বৃদ্ধি করতে পারলেই তাঁরা খুশি।
একসময় বাংলাদেশ টেলিভিশনে কিছু অনুষ্ঠান প্রচারিত হতো, যেখানে ফোন করে বিশেষজ্ঞদের কাছে নিজের সমস্যা সম্পর্কে জানানো যেত। এ বিষয়টিকে ডিজিটালাইজড করার ভাবনা থেকে ২০১৮ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শাওন খুলেছিলেন ‘বিজ্ঞান প্রিয় পরিবার’ নামে একটি ফেসবুক গ্রুপ। শুরুতে বন্ধুবান্ধবকে যেকোনো বিজ্ঞানবিষয়ক প্রশ্ন করার জন্য উৎসাহ দিতেন তিনি। সে জন্য প্রতি সপ্তাহে পুরস্কার হিসেবে থাকত বই। প্রথম দিকে গ্রুপে একাই উত্তর দিলেও পরে একটি টিম তৈরি হয়ে যায় তাঁর। ছয় বছরের ব্যবধানে তাঁদের ফেসবুক গ্রুপে প্রায় ৭ লাখ সদস্য যুক্ত হয়েছেন। এ পর্যন্ত সেই গ্রুপ থেকে প্রায় ২ লাখ ১৬ হাজার বিজ্ঞানকেন্দ্রিক প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে শাওন ও তাঁর দল। এখনো প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১৪ হাজার প্রশ্ন তাঁদের গ্রুপে এসে জমা হয়।
বিজ্ঞান প্রিয় নামের এই প্রতিষ্ঠান সাধারণ পাঠক ও দর্শকের জন্য বিজ্ঞানের কঠিন বিষয়গুলো সহজ করে উপস্থাপন করে। গুজব, কুসংস্কার এবং অপবিজ্ঞানের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে কাজ করে প্রতিষ্ঠানটি। এসবের জন্য রয়েছে তাদের ‘প্রজেক্ট সত্য’। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে তারা সর্বস্তরের মানুষের কথা বিবেচনায় রেখে সাবলীল ভাষায় ফেসবুক পেজে ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট ও ইনফোগ্রাফি প্রকাশ করে থাকে। বিজ্ঞান প্রিয়র ফেসবুক পেজের এই ভিডিও কনটেন্টগুলো ২ কোটির বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে প্রতিনিয়ত।
বিজ্ঞান প্রিয় বিভিন্ন ধরনের গুজবের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার কাজ করে থাকে। দেশের কোনো প্রান্তে যদি কোনো গুজব ছড়ায়, সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের মানুষ যদি বিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠিত যুক্তি দিয়ে তা ব্যাখ্যা করতে না পারে, তবে বিজ্ঞান প্রিয় সে জায়গায় গিয়ে রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা করে। সেই সঙ্গে স্থানীয় মানুষদের সচেতন করে তোলে গুজবের বিরুদ্ধে।
নিজেদের কাজ সম্পর্কে বিজ্ঞান প্রিয়র প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ শাওন মাহমুদ জানান, দেশ ও ভাষার জন্য কাজ করেন তাঁরা। এ পর্যন্ত ১০ লাখের বেশি মানুষকে তাঁরা বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন, বিজ্ঞান যৌক্তিক জিনিস। এর মাধ্যমে অনেক সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।
অ্যাওয়ার্ড
ইতিমধ্যে বিজ্ঞান প্রিয় তাদের কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড ২০২২’ ও আরভি ফাউন্ডেশনের ‘হিরো অ্যাওয়ার্ড ২০২২’ পেয়েছে।
ভবিষ্যতে একটি এআই বেইজড ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপ লঞ্চ করতে চায় বিজ্ঞান প্রিয়, যেখানে বাংলা ভাষায় নির্ভুলভাবে বিজ্ঞানের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা যাবে। বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানভিত্তিক ভিজ্যুয়াল কনটেন্টকে আরও প্রতিষ্ঠা করতে চায় তারা। প্রাথমিক চিকিৎসার প্রশিক্ষণে প্রজেক্ট প্রাচি প্রতিষ্ঠা করা ও প্রাথমিক চিকিৎসার উন্নয়নে এআইভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম তৈরি করাতে চায় শাওন ও তাঁর দল।
শাওন জানান, বিজ্ঞান প্রিয়কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে তাঁরা একটি ‘বিজ্ঞানমনস্ক পরিবেশ’ তৈরি করতে চান দেশে। বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানকে জানার পরিসর খানিকটা বৃদ্ধি করতে পারলেই তাঁরা খুশি।
খাবার মজাদার করতে আমরা সাধারণভাবে তেল-মসলার খুব বাড়াবাড়ি করে ফেলি। সেখান থেকে বাদ যায় না পেঁয়াজ কিংবা রসুন। পেঁয়াজকে কায়দা করে সরিয়ে রাখলেও খাবার মজাদার হতে পারে। তেমনই কিছু রেসিপি...
১ দিন আগেবাংলা অঞ্চলে মিষ্টিজাতীয় প্রাচীন খাবারগুলোর মধ্যে সন্দেশের নাম আছে একেবারে প্রথম দিকে। সব মিষ্টির কিছু না কিছু বদল হলেও, এর বদল হয়েছে খুবই কম। যশোরের নলেন গুড়ের সন্দেশ, মানিকগঞ্জ বা নাগরপুরের প্যারা সন্দেশ, পাবনার মাছের পেটি সন্দেশ ইত্যাদি কে না খেতে পছন্দ করে!
১ দিন আগেজীবনানন্দ দাশের কবিতায় ঘুরেফিরে এসেছে দারুচিনি দ্বীপের কথা, তার রহস্যময় শ্যামলিমার কথা, সেই সবুজের গহিনে দিকহারা নাবিকের আশ্রয়-আকাঙ্ক্ষার কথা। এই দারুচিনি দ্বীপ কি আসলে কোনো সমুদ্রঘেরা ভূখণ্ড, নাকি বনলতা সেন নিজেই, তা নিয়ে কবিরা বিতর্ক করুক। আমরা বরং এই দ্বীপের তত্ত্বতালাশ করি।
১ দিন আগে‘প্রসেসেস’-এ প্রকাশিত এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ভাতের মাড় ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য একটি হজমযোগ্য স্বাস্থ্যকর পানীয় হিসেবে কাজ করে। এমনকি এটি ওজন কমাতে পারে।
১ দিন আগে