অলকানন্দা রায়, ঢাকা
বই হলো খোলা জানালা। উজ্জ্বল আলোয় জীবন ভরিয়ে রাখে মুক্ত জ্ঞানের ভান্ডার উপুড় করে দিয়ে। নিজের ভেতরে আলোর মশাল জ্বালাতে বই পড়ার বিকল্প খুব কমই আছে। তবে সেই বই কেবল প্রাতিষ্ঠানিক নয়—এমনটিই মনে করেন যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কবির হোসেন। আর মনে করেই তিনি ক্ষান্ত দেননি, গড়ে তুলেছেন বই পড়ার আন্দোলন।
শাহ্জাহান কবীর তাঁর নিজ কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে যশোরের প্রায় সব জায়গায় ছড়িয়ে দিয়েছেন বই পড়ার আনন্দ। পরিচালনা করছেন পাঠচক্র। রীতিমতো পরীক্ষা দিয়ে সেই পাঠচক্রের সদস্য পদ পেতে হয়। তারপর পাওয়া যায় নিয়মিত বই। অংশগ্রহণ করা যায় বই বিষয়ক বিভিন্ন আলোচনায়।
স্কুলজীবন থেকেই শাহ্জাহান কবীরের ছিল ব্যক্তিগত লাইব্রেরি। এসব বই তাঁকে জুগিয়েছে শক্তি, আশাবাদ ও নির্মল আনন্দ। তারই খানিকটা নিজের শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার তাড়না থেকে শুরু করেছেন এই পাঠচক্র। এর শুরুটা হয়েছিল ২০১৬ সালে। তখন শাহ্জাহান কবীরের পরিকল্পনা ছিল শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে অন্তত একটি বই পড়ানোর মতো উদ্যোগ নেওয়া। সেই ভাবনা থেকে ফেসবুকে খুলেছিলেন একটি গ্রুপ। সেই গ্রুপের মাধ্যমেই আহ্বান জানান বই পড়ার। আগ্রহী ১০ থেকে ১২ জনকে পেয়েও যান তিনি। তাঁদের নিয়েই নেমে পড়েন বই পড়ার এই আনন্দযজ্ঞে। সংগ্রহ করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ডাকঘর’ বইটির ৫০ কপি। তারপর সেগুলো তুলে দেন প্রথম দিককার আগ্রহীদের হাতে। এ ছাড়া বই পড়ার নানান বিষয় নিয়ে নিয়মিত চালাতে থাকেন আলোচনা। বই দেওয়ার পরের সপ্তাহে বিকেলে বসেন শহরের একটি কফি শপে। শিক্ষার্থীরা বইটি পড়ে এসে উন্মুক্ত পাঠপ্রতিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেন। পাঠপ্রতিক্রিয়া শেষে তাঁদের হাতে তুলে দেন পরের সপ্তাহের নতুন বই। এভাবেই শুরু হয় যাত্রা। এই প্রক্রিয়ায় দিন দিন বেড়েছে পাঠকের আগ্রহ ও সংখ্যা—দুটিই। এই পথ পেরোনো এতটাও সহজ ছিল না সহকারী অধ্যাপক শাহ্জাহান কবীরের জন্য। শুরুতে শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে অভ্যস্ত ছিলেন না। তাই বই পড়ানোর অভ্যাস বাড়াতে এবং তাঁদের ধরে রাখতে নিতে হয়েছিল আনন্দময় নানান কৌশল। এই কৌশলে প্রতিবেশ অধ্যয়ন, সাংস্কৃতিক অভিযাত্রা, গ্রন্থামন্ত্রণ প্রভৃতি তাঁর মৌলিক সংযোজন। বইয়ের বিষয়ের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে স্থান, পরিবেশ, প্রতিবেশ ও আবহে বইটির আলোচনার আয়োজনও করেন তিনি। এভাবে বই পাঠ ও আলোচনায় বেশ আকৃষ্ট করেন নতুন পাঠকদের। এসব কার্যক্রমে ভ্রমণের আনন্দও মেলে বেশ। বইপ্রেমীরাও এতে আকৃষ্ট হয়েছেন। দিনে দিনে বেড়েছে সদস্যসংখ্যা। সঙ্গে মিলেছে জ্ঞানপিয়াসী ও উন্নত মননের কিছু সুহৃদ, কিছু আলোক সহযাত্রী।
‘সপ্তাহে একটি বই পড়ি’ কার্যক্রমের সদস্যরা নিজেরা বই পড়ার পাশাপাশি মূলত এখানে নিখাদ বন্ধুত্ব, নির্মল আনন্দ, সৌন্দর্য সৃজনের চর্চা করে থাকেন। এ ছাড়া নিজেদের পাশাপাশি অন্যকে বই পড়ানোর জন্য ‘বইয়ের বন্ধু’ নামে ‘ফ্রি বুক হোম ডেলিভারি সার্ভিস’ চালু করেছেন শাহ্জাহান কবীর।
প্রতি শনিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত যশোর শহরের মধ্যে সব ধরনের পাঠকের জন্য নির্বাচিত বই পৌঁছে দেওয়া হয়। এই প্রক্রিয়া সাংস্কৃতিক গ্রন্থাগারের অধীনে পরিচালিত হয়। এর পাশাপাশি লেখার অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য পাঠচক্র সদস্যদের মিলিত প্রচেষ্টায় প্রকাশিত হয় মাসিক পত্রিকা ‘সাহিত্য চর্চাপত্র’। এর লেখক থেকে শুরু করে প্রচ্ছদ ও অলংকরণ এবং সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত থাকেন পাঠচক্রের সদস্যরা। প্রতি সংখ্যার জন্য নির্বাচন করা হয় একজন সম্পাদক এবং একজন নির্বাহী সম্পাদক। এভাবেই ঘুরেফিরে প্রতি মাসে সম্পাদনায় আসেন নতুন নতুন সদস্য। এর মাধ্যমে তাঁরা রপ্ত করছেন লেখালেখির দক্ষতা, সম্পাদনার কলাকৌশল ও নীতিমালা। এ ছাড়া আবৃত্তিসভার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বাচিক উন্নয়ন ও উপস্থাপনায় দক্ষতা বৃদ্ধিরও সুযোগ পাচ্ছেন। আছে নিয়মিত কার্যক্রম আবৃত্তিসভা। এর মাধ্যমেও সদস্যরা বাচিক উৎকর্ষ, উপস্থাপনা ও আবৃত্তির নানান পরিধি সম্পর্কে জানতে পারছেন।
শুধু বই পড়াই নয়, পাশাপাশি সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতার কথাও বলেন, সহকারী অধ্যাপক শাহ্জাহান কবীর আর শিক্ষার্থীদের বই পড়ার কার্যক্রমে যুক্ত করে সে দায়বোধের শুরু করেছেন নিজেই।
বই হলো খোলা জানালা। উজ্জ্বল আলোয় জীবন ভরিয়ে রাখে মুক্ত জ্ঞানের ভান্ডার উপুড় করে দিয়ে। নিজের ভেতরে আলোর মশাল জ্বালাতে বই পড়ার বিকল্প খুব কমই আছে। তবে সেই বই কেবল প্রাতিষ্ঠানিক নয়—এমনটিই মনে করেন যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কবির হোসেন। আর মনে করেই তিনি ক্ষান্ত দেননি, গড়ে তুলেছেন বই পড়ার আন্দোলন।
শাহ্জাহান কবীর তাঁর নিজ কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে যশোরের প্রায় সব জায়গায় ছড়িয়ে দিয়েছেন বই পড়ার আনন্দ। পরিচালনা করছেন পাঠচক্র। রীতিমতো পরীক্ষা দিয়ে সেই পাঠচক্রের সদস্য পদ পেতে হয়। তারপর পাওয়া যায় নিয়মিত বই। অংশগ্রহণ করা যায় বই বিষয়ক বিভিন্ন আলোচনায়।
স্কুলজীবন থেকেই শাহ্জাহান কবীরের ছিল ব্যক্তিগত লাইব্রেরি। এসব বই তাঁকে জুগিয়েছে শক্তি, আশাবাদ ও নির্মল আনন্দ। তারই খানিকটা নিজের শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার তাড়না থেকে শুরু করেছেন এই পাঠচক্র। এর শুরুটা হয়েছিল ২০১৬ সালে। তখন শাহ্জাহান কবীরের পরিকল্পনা ছিল শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে অন্তত একটি বই পড়ানোর মতো উদ্যোগ নেওয়া। সেই ভাবনা থেকে ফেসবুকে খুলেছিলেন একটি গ্রুপ। সেই গ্রুপের মাধ্যমেই আহ্বান জানান বই পড়ার। আগ্রহী ১০ থেকে ১২ জনকে পেয়েও যান তিনি। তাঁদের নিয়েই নেমে পড়েন বই পড়ার এই আনন্দযজ্ঞে। সংগ্রহ করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ডাকঘর’ বইটির ৫০ কপি। তারপর সেগুলো তুলে দেন প্রথম দিককার আগ্রহীদের হাতে। এ ছাড়া বই পড়ার নানান বিষয় নিয়ে নিয়মিত চালাতে থাকেন আলোচনা। বই দেওয়ার পরের সপ্তাহে বিকেলে বসেন শহরের একটি কফি শপে। শিক্ষার্থীরা বইটি পড়ে এসে উন্মুক্ত পাঠপ্রতিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেন। পাঠপ্রতিক্রিয়া শেষে তাঁদের হাতে তুলে দেন পরের সপ্তাহের নতুন বই। এভাবেই শুরু হয় যাত্রা। এই প্রক্রিয়ায় দিন দিন বেড়েছে পাঠকের আগ্রহ ও সংখ্যা—দুটিই। এই পথ পেরোনো এতটাও সহজ ছিল না সহকারী অধ্যাপক শাহ্জাহান কবীরের জন্য। শুরুতে শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে অভ্যস্ত ছিলেন না। তাই বই পড়ানোর অভ্যাস বাড়াতে এবং তাঁদের ধরে রাখতে নিতে হয়েছিল আনন্দময় নানান কৌশল। এই কৌশলে প্রতিবেশ অধ্যয়ন, সাংস্কৃতিক অভিযাত্রা, গ্রন্থামন্ত্রণ প্রভৃতি তাঁর মৌলিক সংযোজন। বইয়ের বিষয়ের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে স্থান, পরিবেশ, প্রতিবেশ ও আবহে বইটির আলোচনার আয়োজনও করেন তিনি। এভাবে বই পাঠ ও আলোচনায় বেশ আকৃষ্ট করেন নতুন পাঠকদের। এসব কার্যক্রমে ভ্রমণের আনন্দও মেলে বেশ। বইপ্রেমীরাও এতে আকৃষ্ট হয়েছেন। দিনে দিনে বেড়েছে সদস্যসংখ্যা। সঙ্গে মিলেছে জ্ঞানপিয়াসী ও উন্নত মননের কিছু সুহৃদ, কিছু আলোক সহযাত্রী।
‘সপ্তাহে একটি বই পড়ি’ কার্যক্রমের সদস্যরা নিজেরা বই পড়ার পাশাপাশি মূলত এখানে নিখাদ বন্ধুত্ব, নির্মল আনন্দ, সৌন্দর্য সৃজনের চর্চা করে থাকেন। এ ছাড়া নিজেদের পাশাপাশি অন্যকে বই পড়ানোর জন্য ‘বইয়ের বন্ধু’ নামে ‘ফ্রি বুক হোম ডেলিভারি সার্ভিস’ চালু করেছেন শাহ্জাহান কবীর।
প্রতি শনিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত যশোর শহরের মধ্যে সব ধরনের পাঠকের জন্য নির্বাচিত বই পৌঁছে দেওয়া হয়। এই প্রক্রিয়া সাংস্কৃতিক গ্রন্থাগারের অধীনে পরিচালিত হয়। এর পাশাপাশি লেখার অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য পাঠচক্র সদস্যদের মিলিত প্রচেষ্টায় প্রকাশিত হয় মাসিক পত্রিকা ‘সাহিত্য চর্চাপত্র’। এর লেখক থেকে শুরু করে প্রচ্ছদ ও অলংকরণ এবং সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত থাকেন পাঠচক্রের সদস্যরা। প্রতি সংখ্যার জন্য নির্বাচন করা হয় একজন সম্পাদক এবং একজন নির্বাহী সম্পাদক। এভাবেই ঘুরেফিরে প্রতি মাসে সম্পাদনায় আসেন নতুন নতুন সদস্য। এর মাধ্যমে তাঁরা রপ্ত করছেন লেখালেখির দক্ষতা, সম্পাদনার কলাকৌশল ও নীতিমালা। এ ছাড়া আবৃত্তিসভার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বাচিক উন্নয়ন ও উপস্থাপনায় দক্ষতা বৃদ্ধিরও সুযোগ পাচ্ছেন। আছে নিয়মিত কার্যক্রম আবৃত্তিসভা। এর মাধ্যমেও সদস্যরা বাচিক উৎকর্ষ, উপস্থাপনা ও আবৃত্তির নানান পরিধি সম্পর্কে জানতে পারছেন।
শুধু বই পড়াই নয়, পাশাপাশি সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতার কথাও বলেন, সহকারী অধ্যাপক শাহ্জাহান কবীর আর শিক্ষার্থীদের বই পড়ার কার্যক্রমে যুক্ত করে সে দায়বোধের শুরু করেছেন নিজেই।
খাবার মজাদার করতে আমরা সাধারণভাবে তেল-মসলার খুব বাড়াবাড়ি করে ফেলি। সেখান থেকে বাদ যায় না পেঁয়াজ কিংবা রসুন। পেঁয়াজকে কায়দা করে সরিয়ে রাখলেও খাবার মজাদার হতে পারে। তেমনই কিছু রেসিপি...
২ দিন আগেবাংলা অঞ্চলে মিষ্টিজাতীয় প্রাচীন খাবারগুলোর মধ্যে সন্দেশের নাম আছে একেবারে প্রথম দিকে। সব মিষ্টির কিছু না কিছু বদল হলেও, এর বদল হয়েছে খুবই কম। যশোরের নলেন গুড়ের সন্দেশ, মানিকগঞ্জ বা নাগরপুরের প্যারা সন্দেশ, পাবনার মাছের পেটি সন্দেশ ইত্যাদি কে না খেতে পছন্দ করে!
২ দিন আগেজীবনানন্দ দাশের কবিতায় ঘুরেফিরে এসেছে দারুচিনি দ্বীপের কথা, তার রহস্যময় শ্যামলিমার কথা, সেই সবুজের গহিনে দিকহারা নাবিকের আশ্রয়-আকাঙ্ক্ষার কথা। এই দারুচিনি দ্বীপ কি আসলে কোনো সমুদ্রঘেরা ভূখণ্ড, নাকি বনলতা সেন নিজেই, তা নিয়ে কবিরা বিতর্ক করুক। আমরা বরং এই দ্বীপের তত্ত্বতালাশ করি।
২ দিন আগে‘প্রসেসেস’-এ প্রকাশিত এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ভাতের মাড় ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য একটি হজমযোগ্য স্বাস্থ্যকর পানীয় হিসেবে কাজ করে। এমনকি এটি ওজন কমাতে পারে।
২ দিন আগে