শাকিলা ববি
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
নতুন সূর্যের কমলা রঙের আভা যখন পুব আকাশে, তখন সিলেটের একটি টিলায় ফুটে ওঠে বর্ণমালার বাগান। উঁচু-নিচু খাড়া সরু দেয়ালের মধ্যবর্তী ফাঁকা জায়গায় সাজানো বাংলা বর্ণ। সারা দিন সূর্যের আলো ঠিকরে পড়ে বর্ণমালার ওপর। বর্ণমালা-বন্দনায় সাজানো এই স্থাপনা সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার। এর নাম রাখা হয়েছে ‘সূর্যালোকে বর্ণমালা’।
সূর্য সত্য, ভাষা সত্য, বর্ণমালা সত্য। সেই সত্যের আলোর নিচে প্রায় ২০ ফুট উঁচু একটি টিলায় নির্মিত হয়েছে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নান্দনিক এই শহীদ মিনার। ক্যাম্পাসের ভেতরে ঢুকলে কারও নজর এড়ায় না। সিঁড়ি বেয়ে যত ওপরে উঠবেন, ততই নয়ন জুড়াবে। এই শহীদ মিনারের মূল চত্বরে গেলে ক-খ-গ-ঘসহ বাংলা ভাষার যত প্রতীক আছে, সেগুলো কিছু সময়ের জন্য হলেও আপনার আশপাশে ঘুরে বেড়াবে।
শহীদ মিনারটির অবস্থান বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস অনুষদ এবং কৃষি প্রকৌশল ও কারিগরি অনুষদের মাঝখানে, লেকের পাশে ছোট্ট টিলার ওপর। ২০১৫ সালের শুরুর দিকে এই শহীদ মিনারের নির্মাণকাজ শুরু হয়। লিডিং ইউনিভার্সিটির স্থাপত্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক স্থপতি রাজন দাশ শহীদ মিনারটির নকশা করেছেন। তিনিই এই শহীদ মিনারের নামকরণ করেছেন ‘সূর্যালোকে বর্ণমালা’।
এই শহীদ মিনার সৃষ্টির স্থাপত্যভাবনা নিয়ে স্থপতি রাজন দাশ বলেছেন, ‘ভাষার সঙ্গে বর্ণমালার অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক। তাই এই শহীদ মিনারে নকশায় বর্ণমালার ব্যবহার করেছি; পাশাপাশি এই স্থাপনার নান্দনিকতা ফুটিয়ে তুলতে ব্যবহার করেছি সূর্য। এর মাধ্যমে আমাদের হাজার বছরের বাংলা ভাষার সঙ্গে প্রাচীনতম সূর্যের এক অনির্বচনীয় কথোপকথন চলে প্রতিদিন।’
লিডিং ইউনিভার্সিটি
মায়ের রূপ সব দেশে সব সন্তানের কাছেই অভিন্ন। ‘মা’ শব্দটি শুনলে চোখের সামনে ভেসে ওঠে পৃথিবীর সব মায়ের আত্মত্যাগ ও কষ্টের কথা। সেই মা শব্দটি এখানে অলংকৃত হয়েছে বিভিন্ন ভাষায়। প্রথম দৃষ্টিতেই মনে হবে, আপনি মায়ের মনের কোঠায় বসে আছেন। মা শব্দটির বিশালতা প্রকাশ পায় সিলেটের এই শহীদ মিনারে।
৫২টি ভাষার নিজস্ব বর্ণমালায় ‘মা’ শব্দ দিয়ে সাজানো হয়েছে সিলেটের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় লিডিং ইউনিভার্সিটির শহীদ মিনার। মিনারের উচ্চতা ৩৯ ফুট, প্রস্থ ৫৫ ফুট। বেদির দৈর্ঘ্য ৬৫ ফুট, প্রস্থ ৬০ ফুট। শহীদ মিনারটিতে বাংলা ‘মা’কে মধ্যমণি করা হয়েছে। মায়েদের সম্মিলনের এই মিনারে দাঁড়িয়ে আছেন পর্তুগিজ, উর্দু, মালয়, চাকমা, ফরাসি, রুশ, জাপানিজ, আরবিসহ ৫২টি ভাষার ‘মা’।
শহীদ মিনারের ওপরের অংশে ৩ নম্বর কোঠায় লেখা আছে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর অমর গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি…’। এর পরের কোঠায় আছে আমাদের জাতীয় সংগীতের চরণ ‘মা তোর মুখের বাণী আমার কানে লাগে সুধার মতো...’। মা শব্দ ছাড়াও একুশের গান, কবিতা, স্লোগান এই মিনারের খাঁজে খাঁজে খচিত রয়েছে।
১৫ শতাংশ জায়গায় নির্মিত শহীদ মিনারের মূল কাঠামোর কাজ শেষ করতে সময় লেগেছে ছয় মাস। আরও ছয় মাস লাগে শহীদ মিনারে বিভিন্ন ভাষার মা বর্ণমালা স্থাপন করতে। ২০২০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি শহীদ মিনারটির উদ্বোধন হয়।
লিডিং ইউনিভার্সিটির স্থাপত্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক স্থপতি রাজন দাশ শহীদ মিনারের নকশা করেছেন। ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত সব শহীদ মাতাকে সম্মান জানাতে শহীদ মিনারের এই নির্মাণভাবনা স্থপতি রাজন দাশের। রাজন বলেন, ‘পৃথিবীর প্রায় সব ভাষাতেই গর্ভধারিণী জননীর নামের উচ্চারণ সন্তানের মুখে ‘ম’ ধ্বনি দিয়েই শুরু হয়। এ এক আশ্চর্য বিষয়।’
এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ আলমগীর হোসাইন বলেন, ‘ক্যাম্পাসের বঙ্গবন্ধু চত্বরে এই শহীদ মিনার। এটি নির্মাণের প্রধান পৃষ্ঠপোষক লিডিং ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান সৈয়দ রাগীব আলী। এই শহীদ মিনার আমাদের ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য ও গুরুত্ব অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে।’
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
নতুন সূর্যের কমলা রঙের আভা যখন পুব আকাশে, তখন সিলেটের একটি টিলায় ফুটে ওঠে বর্ণমালার বাগান। উঁচু-নিচু খাড়া সরু দেয়ালের মধ্যবর্তী ফাঁকা জায়গায় সাজানো বাংলা বর্ণ। সারা দিন সূর্যের আলো ঠিকরে পড়ে বর্ণমালার ওপর। বর্ণমালা-বন্দনায় সাজানো এই স্থাপনা সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার। এর নাম রাখা হয়েছে ‘সূর্যালোকে বর্ণমালা’।
সূর্য সত্য, ভাষা সত্য, বর্ণমালা সত্য। সেই সত্যের আলোর নিচে প্রায় ২০ ফুট উঁচু একটি টিলায় নির্মিত হয়েছে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নান্দনিক এই শহীদ মিনার। ক্যাম্পাসের ভেতরে ঢুকলে কারও নজর এড়ায় না। সিঁড়ি বেয়ে যত ওপরে উঠবেন, ততই নয়ন জুড়াবে। এই শহীদ মিনারের মূল চত্বরে গেলে ক-খ-গ-ঘসহ বাংলা ভাষার যত প্রতীক আছে, সেগুলো কিছু সময়ের জন্য হলেও আপনার আশপাশে ঘুরে বেড়াবে।
শহীদ মিনারটির অবস্থান বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস অনুষদ এবং কৃষি প্রকৌশল ও কারিগরি অনুষদের মাঝখানে, লেকের পাশে ছোট্ট টিলার ওপর। ২০১৫ সালের শুরুর দিকে এই শহীদ মিনারের নির্মাণকাজ শুরু হয়। লিডিং ইউনিভার্সিটির স্থাপত্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক স্থপতি রাজন দাশ শহীদ মিনারটির নকশা করেছেন। তিনিই এই শহীদ মিনারের নামকরণ করেছেন ‘সূর্যালোকে বর্ণমালা’।
এই শহীদ মিনার সৃষ্টির স্থাপত্যভাবনা নিয়ে স্থপতি রাজন দাশ বলেছেন, ‘ভাষার সঙ্গে বর্ণমালার অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক। তাই এই শহীদ মিনারে নকশায় বর্ণমালার ব্যবহার করেছি; পাশাপাশি এই স্থাপনার নান্দনিকতা ফুটিয়ে তুলতে ব্যবহার করেছি সূর্য। এর মাধ্যমে আমাদের হাজার বছরের বাংলা ভাষার সঙ্গে প্রাচীনতম সূর্যের এক অনির্বচনীয় কথোপকথন চলে প্রতিদিন।’
লিডিং ইউনিভার্সিটি
মায়ের রূপ সব দেশে সব সন্তানের কাছেই অভিন্ন। ‘মা’ শব্দটি শুনলে চোখের সামনে ভেসে ওঠে পৃথিবীর সব মায়ের আত্মত্যাগ ও কষ্টের কথা। সেই মা শব্দটি এখানে অলংকৃত হয়েছে বিভিন্ন ভাষায়। প্রথম দৃষ্টিতেই মনে হবে, আপনি মায়ের মনের কোঠায় বসে আছেন। মা শব্দটির বিশালতা প্রকাশ পায় সিলেটের এই শহীদ মিনারে।
৫২টি ভাষার নিজস্ব বর্ণমালায় ‘মা’ শব্দ দিয়ে সাজানো হয়েছে সিলেটের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় লিডিং ইউনিভার্সিটির শহীদ মিনার। মিনারের উচ্চতা ৩৯ ফুট, প্রস্থ ৫৫ ফুট। বেদির দৈর্ঘ্য ৬৫ ফুট, প্রস্থ ৬০ ফুট। শহীদ মিনারটিতে বাংলা ‘মা’কে মধ্যমণি করা হয়েছে। মায়েদের সম্মিলনের এই মিনারে দাঁড়িয়ে আছেন পর্তুগিজ, উর্দু, মালয়, চাকমা, ফরাসি, রুশ, জাপানিজ, আরবিসহ ৫২টি ভাষার ‘মা’।
শহীদ মিনারের ওপরের অংশে ৩ নম্বর কোঠায় লেখা আছে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর অমর গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি…’। এর পরের কোঠায় আছে আমাদের জাতীয় সংগীতের চরণ ‘মা তোর মুখের বাণী আমার কানে লাগে সুধার মতো...’। মা শব্দ ছাড়াও একুশের গান, কবিতা, স্লোগান এই মিনারের খাঁজে খাঁজে খচিত রয়েছে।
১৫ শতাংশ জায়গায় নির্মিত শহীদ মিনারের মূল কাঠামোর কাজ শেষ করতে সময় লেগেছে ছয় মাস। আরও ছয় মাস লাগে শহীদ মিনারে বিভিন্ন ভাষার মা বর্ণমালা স্থাপন করতে। ২০২০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি শহীদ মিনারটির উদ্বোধন হয়।
লিডিং ইউনিভার্সিটির স্থাপত্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক স্থপতি রাজন দাশ শহীদ মিনারের নকশা করেছেন। ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত সব শহীদ মাতাকে সম্মান জানাতে শহীদ মিনারের এই নির্মাণভাবনা স্থপতি রাজন দাশের। রাজন বলেন, ‘পৃথিবীর প্রায় সব ভাষাতেই গর্ভধারিণী জননীর নামের উচ্চারণ সন্তানের মুখে ‘ম’ ধ্বনি দিয়েই শুরু হয়। এ এক আশ্চর্য বিষয়।’
এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ আলমগীর হোসাইন বলেন, ‘ক্যাম্পাসের বঙ্গবন্ধু চত্বরে এই শহীদ মিনার। এটি নির্মাণের প্রধান পৃষ্ঠপোষক লিডিং ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান সৈয়দ রাগীব আলী। এই শহীদ মিনার আমাদের ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য ও গুরুত্ব অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে।’
১৯৫১ সাল। ইরানের রাজা রেজা শাহ পাহলভি এলেন পৃথিমপাশা জমিদারবাড়িতে। সে এক হুলুস্থুল ব্যাপার! এ বাড়ির পূর্বপুরুষেরা ইরান থেকে এসেছিলেন বলে জানা যায়।
২ দিন আগেশীতে কাপড় ভালো রাখতে সেগুলোকে যেমন রোদে মেলে দিতে হয়, সম্পর্ক উন্নয়নে মাঝেমধ্যে তেমনি ভ্রমণেও যেতে হয়। শীত চলে এসেছে। ভ্রমণপ্রেমীরা হয়ে উঠেছেন সরব।
২ দিন আগেপর্যটন বন্ধে কারফিউ! হ্যাঁ, তেমনটিই ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। গ্রামের নাম বুকচন হ্যানোক। দক্ষিণ কোরিয়ার জংনো জেলায় এর অবস্থান। বুকচন হ্যানোক দেশটির ‘মাস্ট ভিজিট’ পর্যটন গন্তব্য।
২ দিন আগেভ্রমণের স্বাদ একবার রক্তে ঢুকলে, তা থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। এক অদৃশ্য তাড়না কাজ করতে থাকে ভেতরে-ভেতরে।
২ দিন আগে