ফারুক ছিদ্দিক, ঢাবি
শেষ চিঠি লিখেছেন কবে? পেয়েছেনই-বা কবে? মনে পড়ে?
স্মার্টফোনের এ যুগে যোগাযোগের যে মাধ্যমটি প্রায় বিলুপ্ত, তার নাম চিঠি। কিন্তু মমতা জাহান পড়েছেন চিঠির মমতায়!
মোবাইল ফোনের অ্যাপ যখন মুখের শব্দকে অক্ষরে পরিণত করছে, তখন মমতা আশা করছেন, জোছনায়, বৃষ্টিতে, বসন্তে, নববর্ষে কিংবা কোনো কারণ ছাড়াই মানুষ চিঠি লিখুক! তাতে থাকুক কাঁপা হাতের লেখা, লেপটে যাওয়া কালিতে মুছে যাওয়া অক্ষর, দুমড়ানো-মুচড়ানো কাগজ, সঙ্গে একটা সুন্দর খাম! সে খামটা যেন কারও খুশির কারণ হয়ে ওঠে। কথাগুলো বলতে বলতে চোখের কোনা ভিজে ওঠে মমতার। পরক্ষণেই হেসে দেন তিনি।
চিঠি লেখা বিষয়টিকে উপভোগ্য করতে, বাঁচিয়ে রাখতে ফেসবুকে ‘এনভেলাপ’ নামে একটি পেজ ও গ্রুপ খুলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগ এবং কবি সুফিয়া কামাল হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মমতা জাহান বীথি। আগ্রহী ব্যক্তিরা সে পেজ ও গ্রুপের মাধ্যমে যোগাযোগ করে বিভিন্ন ধরনের চিঠির অর্ডার করছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেউ কাউকে চিঠি দিতে চাইলে তার বিশ্বস্ত ঠিকানা এনভেলাপ। মমতা জাহান বীথির বাড়ি পঞ্চগড়ের সদর উপজেলায়।
এনভেলাপের যাত্রা শুরু হয় ২০২১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর। যাত্রার পরদিনই অর্ডার আসে, কিশোরগঞ্জে খাম পাঠানোর সঙ্গে চিঠি লিখে দিতে হবে। সেই শুরু। আর থামার অবকাশ হয়নি মমতার এনভেলাপের।
পেপার ক্র্যাফটিং মাধ্যমে কাজ করেন মমতা জাহান বীথি। তিনি নিজ হাতে তাঁর পেজের প্রায় ৯৫ শতাংশ জিনিসপত্র তৈরি করেন। এসবের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন রকমের খাম, শুকনো ফুলের কার্ড, মোমের সিল, চিঠির কাগজ, বুকমার্ক, থিমড কার্ড, সম্পূর্ণ হাতে সেলাই করা জার্নাল, ডায়েরি, চিরকুট রাখার জার এবং গিফট বক্স।
ছোটবেলা থেকে ক্র্যাফটিং করতে পছন্দ করতেন মমতা। খাম বানিয়ে চিঠি লেখা ভীষণ প্রিয় ছিল তাঁর। বাবাকে চিঠি লিখে পাঠাতেন। লিখতেন ডায়েরি—প্রতিদিন। ফুল কুড়িয়ে ডায়েরির পাতায় রেখে দিতেন। পোস্টকার্ড, স্ট্যাম্প, পুরোনো কয়েন কিংবা জিনিস সংগ্রহ করার শখ ছিল মমতার। কাঁচা হাতে নিজেই বানিয়ে নিতেন খাম ও কার্ড। সেগুলোতে চিঠি বা চিরকুট লিখে পাঠাতেন কাছের মানুষদের।
মেসেঞ্জার, ই-মেইল বা হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ নয়, মমতা জাহান বীথি পোস্টকার্ড বা কাগজ-কলমে লেখার কথা ভেবেছেন সব সময়। চিঠি লিখে, আঠা দিয়ে খামের মুখ বন্ধ করে, স্ট্যাম্প সেঁটে হেঁটে গিয়ে ডাকবাক্সে চিঠি ফেলানোর দিনগুলো হারিয়ে গেছে—এটার জন্য কষ্ট হয় মমতার। যখনই ডাকবাক্স দেখেন, এক অদ্ভুত ভালো লাগা কাজ করে ভেতরে। একসময় খামের ভেতর শুকনো গোলাপ দেওয়ার প্রচলন ছিল। প্রিয়জনকে মনের কথা, অনুভূতি জানানোর সেই অভিব্যক্তিগুলো বড় আকর্ষণ করে মমতাকে।
মমতা বলেছেন, ‘যারা আমার মতো এ রকম একটু পুরোনো ধাঁচের, ব্যাকডেটেড চিঠিপ্রেমী, তাদের জন্য এই উদ্যোগটা না নিলে অনেক বিশেষ মুহূর্ত হারিয়ে যেত!’
২০২২ সালের জয়িতা মেলায় কবি সুফিয়া কামাল হলে আলাদা স্টল ছিল এনভেলাপের। সে কারণে মমতা বেশ প্রশংসিত হয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাসের বাইরেও।
মা-বাবা পড়ালেখার পাশাপাশি মমতার এ কাজকে উৎসাহ দেন। এ থেকে নিজের কিছু খরচ বহন করতে পারেন তিনি। সেটাও একধরনের আনন্দের অনুভূতি দেয় মমতাকে।
শেষ চিঠি লিখেছেন কবে? পেয়েছেনই-বা কবে? মনে পড়ে?
স্মার্টফোনের এ যুগে যোগাযোগের যে মাধ্যমটি প্রায় বিলুপ্ত, তার নাম চিঠি। কিন্তু মমতা জাহান পড়েছেন চিঠির মমতায়!
মোবাইল ফোনের অ্যাপ যখন মুখের শব্দকে অক্ষরে পরিণত করছে, তখন মমতা আশা করছেন, জোছনায়, বৃষ্টিতে, বসন্তে, নববর্ষে কিংবা কোনো কারণ ছাড়াই মানুষ চিঠি লিখুক! তাতে থাকুক কাঁপা হাতের লেখা, লেপটে যাওয়া কালিতে মুছে যাওয়া অক্ষর, দুমড়ানো-মুচড়ানো কাগজ, সঙ্গে একটা সুন্দর খাম! সে খামটা যেন কারও খুশির কারণ হয়ে ওঠে। কথাগুলো বলতে বলতে চোখের কোনা ভিজে ওঠে মমতার। পরক্ষণেই হেসে দেন তিনি।
চিঠি লেখা বিষয়টিকে উপভোগ্য করতে, বাঁচিয়ে রাখতে ফেসবুকে ‘এনভেলাপ’ নামে একটি পেজ ও গ্রুপ খুলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগ এবং কবি সুফিয়া কামাল হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মমতা জাহান বীথি। আগ্রহী ব্যক্তিরা সে পেজ ও গ্রুপের মাধ্যমে যোগাযোগ করে বিভিন্ন ধরনের চিঠির অর্ডার করছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেউ কাউকে চিঠি দিতে চাইলে তার বিশ্বস্ত ঠিকানা এনভেলাপ। মমতা জাহান বীথির বাড়ি পঞ্চগড়ের সদর উপজেলায়।
এনভেলাপের যাত্রা শুরু হয় ২০২১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর। যাত্রার পরদিনই অর্ডার আসে, কিশোরগঞ্জে খাম পাঠানোর সঙ্গে চিঠি লিখে দিতে হবে। সেই শুরু। আর থামার অবকাশ হয়নি মমতার এনভেলাপের।
পেপার ক্র্যাফটিং মাধ্যমে কাজ করেন মমতা জাহান বীথি। তিনি নিজ হাতে তাঁর পেজের প্রায় ৯৫ শতাংশ জিনিসপত্র তৈরি করেন। এসবের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন রকমের খাম, শুকনো ফুলের কার্ড, মোমের সিল, চিঠির কাগজ, বুকমার্ক, থিমড কার্ড, সম্পূর্ণ হাতে সেলাই করা জার্নাল, ডায়েরি, চিরকুট রাখার জার এবং গিফট বক্স।
ছোটবেলা থেকে ক্র্যাফটিং করতে পছন্দ করতেন মমতা। খাম বানিয়ে চিঠি লেখা ভীষণ প্রিয় ছিল তাঁর। বাবাকে চিঠি লিখে পাঠাতেন। লিখতেন ডায়েরি—প্রতিদিন। ফুল কুড়িয়ে ডায়েরির পাতায় রেখে দিতেন। পোস্টকার্ড, স্ট্যাম্প, পুরোনো কয়েন কিংবা জিনিস সংগ্রহ করার শখ ছিল মমতার। কাঁচা হাতে নিজেই বানিয়ে নিতেন খাম ও কার্ড। সেগুলোতে চিঠি বা চিরকুট লিখে পাঠাতেন কাছের মানুষদের।
মেসেঞ্জার, ই-মেইল বা হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ নয়, মমতা জাহান বীথি পোস্টকার্ড বা কাগজ-কলমে লেখার কথা ভেবেছেন সব সময়। চিঠি লিখে, আঠা দিয়ে খামের মুখ বন্ধ করে, স্ট্যাম্প সেঁটে হেঁটে গিয়ে ডাকবাক্সে চিঠি ফেলানোর দিনগুলো হারিয়ে গেছে—এটার জন্য কষ্ট হয় মমতার। যখনই ডাকবাক্স দেখেন, এক অদ্ভুত ভালো লাগা কাজ করে ভেতরে। একসময় খামের ভেতর শুকনো গোলাপ দেওয়ার প্রচলন ছিল। প্রিয়জনকে মনের কথা, অনুভূতি জানানোর সেই অভিব্যক্তিগুলো বড় আকর্ষণ করে মমতাকে।
মমতা বলেছেন, ‘যারা আমার মতো এ রকম একটু পুরোনো ধাঁচের, ব্যাকডেটেড চিঠিপ্রেমী, তাদের জন্য এই উদ্যোগটা না নিলে অনেক বিশেষ মুহূর্ত হারিয়ে যেত!’
২০২২ সালের জয়িতা মেলায় কবি সুফিয়া কামাল হলে আলাদা স্টল ছিল এনভেলাপের। সে কারণে মমতা বেশ প্রশংসিত হয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাসের বাইরেও।
মা-বাবা পড়ালেখার পাশাপাশি মমতার এ কাজকে উৎসাহ দেন। এ থেকে নিজের কিছু খরচ বহন করতে পারেন তিনি। সেটাও একধরনের আনন্দের অনুভূতি দেয় মমতাকে।
খাবার মজাদার করতে আমরা সাধারণভাবে তেল-মসলার খুব বাড়াবাড়ি করে ফেলি। সেখান থেকে বাদ যায় না পেঁয়াজ কিংবা রসুন। পেঁয়াজকে কায়দা করে সরিয়ে রাখলেও খাবার মজাদার হতে পারে। তেমনই কিছু রেসিপি...
১২ ঘণ্টা আগেবাংলা অঞ্চলে মিষ্টিজাতীয় প্রাচীন খাবারগুলোর মধ্যে সন্দেশের নাম আছে একেবারে প্রথম দিকে। সব মিষ্টির কিছু না কিছু বদল হলেও, এর বদল হয়েছে খুবই কম। যশোরের নলেন গুড়ের সন্দেশ, মানিকগঞ্জ বা নাগরপুরের প্যারা সন্দেশ, পাবনার মাছের পেটি সন্দেশ ইত্যাদি কে না খেতে পছন্দ করে!
১২ ঘণ্টা আগেজীবনানন্দ দাশের কবিতায় ঘুরেফিরে এসেছে দারুচিনি দ্বীপের কথা, তার রহস্যময় শ্যামলিমার কথা, সেই সবুজের গহিনে দিকহারা নাবিকের আশ্রয়-আকাঙ্ক্ষার কথা। এই দারুচিনি দ্বীপ কি আসলে কোনো সমুদ্রঘেরা ভূখণ্ড, নাকি বনলতা সেন নিজেই, তা নিয়ে কবিরা বিতর্ক করুক। আমরা বরং এই দ্বীপের তত্ত্বতালাশ করি।
১২ ঘণ্টা আগে‘প্রসেসেস’-এ প্রকাশিত এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ভাতের মাড় ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য একটি হজমযোগ্য স্বাস্থ্যকর পানীয় হিসেবে কাজ করে। এমনকি এটি ওজন কমাতে পারে।
১২ ঘণ্টা আগে