অলকানন্দা রায়
‘শীতের হাওয়ার লাগল নাচন
আমলকীর ওই ডালে ডালে’
—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
দেখতে দেখতে শীত চলেই এল। এই সময়টায় শুষ্ক আবহাওয়া ও ধুলোবালির প্রভাবে প্রকৃতি হয়ে পড়ে নির্জীব। ছাদ বা বারান্দায় গড়ে তোলা ছোট্ট বাগানে চোখ রাখলেই ব্যাপারটা টের পাবেন। শীতকালে গাছ সজীব ও সতেজ রাখতে নিতে হয় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। যেকোনো বাগানের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে তিনটি প্রধান উপকরণ হলো পানি, মাটি ও সূর্যের আলো। আবার শীত বা ঠান্ডার কারণে গাছে বেশি পানি দেওয়াটাও ঝুঁকিপূর্ণ। এতে গাছের গোড়া পচে যায়। আবার শুধু সূর্যের আলো ও পানিই যে গাছের একমাত্র খাবার তা নয়। গাছ সুস্থ সবল রাখতে নানা রকম পুষ্টিরও জোগান দেওয়া চাই। শীতকালে তাই গাছের প্রয়োজন বাড়তি যত্নের।
যেভাবে যত্ন নেবেন
পরিচ্ছন্নতা ও পুষ্টির জোগান
শীতকালে গাছে পানি দেওয়ার সময় গাছের পাতায় জমা ধুলোর আস্তরণও ধুয়ে দিতে হবে। ইনডোর গাছগুলোর পাতাগুলো মুছে দিতে হবে ভেজা কাপড় দিয়ে। শীতকালে কিছুদিন পর পর দেখা যায় গাছের পাতা একটি-দুটি করে হলদে হয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে। এসব শুকিয়ে যাওয়া ঝরা পাতা গাছের গোড়া থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে। এতে গাছটি দেখতেও সুন্দর লাগবে আর গাছও পাবে যত্নের ছোঁয়া। এ সময় গাছের পুষ্টি হিসেবে মাটিতে দেওয়া যেতে পারে ভার্মি কম্পোস্ট, জৈব সার, খৈল। এ ছাড়া বাড়িতেই কলার খোসা, পেঁয়াজ রসুনের খোসা, লেবুর খোসা, ডিমের খোসা, সবজির খোসা টানা কয়েক দিন পচিয়ে সার বানিয়ে গাছের মাটিতে দিতে পারেন। সহজ পদ্ধতি হিসেবে ডিমের খোসা শুকিয়ে গুঁড়ো করে গাছের গোড়ায় ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো গাছের জন্য অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার।
পরিমিত পানি দিন
শীতে গাছে খুব বেশি পানি দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। কারণ প্রকৃতিতে শীত বা ঠান্ডা থাকায় রাতের দিকে কুয়াশায় গাছ ও গাছের গোড়া ভেজা থাকে, তাই দিনে একবার পানি দেওয়াই ভালো। শীতে টবের মাটি শুকনো পাতা, নারকেলের আঁশ, খড়কুটো দিয়ে ঢেকে দিলে সহজে গাছের গোড়ার মাটি আর্দ্রতা হারাবে না। কোনো কোনো গাছ অতিরিক্ত ঠান্ডায় মরে যায়। সেই সব গাছ ঘরে এনে রাখলে ভালো থাকবে। খেয়াল রাখতে হবে, গাছের গোড়ায় যেন পানি না জমে। গাছের টব পরিবর্তনের দরকার হলে করে নেওয়া উচিত, সঙ্গে মাটি পরিবর্তন করে নতুন মাটি দিয়ে তাতে প্রয়োজনীয় সার দিয়ে গাছগুলো ফের রোপণ করা উচিত। শীতের গাছ ছাড়া অন্যান্য গাছ এ সময় কম বৃদ্ধি পায়, তাই মরা ডালপালা শীতের আগেই যথাসম্ভব ছেঁটে নেওয়া উচিত।
নিয়ম করে রোদে দিন
অতিরিক্ত আর্দ্রতা ও স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ গাছের জন্য ভালো নয়। আর্দ্র পরিবেশে টানা থাকলে গাছ ঠিকঠাক বেড়ে উঠতে পারে না। তাই রোদ উঠলে গাছগুলো রোদে রাখুন।
পোকামাকড় ও ছত্রাক এড়াতে
শীতকালে গাছে গাছে বিভিন্ন ধরনের ছত্রাক ও পোকা বাসা বাঁধতে পারে। প্রাকৃতিক কিছু টোটকা ব্যবহার করে সেগুলো তাড়াতে পারেন। রসুন, রান্নায় ব্যবহৃত হলুদের গুঁড়া, নিমের তেল, ভিনেগার, কমলার খোসাসহ নানান প্রাকৃতিক উপাদানেই মিলবে পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে মুক্তি। এ ছাড়া বারান্দা বা ছাদবাগানের গাছে এ ধরনের রোগ প্রতিকারের জন্য কোনো প্রসিদ্ধ নার্সারিতে কর্মরত মালির কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া আজকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাগান রক্ষণাবেক্ষণ, পরিচর্যা ও গাছ বিনিময়বিষয়ক বিভিন্ন গ্রুপ রয়েছে। সেখানেও পেয়ে যাবেন গাছ পরিচর্যার নানান টিপস।
সূত্র: ট্রি হাগার
‘শীতের হাওয়ার লাগল নাচন
আমলকীর ওই ডালে ডালে’
—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
দেখতে দেখতে শীত চলেই এল। এই সময়টায় শুষ্ক আবহাওয়া ও ধুলোবালির প্রভাবে প্রকৃতি হয়ে পড়ে নির্জীব। ছাদ বা বারান্দায় গড়ে তোলা ছোট্ট বাগানে চোখ রাখলেই ব্যাপারটা টের পাবেন। শীতকালে গাছ সজীব ও সতেজ রাখতে নিতে হয় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। যেকোনো বাগানের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে তিনটি প্রধান উপকরণ হলো পানি, মাটি ও সূর্যের আলো। আবার শীত বা ঠান্ডার কারণে গাছে বেশি পানি দেওয়াটাও ঝুঁকিপূর্ণ। এতে গাছের গোড়া পচে যায়। আবার শুধু সূর্যের আলো ও পানিই যে গাছের একমাত্র খাবার তা নয়। গাছ সুস্থ সবল রাখতে নানা রকম পুষ্টিরও জোগান দেওয়া চাই। শীতকালে তাই গাছের প্রয়োজন বাড়তি যত্নের।
যেভাবে যত্ন নেবেন
পরিচ্ছন্নতা ও পুষ্টির জোগান
শীতকালে গাছে পানি দেওয়ার সময় গাছের পাতায় জমা ধুলোর আস্তরণও ধুয়ে দিতে হবে। ইনডোর গাছগুলোর পাতাগুলো মুছে দিতে হবে ভেজা কাপড় দিয়ে। শীতকালে কিছুদিন পর পর দেখা যায় গাছের পাতা একটি-দুটি করে হলদে হয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে। এসব শুকিয়ে যাওয়া ঝরা পাতা গাছের গোড়া থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে। এতে গাছটি দেখতেও সুন্দর লাগবে আর গাছও পাবে যত্নের ছোঁয়া। এ সময় গাছের পুষ্টি হিসেবে মাটিতে দেওয়া যেতে পারে ভার্মি কম্পোস্ট, জৈব সার, খৈল। এ ছাড়া বাড়িতেই কলার খোসা, পেঁয়াজ রসুনের খোসা, লেবুর খোসা, ডিমের খোসা, সবজির খোসা টানা কয়েক দিন পচিয়ে সার বানিয়ে গাছের মাটিতে দিতে পারেন। সহজ পদ্ধতি হিসেবে ডিমের খোসা শুকিয়ে গুঁড়ো করে গাছের গোড়ায় ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো গাছের জন্য অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার।
পরিমিত পানি দিন
শীতে গাছে খুব বেশি পানি দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। কারণ প্রকৃতিতে শীত বা ঠান্ডা থাকায় রাতের দিকে কুয়াশায় গাছ ও গাছের গোড়া ভেজা থাকে, তাই দিনে একবার পানি দেওয়াই ভালো। শীতে টবের মাটি শুকনো পাতা, নারকেলের আঁশ, খড়কুটো দিয়ে ঢেকে দিলে সহজে গাছের গোড়ার মাটি আর্দ্রতা হারাবে না। কোনো কোনো গাছ অতিরিক্ত ঠান্ডায় মরে যায়। সেই সব গাছ ঘরে এনে রাখলে ভালো থাকবে। খেয়াল রাখতে হবে, গাছের গোড়ায় যেন পানি না জমে। গাছের টব পরিবর্তনের দরকার হলে করে নেওয়া উচিত, সঙ্গে মাটি পরিবর্তন করে নতুন মাটি দিয়ে তাতে প্রয়োজনীয় সার দিয়ে গাছগুলো ফের রোপণ করা উচিত। শীতের গাছ ছাড়া অন্যান্য গাছ এ সময় কম বৃদ্ধি পায়, তাই মরা ডালপালা শীতের আগেই যথাসম্ভব ছেঁটে নেওয়া উচিত।
নিয়ম করে রোদে দিন
অতিরিক্ত আর্দ্রতা ও স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ গাছের জন্য ভালো নয়। আর্দ্র পরিবেশে টানা থাকলে গাছ ঠিকঠাক বেড়ে উঠতে পারে না। তাই রোদ উঠলে গাছগুলো রোদে রাখুন।
পোকামাকড় ও ছত্রাক এড়াতে
শীতকালে গাছে গাছে বিভিন্ন ধরনের ছত্রাক ও পোকা বাসা বাঁধতে পারে। প্রাকৃতিক কিছু টোটকা ব্যবহার করে সেগুলো তাড়াতে পারেন। রসুন, রান্নায় ব্যবহৃত হলুদের গুঁড়া, নিমের তেল, ভিনেগার, কমলার খোসাসহ নানান প্রাকৃতিক উপাদানেই মিলবে পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে মুক্তি। এ ছাড়া বারান্দা বা ছাদবাগানের গাছে এ ধরনের রোগ প্রতিকারের জন্য কোনো প্রসিদ্ধ নার্সারিতে কর্মরত মালির কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া আজকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাগান রক্ষণাবেক্ষণ, পরিচর্যা ও গাছ বিনিময়বিষয়ক বিভিন্ন গ্রুপ রয়েছে। সেখানেও পেয়ে যাবেন গাছ পরিচর্যার নানান টিপস।
সূত্র: ট্রি হাগার
পান্তা খাওয়ার আমাদের প্রাচীন সংস্কৃতি। তবে বৈশাখের প্রথম দিন সকালে পান্তা খাওয়া শহুরে সংস্কৃতির নতুন সংযোজন। বাংলাদেশে এ খাবার প্রায় সারা বছর খাওয়া হয়। পান্তা শরীরের জন্য উপকারী। এতে ভিটামিন বি থাকে। তবে এর পরিমাণ এবং উৎস ফারমেনটেশন প্রক্রিয়ার ওপর নির্ভর করে। সাধারণ ভাতে (বিশেষ করে সাদা চালে) ভি
২০ ঘণ্টা আগেএখন রোদের যে তাপ তাতে ত্বকের সঙ্গে ঘামছে মাথার ত্বক বা স্ক্য়াল্পও। সে কারণে ঘাম জমে আঠালো ও রুক্ষ হয়ে যায় চুল। তার গোড়ায় দীর্ঘক্ষণ ঘাম জমে থাকলে ঠান্ডা লেগে মাথাব্যথা তো হতেই পারে, সঙ্গে হতে পারে মাথার ত্বকে চুলকানি। এ ছাড়া ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে দেখা দিতে পারে নানান সমস্যা। গরমে এই সমস্যা কমবেশি
২ দিন আগেদক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি ভ্রমণ করা দেশের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভিয়েতনাম। ২০২৪ সালে দেশটিতে প্রায় ১ কোটি ৭৫ লাখ পর্যটক ভ্রমণ করেন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পর্যটন বাজারে ভিয়েতনামের এমন আধিপত্য দীর্ঘদিনের, যেটিকে আরও এগিয়ে নিতে চাচ্ছে দেশটির সরকার।
৩ দিন আগেবিশাল মরুভূমি, নীল সমুদ্র আর উঁচু পাহাড়ঘেরা সৌদি আরব এখন রোমাঞ্চপ্রেমী পর্যটকদের নতুন গন্তব্য। দেশটির ভৌগোলিক বৈচিত্র্য এতটাই যে সেখানে মরুভূমিতে বালুর ঢেউয়ে গাড়ি চালানো যায়, সমুদ্রে ডাইভিং করা যায়, আবার চাইলে পাহাড়ের মাঝে হারিয়েও যাওয়া যায়।
৩ দিন আগে