অনলাইন ডেস্ক
ভারী মেকআপের কারণে অন্যের দৃষ্টিতে চেহারায় মানবীয় বৈশিষ্ট্য কমে যাওয়ার অনুভূতি হতে পারে বলে নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে। গবেষণা প্রতিবেদনটিতে মেকআপকে যৌনতার সূক্ষরূপ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। সেক্স রোলস নামক সাময়িকীতে প্রকাশিত এ গবেষণা প্রতিবেদন অনুসারে, মেকআপহীন নারীদের তুলনায় ভারী মেকআপ পরা নারীদের মধ্যে তুলনামূলক কম মানবীয় বৈশিষ্ট্য ফুটে ওঠে।
বেলজিয়ামে অবস্থিত ফ্রি ইউনিভার্সিটি অব ব্রাসেলসের গবেষক ও এ গবেষণা প্রতিবেদনের লেখক ফিলিপ বার্নার্ড বলেন, ‘বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরকে যৌন আবেদনময় করে উপস্থাপন করার ফলে মানবীয় বৈশিষ্ট্য লোপ পায় ও পণ্যায়ন হয়। অর্থাৎ মানুষের মৌলিক জ্ঞানীয় স্তরে অন্তর্বাস পরা শরীর ও ইঙ্গিতপূর্ণ দেহভঙ্গীকে কোনো পণ্যের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ এবং তুলনামূলক কম মানবীয় বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন হিসেবে দেখা হয়।’
এ ধরনের গবেষণায় গণমাধ্যমে প্রকাশিত যৌনতাপূর্ণ ছবিগুলো মানুষ কীভাবে দেখে তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়। তবে যৌনতার সূক্ষ্ম রূপ হিসেবে মেকআপ কীভাবে নারী মডেল ও সাধারণ নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য তৈরি করে তা নিয়ে খুব একটা গবেষণা নেই।
গবেষকেরা ভারী মেকআপের বিষয়ে প্রায় এক হাজার অংশগ্রহণকারীর ওপর চারটি পরীক্ষণ চালিয়েছেন। গবেষণায় তাঁরা ভারী মেকআপের সঙ্গে নারীর মুখকে অমানবীয় বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন বলে ধারণা তৈরির সম্পর্ক পর্যবেক্ষণ করেছেন।
গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের নারীদের মেকআপসহ ও মেকআপ ছাড়া ছবি দেখানো হয়। এরপর ওই ছবিগুলো সম্পর্কে তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গি জানতে চেয়ে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন করা হয়।
গবেষকেরা দেখতে পান, গবেষণায় অংশগ্রহণকারী নারী ও পুরুষ উভয়ই ভারী মেকআপ পরা নারীদের মধ্যে মেকআপ ছাড়া নারীদের তুলনায় মানবিক গুণ, ব্যক্তিত্ব, অভিজ্ঞতা, যোগ্যতা, নীতিবোধ ও হৃদ্যতা কম বলে উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া মেকআপ পরা চেহারাগুলোকে মেকআপ ছাড়া চেহারার তুলনায় বেশি যৌনতাপূর্ণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
অনলাইন ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সাইপোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গবেষক বার্নার্ড বলেন, ‘মেকআপ করা হলে চেহারাকে বেশি যৌনতাপূর্ণ বা যৌন আবেদনময় মনে হয়। এ থেকে ধারণা করা হচ্ছে, চেহারার বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে যৌন আবেদন ফুটে ওঠে (যেমন—লিপস্টিক ও মাসকারা)। অর্থাৎ শুধু যে শারীরিক প্রকাশভঙ্গীর মাধ্যমেই যৌন আবেদন করা হয় এমন নয় (যেমন—আট সাঁট পোশাক, ইঙ্গিতপূর্ণ অঙ্গভঙ্গি)।’
বার্নার্ড বলেন, ‘আমাদের গবেষণায় আরও উঠে এসেছে, ভারী মেকআপ নারীদের মধ্যে মানুষের মতো বৈশিষ্ট্যগুলোকে ঢেকে ফেলে। মডেল হোক বা সাধারণ নারী হোক, তাঁদের মধ্যে মানুষের মতো বৈশিষ্ট্য কম ফুটে ওঠে। এ থেকে ধারণা করা হচ্ছে, ভারী মেকআপ নারীর ব্যক্তিত্বের চেয়ে লিঙ্গ নির্বিশেষে মানুষকে যৌনতাবোধ ও যৌন আবেদনের ওপর বেশি গুরুত্ব দিতে প্ররোচিত করে। এভাবে সূক্ষ্মভাবে অমানবীয় বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন হয়ে ওঠে।’
গবেষকেরা নারীদের চেহারার ছবির ওপর মেকআপ যুক্ত করার জন্য মোডিফেস নামে অগমেন্টেড রিয়্যালিটি প্রযুক্তি ব্যবহার করেন। বার্নার্ড বলেন, ‘এ ধরনের প্রযুক্তির একটি ইতিবাচক দিক হলো, এতে সব ধরনের চেহারার ওপর একই ধরনের মেকআপ নিশ্চিত করা গেছে। এভাবে আমরা মেকআপহীন ছবি ও ভারী মেকআপের ছবি দিয়ে “মেকআপ মানবিক বৈশিষ্ট্যে প্রভাব ফেলে”—আমাদের এই পূর্বানুমান যাচাই করেছি।’
এই গবেষক আরও বলেন, ‘ভবিষ্যতে গবেষকেরা আমাদের এ গবেষণার ফলাফল নিয়ে আরও বিস্তারিত কাজ করতে পারবেন। তাঁরা মেকআপের পরিমাণ বাড়িয়ে কমিয়ে পরীক্ষা করতে পারবেন যে, কোন ক্ষেত্রে কম মানবীয় বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পাচ্ছে।’
২০১৯ সালে এপ্রিলে এ নিয়ে বিজ্ঞান সাময়িকী নেচারে এ সংক্রান্ত একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
তবে গবেষকেরা যৌন আবেদনময় হওয়ার সঙ্গে অমানবীয় বৈশিষ্ট্যের কোনো সম্পর্ক খুঁজে পাননি। অর্থাৎ মেকআপ পরা চেহারায় মানবীয় বৈশিষ্ট্য ফুটে ওঠার পেছনে যৌন আবেদনই মূল কারণ নয়।
বার্নার্ড বলেন, ‘ভবিষ্যৎ গবেষণায় ভারী মেকআপ পরা নারীদের কম মানবীয় বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন মনে করার পেছনে সামাজিক ও জ্ঞানীয় কারণগুলো উঠে আসতে পারে। বর্তমান গবেষণা অনুসারে বলা যেতে পারে, ভারী মেকআপ পরা চেহারাকে কম মানবিক বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন মনে হয় কারণ তাদের দৃশ্যত এমনভাবে প্রস্তুত করা হয় যেভাবে কোনো পণ্যকে প্রস্তুত করা হয়।’
ভারী মেকআপের কারণে অন্যের দৃষ্টিতে চেহারায় মানবীয় বৈশিষ্ট্য কমে যাওয়ার অনুভূতি হতে পারে বলে নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে। গবেষণা প্রতিবেদনটিতে মেকআপকে যৌনতার সূক্ষরূপ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। সেক্স রোলস নামক সাময়িকীতে প্রকাশিত এ গবেষণা প্রতিবেদন অনুসারে, মেকআপহীন নারীদের তুলনায় ভারী মেকআপ পরা নারীদের মধ্যে তুলনামূলক কম মানবীয় বৈশিষ্ট্য ফুটে ওঠে।
বেলজিয়ামে অবস্থিত ফ্রি ইউনিভার্সিটি অব ব্রাসেলসের গবেষক ও এ গবেষণা প্রতিবেদনের লেখক ফিলিপ বার্নার্ড বলেন, ‘বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরকে যৌন আবেদনময় করে উপস্থাপন করার ফলে মানবীয় বৈশিষ্ট্য লোপ পায় ও পণ্যায়ন হয়। অর্থাৎ মানুষের মৌলিক জ্ঞানীয় স্তরে অন্তর্বাস পরা শরীর ও ইঙ্গিতপূর্ণ দেহভঙ্গীকে কোনো পণ্যের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ এবং তুলনামূলক কম মানবীয় বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন হিসেবে দেখা হয়।’
এ ধরনের গবেষণায় গণমাধ্যমে প্রকাশিত যৌনতাপূর্ণ ছবিগুলো মানুষ কীভাবে দেখে তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়। তবে যৌনতার সূক্ষ্ম রূপ হিসেবে মেকআপ কীভাবে নারী মডেল ও সাধারণ নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য তৈরি করে তা নিয়ে খুব একটা গবেষণা নেই।
গবেষকেরা ভারী মেকআপের বিষয়ে প্রায় এক হাজার অংশগ্রহণকারীর ওপর চারটি পরীক্ষণ চালিয়েছেন। গবেষণায় তাঁরা ভারী মেকআপের সঙ্গে নারীর মুখকে অমানবীয় বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন বলে ধারণা তৈরির সম্পর্ক পর্যবেক্ষণ করেছেন।
গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের নারীদের মেকআপসহ ও মেকআপ ছাড়া ছবি দেখানো হয়। এরপর ওই ছবিগুলো সম্পর্কে তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গি জানতে চেয়ে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন করা হয়।
গবেষকেরা দেখতে পান, গবেষণায় অংশগ্রহণকারী নারী ও পুরুষ উভয়ই ভারী মেকআপ পরা নারীদের মধ্যে মেকআপ ছাড়া নারীদের তুলনায় মানবিক গুণ, ব্যক্তিত্ব, অভিজ্ঞতা, যোগ্যতা, নীতিবোধ ও হৃদ্যতা কম বলে উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া মেকআপ পরা চেহারাগুলোকে মেকআপ ছাড়া চেহারার তুলনায় বেশি যৌনতাপূর্ণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
অনলাইন ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সাইপোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গবেষক বার্নার্ড বলেন, ‘মেকআপ করা হলে চেহারাকে বেশি যৌনতাপূর্ণ বা যৌন আবেদনময় মনে হয়। এ থেকে ধারণা করা হচ্ছে, চেহারার বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে যৌন আবেদন ফুটে ওঠে (যেমন—লিপস্টিক ও মাসকারা)। অর্থাৎ শুধু যে শারীরিক প্রকাশভঙ্গীর মাধ্যমেই যৌন আবেদন করা হয় এমন নয় (যেমন—আট সাঁট পোশাক, ইঙ্গিতপূর্ণ অঙ্গভঙ্গি)।’
বার্নার্ড বলেন, ‘আমাদের গবেষণায় আরও উঠে এসেছে, ভারী মেকআপ নারীদের মধ্যে মানুষের মতো বৈশিষ্ট্যগুলোকে ঢেকে ফেলে। মডেল হোক বা সাধারণ নারী হোক, তাঁদের মধ্যে মানুষের মতো বৈশিষ্ট্য কম ফুটে ওঠে। এ থেকে ধারণা করা হচ্ছে, ভারী মেকআপ নারীর ব্যক্তিত্বের চেয়ে লিঙ্গ নির্বিশেষে মানুষকে যৌনতাবোধ ও যৌন আবেদনের ওপর বেশি গুরুত্ব দিতে প্ররোচিত করে। এভাবে সূক্ষ্মভাবে অমানবীয় বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন হয়ে ওঠে।’
গবেষকেরা নারীদের চেহারার ছবির ওপর মেকআপ যুক্ত করার জন্য মোডিফেস নামে অগমেন্টেড রিয়্যালিটি প্রযুক্তি ব্যবহার করেন। বার্নার্ড বলেন, ‘এ ধরনের প্রযুক্তির একটি ইতিবাচক দিক হলো, এতে সব ধরনের চেহারার ওপর একই ধরনের মেকআপ নিশ্চিত করা গেছে। এভাবে আমরা মেকআপহীন ছবি ও ভারী মেকআপের ছবি দিয়ে “মেকআপ মানবিক বৈশিষ্ট্যে প্রভাব ফেলে”—আমাদের এই পূর্বানুমান যাচাই করেছি।’
এই গবেষক আরও বলেন, ‘ভবিষ্যতে গবেষকেরা আমাদের এ গবেষণার ফলাফল নিয়ে আরও বিস্তারিত কাজ করতে পারবেন। তাঁরা মেকআপের পরিমাণ বাড়িয়ে কমিয়ে পরীক্ষা করতে পারবেন যে, কোন ক্ষেত্রে কম মানবীয় বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পাচ্ছে।’
২০১৯ সালে এপ্রিলে এ নিয়ে বিজ্ঞান সাময়িকী নেচারে এ সংক্রান্ত একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
তবে গবেষকেরা যৌন আবেদনময় হওয়ার সঙ্গে অমানবীয় বৈশিষ্ট্যের কোনো সম্পর্ক খুঁজে পাননি। অর্থাৎ মেকআপ পরা চেহারায় মানবীয় বৈশিষ্ট্য ফুটে ওঠার পেছনে যৌন আবেদনই মূল কারণ নয়।
বার্নার্ড বলেন, ‘ভবিষ্যৎ গবেষণায় ভারী মেকআপ পরা নারীদের কম মানবীয় বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন মনে করার পেছনে সামাজিক ও জ্ঞানীয় কারণগুলো উঠে আসতে পারে। বর্তমান গবেষণা অনুসারে বলা যেতে পারে, ভারী মেকআপ পরা চেহারাকে কম মানবিক বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন মনে হয় কারণ তাদের দৃশ্যত এমনভাবে প্রস্তুত করা হয় যেভাবে কোনো পণ্যকে প্রস্তুত করা হয়।’
খাবার মজাদার করতে আমরা সাধারণভাবে তেল-মসলার খুব বাড়াবাড়ি করে ফেলি। সেখান থেকে বাদ যায় না পেঁয়াজ কিংবা রসুন। পেঁয়াজকে কায়দা করে সরিয়ে রাখলেও খাবার মজাদার হতে পারে। তেমনই কিছু রেসিপি...
১ দিন আগেবাংলা অঞ্চলে মিষ্টিজাতীয় প্রাচীন খাবারগুলোর মধ্যে সন্দেশের নাম আছে একেবারে প্রথম দিকে। সব মিষ্টির কিছু না কিছু বদল হলেও, এর বদল হয়েছে খুবই কম। যশোরের নলেন গুড়ের সন্দেশ, মানিকগঞ্জ বা নাগরপুরের প্যারা সন্দেশ, পাবনার মাছের পেটি সন্দেশ ইত্যাদি কে না খেতে পছন্দ করে!
১ দিন আগেজীবনানন্দ দাশের কবিতায় ঘুরেফিরে এসেছে দারুচিনি দ্বীপের কথা, তার রহস্যময় শ্যামলিমার কথা, সেই সবুজের গহিনে দিকহারা নাবিকের আশ্রয়-আকাঙ্ক্ষার কথা। এই দারুচিনি দ্বীপ কি আসলে কোনো সমুদ্রঘেরা ভূখণ্ড, নাকি বনলতা সেন নিজেই, তা নিয়ে কবিরা বিতর্ক করুক। আমরা বরং এই দ্বীপের তত্ত্বতালাশ করি।
১ দিন আগে‘প্রসেসেস’-এ প্রকাশিত এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ভাতের মাড় ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য একটি হজমযোগ্য স্বাস্থ্যকর পানীয় হিসেবে কাজ করে। এমনকি এটি ওজন কমাতে পারে।
১ দিন আগে