অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া
নবদম্পতি নীলা ও নাহিদ। দুজনেই কর্মজীবী। এক সপ্তাহ্ ধরে অপেক্ষা করছেন ছুটির দিনের, একটা নতুন সিনেমা দেখতে যাওয়ার কথা। কিন্তু ছুটির দিনের সকালেই নীলার মায়ের ফোন। সন্ধ্য়েবেলায় আত্মীয়স্বজনের একটা গেটটুগেদার আছে। নীলা আর নাহিদ না থাকলেই নয়। মায়ের ভাষ্য, ‘সিনেমা তো পরে দেখতেই পারবে, আত্মীয়স্বজন তোমাদের একসঙ্গে দেখতে চাইছে। চলে এসো সময়মতো।’ মন খারাপ হলেও নীলা বা নাহিদ কেউ ‘না’ বলতে পারল না। শুধু সেবারই নয়, বিয়ের পর পর প্রায় প্রতি সপ্তাহেই এ ধরনের ঘটনা চলতে লাগল।
ঘটনা কেবল এমনই হয় তা নয়; ধরুন–আপনার শরীর খারাপ। কিন্তু দিন পনেরো আগেই একটা দাওয়াতে যাবেন বলে কথা দিয়েছেন। কিন্তু শরীর খারাপ হওয়ায় সেখানে যেতে পারবেন না বলে জানালেন। কিন্তু পীড়াপিড়ি, জোর-জবরদস্তি এড়াতে পারলেন না। শরীর খারাপ নিয়েই গেলেন। বাড়ি ফেরার পর শরীর আরও খারাপ করল। এর দায় আসলে কার? আমাদের ‘না’ বলতে না পারার দায় ও ফলাফল কিন্তু আমাদেরই। কিন্তু ছোট্ট এই শব্দ, মানে ‘না’ বলা এত কঠিন কেন? ভিনদেশিরা আমাদের এই ভূমি শাসন করতে বারবারই এসেছে। ভূমিপুত্র হিসেবে প্রজন্মের পর প্রজন্মান্তর ‘না’ বলতে আমরা পারিনি। সেই প্রজন্মান্তর ক্ষত (ইন্টার জেনারেশনাল ট্রমা) এখনো আমাদের ডিএনএ বহন করছে এপিজেনেটিকসের মতো। কাজেই না বলতে না পারাটা অনেকখানি মজ্জাগত আমাদের।
কেন ‘না’ বলাটা এত কঠিন?
আমাদের মন মাত্র ৫ শতাংশ সচেতন, বাকি ৯৫ শতাংশ অবচেতন। শৈশবের বেড়ে ওঠার ধাপে চারপাশের পরিবেশ আমাদের শেখায় যে, ‘অন্যকে খুশি করাটা জরুরি।’ মনস্তাত্ত্বিক ভাষায় একে চালিকাশক্তি বলে। ঠিক গাড়ি যেরকম চালায় ড্রাইভার, এই মনস্তাত্ত্বিক চালিকাশক্তি আমাদের চালাতে শুরু করে। পাঁচ ধরনের চালিকাশক্তির মধ্যে, একটি হলো প্লিজ আদারস অর্থাৎ অন্যকে তুষ্ট করো। আর অন্যকে তুষ্ট করতে যেয়েই আমরা ক্রমাগত অবচেতনভাবে শিখি ‘না’ বলা যাবে না; অথবা ‘না’ বলাটা বুঝি অভদ্রতা। এমনকি আমাদের সংস্কৃতিতে বড়দের চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলাটাও ক্ষেত্রবিশেষে অভদ্রতা ধরা হয়। ছোট্ট একটি উদাহরণ দেই। বলা চলে, ছোটবেলা থেকেই শিশুর মেরুদন্ডটা ভেঙ্গে দেয়া হয় এই বলে ‘না’ মানেই অভদ্রতা, বেয়াদবি বা নেতিবাচক কিছু। সত্য কথা চোখে চোখ রেখে বলা যে একটি সহজাত গুণ, তা আমরা প্রতিষ্ঠিত করতে চাইনা। ফলে কিভাবে আশা করা যায়, শিশুটি প্রাপ্তবয়স্ক জীবনে প্রয়োজন অনুযায়ী না বলতে পারবে?
‘না’ বলতে পারাটা জরুরি কেন
নিজের সক্ষমতার সীমারেখা বজায় রাখার জন্য ‘না’ বলতে পারাটা খুব জরুরি। কারণ আমি বা আমরা চাইলেই একসাথে দশটা কাজ করতে পারিনা। আর দশটা কাজের দায়িত্ব নিলে তার গুণগত মানও ঠিক থাকবে না। কাজেই যতটুকু পারি সেটুকু করতে রাজি হওয়াটাই বাস্তববাদীর লক্ষণ।
নিজেকে মানসিকভাবে চাপমুক্ত রাখার প্রয়োজনেও ‘না’ বলতে শেখাটা গুরুত্বপূর্ণ। যেই মুহূর্তে থেকে আমরা ‘না’ বলতে পারব সেই মুহূর্ত থেকে একটি স্বাস্থ্যকর আন্ত-সম্পর্কের সীমারেখা তৈরি হবে। এই সীমারেখা আমাদের সম্পর্কের সুস্থতা নিশ্চিত করে।
কর্ম পরিবেশে না বলাটা ভীষণ জরুরি। নয়ত আশেপাশের মানুষ আপনাকে পেয়ে বসবে। সেটা হতে পারে বাড়তি কাজের চাপ চাপিয়ে, বদলি ডিউটি বা ওভারটাইম দিয়ে।
অনেকেই না বলার পরে আত্ম গ্লানিতে ভোগেন। আহা আমি বোধহয় ভালো ছেলে বা মেয়ে হতে পারলাম না। তাইতো একে, ওকে বা তাঁকে ‘না’ বললাম। কাজেই নিজের সীমারেখা সম্পর্কে আত্মসচেতন হওয়া আগে বেশি দরকার। আমি কত দূর পা বাড়াতে পারবো নিজের সক্ষমতা বুঝে ততদূরই পা বাড়ানো উচিৎ। আমি এক কিলোমিটার হাঁটতে পারলে যদি দশ কিলোমিটার একসাথে যাওয়ার কথা দিয়ে ফেলি তাহলে তো মুশকিল। অনেক সময় অনেকেই হয়ত আপনাকে দারুণ সক্ষম কোনো ব্যক্তির সঙ্গে তুলনা করবেন, ‘উনি তো এটা পারেন, তো আপনি পারেন না কেন?’ কিন্তু ব্যক্তি হিসেবে আমরা প্রত্য়েকেই তো আলাদা তাইনা? ফলে অন্য়ের কথায় নিজেকে কখনও ছাপিয়ে যাবেন না।
শিশুকে ‘না’ বলতে ও সিদ্ধান্ত নিতে শেখান
ছোটবেলা থেকেই আপনার শিশুর মতামত গ্রহণ করুন। অনেকেই বলেন, ‘ও তো খুবই ছোট, ও কী বোঝে?’ কিন্তু শিশুরাও কিন্তু আত্মসচেতন, যথেষ্ট বুঝদার। কাজেই আপনার শিশুকে সিদ্ধান্ত নিতে দিন বাইরে যাওয়ার সময় সে কোন জামাটা পরবে। হয়তো প্রচণ্ড গরমে সে একটা গরম জামা পরতে চাচ্ছে। সেটাই পরে বের হোক। সাথে আপনি একটি পাতলা জামা রাখুন। শিশু যখন ঘেমে যাবে তখন তাকে প্রশ্ন করুন তুমি কি এখন জামাটা বদলাতে চাও? কখনোই বলবেন না যে– ‘ওই যে মানা করেছিলাম দেখলে তো এখন।’ বরং যখন আপনি প্রশ্ন করবেন তুমি এখন ঘেমে যাচ্ছ জামাটা কি বদলে নেবে? তখন আপনি সন্তানকে চিন্তার সুযোগ করে দিচ্ছেন। তার চিন্তার জায়গাটা বিকশিত হচ্ছে যে, হ্যাঁ এই গরমে এত ভারী জামা পড়ে বের হওয়া যায় না। কিন্তু এর পরিবর্তে যদি আপনি শিশুর দোষ ধরেন, তাহলৈ সেও পরবর্তীতে আপনার এবং অন্যান্যদের দোষ ধরতে চেষ্টা করবে।
অনেক সময় বাড়িতে অতিথি এলে যদি শিশুকে কোলে নিতে চান তখন কোনো কোনো সময় শিশুরা নির্দিষ্ট কারো কারো কোলে উঠতে চায় না। এই না চাওয়াকে বেশিরভাগ অভিভাবকই আমলে নেন না। জোর করেন, বকাবকিও করেন। কিন্তু শিশুর এই ‘না’ কে গুরুত্ব না দেওয়ার ফলেই কিন্তু পরবর্তীতে তারা নিকটাত্মীয়দের দ্বারা যৌন নিগ্রহের স্বীকার হয় এবং সেকথাও বাবা–মাকে বলতে পারে না। অনেক সময় বললেও, বাবা–মায়েরা সেখানেও তাদের ‘না’ বলতে শেখান না।
‘না’ কে গ্রহণও করা চাই
‘না’ বলা শেখার সঙ্গে সঙ্গে অন্য কেউ যখন ‘না’ বলে সেটাকে গ্রহণ করতে শেখাটাও কিন্তু জরুরি। জীবনে চলতে চলতে আমরা হয়ত ‘না’ বলতে শিখে যাই অনেকটা বাধ্য হয়ে। কিন্তু অন্য়ের বলা ‘না’কে গ্রহণ করতে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমরা শিখিনা। রবীন্দ্রনাথের কথা অনুযায়ী, ‘আমরা মেনে নেই, কিন্তু মনে নেই না।’
কাজেই ‘না’ বলতে পারাটা যেমন জরুরি, তেমনি নিজের ভেতরে ‘না’ গ্রহণ করতে শেখাটাও জরুরি।
লেখক: চিকিৎসক, কাউন্সেলর, সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার বিডি
নবদম্পতি নীলা ও নাহিদ। দুজনেই কর্মজীবী। এক সপ্তাহ্ ধরে অপেক্ষা করছেন ছুটির দিনের, একটা নতুন সিনেমা দেখতে যাওয়ার কথা। কিন্তু ছুটির দিনের সকালেই নীলার মায়ের ফোন। সন্ধ্য়েবেলায় আত্মীয়স্বজনের একটা গেটটুগেদার আছে। নীলা আর নাহিদ না থাকলেই নয়। মায়ের ভাষ্য, ‘সিনেমা তো পরে দেখতেই পারবে, আত্মীয়স্বজন তোমাদের একসঙ্গে দেখতে চাইছে। চলে এসো সময়মতো।’ মন খারাপ হলেও নীলা বা নাহিদ কেউ ‘না’ বলতে পারল না। শুধু সেবারই নয়, বিয়ের পর পর প্রায় প্রতি সপ্তাহেই এ ধরনের ঘটনা চলতে লাগল।
ঘটনা কেবল এমনই হয় তা নয়; ধরুন–আপনার শরীর খারাপ। কিন্তু দিন পনেরো আগেই একটা দাওয়াতে যাবেন বলে কথা দিয়েছেন। কিন্তু শরীর খারাপ হওয়ায় সেখানে যেতে পারবেন না বলে জানালেন। কিন্তু পীড়াপিড়ি, জোর-জবরদস্তি এড়াতে পারলেন না। শরীর খারাপ নিয়েই গেলেন। বাড়ি ফেরার পর শরীর আরও খারাপ করল। এর দায় আসলে কার? আমাদের ‘না’ বলতে না পারার দায় ও ফলাফল কিন্তু আমাদেরই। কিন্তু ছোট্ট এই শব্দ, মানে ‘না’ বলা এত কঠিন কেন? ভিনদেশিরা আমাদের এই ভূমি শাসন করতে বারবারই এসেছে। ভূমিপুত্র হিসেবে প্রজন্মের পর প্রজন্মান্তর ‘না’ বলতে আমরা পারিনি। সেই প্রজন্মান্তর ক্ষত (ইন্টার জেনারেশনাল ট্রমা) এখনো আমাদের ডিএনএ বহন করছে এপিজেনেটিকসের মতো। কাজেই না বলতে না পারাটা অনেকখানি মজ্জাগত আমাদের।
কেন ‘না’ বলাটা এত কঠিন?
আমাদের মন মাত্র ৫ শতাংশ সচেতন, বাকি ৯৫ শতাংশ অবচেতন। শৈশবের বেড়ে ওঠার ধাপে চারপাশের পরিবেশ আমাদের শেখায় যে, ‘অন্যকে খুশি করাটা জরুরি।’ মনস্তাত্ত্বিক ভাষায় একে চালিকাশক্তি বলে। ঠিক গাড়ি যেরকম চালায় ড্রাইভার, এই মনস্তাত্ত্বিক চালিকাশক্তি আমাদের চালাতে শুরু করে। পাঁচ ধরনের চালিকাশক্তির মধ্যে, একটি হলো প্লিজ আদারস অর্থাৎ অন্যকে তুষ্ট করো। আর অন্যকে তুষ্ট করতে যেয়েই আমরা ক্রমাগত অবচেতনভাবে শিখি ‘না’ বলা যাবে না; অথবা ‘না’ বলাটা বুঝি অভদ্রতা। এমনকি আমাদের সংস্কৃতিতে বড়দের চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলাটাও ক্ষেত্রবিশেষে অভদ্রতা ধরা হয়। ছোট্ট একটি উদাহরণ দেই। বলা চলে, ছোটবেলা থেকেই শিশুর মেরুদন্ডটা ভেঙ্গে দেয়া হয় এই বলে ‘না’ মানেই অভদ্রতা, বেয়াদবি বা নেতিবাচক কিছু। সত্য কথা চোখে চোখ রেখে বলা যে একটি সহজাত গুণ, তা আমরা প্রতিষ্ঠিত করতে চাইনা। ফলে কিভাবে আশা করা যায়, শিশুটি প্রাপ্তবয়স্ক জীবনে প্রয়োজন অনুযায়ী না বলতে পারবে?
‘না’ বলতে পারাটা জরুরি কেন
নিজের সক্ষমতার সীমারেখা বজায় রাখার জন্য ‘না’ বলতে পারাটা খুব জরুরি। কারণ আমি বা আমরা চাইলেই একসাথে দশটা কাজ করতে পারিনা। আর দশটা কাজের দায়িত্ব নিলে তার গুণগত মানও ঠিক থাকবে না। কাজেই যতটুকু পারি সেটুকু করতে রাজি হওয়াটাই বাস্তববাদীর লক্ষণ।
নিজেকে মানসিকভাবে চাপমুক্ত রাখার প্রয়োজনেও ‘না’ বলতে শেখাটা গুরুত্বপূর্ণ। যেই মুহূর্তে থেকে আমরা ‘না’ বলতে পারব সেই মুহূর্ত থেকে একটি স্বাস্থ্যকর আন্ত-সম্পর্কের সীমারেখা তৈরি হবে। এই সীমারেখা আমাদের সম্পর্কের সুস্থতা নিশ্চিত করে।
কর্ম পরিবেশে না বলাটা ভীষণ জরুরি। নয়ত আশেপাশের মানুষ আপনাকে পেয়ে বসবে। সেটা হতে পারে বাড়তি কাজের চাপ চাপিয়ে, বদলি ডিউটি বা ওভারটাইম দিয়ে।
অনেকেই না বলার পরে আত্ম গ্লানিতে ভোগেন। আহা আমি বোধহয় ভালো ছেলে বা মেয়ে হতে পারলাম না। তাইতো একে, ওকে বা তাঁকে ‘না’ বললাম। কাজেই নিজের সীমারেখা সম্পর্কে আত্মসচেতন হওয়া আগে বেশি দরকার। আমি কত দূর পা বাড়াতে পারবো নিজের সক্ষমতা বুঝে ততদূরই পা বাড়ানো উচিৎ। আমি এক কিলোমিটার হাঁটতে পারলে যদি দশ কিলোমিটার একসাথে যাওয়ার কথা দিয়ে ফেলি তাহলে তো মুশকিল। অনেক সময় অনেকেই হয়ত আপনাকে দারুণ সক্ষম কোনো ব্যক্তির সঙ্গে তুলনা করবেন, ‘উনি তো এটা পারেন, তো আপনি পারেন না কেন?’ কিন্তু ব্যক্তি হিসেবে আমরা প্রত্য়েকেই তো আলাদা তাইনা? ফলে অন্য়ের কথায় নিজেকে কখনও ছাপিয়ে যাবেন না।
শিশুকে ‘না’ বলতে ও সিদ্ধান্ত নিতে শেখান
ছোটবেলা থেকেই আপনার শিশুর মতামত গ্রহণ করুন। অনেকেই বলেন, ‘ও তো খুবই ছোট, ও কী বোঝে?’ কিন্তু শিশুরাও কিন্তু আত্মসচেতন, যথেষ্ট বুঝদার। কাজেই আপনার শিশুকে সিদ্ধান্ত নিতে দিন বাইরে যাওয়ার সময় সে কোন জামাটা পরবে। হয়তো প্রচণ্ড গরমে সে একটা গরম জামা পরতে চাচ্ছে। সেটাই পরে বের হোক। সাথে আপনি একটি পাতলা জামা রাখুন। শিশু যখন ঘেমে যাবে তখন তাকে প্রশ্ন করুন তুমি কি এখন জামাটা বদলাতে চাও? কখনোই বলবেন না যে– ‘ওই যে মানা করেছিলাম দেখলে তো এখন।’ বরং যখন আপনি প্রশ্ন করবেন তুমি এখন ঘেমে যাচ্ছ জামাটা কি বদলে নেবে? তখন আপনি সন্তানকে চিন্তার সুযোগ করে দিচ্ছেন। তার চিন্তার জায়গাটা বিকশিত হচ্ছে যে, হ্যাঁ এই গরমে এত ভারী জামা পড়ে বের হওয়া যায় না। কিন্তু এর পরিবর্তে যদি আপনি শিশুর দোষ ধরেন, তাহলৈ সেও পরবর্তীতে আপনার এবং অন্যান্যদের দোষ ধরতে চেষ্টা করবে।
অনেক সময় বাড়িতে অতিথি এলে যদি শিশুকে কোলে নিতে চান তখন কোনো কোনো সময় শিশুরা নির্দিষ্ট কারো কারো কোলে উঠতে চায় না। এই না চাওয়াকে বেশিরভাগ অভিভাবকই আমলে নেন না। জোর করেন, বকাবকিও করেন। কিন্তু শিশুর এই ‘না’ কে গুরুত্ব না দেওয়ার ফলেই কিন্তু পরবর্তীতে তারা নিকটাত্মীয়দের দ্বারা যৌন নিগ্রহের স্বীকার হয় এবং সেকথাও বাবা–মাকে বলতে পারে না। অনেক সময় বললেও, বাবা–মায়েরা সেখানেও তাদের ‘না’ বলতে শেখান না।
‘না’ কে গ্রহণও করা চাই
‘না’ বলা শেখার সঙ্গে সঙ্গে অন্য কেউ যখন ‘না’ বলে সেটাকে গ্রহণ করতে শেখাটাও কিন্তু জরুরি। জীবনে চলতে চলতে আমরা হয়ত ‘না’ বলতে শিখে যাই অনেকটা বাধ্য হয়ে। কিন্তু অন্য়ের বলা ‘না’কে গ্রহণ করতে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমরা শিখিনা। রবীন্দ্রনাথের কথা অনুযায়ী, ‘আমরা মেনে নেই, কিন্তু মনে নেই না।’
কাজেই ‘না’ বলতে পারাটা যেমন জরুরি, তেমনি নিজের ভেতরে ‘না’ গ্রহণ করতে শেখাটাও জরুরি।
লেখক: চিকিৎসক, কাউন্সেলর, সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার বিডি
১৯৫১ সাল। ইরানের রাজা রেজা শাহ পাহলভি এলেন পৃথিমপাশা জমিদারবাড়িতে। সে এক হুলুস্থুল ব্যাপার! এ বাড়ির পূর্বপুরুষেরা ইরান থেকে এসেছিলেন বলে জানা যায়।
৪ দিন আগেশীতে কাপড় ভালো রাখতে সেগুলোকে যেমন রোদে মেলে দিতে হয়, সম্পর্ক উন্নয়নে মাঝেমধ্যে তেমনি ভ্রমণেও যেতে হয়। শীত চলে এসেছে। ভ্রমণপ্রেমীরা হয়ে উঠেছেন সরব।
৪ দিন আগেপর্যটন বন্ধে কারফিউ! হ্যাঁ, তেমনটিই ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। গ্রামের নাম বুকচন হ্যানোক। দক্ষিণ কোরিয়ার জংনো জেলায় এর অবস্থান। বুকচন হ্যানোক দেশটির ‘মাস্ট ভিজিট’ পর্যটন গন্তব্য।
৪ দিন আগেভ্রমণের স্বাদ একবার রক্তে ঢুকলে, তা থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। এক অদৃশ্য তাড়না কাজ করতে থাকে ভেতরে-ভেতরে।
৪ দিন আগে