জীবনধারা ডেস্ক
ক্যারট ডিলাইট উইথ মালাই
উপকরণ
গাজরের জন্য লাগবে
২ কাপ গ্রেট করা গাজর, ৩ থেকে ৪ টেবিল চামচ কনডেন্সড মিল্ক, ১ টেবিল চামচ ঘি, ২ টেবিল চামচ গুঁড়া দুধ, আধা চা-চামচ এলাচি গুঁড়া।
ছানার জন্য লাগবে
২ কাপ ছানা, ৩ থেকে ৪ টেবিল চামচ কনডেন্সড মিল্ক, ১ টেবিল চামচ ঘি, ২ টেবিল চামচ গুঁড়া দুধ, আধা চা-চামচ এলাচি গুঁড়া।
মালাই তৈরি
১ কাপ গ্রেট করা মাওয়া, আধা কাপ তরল গরম দুধ, অল্প পরিমাণ কনডেন্সড মিল্ক, ১ টেবিল চামচ ঘি।
সবকিছু একত্রে মাঝারি তাপে ভালোভাবে নেড়ে ঘন হলে নামিয়ে নিতে হবে। বেশি রান্না করা যাবে না। তাতে মালাই শক্ত হয়ে যাবে।
পদ্ধতি
প্রথমে একটি প্যানে গ্রেট করা গাজর নিয়ে সামান্য পানি দিয়ে ঢেকে ভাপ দিতে হবে। গাজর নরম হয়ে সেদ্ধ হয়ে এলে নামিয়ে ফেলতে হবে। এখন একটি ননস্টিক অথবা ফ্রাইপ্যান গরম করে ঘি দিয়ে সেদ্ধ গাজরগুলো ৭ থেকে ৮ মিনিট মাঝারি আঁচে ভুনে কনডেন্সড মিল্ক দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। তারপর গুঁড়া দুধ আর এলাচি গুঁড়া দিয়ে আরও ১০ থেকে ১২ মিনিট জ্বাল দিয়ে হালুয়া শুকিয়ে ঘন হয়ে প্যানের গা ছেড়ে এলে নামিয়ে ফেলুন।
এখন বড় একটি বাটিতে ছানা, কনডেন্সড মিল্ক, গুঁড়া দুধ আর এলাচি গুঁড়া সব একসঙ্গে নিয়ে ভালো করে মেখি একটা প্যানে ঘি দিয়ে চুলায় মাঝারি আঁচে জ্বাল দিয়ে অনবরত নাড়তে হবে, যেন নিচে লেগে না যায়। হালুয়া শুকিয়ে প্যানের গা ছেড়ে এলে নামিয়ে ফেলতে হবে।
একটি ওয়াক্স পেপার বিছিয়ে গাজরের মিশ্রণটা বিছিয়ে দিয়ে তার ওপর আবার ওয়াক্স পেপার বিছিয়ে এবার বেলুন দিয়ে চৌকোনা আকারে আধা ইঞ্চি পুরু করে রুটির মতো বেলে নিতে হবে। এবার ছানার মিশ্রণটা দিয়ে দিন। হালকা গরম থাকা অবস্থায় একটু মথে মোটা করে রোল করে নিয়ে গাজরের মিশ্রণের ওপর বিছিয়ে সুইস রোলের মতো রোল করে টাইট করে পেঁচিয়ে মিনিমাম ২-৩ ঘণ্টা নরমাল ফ্রিজে রেখে দিতে হবে সেট হওয়ার জন্য।
সেট হয়ে গেলে নামিয়ে পছন্দমতো পিস পিস করে কেটে ওপরে মালাই দিয়ে পরিবেশন করুন দারুণ মজার এই ডেজার্ট।
স্ট্রবেরি ট্রাইফল
উপকরণ
১ প্যাকেট অথবা ৮০ গ্রাম স্ট্রবেরি জেলেটিন পাউডার, পছন্দমতো কেকের পিস, ২৫০ মিলি হুইপিং ক্রিম, আধা কাপ আইসিং সুগার, আধা চা-চামচ ভ্যানিলা অ্যাসেন্স, আধা লিটার গরুর দুধ, আধা কাপ কাস্টার্ড পাউডার, আধা টেবিল চামচ, পছন্দমতো টুকরো করা স্ট্রবেরি, গার্নিশিংয়ের জন্য চেরি।
প্রস্তুতপ্রণালি
প্রথমে স্ট্রবেরি জেলি তৈরি করার জন্য ১ প্যাকেট জেলোটিন পাউডারের সঙ্গে ৩ কাপ গরম পানি মিশিয়ে যে পাত্রে ট্রাইফল সেট করবেন, সে পাত্রেই জেলি সেট নিন। ফ্রিজে রেখে দিন আধা ঘণ্টা।
এবার একটি বড় পাত্রে হুইপিং ক্রিম, আইসিং সুগার ও ভ্যানিলা অ্যাসেন্স নিয়ে বিটার মেশিনের সাহায্যে ৮ থেকে ১০ মিনিট বিট করে হুইপড ক্রিম তৈরি করে নিন।
কাস্টার্ড ক্রিম তৈরি করার জন্য দুধের সঙ্গে চিনি এবং কাস্টার্ড পাউডার ভালো করে মিশিয়ে চুলায় মাঝারি আঁচে জ্বাল দিয়ে ঘন করে নিয়ে নামিয়ে ঠান্ডা করুন।
ট্রাইফল সেট করার জন্য জেলি সেট করা পাত্রে জেলির ওপর পছন্দমতো কেক ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সেট করে নিন। তারপর তার ওপর ঠান্ডা করে রাখা কাস্টার্ড ক্রিম সেট করে নিন। এরপর কাস্টার্ড ক্রিমের ওপর টুকরো করে রাখা স্ট্রবেরি ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সেট করে নিয়ে বানিয়ে রাখা হুইপড ক্রিম দিয়ে ডিজাইন করুন। তারপর পুরোটা ফ্রিজে রেখে দিন ২ ঘণ্টা। ঠান্ডা করে ওপরে কিছু স্ট্রবেরির টুকরো ও চেরি দিয়ে গার্নিশ করে পরিবেশন করুন।
হায়দ্রাবাদি চিকেন বিরিয়ানি
উপকরণ
মাংসের জন্য লাগবে
বড় করে টুকরো করা ১ কেজি মুরগির মাংস, আধা কাপ টক দই, আধা কাপ তেল, আস্ত গরম মসলা, ১ কাপ পেঁয়াজ কুচি, ২ টেবিল চামচ আদা বাটা, ১ টেবিল চামচ রসুন বাটা, ২ টেবিল চামচ পেঁয়াজ বাটা, ১ টেবিল চামচ কাঠবাদাম বাটা, ২ টেবিল চামচ বিরিয়ানি মসলা, ১ চা-চামচ লাল মরিচের গুঁড়া, আধা চা-চামচ চিনি, ১ মুঠ পেঁয়াজ বেরেস্তা, লবণ স্বাদমতো।
বিরিয়ানির জন্য লাগবে
৫০০ গ্রাম সুগন্ধি পোলাওয়ের চাল, ৩ টেবিল চামচ তেল, ৩-৪টি আস্ত এলাচি, ১ টুকরো দারুচিনি, ৩-৪টি লবঙ্গ, ১টি তেজপাতা, ১টি স্টার এনিস, ৪-৫টি আস্ত কাঁচা মরিচ, ৬-৭টা আলুবোখারা, ৩ টেবিল চামচ ঘি, ১ চা-চামচ শাহি জিরা, ১ চা-চামচ কেওড়া জল, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস, আধা কাপ কুসুমগরম দুধ, কিছু কাঠবাদাম কুচি ও কিশমিশ, সামান্য জাফরান অথবা জর্দা রং, পেঁয়াজ বেরেস্তা পরিমাণমতো, গরম পানি পরিমাণমতো, লবণ স্বাদমতো এবং আটার খামির।
প্রস্তুতপ্রণালি
প্রথমে মাংস ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিয়ে টক দইসহ সব বাটা ও গুঁড়া মসলা ও লবণ দিয়ে মাংস ভালো করে মেখে কমপক্ষে তিন ঘণ্টা রেখে দিন।
পোলাওয়ের চাল ধুয়ে আধা ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে একটি ছাঁকনিতে পানি ঝরিয়ে রাখুন। দুধ কিছুটা গরম করে জাফরান দিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিতে হবে জাফরানের রং বের হওয়ার জন্য।
এখন আরেকটি পাতিলে পর্যাপ্ত পরিমাণ গরম পানি দিয়ে তাতে আস্ত গরম মসলা, তেল, লবণ দিয়ে এতে বাবল এলে ছেঁকে রাখা চালগুলো দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। চাল ৭০ শতাংশ সেদ্ধ হয়ে এলে একটি ছাঁকনিতে ছেঁকে নিতে হবে।
এবার যে পাতিলে বিরিয়ানি রান্না করা হবে, সেই পাতিলে তেল গরম করে আস্ত গরম মসলা ও পেঁয়াজকুচি হালকা বাদামি কর ভেজে মেরিনেট করা মাংস রান্না করতে হবে। প্রথমে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ১০ মিনিট, তারপর ঢাকনা খুলে মাঝারি আঁচে আরও ১০ মিনিট জ্বাল দিতে হবে, যাতে করে মুরগি থেকে ওঠা ঝোল কিছুটা শুকিয়ে আসে। তারপর এর ওপর পেঁয়াজ বেরেস্তা, লেবুর রস, বাদাম কুচি, কিশমিশ, মাওয়া, কাঁচা মরিচ, আলুবোখারা ছিটিয়ে দিয়ে ছেঁকে রাখা ভাত দিয়ে দিন। তার ওপর পেঁয়াজ বেরেস্তা, বাদাম, কিশমিশ, শাহি জিরা, কেওড়া জল দিয়ে মাঝে গর্ত করে জাফরান মেশানো দুধ দিয়ে দিন। এবার ঢাকনার মুখ ভালো করে সিল করে দিন খামির করে রাখা আটা দিয়ে।
এরপর চুলায় মোটা তাওয়া বসিয়ে ৫ মিনিট মিডিয়াম আঁচে তারপর ৩০ মিনিট একদম কম আঁচে দমে রাখতে হবে। তারপর হয়ে গেলে নামিয়ে ফেলতে হবে।
যদি বিরিয়ানি ভেজা মনে হয়, তাহলে আরও কিছুক্ষণ দমে বসিয়ে রাখতে হবে। হয়ে গেলে একটি সার্ভিস ডিশে নিয়ে গরম-গরম পরিবেশন করুন ।
মুতান্জান জর্দা
উপকরণ
১ কাপ বাসমতি চাল, খাবারের উপযোগী লাল, সবুজ, হলুদ, কমলা রং, পরিমাণ মতো ঘি, ৩-৪টা সবুজ এলাচি, ৩-৪টা লবঙ্গ, ১টি তেজপাতা, ২ টুকরো দারুচিনি, স্বাদমতো চিনি, আধা কাপ পানি, কিশমিশ, বাদাম, মোরব্বা টুকরো, আধা চা-চামচ কেওড়া জল ও বেবি সুইটস।
প্রস্তুতপ্রণালি
প্রথমে চাল আধা ঘণ্টা হালকা গরম পানিতে ভিজিয়ে রেখে ছেঁকে তুলে রাখুন। এবার হাঁড়িতে পানি গরম করে চাল দিয়ে দিন। চাল ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ সেদ্ধ হলে পানি ঝরিয়ে নিন।
একটি প্যানে ঘি গরম করে তাতে তেজপাতা, লবঙ্গ, দারুচিনি, কিশমিশ, বাদাম হালকা ভেজে চিনি ও অল্প পানি দিয়ে দিন। চিনি গলে গেলে তাতে রান্না করা ভাতের কিছুটা দিয়ে দিন। বাকি ভাতে পছন্দমতো রং দিয়ে ৫ মিনিট রেখে দিয়ে সাদা ভাতের ওপর আলতো করে রেখে দিতে হবে একপাশ করে, যেন রঙিন ভাতগুলো ছড়িয়ে না যায়। এভাবে ১৫ মিনিট দমে রাখার পর কেওড়া জল ও মোরব্বা দিয়ে আরও ৫ মিনিট দমে রেখে নামিয়ে নিন। তারপর পরিবেশন করার সময় ওপরে বেবি সুইটস বা ছোট ছোট মিষ্টি দিয়ে পরিবেশন করুন।
ক্যারট ডিলাইট উইথ মালাই
উপকরণ
গাজরের জন্য লাগবে
২ কাপ গ্রেট করা গাজর, ৩ থেকে ৪ টেবিল চামচ কনডেন্সড মিল্ক, ১ টেবিল চামচ ঘি, ২ টেবিল চামচ গুঁড়া দুধ, আধা চা-চামচ এলাচি গুঁড়া।
ছানার জন্য লাগবে
২ কাপ ছানা, ৩ থেকে ৪ টেবিল চামচ কনডেন্সড মিল্ক, ১ টেবিল চামচ ঘি, ২ টেবিল চামচ গুঁড়া দুধ, আধা চা-চামচ এলাচি গুঁড়া।
মালাই তৈরি
১ কাপ গ্রেট করা মাওয়া, আধা কাপ তরল গরম দুধ, অল্প পরিমাণ কনডেন্সড মিল্ক, ১ টেবিল চামচ ঘি।
সবকিছু একত্রে মাঝারি তাপে ভালোভাবে নেড়ে ঘন হলে নামিয়ে নিতে হবে। বেশি রান্না করা যাবে না। তাতে মালাই শক্ত হয়ে যাবে।
পদ্ধতি
প্রথমে একটি প্যানে গ্রেট করা গাজর নিয়ে সামান্য পানি দিয়ে ঢেকে ভাপ দিতে হবে। গাজর নরম হয়ে সেদ্ধ হয়ে এলে নামিয়ে ফেলতে হবে। এখন একটি ননস্টিক অথবা ফ্রাইপ্যান গরম করে ঘি দিয়ে সেদ্ধ গাজরগুলো ৭ থেকে ৮ মিনিট মাঝারি আঁচে ভুনে কনডেন্সড মিল্ক দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। তারপর গুঁড়া দুধ আর এলাচি গুঁড়া দিয়ে আরও ১০ থেকে ১২ মিনিট জ্বাল দিয়ে হালুয়া শুকিয়ে ঘন হয়ে প্যানের গা ছেড়ে এলে নামিয়ে ফেলুন।
এখন বড় একটি বাটিতে ছানা, কনডেন্সড মিল্ক, গুঁড়া দুধ আর এলাচি গুঁড়া সব একসঙ্গে নিয়ে ভালো করে মেখি একটা প্যানে ঘি দিয়ে চুলায় মাঝারি আঁচে জ্বাল দিয়ে অনবরত নাড়তে হবে, যেন নিচে লেগে না যায়। হালুয়া শুকিয়ে প্যানের গা ছেড়ে এলে নামিয়ে ফেলতে হবে।
একটি ওয়াক্স পেপার বিছিয়ে গাজরের মিশ্রণটা বিছিয়ে দিয়ে তার ওপর আবার ওয়াক্স পেপার বিছিয়ে এবার বেলুন দিয়ে চৌকোনা আকারে আধা ইঞ্চি পুরু করে রুটির মতো বেলে নিতে হবে। এবার ছানার মিশ্রণটা দিয়ে দিন। হালকা গরম থাকা অবস্থায় একটু মথে মোটা করে রোল করে নিয়ে গাজরের মিশ্রণের ওপর বিছিয়ে সুইস রোলের মতো রোল করে টাইট করে পেঁচিয়ে মিনিমাম ২-৩ ঘণ্টা নরমাল ফ্রিজে রেখে দিতে হবে সেট হওয়ার জন্য।
সেট হয়ে গেলে নামিয়ে পছন্দমতো পিস পিস করে কেটে ওপরে মালাই দিয়ে পরিবেশন করুন দারুণ মজার এই ডেজার্ট।
স্ট্রবেরি ট্রাইফল
উপকরণ
১ প্যাকেট অথবা ৮০ গ্রাম স্ট্রবেরি জেলেটিন পাউডার, পছন্দমতো কেকের পিস, ২৫০ মিলি হুইপিং ক্রিম, আধা কাপ আইসিং সুগার, আধা চা-চামচ ভ্যানিলা অ্যাসেন্স, আধা লিটার গরুর দুধ, আধা কাপ কাস্টার্ড পাউডার, আধা টেবিল চামচ, পছন্দমতো টুকরো করা স্ট্রবেরি, গার্নিশিংয়ের জন্য চেরি।
প্রস্তুতপ্রণালি
প্রথমে স্ট্রবেরি জেলি তৈরি করার জন্য ১ প্যাকেট জেলোটিন পাউডারের সঙ্গে ৩ কাপ গরম পানি মিশিয়ে যে পাত্রে ট্রাইফল সেট করবেন, সে পাত্রেই জেলি সেট নিন। ফ্রিজে রেখে দিন আধা ঘণ্টা।
এবার একটি বড় পাত্রে হুইপিং ক্রিম, আইসিং সুগার ও ভ্যানিলা অ্যাসেন্স নিয়ে বিটার মেশিনের সাহায্যে ৮ থেকে ১০ মিনিট বিট করে হুইপড ক্রিম তৈরি করে নিন।
কাস্টার্ড ক্রিম তৈরি করার জন্য দুধের সঙ্গে চিনি এবং কাস্টার্ড পাউডার ভালো করে মিশিয়ে চুলায় মাঝারি আঁচে জ্বাল দিয়ে ঘন করে নিয়ে নামিয়ে ঠান্ডা করুন।
ট্রাইফল সেট করার জন্য জেলি সেট করা পাত্রে জেলির ওপর পছন্দমতো কেক ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সেট করে নিন। তারপর তার ওপর ঠান্ডা করে রাখা কাস্টার্ড ক্রিম সেট করে নিন। এরপর কাস্টার্ড ক্রিমের ওপর টুকরো করে রাখা স্ট্রবেরি ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সেট করে নিয়ে বানিয়ে রাখা হুইপড ক্রিম দিয়ে ডিজাইন করুন। তারপর পুরোটা ফ্রিজে রেখে দিন ২ ঘণ্টা। ঠান্ডা করে ওপরে কিছু স্ট্রবেরির টুকরো ও চেরি দিয়ে গার্নিশ করে পরিবেশন করুন।
হায়দ্রাবাদি চিকেন বিরিয়ানি
উপকরণ
মাংসের জন্য লাগবে
বড় করে টুকরো করা ১ কেজি মুরগির মাংস, আধা কাপ টক দই, আধা কাপ তেল, আস্ত গরম মসলা, ১ কাপ পেঁয়াজ কুচি, ২ টেবিল চামচ আদা বাটা, ১ টেবিল চামচ রসুন বাটা, ২ টেবিল চামচ পেঁয়াজ বাটা, ১ টেবিল চামচ কাঠবাদাম বাটা, ২ টেবিল চামচ বিরিয়ানি মসলা, ১ চা-চামচ লাল মরিচের গুঁড়া, আধা চা-চামচ চিনি, ১ মুঠ পেঁয়াজ বেরেস্তা, লবণ স্বাদমতো।
বিরিয়ানির জন্য লাগবে
৫০০ গ্রাম সুগন্ধি পোলাওয়ের চাল, ৩ টেবিল চামচ তেল, ৩-৪টি আস্ত এলাচি, ১ টুকরো দারুচিনি, ৩-৪টি লবঙ্গ, ১টি তেজপাতা, ১টি স্টার এনিস, ৪-৫টি আস্ত কাঁচা মরিচ, ৬-৭টা আলুবোখারা, ৩ টেবিল চামচ ঘি, ১ চা-চামচ শাহি জিরা, ১ চা-চামচ কেওড়া জল, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস, আধা কাপ কুসুমগরম দুধ, কিছু কাঠবাদাম কুচি ও কিশমিশ, সামান্য জাফরান অথবা জর্দা রং, পেঁয়াজ বেরেস্তা পরিমাণমতো, গরম পানি পরিমাণমতো, লবণ স্বাদমতো এবং আটার খামির।
প্রস্তুতপ্রণালি
প্রথমে মাংস ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিয়ে টক দইসহ সব বাটা ও গুঁড়া মসলা ও লবণ দিয়ে মাংস ভালো করে মেখে কমপক্ষে তিন ঘণ্টা রেখে দিন।
পোলাওয়ের চাল ধুয়ে আধা ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে একটি ছাঁকনিতে পানি ঝরিয়ে রাখুন। দুধ কিছুটা গরম করে জাফরান দিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিতে হবে জাফরানের রং বের হওয়ার জন্য।
এখন আরেকটি পাতিলে পর্যাপ্ত পরিমাণ গরম পানি দিয়ে তাতে আস্ত গরম মসলা, তেল, লবণ দিয়ে এতে বাবল এলে ছেঁকে রাখা চালগুলো দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। চাল ৭০ শতাংশ সেদ্ধ হয়ে এলে একটি ছাঁকনিতে ছেঁকে নিতে হবে।
এবার যে পাতিলে বিরিয়ানি রান্না করা হবে, সেই পাতিলে তেল গরম করে আস্ত গরম মসলা ও পেঁয়াজকুচি হালকা বাদামি কর ভেজে মেরিনেট করা মাংস রান্না করতে হবে। প্রথমে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ১০ মিনিট, তারপর ঢাকনা খুলে মাঝারি আঁচে আরও ১০ মিনিট জ্বাল দিতে হবে, যাতে করে মুরগি থেকে ওঠা ঝোল কিছুটা শুকিয়ে আসে। তারপর এর ওপর পেঁয়াজ বেরেস্তা, লেবুর রস, বাদাম কুচি, কিশমিশ, মাওয়া, কাঁচা মরিচ, আলুবোখারা ছিটিয়ে দিয়ে ছেঁকে রাখা ভাত দিয়ে দিন। তার ওপর পেঁয়াজ বেরেস্তা, বাদাম, কিশমিশ, শাহি জিরা, কেওড়া জল দিয়ে মাঝে গর্ত করে জাফরান মেশানো দুধ দিয়ে দিন। এবার ঢাকনার মুখ ভালো করে সিল করে দিন খামির করে রাখা আটা দিয়ে।
এরপর চুলায় মোটা তাওয়া বসিয়ে ৫ মিনিট মিডিয়াম আঁচে তারপর ৩০ মিনিট একদম কম আঁচে দমে রাখতে হবে। তারপর হয়ে গেলে নামিয়ে ফেলতে হবে।
যদি বিরিয়ানি ভেজা মনে হয়, তাহলে আরও কিছুক্ষণ দমে বসিয়ে রাখতে হবে। হয়ে গেলে একটি সার্ভিস ডিশে নিয়ে গরম-গরম পরিবেশন করুন ।
মুতান্জান জর্দা
উপকরণ
১ কাপ বাসমতি চাল, খাবারের উপযোগী লাল, সবুজ, হলুদ, কমলা রং, পরিমাণ মতো ঘি, ৩-৪টা সবুজ এলাচি, ৩-৪টা লবঙ্গ, ১টি তেজপাতা, ২ টুকরো দারুচিনি, স্বাদমতো চিনি, আধা কাপ পানি, কিশমিশ, বাদাম, মোরব্বা টুকরো, আধা চা-চামচ কেওড়া জল ও বেবি সুইটস।
প্রস্তুতপ্রণালি
প্রথমে চাল আধা ঘণ্টা হালকা গরম পানিতে ভিজিয়ে রেখে ছেঁকে তুলে রাখুন। এবার হাঁড়িতে পানি গরম করে চাল দিয়ে দিন। চাল ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ সেদ্ধ হলে পানি ঝরিয়ে নিন।
একটি প্যানে ঘি গরম করে তাতে তেজপাতা, লবঙ্গ, দারুচিনি, কিশমিশ, বাদাম হালকা ভেজে চিনি ও অল্প পানি দিয়ে দিন। চিনি গলে গেলে তাতে রান্না করা ভাতের কিছুটা দিয়ে দিন। বাকি ভাতে পছন্দমতো রং দিয়ে ৫ মিনিট রেখে দিয়ে সাদা ভাতের ওপর আলতো করে রেখে দিতে হবে একপাশ করে, যেন রঙিন ভাতগুলো ছড়িয়ে না যায়। এভাবে ১৫ মিনিট দমে রাখার পর কেওড়া জল ও মোরব্বা দিয়ে আরও ৫ মিনিট দমে রেখে নামিয়ে নিন। তারপর পরিবেশন করার সময় ওপরে বেবি সুইটস বা ছোট ছোট মিষ্টি দিয়ে পরিবেশন করুন।
১৯৫১ সাল। ইরানের রাজা রেজা শাহ পাহলভি এলেন পৃথিমপাশা জমিদারবাড়িতে। সে এক হুলুস্থুল ব্যাপার! এ বাড়ির পূর্বপুরুষেরা ইরান থেকে এসেছিলেন বলে জানা যায়।
১ দিন আগেশীতে কাপড় ভালো রাখতে সেগুলোকে যেমন রোদে মেলে দিতে হয়, সম্পর্ক উন্নয়নে মাঝেমধ্যে তেমনি ভ্রমণেও যেতে হয়। শীত চলে এসেছে। ভ্রমণপ্রেমীরা হয়ে উঠেছেন সরব।
১ দিন আগেপর্যটন বন্ধে কারফিউ! হ্যাঁ, তেমনটিই ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। গ্রামের নাম বুকচন হ্যানোক। দক্ষিণ কোরিয়ার জংনো জেলায় এর অবস্থান। বুকচন হ্যানোক দেশটির ‘মাস্ট ভিজিট’ পর্যটন গন্তব্য।
১ দিন আগেভ্রমণের স্বাদ একবার রক্তে ঢুকলে, তা থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। এক অদৃশ্য তাড়না কাজ করতে থাকে ভেতরে-ভেতরে।
১ দিন আগে