আজকের পত্রিকা ডেস্ক
প্রশ্ন: আমি একজন নারী। একটা করপোরেট অফিসে কর্মরত আছি। পাঁচ বছর আগে আমি একজনকে পছন্দ করতাম। কিন্তু পরিবার মেনে নেবে না বলে তাকে বিয়ে করিনি। কয়েক দিন আগে শুনলাম সে মানসিক হতাশা থেকে আত্মহত্যা করেছে। যদিও আমার সঙ্গে তার দীর্ঘ সময় যোগাযোগ ছিল না এবং আমরা আলাদা আলাদা সংসারে বসবাস করতাম।
কিন্তু তার মৃত্যুর কথা শোনার পর থেকে আমি ভেতরে-ভেতরে ভেঙে পড়ছি। না পারছি ঘুমাতে, না পারছি ঠিকমতো খাওয়াদাওয়া করতে। সবকিছুতেই মনে হচ্ছে আমি কেন তার কোনো খোঁজ নিইনি। বছরখানেক আগে সে আমার সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিল। তখন রূঢ়ভাবে নিষেধ করে দিয়েছিলাম। নিজেকে কেমন জানি অপরাধী মনে হচ্ছে। নিজেকে কীভাবে সেলফ কাউন্সেলিং করব—একটু জানাবেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, শরীয়তপুর
উওর: প্রিয় কোনো মানুষের মৃত্যুর কথা আমাদের অনেক আবেগতাড়িত করে, তখন আমরা শোকে কাতর হয়ে পড়ি। আগের কথাগুলো বারবার মনে পড়ে। এমন অবস্থায় ওই ব্যক্তির সঙ্গে যদি সম্পর্ক না থাকে বা তার সঙ্গে কোনো মনোমালিন্য হয়, তখন আমরা অপরাধবোধে ভুগে থাকি। আপনি বর্তমানে সে রকম একটি অবস্থায় আছেন, তা আপনার লেখায় স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। তবে এ অবস্থায় অপরাধবোধে না থেকে তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করুন। কোন কারণে আপনার কষ্ট বেশি হচ্ছে, আগের কোনো স্মৃতি মনে পড়ে থাকলে সেগুলো একটি ডায়েরিতে লিখে নিজের মনকে শান্ত করার চেষ্টা করতে পারেন। তা ছাড়া কথাগুলো শেয়ার করা যায় এমন ব্যক্তি, বন্ধু বা নিজের পরিবারের কারও সঙ্গে শেয়ার করতে পারেন। এ সময় নিজের যত্ন নেবেন, যে কাজ করলে প্রশান্তি পাবেন, তেমন কাজে নিজেকে যুক্ত করবেন। এরপরও যদি এ অবস্থা থেকে বের হতে না পারেন, তাহলে একজন প্রফেশনাল মনোবিজ্ঞানী বা সাইকোথেরাপিস্টের সহায়তা নিতে পারেন।
প্রশ্ন: আমি একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছি। আমার নিজেকে নিয়ে অনেক সমস্যা। আমার ধৈর্য অনেক কম। কোনো কাজ ঠিকমতো করতে পারি না। পড়ালেখা ভালোভাবে করতে চাই। কিন্তু আমার নিজের ভেতরের অস্থিরতার জন্য সেটা আর হয়ে উঠছে না। মনে হয়, একজন মনের মতো পার্টনার থাকলে আমার জন্য ভালো হতো। যার সঙ্গে অনেক সুন্দর সময় কাটানো যায় এবং কথা বলা যায়, তেমন একজন পার্টনার। আবার হঠাৎ মনে হয়, কখনো বিয়েই করব না। একা থাকব। কী লাভ অন্যকে নিজের জীবনে জড়িয়ে। আমি একটা নির্মল সুন্দর জীবন চাই, যেখানে কোনো কিছুর তাড়া কাজ করবে না। নিজের মনকে স্থির করার জন্য কী করতে পারি?
নাবিলা, ডেমরা
উওর: আপনি আপনার সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে পেরেছেন এবং সে অবস্থা থেকে মুক্তি চান, এটি খুবই ইতিবাচক বিষয়। এ জন্য চেষ্টা করবেন নিজের শরীর ও মনের যত্ন নিতে। প্রতিদিন কিছু হালকা ব্যায়াম, যেমন ইয়োগা, গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম ইত্যাদি করা শুরু করতে পারেন। এতে আপনার কাজে মনোযোগ বাড়বে। যেহেতু সমস্যাগুলো থেকে আপনি বের হতে চাইছেন কিন্তু পারছেন না, এ জন্য আপনি একজন প্রফেশনাল মনোবিজ্ঞানী বা সাইকোথেরাপিস্টের সহায়তা নিতে পারেন।
পরামর্শ দিয়েছেন: নাঈমা ইসলাম অন্তরা, সাইকোলজিস্ট ও ট্রেইনার
প্রশ্ন: আমি একজন নারী। একটা করপোরেট অফিসে কর্মরত আছি। পাঁচ বছর আগে আমি একজনকে পছন্দ করতাম। কিন্তু পরিবার মেনে নেবে না বলে তাকে বিয়ে করিনি। কয়েক দিন আগে শুনলাম সে মানসিক হতাশা থেকে আত্মহত্যা করেছে। যদিও আমার সঙ্গে তার দীর্ঘ সময় যোগাযোগ ছিল না এবং আমরা আলাদা আলাদা সংসারে বসবাস করতাম।
কিন্তু তার মৃত্যুর কথা শোনার পর থেকে আমি ভেতরে-ভেতরে ভেঙে পড়ছি। না পারছি ঘুমাতে, না পারছি ঠিকমতো খাওয়াদাওয়া করতে। সবকিছুতেই মনে হচ্ছে আমি কেন তার কোনো খোঁজ নিইনি। বছরখানেক আগে সে আমার সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিল। তখন রূঢ়ভাবে নিষেধ করে দিয়েছিলাম। নিজেকে কেমন জানি অপরাধী মনে হচ্ছে। নিজেকে কীভাবে সেলফ কাউন্সেলিং করব—একটু জানাবেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, শরীয়তপুর
উওর: প্রিয় কোনো মানুষের মৃত্যুর কথা আমাদের অনেক আবেগতাড়িত করে, তখন আমরা শোকে কাতর হয়ে পড়ি। আগের কথাগুলো বারবার মনে পড়ে। এমন অবস্থায় ওই ব্যক্তির সঙ্গে যদি সম্পর্ক না থাকে বা তার সঙ্গে কোনো মনোমালিন্য হয়, তখন আমরা অপরাধবোধে ভুগে থাকি। আপনি বর্তমানে সে রকম একটি অবস্থায় আছেন, তা আপনার লেখায় স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। তবে এ অবস্থায় অপরাধবোধে না থেকে তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করুন। কোন কারণে আপনার কষ্ট বেশি হচ্ছে, আগের কোনো স্মৃতি মনে পড়ে থাকলে সেগুলো একটি ডায়েরিতে লিখে নিজের মনকে শান্ত করার চেষ্টা করতে পারেন। তা ছাড়া কথাগুলো শেয়ার করা যায় এমন ব্যক্তি, বন্ধু বা নিজের পরিবারের কারও সঙ্গে শেয়ার করতে পারেন। এ সময় নিজের যত্ন নেবেন, যে কাজ করলে প্রশান্তি পাবেন, তেমন কাজে নিজেকে যুক্ত করবেন। এরপরও যদি এ অবস্থা থেকে বের হতে না পারেন, তাহলে একজন প্রফেশনাল মনোবিজ্ঞানী বা সাইকোথেরাপিস্টের সহায়তা নিতে পারেন।
প্রশ্ন: আমি একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছি। আমার নিজেকে নিয়ে অনেক সমস্যা। আমার ধৈর্য অনেক কম। কোনো কাজ ঠিকমতো করতে পারি না। পড়ালেখা ভালোভাবে করতে চাই। কিন্তু আমার নিজের ভেতরের অস্থিরতার জন্য সেটা আর হয়ে উঠছে না। মনে হয়, একজন মনের মতো পার্টনার থাকলে আমার জন্য ভালো হতো। যার সঙ্গে অনেক সুন্দর সময় কাটানো যায় এবং কথা বলা যায়, তেমন একজন পার্টনার। আবার হঠাৎ মনে হয়, কখনো বিয়েই করব না। একা থাকব। কী লাভ অন্যকে নিজের জীবনে জড়িয়ে। আমি একটা নির্মল সুন্দর জীবন চাই, যেখানে কোনো কিছুর তাড়া কাজ করবে না। নিজের মনকে স্থির করার জন্য কী করতে পারি?
নাবিলা, ডেমরা
উওর: আপনি আপনার সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে পেরেছেন এবং সে অবস্থা থেকে মুক্তি চান, এটি খুবই ইতিবাচক বিষয়। এ জন্য চেষ্টা করবেন নিজের শরীর ও মনের যত্ন নিতে। প্রতিদিন কিছু হালকা ব্যায়াম, যেমন ইয়োগা, গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম ইত্যাদি করা শুরু করতে পারেন। এতে আপনার কাজে মনোযোগ বাড়বে। যেহেতু সমস্যাগুলো থেকে আপনি বের হতে চাইছেন কিন্তু পারছেন না, এ জন্য আপনি একজন প্রফেশনাল মনোবিজ্ঞানী বা সাইকোথেরাপিস্টের সহায়তা নিতে পারেন।
পরামর্শ দিয়েছেন: নাঈমা ইসলাম অন্তরা, সাইকোলজিস্ট ও ট্রেইনার
আশি কিংবা নব্বইয়ের দশকের বাংলা সিনেমা দেখে এই প্রজন্মের অনেক মেয়েরই চোখ ছানাবড়া হবে। না না, নেতিবাচক অর্থে বলছি না। সে সময় দুই গালে মেয়েরা লালচে আভার ব্লাশন ব্যবহার করত। খানিকটা বাড়তি ব্লাশন ব্যবহারই ছিল সে সময়কার ট্রেন্ড। ওই যে লোকে বলে না, তুষারকন্যার গাল ছিল আপেলের মতো লাল! তাই রাজকুমারীর মতো...
২৪ মিনিট আগেবাঙালি কম তেলে রাঁধতে জানে না, এ কথা স্বীকার করতে হবে গড়িমসি করে হলেও। বাড়িতে দাওয়াত রয়েছে মানে কড়াইয়ে নিত্যদিনের তুলনায় একটু বেশি তেল ঢেলে ফেলি। তেল জবজবে খাবার মানে কি সুস্বাদু? আর যদি হয়ও, তবে তা কোনোভাবেই স্বাস্থ্যকর নয়।
৩১ মিনিট আগেঅফিস থেকে ফিরেই যদি হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ ভেসে ওঠে—দল বেঁধে আজ রাতেই বন্ধুরা আসছে আপনার বাড়িতে। তাহলে সবার আগে ঝাড়ু, মপ, ওয়াইপার খুঁজতেই ছুটতে হয়। ঘরটা অন্তত দেখার মতো তো হওয়া চাই! তাড়াহুড়ো না করে ঝটপট যদি কয়েকটি বিষয়ে নজর দেওয়া যায়, তাহলেই ঘরটা অতিথিদের আগমনের জন্য প্রস্তুত হয়ে উঠবে...
৩৬ মিনিট আগেশীত আসার আগে থেকে চুলে খুশকি দেখা দেয়। এর জন্য মাথার ত্বকে ব্যবহার করি অ্যালোভেরা। এ ছাড়া রোজই চুলে শ্যাম্পু করি, কিন্তু খুশকি থেকে কোনোভাবে পরিত্রাণ পাচ্ছি না। কীভাবে সমস্যার সমাধান পেতে পারি?
৪২ মিনিট আগে