ডেস্ক রিপোর্ট
৪ অক্টোবর বুধবার ভোরে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে তছনছ হয়ে যায় ভারতের পর্যটনবান্ধব এলাকা সিকিম। তিস্তা নদীর গ্রাসে তলিয়ে গেছে সেখানকার গ্রামের পর গ্রাম। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় বহু এলাকায় গত শনিবারেও পৌঁছাতে পারছিল না উদ্ধারকারী দল।
পৌঁছানো যায়নি অতিপ্রয়োজনীয় ওষুধ, খাদ্য ও অন্যান্য সামগ্রী। সিকিমের লোয়ার জঙ্গুতে তিস্তার সেতু পানির তোড়ে ভেসে গেছে।
সেখানে আশ্রয়হীন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন গ্রামটির বহু মানুষ। স্থানীয় প্রশাসন ও বেশ কিছু সংস্থার উদ্যোগে জিপলাইন তৈরি করে ট্রলি লাগিয়ে এক পাশ থেকে অন্য পাশে বন্যাকবলিত গ্রামটিতে ওষুধ-খাদ্যের সঙ্গে জরুরি জিনিসপত্র পাঠানোর ব্যবস্থা করছে। নামচি, গ্যাংটক মিলিয়ে প্রায় ৩ হাজার পর্যটক আটকে ছিল বলে জানিয়েছে ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যম।
তবে মেঘ কাটিয়ে আবহাওয়া এখন অনুকূল হতে শুরু করেছে বিপর্যস্ত সিকিমে। আকাশপথে উত্তর সিকিম থেকে পর্যটকদের উদ্ধার করতে শুরু করেছেন ভারতীয় সেনাসদস্যরা। গত সোমবার সেখান থেকে মোট ১৪৯ জন পর্যটককে উদ্ধার করেছেন তাঁরা। ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, উত্তর সিকিমের পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্ধার করার দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে সেনারা। এয়ারলিফট ছাড়াও ইতিমধ্যে বহু পর্যটককে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।
বন্যা বিপর্যয়ের প্রথম দিন থেকে উদ্ধারকাজ পরিচালনা করছেন ভারতীয় সেনাসদস্যরা। তবে সেখানে আটকে থাকা মানুষের সংখ্যাটা ঠিক কত, তা নির্দিষ্ট করে জানা যায়নি। সোমবার পূর্ব সিকিমের পাকিয়ং বিমানবন্দর থেকে একের পর এক সেনা হেলিকপ্টার উত্তর সিকিমের দিকে উড়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো। সেনাদের পক্ষ থেকে দেওয়া একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উত্তর সিকিমের বিপর্যস্ত এলাকার বাসিন্দাদের বাদ দিয়ে শুধু পর্যটকদের সংখ্যা প্রায় ২ হাজার। তাঁদের মধ্যে ৬৩ জন বিদেশি পর্যটক রয়েছেন। আটকে পড়া পর্যটকদের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী ও ওষুধপত্র পাঠানোর ব্যবস্থা করেছেন উদ্ধারকর্মী সেনারা।
গত মঙ্গলবার পর্যন্ত উত্তর সিকিমের চতেন থেকে ২৯ এবং লাচুং থেকে ১২০ জনকে উদ্ধার করে গ্যাংটকে নিয়ে আসা হয়েছে। তাঁদের মঙ্গলবার সিকিম সরকারের বাসে করে লাভা, গরুবাথান হয়ে শিলিগুড়ি নিয়ে যাওয়া হয়। ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের এয়ারলিফটে লাচুং থেকে আরও ১৭৬ জনকে গ্যাংটকে আনা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১৭ জন বিদেশিসহ বহু পর্যটক, স্থানীয় বাসিন্দা ও শ্রমিক রয়েছেন। উত্তর সিকিমের বিভিন্ন গ্রামের মধ্যে সংযোগকারী যে সেতু এবং রাস্তাগুলো ভেসে গিয়েছিল, সেগুলো সংযোগের কাজ করছে সেনারা। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সিকিম আবার স্বাভাবিক পরিস্থিতির মধ্যে ফিরবে বলে আশাবাদী পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
জানা গেছে, ক্ষতিগ্রস্ত লাচুং এবং লাচুং আটকে ছিলেন প্রায় ১ হাজার ২০০ পর্যটক। তাঁদের উদ্ধারের পর প্রথমে শিলিগুড়ি ও গ্যাংটকের ১০০ হোটেলে বিনা মূল্যে থাকার ব্যবস্থা করা হয়। এ ছাড়া তাঁদের কম খরচে ফেরার ব্যবস্থা করেছেন ট্যুর অপারেটররা। লাভা থেকে মনসুং, রংপো থেকে ছোট ছোট গাড়ি চলাচল শুরু করেছে পর্যটকদের জন্য। ভারতীয় সেনারা স্যাটেলাইট ফোন চালু করে পর্যটকদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের ব্যবস্থা করেছেন। এ ছাড়া পূর্ব ও পশ্চিম সিকিমে চারটি রাস্তা খুলে দেওয়া হয়েছে।
সূত্র: আনন্দবাজার, টিভি৯ বাংলা নিউজ, বর্তমান।
৪ অক্টোবর বুধবার ভোরে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে তছনছ হয়ে যায় ভারতের পর্যটনবান্ধব এলাকা সিকিম। তিস্তা নদীর গ্রাসে তলিয়ে গেছে সেখানকার গ্রামের পর গ্রাম। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় বহু এলাকায় গত শনিবারেও পৌঁছাতে পারছিল না উদ্ধারকারী দল।
পৌঁছানো যায়নি অতিপ্রয়োজনীয় ওষুধ, খাদ্য ও অন্যান্য সামগ্রী। সিকিমের লোয়ার জঙ্গুতে তিস্তার সেতু পানির তোড়ে ভেসে গেছে।
সেখানে আশ্রয়হীন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন গ্রামটির বহু মানুষ। স্থানীয় প্রশাসন ও বেশ কিছু সংস্থার উদ্যোগে জিপলাইন তৈরি করে ট্রলি লাগিয়ে এক পাশ থেকে অন্য পাশে বন্যাকবলিত গ্রামটিতে ওষুধ-খাদ্যের সঙ্গে জরুরি জিনিসপত্র পাঠানোর ব্যবস্থা করছে। নামচি, গ্যাংটক মিলিয়ে প্রায় ৩ হাজার পর্যটক আটকে ছিল বলে জানিয়েছে ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যম।
তবে মেঘ কাটিয়ে আবহাওয়া এখন অনুকূল হতে শুরু করেছে বিপর্যস্ত সিকিমে। আকাশপথে উত্তর সিকিম থেকে পর্যটকদের উদ্ধার করতে শুরু করেছেন ভারতীয় সেনাসদস্যরা। গত সোমবার সেখান থেকে মোট ১৪৯ জন পর্যটককে উদ্ধার করেছেন তাঁরা। ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, উত্তর সিকিমের পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্ধার করার দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে সেনারা। এয়ারলিফট ছাড়াও ইতিমধ্যে বহু পর্যটককে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।
বন্যা বিপর্যয়ের প্রথম দিন থেকে উদ্ধারকাজ পরিচালনা করছেন ভারতীয় সেনাসদস্যরা। তবে সেখানে আটকে থাকা মানুষের সংখ্যাটা ঠিক কত, তা নির্দিষ্ট করে জানা যায়নি। সোমবার পূর্ব সিকিমের পাকিয়ং বিমানবন্দর থেকে একের পর এক সেনা হেলিকপ্টার উত্তর সিকিমের দিকে উড়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো। সেনাদের পক্ষ থেকে দেওয়া একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উত্তর সিকিমের বিপর্যস্ত এলাকার বাসিন্দাদের বাদ দিয়ে শুধু পর্যটকদের সংখ্যা প্রায় ২ হাজার। তাঁদের মধ্যে ৬৩ জন বিদেশি পর্যটক রয়েছেন। আটকে পড়া পর্যটকদের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী ও ওষুধপত্র পাঠানোর ব্যবস্থা করেছেন উদ্ধারকর্মী সেনারা।
গত মঙ্গলবার পর্যন্ত উত্তর সিকিমের চতেন থেকে ২৯ এবং লাচুং থেকে ১২০ জনকে উদ্ধার করে গ্যাংটকে নিয়ে আসা হয়েছে। তাঁদের মঙ্গলবার সিকিম সরকারের বাসে করে লাভা, গরুবাথান হয়ে শিলিগুড়ি নিয়ে যাওয়া হয়। ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের এয়ারলিফটে লাচুং থেকে আরও ১৭৬ জনকে গ্যাংটকে আনা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১৭ জন বিদেশিসহ বহু পর্যটক, স্থানীয় বাসিন্দা ও শ্রমিক রয়েছেন। উত্তর সিকিমের বিভিন্ন গ্রামের মধ্যে সংযোগকারী যে সেতু এবং রাস্তাগুলো ভেসে গিয়েছিল, সেগুলো সংযোগের কাজ করছে সেনারা। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সিকিম আবার স্বাভাবিক পরিস্থিতির মধ্যে ফিরবে বলে আশাবাদী পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
জানা গেছে, ক্ষতিগ্রস্ত লাচুং এবং লাচুং আটকে ছিলেন প্রায় ১ হাজার ২০০ পর্যটক। তাঁদের উদ্ধারের পর প্রথমে শিলিগুড়ি ও গ্যাংটকের ১০০ হোটেলে বিনা মূল্যে থাকার ব্যবস্থা করা হয়। এ ছাড়া তাঁদের কম খরচে ফেরার ব্যবস্থা করেছেন ট্যুর অপারেটররা। লাভা থেকে মনসুং, রংপো থেকে ছোট ছোট গাড়ি চলাচল শুরু করেছে পর্যটকদের জন্য। ভারতীয় সেনারা স্যাটেলাইট ফোন চালু করে পর্যটকদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের ব্যবস্থা করেছেন। এ ছাড়া পূর্ব ও পশ্চিম সিকিমে চারটি রাস্তা খুলে দেওয়া হয়েছে।
সূত্র: আনন্দবাজার, টিভি৯ বাংলা নিউজ, বর্তমান।
১৯৫১ সাল। ইরানের রাজা রেজা শাহ পাহলভি এলেন পৃথিমপাশা জমিদারবাড়িতে। সে এক হুলুস্থুল ব্যাপার! এ বাড়ির পূর্বপুরুষেরা ইরান থেকে এসেছিলেন বলে জানা যায়।
১ দিন আগেশীতে কাপড় ভালো রাখতে সেগুলোকে যেমন রোদে মেলে দিতে হয়, সম্পর্ক উন্নয়নে মাঝেমধ্যে তেমনি ভ্রমণেও যেতে হয়। শীত চলে এসেছে। ভ্রমণপ্রেমীরা হয়ে উঠেছেন সরব।
১ দিন আগেপর্যটন বন্ধে কারফিউ! হ্যাঁ, তেমনটিই ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। গ্রামের নাম বুকচন হ্যানোক। দক্ষিণ কোরিয়ার জংনো জেলায় এর অবস্থান। বুকচন হ্যানোক দেশটির ‘মাস্ট ভিজিট’ পর্যটন গন্তব্য।
১ দিন আগেভ্রমণের স্বাদ একবার রক্তে ঢুকলে, তা থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। এক অদৃশ্য তাড়না কাজ করতে থাকে ভেতরে-ভেতরে।
১ দিন আগে