থানচি (বান্দরবান) প্রতিনিধি
বান্দরবান জেলার বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত ঘেঁষে ছড়িয়ে আছে থানচি উপজেলা। এখানে আছে ছোট-বড় অসংখ্য ঝিরি-ঝরনা। পর্যটকদের জন্য আছে প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা অনেক পর্যটনকেন্দ্র। একসঙ্গে এত বিখ্যাত পর্যটন গন্তব্য সম্ভবত পার্বত্য অঞ্চলে আর কোথাও পাওয়া যাবে না। এগুলোর মধ্যে আছে আমিয়াখুম, রাফাখুম, সাত ভাইখুম, বড়পাথর, বংড, ক্রউডং, রেমাক্রি, তমাতুঙ্গি, কুমারী ঝরনা, লাংলোক ঝরনা, তহজিংডং ও সাপাইহাংখুম। তা ছাড়া আছে বগা লেক, কেওক্রাডং, ডিম পাহাড়সহ অসংখ্য পাহাড়।
পর্যটনবান্ধব এ উপজেলায় গড়ে উঠেছে ছোট-বড় শত শত হোটেল-মোটেল ও রেস্টহাউস। এখানে চান্দের গাড়ির সংখ্যা শতাধিক। তা ছাড়া পর্যটক গাইডের সংখ্যা দেড় শতাধিক। প্রকৃতির মতো পর্যটনশিল্পের সঙ্গে জড়িত সবাই অপেক্ষায় আছে আপনার।
কীভাবে যাবেন থানচি
ঢাকা থেকে ট্রেনে, বাসে বা আকাশপথে প্রথমে চট্টগ্রাম। সেখান থেকে সোজা বান্দরবান। বান্দরবান থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে থানচি উপজেলা সদর ও বাজার। বান্দরবান শহর থেকে পাবলিক বাস অথবা জিপ বা চান্দের গাড়িতে করে থানচি যেতে হয়। তবে চান্দের গাড়িতে গেলে পথের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায় ভালোভাবে।
থানচির প্রশাসনিক কাজ
শঙ্খ বা সাঙ্গু নদীর তীরে অবস্থিত থানচি উপজেলা সদরের থানচি বাজার। সেখানে পৌঁছানোর পর উপজেলা প্রশাসনের পর্যটক সেবা কেন্দ্রে যেতে হবে। সেখানে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত গাইড রয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের এক কপি ফটোকপি, কোথায় ভ্রমণ করবেন এবং ১০০ টাকার দুটি ফরম নিয়ে পূরণ করে দিতে হবে। থানা ও বিজিবি ক্যাম্পে তালিকা রেখে নৌকা নিয়ে বেরিয়ে পড়বেন। তবে বিকেল ৪টার পর আর যাওয়া যাবে না।
থানচি টু রেমাক্রি
থানচি থেকে রেমাক্রি বাজার পর্যন্ত যাওয়ার একমাত্র অবলম্বন সাঙ্গু নদী দিয়ে নৌকায়। আসা-যাওয়ার নৌকা ও গাইড ঠিক করে নেবেন থানচি বাজারের নৌকাচালক সমিতির প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে। এই পথে পর্যটক গাইড নেওয়া বাধ্যতামূলক। নৌকাচালক সমিতির অফিসে পর্যটকদের নাম, ঠিকানাসহ বিভিন্ন তথ্য সরবরাহ করলেই ভ্রমণের অনুমতি মিলবে। রেমাক্রি থেকে নাফাখুম ঝরনা যাওয়ার কোনো পরিবহনব্যবস্থা নেই বলে হেঁটে পাড়ি দিতে হয়। রেমাক্রি পৌঁছার পর থানচি বাজার থেকে সঙ্গে নেওয়া গাইড রেখে নতুন আরেকজন নিতে হবে। দিনে গিয়ে দিনেই নাফাখুম ঝরনা থেকে থানচি ফিরে আসা খুবই কষ্টকর। তাই চাইলে রেমাক্রিতে রাতযাপন করে চারপাশটা ভালোভাবে ঘুরেফিরে দেখে আসতে পারেন। আর যাঁরা দিনে গিয়ে দিনেই ফিরে আসতে চান, তাঁদের ভোর ৬টার মধ্যে থানচি থেকে যাত্রা শুরু করতে হবে। রেমাক্রি বাজার থেকে তিন ঘণ্টার হাঁটা দূরত্বে নাফাখুম ঝরনা।
রেমাক্রিতে স্থানীয় অধিবাসীদের বাড়িতে রান্না ও খাওয়ার সুব্যবস্থা রয়েছে। এখানে ১২০ থেকে ২৫০ টাকায় খাওয়া যায়। থানচি বাজার বা উপজেলা সদর ছাড়া রেমাক্রি তিন্দুর গেস্টহাউসগুলোতে রাতযাপনের জন্য প্রতিজনের ১৫০ টাকা ব্যয় করতে হবে।
সাত ভাইখুম, বেলাখুম, আমিয়াখুম কীভাবে যাবেন
নাফাখুম ঝরনা থেকে তিন ঘণ্টা হেঁটে গেলে জিন্নাপাড়া বিজিবি ক্যাম্প ও থুইসা খিয়ানপাড়া। এখানে রয়েছে পর্যটকদের জন্য মাচাং ঘরে খাওয়াদাওয়াসহ আবাসিক সুবিধা। এখানে রাত কাটিয়ে পরদিন সাত ভাইখুম, বেলাখুম, আমিয়াখুম, নাফাখুমে প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা ঝরনা দেখতে যাওয়া যাবে। রেমাক্রি বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীর কূল ধরে হেঁটে নাফাখুম ঝরনায় যেতে হয়। এই পথ ধরে নাফাখুম ঝরনার কাছে যেতে বারকয়েক সতর্কভাবে কোমর থেকে বুকপানি পাড়ি দিতে হয়। একের পর এক রোমাঞ্চকর
বাধা পেরিয়ে দেখা মিলবে কাঙ্ক্ষিত সে ঝরনার।
শরৎকাল শেষ হয়ে গেছে। এখন হেমন্তের শুরু। ঝরনার রূপ এখনো কিছুটা দেখা যাবে থানচির বিভিন্ন পাহাড়ে গেলে। পূজার ছুটিতে ঘুরে আসতে পারেন অপরূপ থানচি।
বান্দরবান জেলার বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত ঘেঁষে ছড়িয়ে আছে থানচি উপজেলা। এখানে আছে ছোট-বড় অসংখ্য ঝিরি-ঝরনা। পর্যটকদের জন্য আছে প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা অনেক পর্যটনকেন্দ্র। একসঙ্গে এত বিখ্যাত পর্যটন গন্তব্য সম্ভবত পার্বত্য অঞ্চলে আর কোথাও পাওয়া যাবে না। এগুলোর মধ্যে আছে আমিয়াখুম, রাফাখুম, সাত ভাইখুম, বড়পাথর, বংড, ক্রউডং, রেমাক্রি, তমাতুঙ্গি, কুমারী ঝরনা, লাংলোক ঝরনা, তহজিংডং ও সাপাইহাংখুম। তা ছাড়া আছে বগা লেক, কেওক্রাডং, ডিম পাহাড়সহ অসংখ্য পাহাড়।
পর্যটনবান্ধব এ উপজেলায় গড়ে উঠেছে ছোট-বড় শত শত হোটেল-মোটেল ও রেস্টহাউস। এখানে চান্দের গাড়ির সংখ্যা শতাধিক। তা ছাড়া পর্যটক গাইডের সংখ্যা দেড় শতাধিক। প্রকৃতির মতো পর্যটনশিল্পের সঙ্গে জড়িত সবাই অপেক্ষায় আছে আপনার।
কীভাবে যাবেন থানচি
ঢাকা থেকে ট্রেনে, বাসে বা আকাশপথে প্রথমে চট্টগ্রাম। সেখান থেকে সোজা বান্দরবান। বান্দরবান থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে থানচি উপজেলা সদর ও বাজার। বান্দরবান শহর থেকে পাবলিক বাস অথবা জিপ বা চান্দের গাড়িতে করে থানচি যেতে হয়। তবে চান্দের গাড়িতে গেলে পথের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায় ভালোভাবে।
থানচির প্রশাসনিক কাজ
শঙ্খ বা সাঙ্গু নদীর তীরে অবস্থিত থানচি উপজেলা সদরের থানচি বাজার। সেখানে পৌঁছানোর পর উপজেলা প্রশাসনের পর্যটক সেবা কেন্দ্রে যেতে হবে। সেখানে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত গাইড রয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের এক কপি ফটোকপি, কোথায় ভ্রমণ করবেন এবং ১০০ টাকার দুটি ফরম নিয়ে পূরণ করে দিতে হবে। থানা ও বিজিবি ক্যাম্পে তালিকা রেখে নৌকা নিয়ে বেরিয়ে পড়বেন। তবে বিকেল ৪টার পর আর যাওয়া যাবে না।
থানচি টু রেমাক্রি
থানচি থেকে রেমাক্রি বাজার পর্যন্ত যাওয়ার একমাত্র অবলম্বন সাঙ্গু নদী দিয়ে নৌকায়। আসা-যাওয়ার নৌকা ও গাইড ঠিক করে নেবেন থানচি বাজারের নৌকাচালক সমিতির প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে। এই পথে পর্যটক গাইড নেওয়া বাধ্যতামূলক। নৌকাচালক সমিতির অফিসে পর্যটকদের নাম, ঠিকানাসহ বিভিন্ন তথ্য সরবরাহ করলেই ভ্রমণের অনুমতি মিলবে। রেমাক্রি থেকে নাফাখুম ঝরনা যাওয়ার কোনো পরিবহনব্যবস্থা নেই বলে হেঁটে পাড়ি দিতে হয়। রেমাক্রি পৌঁছার পর থানচি বাজার থেকে সঙ্গে নেওয়া গাইড রেখে নতুন আরেকজন নিতে হবে। দিনে গিয়ে দিনেই নাফাখুম ঝরনা থেকে থানচি ফিরে আসা খুবই কষ্টকর। তাই চাইলে রেমাক্রিতে রাতযাপন করে চারপাশটা ভালোভাবে ঘুরেফিরে দেখে আসতে পারেন। আর যাঁরা দিনে গিয়ে দিনেই ফিরে আসতে চান, তাঁদের ভোর ৬টার মধ্যে থানচি থেকে যাত্রা শুরু করতে হবে। রেমাক্রি বাজার থেকে তিন ঘণ্টার হাঁটা দূরত্বে নাফাখুম ঝরনা।
রেমাক্রিতে স্থানীয় অধিবাসীদের বাড়িতে রান্না ও খাওয়ার সুব্যবস্থা রয়েছে। এখানে ১২০ থেকে ২৫০ টাকায় খাওয়া যায়। থানচি বাজার বা উপজেলা সদর ছাড়া রেমাক্রি তিন্দুর গেস্টহাউসগুলোতে রাতযাপনের জন্য প্রতিজনের ১৫০ টাকা ব্যয় করতে হবে।
সাত ভাইখুম, বেলাখুম, আমিয়াখুম কীভাবে যাবেন
নাফাখুম ঝরনা থেকে তিন ঘণ্টা হেঁটে গেলে জিন্নাপাড়া বিজিবি ক্যাম্প ও থুইসা খিয়ানপাড়া। এখানে রয়েছে পর্যটকদের জন্য মাচাং ঘরে খাওয়াদাওয়াসহ আবাসিক সুবিধা। এখানে রাত কাটিয়ে পরদিন সাত ভাইখুম, বেলাখুম, আমিয়াখুম, নাফাখুমে প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা ঝরনা দেখতে যাওয়া যাবে। রেমাক্রি বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীর কূল ধরে হেঁটে নাফাখুম ঝরনায় যেতে হয়। এই পথ ধরে নাফাখুম ঝরনার কাছে যেতে বারকয়েক সতর্কভাবে কোমর থেকে বুকপানি পাড়ি দিতে হয়। একের পর এক রোমাঞ্চকর
বাধা পেরিয়ে দেখা মিলবে কাঙ্ক্ষিত সে ঝরনার।
শরৎকাল শেষ হয়ে গেছে। এখন হেমন্তের শুরু। ঝরনার রূপ এখনো কিছুটা দেখা যাবে থানচির বিভিন্ন পাহাড়ে গেলে। পূজার ছুটিতে ঘুরে আসতে পারেন অপরূপ থানচি।
১৯৫১ সাল। ইরানের রাজা রেজা শাহ পাহলভি এলেন পৃথিমপাশা জমিদারবাড়িতে। সে এক হুলুস্থুল ব্যাপার! এ বাড়ির পূর্বপুরুষেরা ইরান থেকে এসেছিলেন বলে জানা যায়।
২ দিন আগেশীতে কাপড় ভালো রাখতে সেগুলোকে যেমন রোদে মেলে দিতে হয়, সম্পর্ক উন্নয়নে মাঝেমধ্যে তেমনি ভ্রমণেও যেতে হয়। শীত চলে এসেছে। ভ্রমণপ্রেমীরা হয়ে উঠেছেন সরব।
২ দিন আগেপর্যটন বন্ধে কারফিউ! হ্যাঁ, তেমনটিই ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। গ্রামের নাম বুকচন হ্যানোক। দক্ষিণ কোরিয়ার জংনো জেলায় এর অবস্থান। বুকচন হ্যানোক দেশটির ‘মাস্ট ভিজিট’ পর্যটন গন্তব্য।
২ দিন আগেভ্রমণের স্বাদ একবার রক্তে ঢুকলে, তা থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। এক অদৃশ্য তাড়না কাজ করতে থাকে ভেতরে-ভেতরে।
২ দিন আগে