আব্দুর রাজ্জাক, ঘিওর (মানিকগঞ্জ)
বিলের জলে ফুটে আছে শত শত সাদা শাপলা। এ যেন জলের বুকে শাপলায় আঁকা প্রকৃতির এক নকশিকাঁথা। পাখির কলরবে মুখর থাকে বিল ও এর আশপাশের এলাকা। আশ্চর্য সুন্দর এই বিলের দেখা পাবেন মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বাষ্টিয়া এলাকায়। স্থানীয়দের কাছে যার পরিচিতি মেন্দী বিল নামে।
সৌন্দর্য উপভোগের পাশাপাশি স্থানীয় অনেকেই এখান থেকে শাপলা তুলে নিজেরা সবজি হিসেবে খাচ্ছেন, কেউ বাজারে বিক্রি করছেন। বিলের অল্প পানিতে প্রচুর মাছও ধরা পড়ে। লতা-গুল্মে ভরা বিলের চারপাশও সবুজে আচ্ছাদিত।
সাধারণত বছরের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাস জুড়ে এখানে শাপলার আধিপত্য থাকে। বিলে পানি থাকে বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকে প্রায় পাঁচ মাস। শাপলা ফুটে রাতে, আর দিনের আলোতে আস্তে আস্তে ম্লান হয়ে যায় এর সৌন্দর্য। একটি শাপলা ফুলের মোটামুটি স্থায়িত্ব সাত দিন পর্যন্ত হয়ে থাকে। শাপলার সৌন্দর্য দেখতে ভোর থেকেই পর্যটকদের ভিড় শুরু হয়ে যায়।
এই এলাকার মানুষেরাও বেশ আন্তরিক। অন্য এলাকা থেকে দর্শনার্থী এলে, তাঁরা নৌকায় করে তাদের ঘুরিয়ে দেখান বিলের সৌন্দর্য। তবে দ্রুত পানি কমে যাওয়ায় এ মাসের পর আর মেন্দী বিলকে আকর্ষণীয় রূপে দেখা যাবে না বলে জানান স্থানীয়রা।
বাষ্টিয়া এলাকার মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ‘আমাদের মেন্দী বিলে সাদা শাপলায় ভরে যায়। এমন দৃশ্য সেই ছোট বেলা থেকেই দেখি আসছি। বর্ষার শুরু থেকে ৫-৬ মাস স্থানীয়রা এই বিলে দেশীয় মাছ শিকার করে খান।’
শুক্রবার সকালে বিলটিতে গেলে কথা হয় স্থানীয় কিশোর আকাশ, সজীব ও রাজুর সঙ্গে। তারা এই বিল থেকে নৌকায় করে শাপলা তুলে নিয়ে আসছে। তারা জানায়, এ সময় দুই মাস শাপলা তুলে বাজারে বিক্রি করে। শাপলার পরিমাণ দিন দিন কমে যাচ্ছে। সপ্তাহে ৩ দিন শাপলা তুলে। গড়ে দেড়-দুই শ টাকার শাপলা বিক্রি করে দিনে।
বেশ কয়েকটি নৌকায় বিভিন্ন বয়সী দর্শনার্থীরা ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। কয়েক জন সংবাদকর্মী ছবিও তুলছিলেন।
সপরিবারে নৌকায় করে বিলে ভ্রমণ করছিলেন স্কুলশিক্ষক মো. আলম। তুলছেন ছবিও। তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক খুশি চারপাশে তারার মতো জ্বলজ্বলে শাপলা দেখে। ফেসবুকে এর ছবি দেখে পরিবার নিয়ে এসেছি।’
সংবাদকর্মী শরিফুল ইসলাম বলেন, বিলে আলো করে যখন শাপলা ফুটে থাকে, তখন সেই রূপের সঙ্গে পৃথিবীর আর কোনো ফুলের সৌন্দর্যকে তুলনা করা যায় না। ঐতিহ্যবাহী মেন্দী বিলের শাপলার এই চিত্র ধারণ করে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করব।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মজিদ বলেন, মেন্দী বিলে প্রচুর শাপলা ও শালুক জন্মে। এ এলাকার দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য এই শাপলা-শালুক। এ ছাড়াও মেন্দী বিলে লতা, গুল্ম জন্মে। কৃষকেরা এগুলো গোখাদ্য হিসেবে ব্যবহার করেন। স্থানীয়রা এই বিলের শাপলা সবজি হিসেবে ব্যবহার করেন।
বালিয়াখোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল খান বলেন, পুরো বালিয়াখোড়া ইউনিয়নই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি। মেন্দী বিলের শাপলার সৌন্দর্য দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষজন আসেন।
জেলা কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, বর্ষা মৌসুমে কৃষিকাজ কমে গেলে শাপলা কিংবা বিলের মাছ বিক্রি করে স্থানীয় অনেকের চলতে হয়। তবে জমিতে অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার, বিলের চারপাশে নিষিদ্ধ চায়না, বেড়জাল দিয়ে মাছ শিকার করায় আগের মতো মাছও পাওয়া যায় না, শাপলাও ফোটে কম।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাজেদুল ইসলাম বলেন, জাতীয় ফুল শাপলা শুধু সৌন্দর্যই বিলায় না, সুস্বাদু খাবার হিসেবেও শাপলার বেশ কদর রয়েছে। দর্শনার্থীদের ঘুরে বেড়ানোর উপযুক্ত পরিবেশ তৈরিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব।
বিলের জলে ফুটে আছে শত শত সাদা শাপলা। এ যেন জলের বুকে শাপলায় আঁকা প্রকৃতির এক নকশিকাঁথা। পাখির কলরবে মুখর থাকে বিল ও এর আশপাশের এলাকা। আশ্চর্য সুন্দর এই বিলের দেখা পাবেন মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বাষ্টিয়া এলাকায়। স্থানীয়দের কাছে যার পরিচিতি মেন্দী বিল নামে।
সৌন্দর্য উপভোগের পাশাপাশি স্থানীয় অনেকেই এখান থেকে শাপলা তুলে নিজেরা সবজি হিসেবে খাচ্ছেন, কেউ বাজারে বিক্রি করছেন। বিলের অল্প পানিতে প্রচুর মাছও ধরা পড়ে। লতা-গুল্মে ভরা বিলের চারপাশও সবুজে আচ্ছাদিত।
সাধারণত বছরের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাস জুড়ে এখানে শাপলার আধিপত্য থাকে। বিলে পানি থাকে বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকে প্রায় পাঁচ মাস। শাপলা ফুটে রাতে, আর দিনের আলোতে আস্তে আস্তে ম্লান হয়ে যায় এর সৌন্দর্য। একটি শাপলা ফুলের মোটামুটি স্থায়িত্ব সাত দিন পর্যন্ত হয়ে থাকে। শাপলার সৌন্দর্য দেখতে ভোর থেকেই পর্যটকদের ভিড় শুরু হয়ে যায়।
এই এলাকার মানুষেরাও বেশ আন্তরিক। অন্য এলাকা থেকে দর্শনার্থী এলে, তাঁরা নৌকায় করে তাদের ঘুরিয়ে দেখান বিলের সৌন্দর্য। তবে দ্রুত পানি কমে যাওয়ায় এ মাসের পর আর মেন্দী বিলকে আকর্ষণীয় রূপে দেখা যাবে না বলে জানান স্থানীয়রা।
বাষ্টিয়া এলাকার মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ‘আমাদের মেন্দী বিলে সাদা শাপলায় ভরে যায়। এমন দৃশ্য সেই ছোট বেলা থেকেই দেখি আসছি। বর্ষার শুরু থেকে ৫-৬ মাস স্থানীয়রা এই বিলে দেশীয় মাছ শিকার করে খান।’
শুক্রবার সকালে বিলটিতে গেলে কথা হয় স্থানীয় কিশোর আকাশ, সজীব ও রাজুর সঙ্গে। তারা এই বিল থেকে নৌকায় করে শাপলা তুলে নিয়ে আসছে। তারা জানায়, এ সময় দুই মাস শাপলা তুলে বাজারে বিক্রি করে। শাপলার পরিমাণ দিন দিন কমে যাচ্ছে। সপ্তাহে ৩ দিন শাপলা তুলে। গড়ে দেড়-দুই শ টাকার শাপলা বিক্রি করে দিনে।
বেশ কয়েকটি নৌকায় বিভিন্ন বয়সী দর্শনার্থীরা ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। কয়েক জন সংবাদকর্মী ছবিও তুলছিলেন।
সপরিবারে নৌকায় করে বিলে ভ্রমণ করছিলেন স্কুলশিক্ষক মো. আলম। তুলছেন ছবিও। তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক খুশি চারপাশে তারার মতো জ্বলজ্বলে শাপলা দেখে। ফেসবুকে এর ছবি দেখে পরিবার নিয়ে এসেছি।’
সংবাদকর্মী শরিফুল ইসলাম বলেন, বিলে আলো করে যখন শাপলা ফুটে থাকে, তখন সেই রূপের সঙ্গে পৃথিবীর আর কোনো ফুলের সৌন্দর্যকে তুলনা করা যায় না। ঐতিহ্যবাহী মেন্দী বিলের শাপলার এই চিত্র ধারণ করে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করব।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মজিদ বলেন, মেন্দী বিলে প্রচুর শাপলা ও শালুক জন্মে। এ এলাকার দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য এই শাপলা-শালুক। এ ছাড়াও মেন্দী বিলে লতা, গুল্ম জন্মে। কৃষকেরা এগুলো গোখাদ্য হিসেবে ব্যবহার করেন। স্থানীয়রা এই বিলের শাপলা সবজি হিসেবে ব্যবহার করেন।
বালিয়াখোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল খান বলেন, পুরো বালিয়াখোড়া ইউনিয়নই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি। মেন্দী বিলের শাপলার সৌন্দর্য দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষজন আসেন।
জেলা কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, বর্ষা মৌসুমে কৃষিকাজ কমে গেলে শাপলা কিংবা বিলের মাছ বিক্রি করে স্থানীয় অনেকের চলতে হয়। তবে জমিতে অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার, বিলের চারপাশে নিষিদ্ধ চায়না, বেড়জাল দিয়ে মাছ শিকার করায় আগের মতো মাছও পাওয়া যায় না, শাপলাও ফোটে কম।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাজেদুল ইসলাম বলেন, জাতীয় ফুল শাপলা শুধু সৌন্দর্যই বিলায় না, সুস্বাদু খাবার হিসেবেও শাপলার বেশ কদর রয়েছে। দর্শনার্থীদের ঘুরে বেড়ানোর উপযুক্ত পরিবেশ তৈরিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব।
তরুণদের মধ্যে যাদের জন্ম ১৯৯৭ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে তাদের বলা হচ্ছে জেন জি বা জেনারেশন জেড। একাডেমিক পড়াশোনার পাঠ চুকিয়ে করোনা চলাকালীন কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ শুরু করে এই প্রজন্ম। কিন্তু তাদের নিয়ে সবার যে প্রত্যাশা এরই মধ্যে তাতে ধুলো পড়তে শুরু করেছে।
১ দিন আগেআমন্ত্রণ নয়, রাজশাহী আপনাকে নিমন্ত্রণ জানাচ্ছে। ছাতিমের সুগন্ধ ছাড়িয়ে রাজশাহী এখন ম-ম করছে হাঁসের মাংস ভুনার সুগন্ধে। সাদা ভাত আর গরম-গরম মাংস ভুনা। বিকেলে বাটার মোড়ের জিলাপির সঙ্গে নিমকি দিয়ে হালকা নাশতা। আলোর শহর রাজশাহী ঘুরে দেখার পর সন্ধ্যায় সিঅ্যান্ডবি মোড়ে গরম-গরম রসগোল্লার সঙ্গে পুরি।
৩ দিন আগেশুধু কলাপাড়া বললে অনেকে হয়তো জায়গাটা চিনবেন না। কিন্তু কুয়াকাটার কথা বললে চিনবেন প্রায় সবাই। কুয়াকাটা সৈকতের জন্য কলাপাড়া এখন সুপরিচিত। এখানে আছে এক বিখ্যাত খাবার। জগার মিষ্টি।
৩ দিন আগেঢাকা শহরের গলিগুলো এখন খাবারের ঘ্রাণে উতলা থাকে। এদিক-ওদিক তাকালেই দেখবেন, কোথাও না কোথাও একটি লাইভ বেকারি। এতে বেক করা হচ্ছে পাউরুটি, বিভিন্ন ধরনের কেক-বিস্কুট কিংবা বাটার বান। কৌতূহল নিয়ে এক পিস কিনে মুখে পুরে দিতে পারেন। এগুলোর দামও যে খুব আহামরি, তা কিন্তু নয়।
৩ দিন আগে