ফিচার ডেস্ক
ভিসা-নীতি সহজ করার ফলে চীনে এ বছরের প্রথম ছয় মাসে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা বেড়েছে ১৫২ শতাংশ। এ সময় প্রায় দেড় কোটি বিদেশি ভ্রমণ করেছে বলে জানিয়েছে দেশটির জাতীয় অভিবাসন প্রশাসন।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ এখন তাদের ভিসা-নীতি সহজ করার পথে হাঁটছে মূলত পর্যটনকে আরও সহজ করার জন্য। ফলে দেশগুলোতে যে পর্যটকের সংখ্যা দিনে দিনে বাড়ছে, তা বলাই বাহুল্য। কোভিড-পরবর্তী অর্থনৈতিক অবস্থা চাঙা করতেই দেশগুলো এই ব্যবস্থা হাতে নিয়েছে। এবার চীনও সে পথেই হাঁটল। বিশাল আয়তনের দেশটি তাদের মূল ভূখণ্ডে ভ্রমণসহ বিভিন্ন কাজে আসার জন্য বেশ কিছু দেশের সঙ্গে ভিসানীতিতে বদল এনেছে।
প্রায় ১৪১ কোটি (২০২৩) জনসংখ্যার দেশ চীন ঐতিহাসিকভাবে পৃথিবীর বহু দেশের পর্যটন খাত চাঙা রাখতে অবদান রাখে। কিন্তু এবার চীন সরকার নিজেদের পর্যটন খাতকে আরও সংহত করার দিকে মনোনিবেশ করেছে। দেশটির সাম্প্রতিক ভিসামুক্ত নীতি সে উদ্যোগেরই একটি। ধারণা করা হচ্ছে, এই নীতি দেশটিতে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করছে। এ বছরের জানুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে চীনের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ ৮০ লাখের বেশি ভিসামুক্ত এন্ট্রি নথিবদ্ধ করেছে। কিন্তু উল্লেখ করার মতো তথ্য হলো, এই বৃদ্ধি এখনো ২০১৯ সালের প্রথম ছয় মাসের ১ কোটি ৫৫ লাখের বেশি বিদেশি পর্যটকের রেকর্ডের কাছাকাছিও যেতে পারেনি।
সম্প্রতি চীন ৪০টির বেশি দেশের সঙ্গে ভিসা পদ্ধতি সহজ করেছে। এ ছাড়া ২০টির বেশি দেশের সঙ্গে পারস্পরিক ভিসা মওকুফ চুক্তি করেছে। নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও পোল্যান্ড হলো দেশটির সম্প্রসারিত ভিসা মওকুফ প্রোগ্রামে যোগদানকারী সর্বশেষ দেশ।
গত বছরের নভেম্বরে ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, স্পেন ও মালয়েশিয়ার নাগরিকদের ভিসামুক্ত ভ্রমণের জন্য এক বছরের পরীক্ষামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করেছিল চীন। এ বছরের মার্চ মাসে এই কর্মসূচিতে যোগ করা হয়েছে আয়ারল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, হাঙ্গেরি, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম ও লুক্সেমবার্গকে। এ দেশগুলোর সাধারণ পাসপোর্ট ব্যবহারকারীরা ব্যবসা, পর্যটন, আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দেখা করা বা ট্রানজিটের জন্য ১৫ দিন পর্যন্ত ভিসামুক্ত অবস্থানের সুযোগ পাবে চীনে। দেশটি প্রাথমিকভাবে এ বছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত পরীক্ষামূলক সময়ের জন্য ভিসামুক্ত নীতি ঘোষণা করলেও তার সীমা বাড়িয়েছে আগামী বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
গত বছরের নভেম্বর থেকে কার্যকর হওয়া বর্ধিত ভিসামুক্ত ট্রানজিট নীতিতে এখন ৫৪টি দেশকে যুক্ত করেছে চীন। বৈধ অগ্রিম টিকিট থাকলে এ দেশগুলোর পর্যটকেরা বেইজিং ও সাংহাইয়ের মতো শহরে ১৪৪ ঘণ্টা পর্যন্ত ভিসা ছাড়া থাকতে পারবে। চীনের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১২টি ভিসামুক্ত দেশ থেকে দেড় লাখের বেশি পর্যটক এ বছরের প্রথমার্ধে ভিসামুক্ত নীতির সুবিধা নিয়েছে।
চীনের ন্যাশনাল ইমিগ্রেশন সার্ভিস এ বছরের প্রথম ছয় মাসে ১৮ কোটি ৭০ লাখের বেশি ইনবাউন্ড ও আউটবাউন্ড ট্রিপ পরিচালনার তথ্য নথিবদ্ধ করেছে। এই বিপুল পর্যটকের মধ্যে চীনের মূল ভূখণ্ডের অধিবাসীদের সংখ্যা বেশি। এ ছাড়া আছে হংকং, ম্যাকাও ও তাইওয়ান এবং বিদেশি পর্যটক। এ বছরের প্রথম ছয় মাসে শুধু চীনের রাজধানী বেইজিং দেখতে গিয়েছিল ১০ লাখের বেশি বিদেশি পর্যটক। এ তথ্য জানিয়েছে বেইজিং জেনারেল স্টেশন অব এক্সিট অ্যান্ড এন্ট্রি ফ্রন্টিয়ার ইন্সপেকশন।
চীন স্থানীয় ট্রাভেল এজেন্সিগুলোকে আরও দক্ষতার সঙ্গে আন্তর্জাতিক গ্রুপ ট্যুর পরিচালনা করতে সহায়তা করছে। বছরের প্রথমার্ধে ৩০ হাজারের বেশি এমন দলীয় ভ্রমণ পরিচালিত হয়েছে দেশটিতে। এ ছাড়া একই সময়ে প্রায় ৩৪ হাজার বৈধ বিদেশি ভ্রমণকারী চীনের ১৪৪ ঘণ্টা ভিসামুক্ত ট্রানজিট নীতির সুবিধা নিয়েছে।
সম্ভবত চীনের ভিসা-নীতি সহজ করার বেশি সুবিধা পাচ্ছে হংকং ও ম্যাকাওয়ের বাসিন্দারা। চীনের মূল ভূখণ্ডে এ দুটি দেশের অধিবাসীদের জন্য পাঁচ বছরের করে ভিসা দেওয়া হয়েছে। দেশটির সরকার জানিয়েছে, এই উদ্যোগের লক্ষ্য, মূল ভূখণ্ডের চীনা জনগণের সঙ্গে হংকং ও ম্যাকাওয়ের সাধারণ মানুষের যোগাযোগ আরও সহজ করা এবং তাদের সামগ্রিক জাতীয় উন্নয়নে আরও ভালোভাবে সংহত করতে সহায়তা করা।
সূত্র: স্কিফ্ট ডট কম এ লেখা পেডেন ডোমা ভুটিয়ার কলাম। প্রকাশ ৯ জুলাই
ভিসা-নীতি সহজ করার ফলে চীনে এ বছরের প্রথম ছয় মাসে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা বেড়েছে ১৫২ শতাংশ। এ সময় প্রায় দেড় কোটি বিদেশি ভ্রমণ করেছে বলে জানিয়েছে দেশটির জাতীয় অভিবাসন প্রশাসন।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ এখন তাদের ভিসা-নীতি সহজ করার পথে হাঁটছে মূলত পর্যটনকে আরও সহজ করার জন্য। ফলে দেশগুলোতে যে পর্যটকের সংখ্যা দিনে দিনে বাড়ছে, তা বলাই বাহুল্য। কোভিড-পরবর্তী অর্থনৈতিক অবস্থা চাঙা করতেই দেশগুলো এই ব্যবস্থা হাতে নিয়েছে। এবার চীনও সে পথেই হাঁটল। বিশাল আয়তনের দেশটি তাদের মূল ভূখণ্ডে ভ্রমণসহ বিভিন্ন কাজে আসার জন্য বেশ কিছু দেশের সঙ্গে ভিসানীতিতে বদল এনেছে।
প্রায় ১৪১ কোটি (২০২৩) জনসংখ্যার দেশ চীন ঐতিহাসিকভাবে পৃথিবীর বহু দেশের পর্যটন খাত চাঙা রাখতে অবদান রাখে। কিন্তু এবার চীন সরকার নিজেদের পর্যটন খাতকে আরও সংহত করার দিকে মনোনিবেশ করেছে। দেশটির সাম্প্রতিক ভিসামুক্ত নীতি সে উদ্যোগেরই একটি। ধারণা করা হচ্ছে, এই নীতি দেশটিতে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করছে। এ বছরের জানুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে চীনের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ ৮০ লাখের বেশি ভিসামুক্ত এন্ট্রি নথিবদ্ধ করেছে। কিন্তু উল্লেখ করার মতো তথ্য হলো, এই বৃদ্ধি এখনো ২০১৯ সালের প্রথম ছয় মাসের ১ কোটি ৫৫ লাখের বেশি বিদেশি পর্যটকের রেকর্ডের কাছাকাছিও যেতে পারেনি।
সম্প্রতি চীন ৪০টির বেশি দেশের সঙ্গে ভিসা পদ্ধতি সহজ করেছে। এ ছাড়া ২০টির বেশি দেশের সঙ্গে পারস্পরিক ভিসা মওকুফ চুক্তি করেছে। নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও পোল্যান্ড হলো দেশটির সম্প্রসারিত ভিসা মওকুফ প্রোগ্রামে যোগদানকারী সর্বশেষ দেশ।
গত বছরের নভেম্বরে ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, স্পেন ও মালয়েশিয়ার নাগরিকদের ভিসামুক্ত ভ্রমণের জন্য এক বছরের পরীক্ষামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করেছিল চীন। এ বছরের মার্চ মাসে এই কর্মসূচিতে যোগ করা হয়েছে আয়ারল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, হাঙ্গেরি, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম ও লুক্সেমবার্গকে। এ দেশগুলোর সাধারণ পাসপোর্ট ব্যবহারকারীরা ব্যবসা, পর্যটন, আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দেখা করা বা ট্রানজিটের জন্য ১৫ দিন পর্যন্ত ভিসামুক্ত অবস্থানের সুযোগ পাবে চীনে। দেশটি প্রাথমিকভাবে এ বছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত পরীক্ষামূলক সময়ের জন্য ভিসামুক্ত নীতি ঘোষণা করলেও তার সীমা বাড়িয়েছে আগামী বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
গত বছরের নভেম্বর থেকে কার্যকর হওয়া বর্ধিত ভিসামুক্ত ট্রানজিট নীতিতে এখন ৫৪টি দেশকে যুক্ত করেছে চীন। বৈধ অগ্রিম টিকিট থাকলে এ দেশগুলোর পর্যটকেরা বেইজিং ও সাংহাইয়ের মতো শহরে ১৪৪ ঘণ্টা পর্যন্ত ভিসা ছাড়া থাকতে পারবে। চীনের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১২টি ভিসামুক্ত দেশ থেকে দেড় লাখের বেশি পর্যটক এ বছরের প্রথমার্ধে ভিসামুক্ত নীতির সুবিধা নিয়েছে।
চীনের ন্যাশনাল ইমিগ্রেশন সার্ভিস এ বছরের প্রথম ছয় মাসে ১৮ কোটি ৭০ লাখের বেশি ইনবাউন্ড ও আউটবাউন্ড ট্রিপ পরিচালনার তথ্য নথিবদ্ধ করেছে। এই বিপুল পর্যটকের মধ্যে চীনের মূল ভূখণ্ডের অধিবাসীদের সংখ্যা বেশি। এ ছাড়া আছে হংকং, ম্যাকাও ও তাইওয়ান এবং বিদেশি পর্যটক। এ বছরের প্রথম ছয় মাসে শুধু চীনের রাজধানী বেইজিং দেখতে গিয়েছিল ১০ লাখের বেশি বিদেশি পর্যটক। এ তথ্য জানিয়েছে বেইজিং জেনারেল স্টেশন অব এক্সিট অ্যান্ড এন্ট্রি ফ্রন্টিয়ার ইন্সপেকশন।
চীন স্থানীয় ট্রাভেল এজেন্সিগুলোকে আরও দক্ষতার সঙ্গে আন্তর্জাতিক গ্রুপ ট্যুর পরিচালনা করতে সহায়তা করছে। বছরের প্রথমার্ধে ৩০ হাজারের বেশি এমন দলীয় ভ্রমণ পরিচালিত হয়েছে দেশটিতে। এ ছাড়া একই সময়ে প্রায় ৩৪ হাজার বৈধ বিদেশি ভ্রমণকারী চীনের ১৪৪ ঘণ্টা ভিসামুক্ত ট্রানজিট নীতির সুবিধা নিয়েছে।
সম্ভবত চীনের ভিসা-নীতি সহজ করার বেশি সুবিধা পাচ্ছে হংকং ও ম্যাকাওয়ের বাসিন্দারা। চীনের মূল ভূখণ্ডে এ দুটি দেশের অধিবাসীদের জন্য পাঁচ বছরের করে ভিসা দেওয়া হয়েছে। দেশটির সরকার জানিয়েছে, এই উদ্যোগের লক্ষ্য, মূল ভূখণ্ডের চীনা জনগণের সঙ্গে হংকং ও ম্যাকাওয়ের সাধারণ মানুষের যোগাযোগ আরও সহজ করা এবং তাদের সামগ্রিক জাতীয় উন্নয়নে আরও ভালোভাবে সংহত করতে সহায়তা করা।
সূত্র: স্কিফ্ট ডট কম এ লেখা পেডেন ডোমা ভুটিয়ার কলাম। প্রকাশ ৯ জুলাই
১৯৫১ সাল। ইরানের রাজা রেজা শাহ পাহলভি এলেন পৃথিমপাশা জমিদারবাড়িতে। সে এক হুলুস্থুল ব্যাপার! এ বাড়ির পূর্বপুরুষেরা ইরান থেকে এসেছিলেন বলে জানা যায়।
৩ দিন আগেশীতে কাপড় ভালো রাখতে সেগুলোকে যেমন রোদে মেলে দিতে হয়, সম্পর্ক উন্নয়নে মাঝেমধ্যে তেমনি ভ্রমণেও যেতে হয়। শীত চলে এসেছে। ভ্রমণপ্রেমীরা হয়ে উঠেছেন সরব।
৩ দিন আগেপর্যটন বন্ধে কারফিউ! হ্যাঁ, তেমনটিই ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। গ্রামের নাম বুকচন হ্যানোক। দক্ষিণ কোরিয়ার জংনো জেলায় এর অবস্থান। বুকচন হ্যানোক দেশটির ‘মাস্ট ভিজিট’ পর্যটন গন্তব্য।
৩ দিন আগেভ্রমণের স্বাদ একবার রক্তে ঢুকলে, তা থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। এক অদৃশ্য তাড়না কাজ করতে থাকে ভেতরে-ভেতরে।
৩ দিন আগে