মন্টি বৈষ্ণব, ঢাকা
জ্যামের শহরে তো বটেই, ভ্রমণের জন্যও বাইক এক দারুণ বাহন। একেবারে ব্যক্তিগত এ বাহনে ইচ্ছেমতো ঘোরাফেরা করা যায়। নারীদের মধ্যে এ বাহনকে জনপ্রিয় করতে আন্তর্জাতিক নারী রাইড দিবসের আয়োজন করা হয় প্রতিবছর।
সাকিয়া হক পেশায় চিকিৎসক। বাইক চালিয়ে কর্মস্থলে যান। বাইক চালানোর আগে তিনি বাসে চলাফেরা করতেন। দুঃখজনক হলেও বাস্তব, তিনি প্রায়ই হেনস্তার শিকার হতেন বাসে। সেই সময় তিনি ছিলেন মেডিকেলের শিক্ষার্থী। এই অপ্রীতিকর অবস্থা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে মনে মনে চাইতেন, নিজের একটা বাহন হোক। ব্যক্তিগত পরিবহন থাকলে চলাফেরায় কিছুটা হলে স্বাধীনতা পাওয়া যায়। আর খুব সহজেই ঢাকা শহরের মতো একটা জায়গায় এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় পৌঁছানো সম্ভব হয়। কিন্তু ছাত্রজীবনে বাইকের চিন্তা করাটা তাঁর জন্য আকাশকুসুম স্বপ্নের মতো ছিল।
প্রথম স্কুটি
সাকিয়া ২০১৭ সাল থেকে স্কুটি চালানো শুরু করেন। কর্মস্থলে নাইট ডিউটি করে স্কুটি নিয়ে নির্ভয়ে পৌঁছান বাসায়। ডা. সাকিয়া হকের বন্ধু ডা. মানসী সাহা। এই দুই চিকিৎসকের স্বপ্ন ছিল বাইকে করে দেশের ৬৪টি জেলা ভ্রমণের। এ জন্য তাঁরা ‘নারীর চোখে বাংলাদেশ’ দেখার উদ্দেশ্যে দুটি স্কুটি নিয়ে যাত্রা শুরু করেন। তাঁদের দুই স্কুটির পেছনে ছিলেন আরও দুজন নারী। মোট চারজন মিলে ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে শুরু করেন সেই যাত্রা। এই অভিযান শেষ হয় ২০১৯ সালের মে মাসে।
সেই সময় খুব বেশি নারী মোটরসাইকেল চালাতেন না। তাই চার নারীর এ যাত্রায় ভালোমন্দ অভিজ্ঞতার শেষ ছিল না। এককথায় বলতে হলে, বাইকে চারজন নারীকে দেখে মানুষের বিস্ময়ের কমতি ছিল না। নিজেদের অভিজ্ঞতার ঝুলি থেকে সাফিয়া জানিয়েছেন, রাস্তায় কোনো নারীকে বাইক বা স্কুটি চালাতে দেখলে ভালো লাগে তাঁর। তবে এখনো ঢাকার বাইরে বাইক নিয়ে গেলে নারীদের কটু কথা শুনতে হয়।
চলার পথে চ্যালেঞ্জ
চলার পথে নারী বাইকারদের অনেক বেশি চ্যালেঞ্জ নিতে হয়। পুরুষ বাইকারদের অনেক ধরনের সমস্যা তৈরি করতে দেখেছেন সাকিয়া। ভয়ংকর অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন যখন ট্রাক বা বাস তাঁদের পাশ দিয়ে যেত। এই দুই পরিবহনের ড্রাইভাররা যখনই টের পেতেন, রাস্তায় তাঁদের গাড়ির পাশে একজন নারী বাইক চালাচ্ছেন, তখন ইচ্ছা করে তাঁদের গাড়ি বাইকের কাছাকাছি নিয়ে যেতেন। কিংবা হর্ন দিয়ে বসতেন হঠাৎ। এমন অনেক ঘটনার মুখোমুখি হয়ে চলতে হয়েছে সাকিয়াসহ অন্য নারী বাইকারদের।
পরামর্শ
নারী বাইকারদের জন্য সাকিয়া নিজের অভিজ্ঞতা থেকে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন।
জ্যামের শহরে তো বটেই, ভ্রমণের জন্যও বাইক এক দারুণ বাহন। একেবারে ব্যক্তিগত এ বাহনে ইচ্ছেমতো ঘোরাফেরা করা যায়। নারীদের মধ্যে এ বাহনকে জনপ্রিয় করতে আন্তর্জাতিক নারী রাইড দিবসের আয়োজন করা হয় প্রতিবছর।
সাকিয়া হক পেশায় চিকিৎসক। বাইক চালিয়ে কর্মস্থলে যান। বাইক চালানোর আগে তিনি বাসে চলাফেরা করতেন। দুঃখজনক হলেও বাস্তব, তিনি প্রায়ই হেনস্তার শিকার হতেন বাসে। সেই সময় তিনি ছিলেন মেডিকেলের শিক্ষার্থী। এই অপ্রীতিকর অবস্থা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে মনে মনে চাইতেন, নিজের একটা বাহন হোক। ব্যক্তিগত পরিবহন থাকলে চলাফেরায় কিছুটা হলে স্বাধীনতা পাওয়া যায়। আর খুব সহজেই ঢাকা শহরের মতো একটা জায়গায় এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় পৌঁছানো সম্ভব হয়। কিন্তু ছাত্রজীবনে বাইকের চিন্তা করাটা তাঁর জন্য আকাশকুসুম স্বপ্নের মতো ছিল।
প্রথম স্কুটি
সাকিয়া ২০১৭ সাল থেকে স্কুটি চালানো শুরু করেন। কর্মস্থলে নাইট ডিউটি করে স্কুটি নিয়ে নির্ভয়ে পৌঁছান বাসায়। ডা. সাকিয়া হকের বন্ধু ডা. মানসী সাহা। এই দুই চিকিৎসকের স্বপ্ন ছিল বাইকে করে দেশের ৬৪টি জেলা ভ্রমণের। এ জন্য তাঁরা ‘নারীর চোখে বাংলাদেশ’ দেখার উদ্দেশ্যে দুটি স্কুটি নিয়ে যাত্রা শুরু করেন। তাঁদের দুই স্কুটির পেছনে ছিলেন আরও দুজন নারী। মোট চারজন মিলে ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে শুরু করেন সেই যাত্রা। এই অভিযান শেষ হয় ২০১৯ সালের মে মাসে।
সেই সময় খুব বেশি নারী মোটরসাইকেল চালাতেন না। তাই চার নারীর এ যাত্রায় ভালোমন্দ অভিজ্ঞতার শেষ ছিল না। এককথায় বলতে হলে, বাইকে চারজন নারীকে দেখে মানুষের বিস্ময়ের কমতি ছিল না। নিজেদের অভিজ্ঞতার ঝুলি থেকে সাফিয়া জানিয়েছেন, রাস্তায় কোনো নারীকে বাইক বা স্কুটি চালাতে দেখলে ভালো লাগে তাঁর। তবে এখনো ঢাকার বাইরে বাইক নিয়ে গেলে নারীদের কটু কথা শুনতে হয়।
চলার পথে চ্যালেঞ্জ
চলার পথে নারী বাইকারদের অনেক বেশি চ্যালেঞ্জ নিতে হয়। পুরুষ বাইকারদের অনেক ধরনের সমস্যা তৈরি করতে দেখেছেন সাকিয়া। ভয়ংকর অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন যখন ট্রাক বা বাস তাঁদের পাশ দিয়ে যেত। এই দুই পরিবহনের ড্রাইভাররা যখনই টের পেতেন, রাস্তায় তাঁদের গাড়ির পাশে একজন নারী বাইক চালাচ্ছেন, তখন ইচ্ছা করে তাঁদের গাড়ি বাইকের কাছাকাছি নিয়ে যেতেন। কিংবা হর্ন দিয়ে বসতেন হঠাৎ। এমন অনেক ঘটনার মুখোমুখি হয়ে চলতে হয়েছে সাকিয়াসহ অন্য নারী বাইকারদের।
পরামর্শ
নারী বাইকারদের জন্য সাকিয়া নিজের অভিজ্ঞতা থেকে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন।
১৯৫১ সাল। ইরানের রাজা রেজা শাহ পাহলভি এলেন পৃথিমপাশা জমিদারবাড়িতে। সে এক হুলুস্থুল ব্যাপার! এ বাড়ির পূর্বপুরুষেরা ইরান থেকে এসেছিলেন বলে জানা যায়।
৪ দিন আগেশীতে কাপড় ভালো রাখতে সেগুলোকে যেমন রোদে মেলে দিতে হয়, সম্পর্ক উন্নয়নে মাঝেমধ্যে তেমনি ভ্রমণেও যেতে হয়। শীত চলে এসেছে। ভ্রমণপ্রেমীরা হয়ে উঠেছেন সরব।
৪ দিন আগেপর্যটন বন্ধে কারফিউ! হ্যাঁ, তেমনটিই ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। গ্রামের নাম বুকচন হ্যানোক। দক্ষিণ কোরিয়ার জংনো জেলায় এর অবস্থান। বুকচন হ্যানোক দেশটির ‘মাস্ট ভিজিট’ পর্যটন গন্তব্য।
৪ দিন আগেভ্রমণের স্বাদ একবার রক্তে ঢুকলে, তা থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। এক অদৃশ্য তাড়না কাজ করতে থাকে ভেতরে-ভেতরে।
৪ দিন আগে