Ajker Patrika

নিক্সন চৌধুরী ও সেই আবেদ আলীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

অনলাইন ডেস্ক
নিক্সন চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
নিক্সন চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরী ও তাঁর স্ত্রী তারিন হোসেনসহ চারজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন পৃথকভাবে এসব নির্দেশ দেন।

দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া অন্যরা হলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক নির্বাহী সদস্য মো. খাইরুল ইসলাম এবং প্রশ্ন ফাঁস-কাণ্ডে আলোচিত পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যানের গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী জীবন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এসব নির্দেশনা দেন বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।

সাবেক এমপি নিক্সনসহ দুজন, দুদকের সহকারী পরিচালক (মানি লন্ডারিং) এস এম মামুনুর রশীদ, সাবেক সচিব খাইরুল ইসলামের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ শিহাব সালাম। আর বিসিএসের প্রশ্ন ফাঁসে আলোচিত আবেদ আলীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন দুদকের সহকারী পরিচালক আল-আমিন।

নিক্সনের আবেদনে বলা হয়, নিক্সন চৌধুরী এবং তারিন হোসেন গোপনে দেশত্যাগের চেষ্টা করছেন। ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের তদন্তকাজ চলমান থাকা অবস্থায় তাঁরা দেশত্যাগ করলে সার্বিক তদন্তকাজ ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে মর্মে প্রতীয়মান হয়।

নিক্সন চৌধুরী ও তাঁর স্ত্রী তারিন হোসেনের ব্যাংক হিসাবে ৩ হাজার ১৬২ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন এবং প্রায় সাড়ে ১৯ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত ৯ জানুয়ারি পৃথক দুটি মামলা করে দুদক।

খাইরুল ইসলামের আবেদনে বলা হয়, আসামি খাইরুল ইসলামের বিরুদ্ধে জাল-জালিয়াতি, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ভুয়া সম্পত্তি জামানত হিসেবে বন্ধক দিয়ে বেসিক ব্যাংক পিএলসি কাওরান বাজার শাখা থেকে ১০ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণপূর্বক আত্মসাতের অভিযোগটি অনুসন্ধানাধীন। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, অভিযোগসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি দেশ ছেড়ে বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাঁর বিদেশগমন রোহিত করা আবশ্যক।

আবেদ আলীর আবেদনে বলা হয়, তাঁর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করা হয়েছে। এ অবস্থায় আসামির বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্তকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এবং সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাঁর বিদেশগমনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রদান করা একান্ত প্রয়োজন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মডেল মেঘনাকে আটকের দিনই ঢাকা ছাড়েন সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা

সৌদি রাষ্ট্রদূতের অভিযোগের ভিত্তিতেই মডেল মেঘনা কারাগারে

মডেল মেঘনার পরিবারের মাধ্যমে সুরাহার চেষ্টা করেছিল পুলিশ

‘মিডিয়া ছুটায় দেব’ বলে হুমকির পর পুলিশের অসংগতিপূর্ণ বিবৃতি

জুলাই অভ্যুত্থান-সংক্রান্ত মামলায় ঊর্ধ্বতনের অনুমতি ছাড়া আসামি গ্রেপ্তার নয়

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত