রবিউল আলম, ঢাকা
করোনা মহামারির কারণে ২০২১ সালের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ সময় দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল পুরোপুরি নিস্তব্ধ। বছরজুড়েই করোনার সামনে অসহায় দাঁড়িয়ে ছিল দেশের শিক্ষা খাত। সেশনজট, এলোমেলো শিক্ষাপঞ্জি, অর্থের অভাবে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গুটিয়ে যাওয়া, শিক্ষকদের চাকরি হারানো ইত্যাদি কারণে বিদায়ী বছরে লাটে উঠেছে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা। তবে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও নানা চাপে গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল-কলেজ খোলার মধ্য দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রাণ ফিরে আসে। শিক্ষাবিদেরা বলছেন, এই সময়ে করোনায় অন্যান্য খাতের ক্ষতি পরিমাপ করা গেলেও শিক্ষা খাতে তা অসম্ভব।
শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী প্রতিবছরের এপ্রিলে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরুর কথা থাকলেও করোনার কারণে ২০২০ সালের এই পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। পরে জেএসসি ও এসএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে এইচএসসিতে এ বছরের শুরুতে অটো পাস দেওয়া হয়। এতে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করে এবং আগের বছরের চেয়ে তিন গুণের বেশি শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পান। এই সময়ে পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষা বাতিল এবং অন্যান্য ক্লাসের পরীক্ষা না নিয়ে শিক্ষার্থীদের পরবর্তী ক্লাসে প্রমোশন দেওয়া হয়। পাশাপাশি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথম বর্ষের তিন লাখের বেশি শিক্ষার্থীকে অটো পাস দেওয়া হয় এবং স্কুল বন্ধ থাকায় ৩ কোটি ৭০ লাখ শিশুর পড়াশোনা ব্যাহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউনেসকো। দেড় থেকে দুই বছরের শিক্ষাজটের কারণে চাকরির আবেদন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন কয়েক লাখ শিক্ষার্থী।
এ সময়ে ক্যারিয়ার নিয়ে হতাশা, নিঃসঙ্গতায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজের ৩৬ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। তরুণদের ৬১ দশমিক ২ শতাংশ বিষণ্নতায় ভুগছেন এবং ৩ দশমিক ৭ শতাংশ আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে এক জরিপে উঠে এসেছে। তবে শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর জরিপ বলছে, বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হলেও গ্রামের ৯৪ শতাংশ শিক্ষার্থীই ছিল অনলাইন ক্লাসে ও ৭৬ শতাংশ শিক্ষার্থী টেলিভিশনে সম্প্রচারিত পাঠ কার্যক্রমের বাইরে ছিল।
এদিকে সেশনজট নিরসনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হল খোলা, ভর্তি পরীক্ষার ফি কমানো, রুটিন প্রকাশ, স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের বিচার, বাসে হাফ ভাড়া চালু, সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী হত্যার বিচারের দাবিসহ নানা দাবিতে বছরজুড়ে দফায় দফায় রাস্তায় নেমেছে শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে কিছু আন্দোলনে সফলতা পায় তারা। তাদের দাবির মুখে খোলা হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সব শহরে গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়া কার্যকর করা হয়। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিভিন্ন দাবিতে সোচ্চার ছিলেন শিক্ষকেরাও। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ৫৪ হাজার ৩০৪ জন শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। তবে করোনায় প্রায় ৪ হাজার কিন্ডারগার্টেন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এর সঙ্গে জড়িত প্রায় অর্ধলাখ শিক্ষক ও কর্মচারী বেকার হয়ে পড়েন।
করোনার এ সময়েও বছরজুড়ে নানা পরিবর্তনের মুখোমুখি হয় শিক্ষা খাত। শুধু নৈর্ব্যক্তিক বিষয়গুলোতে এসএসসি, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেওয়া হয়। প্রচলিত পরীক্ষা পদ্ধতিতেও আনা হয় পরিবর্তন। ২০২৩ সাল থেকে শুধু দশম শ্রেণির কারিকুলামেই এসএসসি পরীক্ষা হবে। নতুন শিক্ষাক্রমে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা এবং নবম-দশম শ্রেণিতে বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্যের মতো বিভাজন থাকবে না, যা ২০২৫ সালের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে, পাশাপাশি ‘শিক্ষা আইন, ২০২১’-এর খসড়া চূড়ান্ত করা হয়।
আন্তশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিশুদের চাপমুক্ত রাখতে নতুন শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। সারা বিশ্বেই এ নিয়ম প্রচলিত। এটা এই সময়ের জন্য ইতিবাচক দিক।
প্রথমবারের মতো ২০টি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা হয়েছে। ফলাফলে গরমিল এবং নানা অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে এই পরীক্ষা শেষ হয়। আগামী বছর বেসরকারি স্কুলগুলোতে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালিত হবে। কোনো শিশু যাতে বিদ্যালয়ে ভর্তির বাইরে না থাকে, সে জন্য শূন্য থেকে ৫ বছর পর্যন্ত সব শিশুকে জরিপের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
করোনা সব আয়োজন থমকে দিলেও ১ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত শতবর্ষপূর্তি উদ্যাপন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এই উদ্যাপনের মধ্যেই বহুল আলোচিত বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় ঘোষিত হয়েছে। রায়ে বুয়েট ছাত্রলীগের ২০ জনকে ফাঁসি ও ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। এ সময়ে দেশের সব কওমি মাদ্রাসায় ছাত্র-শিক্ষকদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয় এবং স্থায়ী সনদ না নেওয়া ২৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে শোকজ করে ইউজিসি।
এদিকে ৫৪৪ দিনের বন্ধ শেষে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে দেশের সব স্কুল-কলেজ খোলার মাধ্যমে ক্লাসে ফেরে প্রায় সোয়া তিন কোটি শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের পদচারণে আবারও মুখর হয় সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। খোলার পর ৮ মাস বিলম্বে ১৪ নভেম্বর এসএসসি এবং ২ ডিসেম্বর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর করোনার ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে নানা পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ইতিমধ্যেই শিক্ষাবর্ষের সময় কমিয়ে ছয়-আট মাস করছে। পাশাপাশি বাতিল করছে বিভিন্ন ধরনের ছুটি।
শিক্ষাবিদেরা বলছে, করোনা নামক এই চ্যালেঞ্জে যতটুকু ক্ষতি হয়েছে, তা পোষানোর চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই সময়ে করোনা আমাদের জন্য বড় একটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে ছিল। অনলাইন ক্লাসে আমরা অভ্যস্ত না থাকলেও শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের আন্তরিকতায় করোনার চ্যালেঞ্জ ভালোভাবেই মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি। তা-ও এই সময়ে যে ক্ষতি হয়েছে, তা আমরা পুষিয়ে ওঠার চেষ্টা করেছি।’
করোনা মহামারির কারণে ২০২১ সালের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ সময় দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল পুরোপুরি নিস্তব্ধ। বছরজুড়েই করোনার সামনে অসহায় দাঁড়িয়ে ছিল দেশের শিক্ষা খাত। সেশনজট, এলোমেলো শিক্ষাপঞ্জি, অর্থের অভাবে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গুটিয়ে যাওয়া, শিক্ষকদের চাকরি হারানো ইত্যাদি কারণে বিদায়ী বছরে লাটে উঠেছে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা। তবে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও নানা চাপে গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল-কলেজ খোলার মধ্য দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রাণ ফিরে আসে। শিক্ষাবিদেরা বলছেন, এই সময়ে করোনায় অন্যান্য খাতের ক্ষতি পরিমাপ করা গেলেও শিক্ষা খাতে তা অসম্ভব।
শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী প্রতিবছরের এপ্রিলে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরুর কথা থাকলেও করোনার কারণে ২০২০ সালের এই পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। পরে জেএসসি ও এসএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে এইচএসসিতে এ বছরের শুরুতে অটো পাস দেওয়া হয়। এতে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করে এবং আগের বছরের চেয়ে তিন গুণের বেশি শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পান। এই সময়ে পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষা বাতিল এবং অন্যান্য ক্লাসের পরীক্ষা না নিয়ে শিক্ষার্থীদের পরবর্তী ক্লাসে প্রমোশন দেওয়া হয়। পাশাপাশি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথম বর্ষের তিন লাখের বেশি শিক্ষার্থীকে অটো পাস দেওয়া হয় এবং স্কুল বন্ধ থাকায় ৩ কোটি ৭০ লাখ শিশুর পড়াশোনা ব্যাহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউনেসকো। দেড় থেকে দুই বছরের শিক্ষাজটের কারণে চাকরির আবেদন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন কয়েক লাখ শিক্ষার্থী।
এ সময়ে ক্যারিয়ার নিয়ে হতাশা, নিঃসঙ্গতায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজের ৩৬ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। তরুণদের ৬১ দশমিক ২ শতাংশ বিষণ্নতায় ভুগছেন এবং ৩ দশমিক ৭ শতাংশ আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে এক জরিপে উঠে এসেছে। তবে শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর জরিপ বলছে, বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হলেও গ্রামের ৯৪ শতাংশ শিক্ষার্থীই ছিল অনলাইন ক্লাসে ও ৭৬ শতাংশ শিক্ষার্থী টেলিভিশনে সম্প্রচারিত পাঠ কার্যক্রমের বাইরে ছিল।
এদিকে সেশনজট নিরসনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হল খোলা, ভর্তি পরীক্ষার ফি কমানো, রুটিন প্রকাশ, স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের বিচার, বাসে হাফ ভাড়া চালু, সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী হত্যার বিচারের দাবিসহ নানা দাবিতে বছরজুড়ে দফায় দফায় রাস্তায় নেমেছে শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে কিছু আন্দোলনে সফলতা পায় তারা। তাদের দাবির মুখে খোলা হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সব শহরে গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়া কার্যকর করা হয়। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিভিন্ন দাবিতে সোচ্চার ছিলেন শিক্ষকেরাও। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ৫৪ হাজার ৩০৪ জন শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। তবে করোনায় প্রায় ৪ হাজার কিন্ডারগার্টেন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এর সঙ্গে জড়িত প্রায় অর্ধলাখ শিক্ষক ও কর্মচারী বেকার হয়ে পড়েন।
করোনার এ সময়েও বছরজুড়ে নানা পরিবর্তনের মুখোমুখি হয় শিক্ষা খাত। শুধু নৈর্ব্যক্তিক বিষয়গুলোতে এসএসসি, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেওয়া হয়। প্রচলিত পরীক্ষা পদ্ধতিতেও আনা হয় পরিবর্তন। ২০২৩ সাল থেকে শুধু দশম শ্রেণির কারিকুলামেই এসএসসি পরীক্ষা হবে। নতুন শিক্ষাক্রমে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা এবং নবম-দশম শ্রেণিতে বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্যের মতো বিভাজন থাকবে না, যা ২০২৫ সালের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে, পাশাপাশি ‘শিক্ষা আইন, ২০২১’-এর খসড়া চূড়ান্ত করা হয়।
আন্তশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিশুদের চাপমুক্ত রাখতে নতুন শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। সারা বিশ্বেই এ নিয়ম প্রচলিত। এটা এই সময়ের জন্য ইতিবাচক দিক।
প্রথমবারের মতো ২০টি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা হয়েছে। ফলাফলে গরমিল এবং নানা অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে এই পরীক্ষা শেষ হয়। আগামী বছর বেসরকারি স্কুলগুলোতে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালিত হবে। কোনো শিশু যাতে বিদ্যালয়ে ভর্তির বাইরে না থাকে, সে জন্য শূন্য থেকে ৫ বছর পর্যন্ত সব শিশুকে জরিপের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
করোনা সব আয়োজন থমকে দিলেও ১ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত শতবর্ষপূর্তি উদ্যাপন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এই উদ্যাপনের মধ্যেই বহুল আলোচিত বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় ঘোষিত হয়েছে। রায়ে বুয়েট ছাত্রলীগের ২০ জনকে ফাঁসি ও ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। এ সময়ে দেশের সব কওমি মাদ্রাসায় ছাত্র-শিক্ষকদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয় এবং স্থায়ী সনদ না নেওয়া ২৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে শোকজ করে ইউজিসি।
এদিকে ৫৪৪ দিনের বন্ধ শেষে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে দেশের সব স্কুল-কলেজ খোলার মাধ্যমে ক্লাসে ফেরে প্রায় সোয়া তিন কোটি শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের পদচারণে আবারও মুখর হয় সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। খোলার পর ৮ মাস বিলম্বে ১৪ নভেম্বর এসএসসি এবং ২ ডিসেম্বর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর করোনার ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে নানা পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ইতিমধ্যেই শিক্ষাবর্ষের সময় কমিয়ে ছয়-আট মাস করছে। পাশাপাশি বাতিল করছে বিভিন্ন ধরনের ছুটি।
শিক্ষাবিদেরা বলছে, করোনা নামক এই চ্যালেঞ্জে যতটুকু ক্ষতি হয়েছে, তা পোষানোর চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই সময়ে করোনা আমাদের জন্য বড় একটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে ছিল। অনলাইন ক্লাসে আমরা অভ্যস্ত না থাকলেও শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের আন্তরিকতায় করোনার চ্যালেঞ্জ ভালোভাবেই মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি। তা-ও এই সময়ে যে ক্ষতি হয়েছে, তা আমরা পুষিয়ে ওঠার চেষ্টা করেছি।’
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর তাঁদের অভ্যর্থনা জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, এবং আইওএমের কর্মকর্তারা। এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক মোস্তফা জামিল খান ফেরত আসা বাংলাদেশিদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁদের অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।
১ ঘণ্টা আগেজাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল, সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি ভোট গ্রহণ, প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার সুযোগসহ বিভিন্ন সুপারিশ করেছেন সংবাদপত্রের সম্পাদকেরা। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগেপরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান এখন সময়ের দাবি। বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের চাওয়া দ্রুত নির্বাচন। এ অবস্থায় নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনকে ‘ইতিবাচক’ হিসেবে দেখছেন দলগুলোর নেতারা। তাঁরা বলেছেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়
২ ঘণ্টা আগেনির্বাচন কমিশনে আড়াই মাসের শূন্যতা কাটল অবশেষে। গতকাল বৃহস্পতিবার অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
৩ ঘণ্টা আগে