বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
আন্তক্যাডার দ্বন্দ্বের জেরে প্রশাসন ক্যাডার এবং ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তাদের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির কারণে সরকারি কর্মচারীদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। কাজেই এসবের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের দায়ে ব্যবস্থা নেবে সরকার।
সরকারের সর্বস্তরে শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালার ৩০(এ) বিধিসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য আইন ও বিধি যথাযথভাবে অনুসরণের নির্দেশনা দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি বিভিন্ন পদমর্যাদার কিছু সরকারি কর্মচারীর বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে সমাবেশ, অবস্থান ধর্মঘট, মানববন্ধন, কলমবিরতিসহ নানা কর্মসূচি পালনের কারণে সরকারি কর্মচারীদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘ইদানীং লক্ষ্য করা যাচ্ছে, সরকারের কোনো কোনো সিদ্ধান্ত, আদেশ বা সংস্কার কার্যক্রমের বাস্তবায়ন সম্পন্ন হওয়ার আগেই বিবেচ্য বিষয়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিরূপ মন্তব্যসহ বিবৃতি প্রকাশ করা হচ্ছে। এগুলো সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯-এর পরিপন্থী।’
বিজ্ঞপ্তিতে সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালার ৩০ নম্বরের বিধিগুলো মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে। ৩০(এ) বিধিতে বলা হয়েছে, ‘কোনো সরকারি কর্মচারী সরকারের অথবা কর্তৃপক্ষের কোনো সিদ্ধান্ত বা আদেশ পালনে জনসম্মুখে আপত্তি উত্থাপন করতে বা যে কোনো প্রকারে বাধা দিতে পারবেন না, অথবা অন্য কোনো ব্যক্তিকে তা করার জন্য উত্তেজিত বা প্ররোচিত করতে পারবেন না।’
৩০(বি) বিধিতে বলা হয়েছে, ‘সরকারের বা কর্তৃপক্ষের কোনো সিদ্ধান্ত বা আদেশ সম্পর্কে জনসম্মুখে কোনো অসন্তুষ্টি বা বিরক্তি প্রকাশ করতে অথবা অন্যকে তা করার জন্য প্ররোচিত করতে অথবা কোনো আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে বা অন্যকে অংশগ্রহণ করার জন্য প্ররোচিত করতে পারবেন না।’
৩০(সি) বিধি অনুযায়ী, ‘সরকার বা কর্তৃপক্ষের কোনো সিদ্ধান্ত বা আদেশ পরিবর্তন, বদলানো, সংশোধন বা বাতিলের জন্য অনুচিত প্রভাব বা চাপ প্রয়োগ করতে পারবেন না।’ আর ৩০(ডি) অনুযায়ী, ‘সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে যেকোনোভাবে অসন্তুষ্টি, ভুল-বোঝাবুঝি বা বিদ্বেষের সৃষ্টি করা বা অন্যকে প্ররোচিত করার উদ্যোগ নেওয়া যাবে না।’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালার যেকোনো বিধান লঙ্ঘন সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর আওতায় অসদাচরণ হয়েছে বলে গণ্য হবে। কোনো সরকারি কর্মচারী এ বিধিমালার কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে তিনি অসদাচরণের দায়ে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আওতায় আসবেন। সরকারি কর্মচারীদের শৃঙ্খলাবহির্ভূত আচরণের বিষয়ে সরকারের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর।
গত ১৭ ডিসেম্বর সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী জানান, উপসচিব পদে পদোন্নতিতে প্রশাসন ক্যাডারের ৫০ শতাংশ এবং অন্য সব ক্যাডার থেকে ৫০ শতাংশ কোটা রাখার সুপারিশ করবেন তাঁরা। এ ছাড়া শিক্ষা এবং শিক্ষা ক্যাডারকে ক্যাডার সার্ভিস থেকে আলাদা করে কমিশনের অধীনে নেওয়ার পরিকল্পনার কথাও জানান সংস্কার কমিশনের সদস্যরা।
এর প্রতিবাদ জানিয়ে ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা গত ২৪ ডিসেম্বর কলমবিরতি এবং ২৬ ডিসেম্বর মানববন্ধন করেন। উপসচিব পুলের কোটা নিয়ে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারাও গত ২২ ডিসেম্বর সচিবালয়ে নজিরবিহীন অবস্থান কর্মসূচি এবং ২৫ ডিসেম্বর বিয়াম মিলনায়তনে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। ৩ জানুয়ারি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তন সমাবেশ করবেন ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা।
আন্তক্যাডার দ্বন্দ্বের জেরে প্রশাসন ক্যাডার এবং ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তাদের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির কারণে সরকারি কর্মচারীদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। কাজেই এসবের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের দায়ে ব্যবস্থা নেবে সরকার।
সরকারের সর্বস্তরে শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালার ৩০(এ) বিধিসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য আইন ও বিধি যথাযথভাবে অনুসরণের নির্দেশনা দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি বিভিন্ন পদমর্যাদার কিছু সরকারি কর্মচারীর বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে সমাবেশ, অবস্থান ধর্মঘট, মানববন্ধন, কলমবিরতিসহ নানা কর্মসূচি পালনের কারণে সরকারি কর্মচারীদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘ইদানীং লক্ষ্য করা যাচ্ছে, সরকারের কোনো কোনো সিদ্ধান্ত, আদেশ বা সংস্কার কার্যক্রমের বাস্তবায়ন সম্পন্ন হওয়ার আগেই বিবেচ্য বিষয়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিরূপ মন্তব্যসহ বিবৃতি প্রকাশ করা হচ্ছে। এগুলো সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯-এর পরিপন্থী।’
বিজ্ঞপ্তিতে সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালার ৩০ নম্বরের বিধিগুলো মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে। ৩০(এ) বিধিতে বলা হয়েছে, ‘কোনো সরকারি কর্মচারী সরকারের অথবা কর্তৃপক্ষের কোনো সিদ্ধান্ত বা আদেশ পালনে জনসম্মুখে আপত্তি উত্থাপন করতে বা যে কোনো প্রকারে বাধা দিতে পারবেন না, অথবা অন্য কোনো ব্যক্তিকে তা করার জন্য উত্তেজিত বা প্ররোচিত করতে পারবেন না।’
৩০(বি) বিধিতে বলা হয়েছে, ‘সরকারের বা কর্তৃপক্ষের কোনো সিদ্ধান্ত বা আদেশ সম্পর্কে জনসম্মুখে কোনো অসন্তুষ্টি বা বিরক্তি প্রকাশ করতে অথবা অন্যকে তা করার জন্য প্ররোচিত করতে অথবা কোনো আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে বা অন্যকে অংশগ্রহণ করার জন্য প্ররোচিত করতে পারবেন না।’
৩০(সি) বিধি অনুযায়ী, ‘সরকার বা কর্তৃপক্ষের কোনো সিদ্ধান্ত বা আদেশ পরিবর্তন, বদলানো, সংশোধন বা বাতিলের জন্য অনুচিত প্রভাব বা চাপ প্রয়োগ করতে পারবেন না।’ আর ৩০(ডি) অনুযায়ী, ‘সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে যেকোনোভাবে অসন্তুষ্টি, ভুল-বোঝাবুঝি বা বিদ্বেষের সৃষ্টি করা বা অন্যকে প্ররোচিত করার উদ্যোগ নেওয়া যাবে না।’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালার যেকোনো বিধান লঙ্ঘন সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর আওতায় অসদাচরণ হয়েছে বলে গণ্য হবে। কোনো সরকারি কর্মচারী এ বিধিমালার কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে তিনি অসদাচরণের দায়ে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আওতায় আসবেন। সরকারি কর্মচারীদের শৃঙ্খলাবহির্ভূত আচরণের বিষয়ে সরকারের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর।
গত ১৭ ডিসেম্বর সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী জানান, উপসচিব পদে পদোন্নতিতে প্রশাসন ক্যাডারের ৫০ শতাংশ এবং অন্য সব ক্যাডার থেকে ৫০ শতাংশ কোটা রাখার সুপারিশ করবেন তাঁরা। এ ছাড়া শিক্ষা এবং শিক্ষা ক্যাডারকে ক্যাডার সার্ভিস থেকে আলাদা করে কমিশনের অধীনে নেওয়ার পরিকল্পনার কথাও জানান সংস্কার কমিশনের সদস্যরা।
এর প্রতিবাদ জানিয়ে ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা গত ২৪ ডিসেম্বর কলমবিরতি এবং ২৬ ডিসেম্বর মানববন্ধন করেন। উপসচিব পুলের কোটা নিয়ে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারাও গত ২২ ডিসেম্বর সচিবালয়ে নজিরবিহীন অবস্থান কর্মসূচি এবং ২৫ ডিসেম্বর বিয়াম মিলনায়তনে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। ৩ জানুয়ারি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তন সমাবেশ করবেন ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রামের ওয়াসা মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদ ও সমন্বয়ক রাসেল আহমেদকে অবরুদ্ধ করে হামলার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার বিকেলে নগরের ওয়াসা মোড়ে একটি অফিসে এ ঘটনা ঘটে।
৫ ঘণ্টা আগেকারাগার থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনিরকে সম্প্রতি একটি চিঠি লিখেছেন। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমার মতো অসহায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির আর্তনাদ কেউ শুনতে চায় না। তারপরও মনে হয়, কেউ যদি শোনে। বিনা দোষে জেল খাটার চেয়ে মরে যাওয়া অনেক ভালো।’
৬ ঘণ্টা আগেনোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা শ্রম আইনের পাঁচ মামলার কার্যক্রম বাতিল করেছিলেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ পৃথক লিভ টু আপিল করলে গত ৮ ডিসেম্বর তা খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। আপিল বিভাগের আদেশের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি ৬ জানুয়ারি প্রকাশিত হয়।
৭ ঘণ্টা আগেগণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ বলেন, যাঁরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার কারণে জেল খেটেছেন, তাঁদের কাছে ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাইতে হবে।’
৮ ঘণ্টা আগে