ফুলবাড়ী ও দিনাজপুর প্রতিনিধি
বিস্ফোরক দ্রব্যের সংকটের কারণে দিনাজপুরের মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনি থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধ হয়ে গেছে। আজ শনিবার সকাল থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধ রেখে খনি শ্রমিকদের সাময়িক ছুটিতে দিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জার্মানিয়া ট্রাস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি)।
দেশের একমাত্র কঠিন শিলা খনি এটি। খনি থেকে প্রতিদিন গড়ে সাড়ে ৫ হাজার টন পাথর উত্তোলন করা হয়। ফলে বিস্ফোরণ সংকটে উত্তোলন বন্ধ থাকায় বিপুল পরিমাণে রাজস্ব হারাবে সরকার।
খনিটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জিটিসির একটি সূত্র জানায়, চুক্তি অনুযায়ী পাথর উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত বিস্ফোরক দ্রব্য খনি কর্তৃপক্ষের সরবরাহ করার কথা। কিন্তু তারা সময়মতো তা সরবরাহ না করায় উৎপাদন বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা।
বিস্ফোরক না থাকার কারণে উৎপাদন কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সবাইকে ছুটি দিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ওই খনির একাধিক শ্রমিক।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে বিস্ফোরক সংকটের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
মধ্যপাড়া মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড (এমজিএমসিএল) কর্তৃপক্ষ জানায়, কোভিড-১৯ পরিস্থিতি ও সাম্প্রতিক ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সময়মতো বিস্ফোরক দ্রব্য (অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট) আমদানি করা সম্ভব হয়নি। এই সংকটের কারণেই উৎপাদন সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
খনি কর্তৃপক্ষ জানায়, স্বাভাবিকভাবে কোরিয়া, থাইল্যান্ড ও ভারত থেকে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট আমদানি করা হয়ে থাকে। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতি ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে ছয় মাস ধরে চেষ্টা করেও বিস্ফোরকটি সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। খনিতে থাকা সর্বশেষ মজুতটি দিয়ে গত বৃহস্পতিবার পাথর উত্তোলন চালানো হয়। আজ শনিবার থেকে উৎপাদন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
তবে থাইল্যান্ড থেকে চার কন্টেইনার অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট নিয়ে একটি জাহাজ গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। আগামী ২২ মার্চ সেটি চট্টগ্রাম পৌঁছার কথা রয়েছে। সেটি পৌঁছালেই উৎপাদন শুরু করা যাবে বলে আশা করছে খনি কর্তৃপক্ষ।
মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (মাইনিং) আবু তালহা ফরাজি বলেন, ‘কোভিড-১৯ পরিস্থিতি ও সাম্প্রতিক ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে আমরা টেন্ডার আহ্বান করে, সরাসরি সংগ্রহের চেষ্টা করেও অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট সংগ্রহ করতে পারিনি। জিটিসিও চেষ্টা করেছে, তারাও ব্যর্থ হয়েছে। তবে থাইল্যান্ড থেকে একটি শিপ চার কন্টেইনার অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট নিয়ে গত শুক্রবার বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। এটি আগামী ২২ মার্চ চট্টগ্রাম পৌঁছার কথা রয়েছে।’
এদিকে, পাথর উত্তোলন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মধ্যপাড়ার পাথরের ওপর নির্ভরশীল উন্নয়নকাজ বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খনি সূত্র জানায়, খনিতে বর্তমানে ৬০ হাজার টনের মতো পাথর মজুত রয়েছে। এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৪০ হাজার টন পাথর বিক্রি হয়ে গেছে। যে সামান্য পরিমাণে রয়েছে তার মধ্যে আবার প্রচুর গুঁড়াও রয়েছে।
মধ্যপাড়া পাথর খনি থেকে পাথর উত্তোলনের জন্য ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে বেলারুশ ভিত্তিক জার্মানিয়া ট্রাস্ট কনসোর্টিয়ামের (জিটিসি) সঙ্গে আগামী ছয় বছরের পুনঃচুক্তি করে মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড। চুক্তি অনুযায়ী, প্রতিদিন গড়ে সাড়ে ৫ হাজার টন পাথর উত্তোলন করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জিটিসি।
বিস্ফোরক দ্রব্যের সংকটের কারণে দিনাজপুরের মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনি থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধ হয়ে গেছে। আজ শনিবার সকাল থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধ রেখে খনি শ্রমিকদের সাময়িক ছুটিতে দিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জার্মানিয়া ট্রাস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি)।
দেশের একমাত্র কঠিন শিলা খনি এটি। খনি থেকে প্রতিদিন গড়ে সাড়ে ৫ হাজার টন পাথর উত্তোলন করা হয়। ফলে বিস্ফোরণ সংকটে উত্তোলন বন্ধ থাকায় বিপুল পরিমাণে রাজস্ব হারাবে সরকার।
খনিটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জিটিসির একটি সূত্র জানায়, চুক্তি অনুযায়ী পাথর উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত বিস্ফোরক দ্রব্য খনি কর্তৃপক্ষের সরবরাহ করার কথা। কিন্তু তারা সময়মতো তা সরবরাহ না করায় উৎপাদন বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা।
বিস্ফোরক না থাকার কারণে উৎপাদন কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সবাইকে ছুটি দিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ওই খনির একাধিক শ্রমিক।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে বিস্ফোরক সংকটের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
মধ্যপাড়া মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড (এমজিএমসিএল) কর্তৃপক্ষ জানায়, কোভিড-১৯ পরিস্থিতি ও সাম্প্রতিক ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সময়মতো বিস্ফোরক দ্রব্য (অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট) আমদানি করা সম্ভব হয়নি। এই সংকটের কারণেই উৎপাদন সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
খনি কর্তৃপক্ষ জানায়, স্বাভাবিকভাবে কোরিয়া, থাইল্যান্ড ও ভারত থেকে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট আমদানি করা হয়ে থাকে। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতি ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে ছয় মাস ধরে চেষ্টা করেও বিস্ফোরকটি সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। খনিতে থাকা সর্বশেষ মজুতটি দিয়ে গত বৃহস্পতিবার পাথর উত্তোলন চালানো হয়। আজ শনিবার থেকে উৎপাদন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
তবে থাইল্যান্ড থেকে চার কন্টেইনার অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট নিয়ে একটি জাহাজ গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। আগামী ২২ মার্চ সেটি চট্টগ্রাম পৌঁছার কথা রয়েছে। সেটি পৌঁছালেই উৎপাদন শুরু করা যাবে বলে আশা করছে খনি কর্তৃপক্ষ।
মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (মাইনিং) আবু তালহা ফরাজি বলেন, ‘কোভিড-১৯ পরিস্থিতি ও সাম্প্রতিক ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে আমরা টেন্ডার আহ্বান করে, সরাসরি সংগ্রহের চেষ্টা করেও অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট সংগ্রহ করতে পারিনি। জিটিসিও চেষ্টা করেছে, তারাও ব্যর্থ হয়েছে। তবে থাইল্যান্ড থেকে একটি শিপ চার কন্টেইনার অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট নিয়ে গত শুক্রবার বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। এটি আগামী ২২ মার্চ চট্টগ্রাম পৌঁছার কথা রয়েছে।’
এদিকে, পাথর উত্তোলন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মধ্যপাড়ার পাথরের ওপর নির্ভরশীল উন্নয়নকাজ বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খনি সূত্র জানায়, খনিতে বর্তমানে ৬০ হাজার টনের মতো পাথর মজুত রয়েছে। এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৪০ হাজার টন পাথর বিক্রি হয়ে গেছে। যে সামান্য পরিমাণে রয়েছে তার মধ্যে আবার প্রচুর গুঁড়াও রয়েছে।
মধ্যপাড়া পাথর খনি থেকে পাথর উত্তোলনের জন্য ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে বেলারুশ ভিত্তিক জার্মানিয়া ট্রাস্ট কনসোর্টিয়ামের (জিটিসি) সঙ্গে আগামী ছয় বছরের পুনঃচুক্তি করে মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড। চুক্তি অনুযায়ী, প্রতিদিন গড়ে সাড়ে ৫ হাজার টন পাথর উত্তোলন করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জিটিসি।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। রোববার (২৪ নভেম্বর) আইন মন্ত্রণালয় থেকে এই সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়
৪৩ মিনিট আগেগণ-অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর দায়িত্ব নিয়ে তড়িঘড়ি করে বেশির ভাগ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার। নতুন ডিসিদের মধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে এখন নানা রকম অভিযোগ আসছে। এই অবস্থায় নতুন কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে ডিসি নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
১ ঘণ্টা আগেসংবিধান সংস্কারে গঠিত কমিশন চলতি নভেম্বর মাসের মধ্যে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা শেষ করবে বলে জানিয়েছেন কমিশনটির প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেছেন, ‘যদি কোনো ধরনের অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় তাহলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সুপারিশের খসড়া প্রকাশ করা সম্ভব হবে। সুপারিশ চূড়ান্ত করে সরকারের কাছে দে
২ ঘণ্টা আগেজাপান বাংলাদেশে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তন নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি জানান, জাপান অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সহায়তা করতে প্রস্তুত এবং দুই দেশের ঐতিহাসিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে