Ajker Patrika

মার্কিন শুল্ক মোকাবিলায় ও বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে শুল্ক পর্যালোচনা করছে বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০৩ এপ্রিল ২০২৫, ১৬: ১৪
সব আমদানি পণ্যে বিভিন্ন মাত্রায় শুল্ক আরোপ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত
সব আমদানি পণ্যে বিভিন্ন মাত্রায় শুল্ক আরোপ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল বুধবার রাতে বাংলাদেশের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। এ বিষয়ে সরকারের কর্তাব্যক্তিরা বলছেন, সরকার যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর আরোপিত শুল্ক পর্যালোচনা করছে। পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে হ্রাসকৃত শুল্ক কাঠামোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শেয়ার করা এক পোস্টে বলেছেন, ‘বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর শুল্ক পর্যালোচনা করছে। এই বিষয়টি সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ হিসেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড দ্রুত শুল্ক যৌক্তিকীকরণের উপায় চিহ্নিত করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও আমাদের বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য। ট্রাম্প প্রশাসন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আমরা আমাদের দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা জোরদার করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। মার্কিন সরকারের সঙ্গে আমাদের চলমান কাজ শুল্ক সমস্যা সমাধানে সাহায্য করবে বলে আশা করা হচ্ছে।’

এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফায়েজ আহমেদ তৈয়্যব তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘বিশ্বের বাকি অংশ যখন নবঘোষিত শুল্ক বাধার বিরুদ্ধে প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখন বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে হ্রাসকৃত শুল্ক কাঠামোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ইপিজেড, বিশেষ ইপিজেড, হাইটেক পার্কে, আমরা স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের সহজ নিবন্ধন, রপ্তানি প্রণোদনা, নিরাপদ জমি, মানসম্পন্ন বিদ্যুৎ, নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেট এবং অত্যন্ত নমনীয় ডেটা সেন্টার, ইনফ্রা ও ক্লাউড নীতি প্রদান করব।’

এর আগে, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা মোকাবিলার লক্ষ্যে পাল্টা শুল্ক নীতি ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই শুল্ক আরোপকে আমেরিকান শিল্পকে সুরক্ষা দেওয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর লক্ষ্যে অন্যান্য দেশ আমেরিকান পণ্যের ওপর যে আমদানি শুল্ক আরোপ করে, তার ভারসাম্য বা প্রতিহত করার একটি বৃহত্তর কৌশলের অংশ হিসেবে প্রচার করছেন ট্রাম্প।

বাংলাদেশের জন্য শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৭ শতাংশ। এই হারটি ট্রাম্প প্রশাসনের বাংলাদেশের বাণিজ্য পদ্ধতির মূল্যায়নের ভিত্তিতে হিসাব করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে, যার মধ্যে শুধু আমেরিকান রপ্তানির ওপর আরোপিত শুল্কই নয়, ’কারেন্সি ম্যানিপুলেশন’ এবং অন্যান্য অ-শুল্ক বাধার কথাও বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্রে রেডিমেড গার্মেন্টস (আরএমজি) এর একটি প্রধান রপ্তানিকারক। বাংলাদেশ এই বাজারের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভর করে, যার বার্ষিক রপ্তানি মূল্য প্রায় ৭-১০ বিলিয়ন ডলার।

৩৭ শতাংশ শুল্ক, বিদ্যমান শুল্কের (যেমন পোশাকের ওপর গড়ে ১৫ %) সঙ্গে যোগ হলে, বাংলাদেশি রপ্তানিকারকদের জন্য খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়তে পারে, যা যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তাদের প্রতিযোগিতার জন্য হুমকি হতে পারে।

অর্থনীতিবিদ এবং শিল্প বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এটি বাংলাদেশের আরএমজি খাতকে ব্যাহত করতে পারে, যা এ দেশের অর্থনীতির একটি বড় অংশ। যদিও কেউ কেউ বলছেন, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ তৈরি পোশাকের ক্ষেত্রে স্বল্প মেয়াদে চীনের মতো উচ্চ শুল্কযুক্ত দেশগুলোর বিকল্প হিসেবে আমেরিকান ক্রেতাদের বাংলাদেশ থেকে ক্রয় করতে উৎসাহিত করতে পারে।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মাত্র তিনজনের জন্য লাখ লাখ মানুষ মরছে, কাদের কথা বললেন ট্রাম্প

জুয়ার বিজ্ঞাপনের প্রচার: আলোচিত টিকটকার জান্নাতের স্বামী তোহা কারাগারে

বৈশাখী মেলার নাগরদোলায় চড়িয়ে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা

ঈদের ছুটিতে কৃষি প্রকল্পে পাতানো দরপত্র

জেলা প্রশাসনের আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া সেই আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত