অনলাইন ডেস্ক
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মামলায় কারাবন্দী বিডিআর সদস্যদের মুক্তি, হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার ও চাকরি ফিরিয়ে দেওয়াসহ ৬ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে বিডিআর পরিবারের সদস্যরা। ‘জাস্টিস ফর বিডিআর’ ব্যানারে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে সংহতি সমাবেশ কর্মসূচির প্রথম দিনে আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় শহীদ মিনারে অবস্থান নেন তাঁরা।
বিডিআর পরিবারের সদস্যরা বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে বিডিআর বিদ্রোহ বলে গত ১৬ বছর ধরে চালানো হয়েছে। এটি কোনো বিদ্রোহ ছিল না বরং পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড ছিল। পিলখানায় ভারতীয় বাহিনী ঢুকে এই হত্যাকাণ্ড চালায়। বিডিআররা কোনো উপায় না পেয়ে কেবল প্রতিরোধ করেছে। এই প্রতিরোধকে তৎকালীন সরকার বিদ্রোহ বলে চালিয়ে ৯ হাজারেরও বেশি বিডিআরকে চাকরিচ্যুত করেছে এবং বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছে। এই অন্যায়ের বিপক্ষে ৬ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা।
দাবিগুলো হলো—
১. পিলখানার ভেতরে ও বাইরে ১৮টি বিশেষ আদালত ও অধিনায়কের সামারি কোর্ট গঠন করে যেসব বিডিআর সদস্যদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, তাদের সবাইকে চাকরিতে পুনর্বহাল করা এবং ক্ষতিপূরণ ও রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা।
২. ইতিমধ্যে হত্যা মামলায় খালাসপ্রাপ্ত ও সাজা শেষ হওয়া জেল বন্দী বিডিআর সদস্যদের মুক্তি এবং বিস্ফোরক মামলা প্রত্যাহার।
৩. গঠিত কমিশন স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করার জন্য প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত ’ব্যতীত’ শব্দ এবং কার্যপরিধি ২ এর (ঙ) নম্বর ধারা বাদ দেওয়া। সর্বপ্রকার নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের মুক্তি দেওয়া এবং পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সঠিক কারণ উদ্ঘাটন, মূল ষড়যন্ত্রকারী ও হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা।
৪. পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শহীদ হওয়া ৫৭ সেনা কর্মকর্তা, ১০ বিডিআর সদস্যসহ সর্বমোট ৭৪ জনের হত্যাকারীর বিচার নিশ্চিত করা। জেলের ভেতর মারা যাওয়া প্রত্যেক বিডিআর সদস্যের মৃত্যুর সঠিক কারণ উন্মোচন করা। অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়ে থাকলে দায়ী সবাইকে বিচারের আওতায় আনা।
৫. স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ধারণকারী বিডিআর নাম ফিরিয়ে আনা।
৬. পিলখানার হত্যাকাণ্ডের শহীদের স্মরণে জাতীয় দিবস ঘোষণা করা এবং শহীদ পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
বিডিআর সদস্য বিএম কামরুজ্জামান বলেন, তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার প্রধান শেখ হাসিনা তাঁর ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য এবং ভারতকে খুশি করার জন্য চৌকস বিডিআর বাহিনীকে ধ্বংস করে দিয়ে গঠন করেছে বিজিবি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দাবি বিডিআর সদস্যদের চাকরিতে আবারও পুনর্বহাল করতে হবে এবং আমাদের যেসব ভাইয়েরা জেল খানায় কষ্টের জীবন-যাপন করছে তাদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। এ দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের লাগাতার কর্মসূচি চলমান থাকবে।’
বিডিআর সন্তান আল-আমিন বলেন, ‘বিনা অপরাধে আমার বাবাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পরেও কিছুদিন আমার বাবা ডিউটি করেছিল। পরবর্তীতে ছুটিতে থাকাকালীন আমার বাবাকে ফোন করে ডেকে নিয়ে তাকে এই মিথ্যা সাজার সম্মুখীন করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘সরকারকে বলব অবিলম্বে বিডিআরদের চাকরিতে পুনর্বহাল করুন। এই দাবি আদায়ে আমরা জীবন দিতেও প্রস্তুত আছি।’
কর্মসূচিতে বিভিন্ন জেলা থেকে নানা ব্যানার নিয়ে উপস্থিত হয়েছেন বিডিআর সদস্যরা। তাদের ‘বিজিবি না বিডিআর-বিডিআর বিডিআর’, ‘দেশপ্রেমিক বিডিআর-সীমান্তে যাবে আরেকবার’, ‘বিডিআরের ঠিকানা-পিলখানা পিলখানা’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মামলায় কারাবন্দী বিডিআর সদস্যদের মুক্তি, হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার ও চাকরি ফিরিয়ে দেওয়াসহ ৬ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে বিডিআর পরিবারের সদস্যরা। ‘জাস্টিস ফর বিডিআর’ ব্যানারে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে সংহতি সমাবেশ কর্মসূচির প্রথম দিনে আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় শহীদ মিনারে অবস্থান নেন তাঁরা।
বিডিআর পরিবারের সদস্যরা বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে বিডিআর বিদ্রোহ বলে গত ১৬ বছর ধরে চালানো হয়েছে। এটি কোনো বিদ্রোহ ছিল না বরং পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড ছিল। পিলখানায় ভারতীয় বাহিনী ঢুকে এই হত্যাকাণ্ড চালায়। বিডিআররা কোনো উপায় না পেয়ে কেবল প্রতিরোধ করেছে। এই প্রতিরোধকে তৎকালীন সরকার বিদ্রোহ বলে চালিয়ে ৯ হাজারেরও বেশি বিডিআরকে চাকরিচ্যুত করেছে এবং বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছে। এই অন্যায়ের বিপক্ষে ৬ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা।
দাবিগুলো হলো—
১. পিলখানার ভেতরে ও বাইরে ১৮টি বিশেষ আদালত ও অধিনায়কের সামারি কোর্ট গঠন করে যেসব বিডিআর সদস্যদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, তাদের সবাইকে চাকরিতে পুনর্বহাল করা এবং ক্ষতিপূরণ ও রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা।
২. ইতিমধ্যে হত্যা মামলায় খালাসপ্রাপ্ত ও সাজা শেষ হওয়া জেল বন্দী বিডিআর সদস্যদের মুক্তি এবং বিস্ফোরক মামলা প্রত্যাহার।
৩. গঠিত কমিশন স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করার জন্য প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত ’ব্যতীত’ শব্দ এবং কার্যপরিধি ২ এর (ঙ) নম্বর ধারা বাদ দেওয়া। সর্বপ্রকার নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের মুক্তি দেওয়া এবং পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সঠিক কারণ উদ্ঘাটন, মূল ষড়যন্ত্রকারী ও হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা।
৪. পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শহীদ হওয়া ৫৭ সেনা কর্মকর্তা, ১০ বিডিআর সদস্যসহ সর্বমোট ৭৪ জনের হত্যাকারীর বিচার নিশ্চিত করা। জেলের ভেতর মারা যাওয়া প্রত্যেক বিডিআর সদস্যের মৃত্যুর সঠিক কারণ উন্মোচন করা। অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়ে থাকলে দায়ী সবাইকে বিচারের আওতায় আনা।
৫. স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ধারণকারী বিডিআর নাম ফিরিয়ে আনা।
৬. পিলখানার হত্যাকাণ্ডের শহীদের স্মরণে জাতীয় দিবস ঘোষণা করা এবং শহীদ পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
বিডিআর সদস্য বিএম কামরুজ্জামান বলেন, তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার প্রধান শেখ হাসিনা তাঁর ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য এবং ভারতকে খুশি করার জন্য চৌকস বিডিআর বাহিনীকে ধ্বংস করে দিয়ে গঠন করেছে বিজিবি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দাবি বিডিআর সদস্যদের চাকরিতে আবারও পুনর্বহাল করতে হবে এবং আমাদের যেসব ভাইয়েরা জেল খানায় কষ্টের জীবন-যাপন করছে তাদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। এ দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের লাগাতার কর্মসূচি চলমান থাকবে।’
বিডিআর সন্তান আল-আমিন বলেন, ‘বিনা অপরাধে আমার বাবাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পরেও কিছুদিন আমার বাবা ডিউটি করেছিল। পরবর্তীতে ছুটিতে থাকাকালীন আমার বাবাকে ফোন করে ডেকে নিয়ে তাকে এই মিথ্যা সাজার সম্মুখীন করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘সরকারকে বলব অবিলম্বে বিডিআরদের চাকরিতে পুনর্বহাল করুন। এই দাবি আদায়ে আমরা জীবন দিতেও প্রস্তুত আছি।’
কর্মসূচিতে বিভিন্ন জেলা থেকে নানা ব্যানার নিয়ে উপস্থিত হয়েছেন বিডিআর সদস্যরা। তাদের ‘বিজিবি না বিডিআর-বিডিআর বিডিআর’, ‘দেশপ্রেমিক বিডিআর-সীমান্তে যাবে আরেকবার’, ‘বিডিআরের ঠিকানা-পিলখানা পিলখানা’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
আগামী ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুন মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের লক্ষ্য নিয়ে সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ঐকমত্য কমিশনের দুই সদস্যের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এই তাগিদ দেন।
২ ঘণ্টা আগেবাংলা বছরের শেষ দিন ‘চৈত্রসংক্রান্তি’। আগামীকাল ১৩ এপ্রিল (রোববার) সমাপ্তি ঘটবে ১৪৩১ সনের। চৈত্রসংক্রান্তি ঘিরে প্রাচীনকাল থেকে চলে আসছে নানা অনুষ্ঠান-পূজা-পার্বণ-মেলা। চৈত্রসংক্রান্তি উদ্যাপনে রাজধানীসহ সারা দেশে আয়োজিত হচ্ছে নানা ধরনের অনুষ্ঠান।
৩ ঘণ্টা আগেভারত থেকে আরও ৩৬ হাজার ১০০ টন সেদ্ধ চাল নিয়ে এমভি ফ্রসো নামের একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। আজ শনিবার (১২ এপ্রিল) খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৪ ঘণ্টা আগেমিয়ানমারের ভূমিকম্পদুর্গত মানুষের জন্য দ্বিতীয় পর্যায়ের মানবিক সহায়তা সামগ্রী নিয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ ‘বানৌজা সমুদ্র অভিযান’ ইয়াঙ্গুনে পৌঁছেছে। ঢাকায় প্রাপ্ত এক তথ্য বিবরণীতে এ কথা জানিয়ে বলা হয়, ‘জাহাজটি ৭৫ দশমিক ৫ টন শুকনো খাবার, স্বাস্থ্যসেবা উপকরণ, পানি, তাঁবু, জরুরি সামগ্রীসহ ১২
৪ ঘণ্টা আগে