কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
করোনার টিকা কর্মসূচিতে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির রোগনিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থার (সিডিসি) কান্ট্রি ডিরেক্টর নিলি কায়দোস ডেনিয়েলস। আজ বুধবার আমেরিকান সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে দুই দেশের টিকা কর্মসূচি নিয়ে প্রশ্ন করলে নিলি কায়দোস ডেনিয়েলস বলেন, ‘এটা সত্যি যে জনসংখ্যার অনুপাতে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বেশি করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছে এমন পরিসংখ্যানেও বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে থেকে এগিয়ে।’
নিলি কায়দোস বলেন, করোনাভাইরাস মহামারির চতুর্থ ঢেউয়ের ঝুঁকি আছে। তবে সেই ঢেউ শুরু হলেও তা আগের তুলনায় তীব্র বা প্রবল না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এরই মধ্যে বহু মানুষের দেহে ‘হার্ড ইমিউনিটি’ তৈরি হয়েছে বলে ধরে নেওয়া যায়। এ ছাড়া বহু মানুষ এরই মধ্যে করোনার টিকা পেয়েছেন। সে কারণে মহামারির চতুর্থ ঢেউ এলেও তা তীব্র হওয়ার আশঙ্কা কম। তবে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। এ ছাড়া পরিস্থিতি মোকাবিলায় থাকতে হবে সব ধরনের প্রস্তুতি।
সংবাদ সম্মেলনে জনস্বাস্থ্যবিধি নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন নিলি কায়দোস। এ সময় তিনি বাংলাদেশে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের ব্যবহার যেভাবে বাড়ছে, তা উদ্বেগজনক। কারও দুদিনের অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ দিলে কাজ হবে, কিন্তু তাকে দেওয়া হচ্ছে পাঁচ দিনের। এ ছাড়া বাংলাদেশের ওষুধের দোকানগুলোতে প্রেসক্রিপশন ছাড়াই এ ধরনের ওষুধ বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে মানুষের জীবাণু নিরোধক প্রতিরোধ ব্যবস্থা কমে যাচ্ছে। এর চরম অবস্থা এমন হতে পারে, যেমন মনে করুন আপনার হাত একটু কাটল, আর তাতেই আপনি মারা যাবেন।’
অ্যান্টিবায়োটিকের এই অপব্যবহারের ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতিকে একটি ধীর গতির নতুন মহামারির বলে আখ্যা দেন নিলি কায়দোস। তিনি বলেন, জীবাণু নিরোধক প্রতিরোধ হলো এমন একটি অবস্থা, যখন রোগের কারণ ব্যাকটেরিয়া কিংবা অন্য কোনো জীবাণু অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের কার্যকারিতাকে প্রতিরোধ করতে পারে। অর্থাৎ কেউ জীবাণু নিরোধক প্রতিরোধক ব্যাকটেরিয়া কিংবা অন্য কোনো জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হলে অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে তার চিকিৎসা সম্ভব হয় না। বিশ্বজুড়ে জীবাণু নিরোধক প্রতিরোধ আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। এটি করোনার মতো মহামারির তুলনায় অনেক ধীর গতিতে বিস্তার পাওয়া এক মহামারি হলে কম গুরুত্বপূর্ণ নয়।
সিডিসির কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, জীবাণু নিরোধক প্রতিরোধ এক ধরনের হুমকি, যা বোঝা দরকার এবং মানুষ, প্রাণিসম্পদ ও পরিবেশে একে নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। এটি বাংলাদেশ সরকার ও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অগ্রাধিকারমূলক একটি বিষয়। সিডিসি বাংলাদেশে জীবাণু নিরোধক প্রতিরোধ অবস্থার গতিধারা বোঝা ও এর উত্থানের গতিকে ধীর করতে আইইডিসিআর, আইসিডিডিআর’বি, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর (ডিএলএস) ও বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বিএলআরআই) বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পগুলোতে সহায়তা করছে।
করোনার টিকা কর্মসূচিতে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির রোগনিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থার (সিডিসি) কান্ট্রি ডিরেক্টর নিলি কায়দোস ডেনিয়েলস। আজ বুধবার আমেরিকান সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে দুই দেশের টিকা কর্মসূচি নিয়ে প্রশ্ন করলে নিলি কায়দোস ডেনিয়েলস বলেন, ‘এটা সত্যি যে জনসংখ্যার অনুপাতে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বেশি করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছে এমন পরিসংখ্যানেও বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে থেকে এগিয়ে।’
নিলি কায়দোস বলেন, করোনাভাইরাস মহামারির চতুর্থ ঢেউয়ের ঝুঁকি আছে। তবে সেই ঢেউ শুরু হলেও তা আগের তুলনায় তীব্র বা প্রবল না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এরই মধ্যে বহু মানুষের দেহে ‘হার্ড ইমিউনিটি’ তৈরি হয়েছে বলে ধরে নেওয়া যায়। এ ছাড়া বহু মানুষ এরই মধ্যে করোনার টিকা পেয়েছেন। সে কারণে মহামারির চতুর্থ ঢেউ এলেও তা তীব্র হওয়ার আশঙ্কা কম। তবে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। এ ছাড়া পরিস্থিতি মোকাবিলায় থাকতে হবে সব ধরনের প্রস্তুতি।
সংবাদ সম্মেলনে জনস্বাস্থ্যবিধি নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন নিলি কায়দোস। এ সময় তিনি বাংলাদেশে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের ব্যবহার যেভাবে বাড়ছে, তা উদ্বেগজনক। কারও দুদিনের অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ দিলে কাজ হবে, কিন্তু তাকে দেওয়া হচ্ছে পাঁচ দিনের। এ ছাড়া বাংলাদেশের ওষুধের দোকানগুলোতে প্রেসক্রিপশন ছাড়াই এ ধরনের ওষুধ বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে মানুষের জীবাণু নিরোধক প্রতিরোধ ব্যবস্থা কমে যাচ্ছে। এর চরম অবস্থা এমন হতে পারে, যেমন মনে করুন আপনার হাত একটু কাটল, আর তাতেই আপনি মারা যাবেন।’
অ্যান্টিবায়োটিকের এই অপব্যবহারের ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতিকে একটি ধীর গতির নতুন মহামারির বলে আখ্যা দেন নিলি কায়দোস। তিনি বলেন, জীবাণু নিরোধক প্রতিরোধ হলো এমন একটি অবস্থা, যখন রোগের কারণ ব্যাকটেরিয়া কিংবা অন্য কোনো জীবাণু অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের কার্যকারিতাকে প্রতিরোধ করতে পারে। অর্থাৎ কেউ জীবাণু নিরোধক প্রতিরোধক ব্যাকটেরিয়া কিংবা অন্য কোনো জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হলে অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে তার চিকিৎসা সম্ভব হয় না। বিশ্বজুড়ে জীবাণু নিরোধক প্রতিরোধ আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। এটি করোনার মতো মহামারির তুলনায় অনেক ধীর গতিতে বিস্তার পাওয়া এক মহামারি হলে কম গুরুত্বপূর্ণ নয়।
সিডিসির কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, জীবাণু নিরোধক প্রতিরোধ এক ধরনের হুমকি, যা বোঝা দরকার এবং মানুষ, প্রাণিসম্পদ ও পরিবেশে একে নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। এটি বাংলাদেশ সরকার ও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অগ্রাধিকারমূলক একটি বিষয়। সিডিসি বাংলাদেশে জীবাণু নিরোধক প্রতিরোধ অবস্থার গতিধারা বোঝা ও এর উত্থানের গতিকে ধীর করতে আইইডিসিআর, আইসিডিডিআর’বি, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর (ডিএলএস) ও বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বিএলআরআই) বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পগুলোতে সহায়তা করছে।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর তাঁদের অভ্যর্থনা জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, এবং আইওএমের কর্মকর্তারা। এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক মোস্তফা জামিল খান ফেরত আসা বাংলাদেশিদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁদের অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।
২ ঘণ্টা আগেজাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল, সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি ভোট গ্রহণ, প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার সুযোগসহ বিভিন্ন সুপারিশ করেছেন সংবাদপত্রের সম্পাদকেরা। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগেপরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান এখন সময়ের দাবি। বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের চাওয়া দ্রুত নির্বাচন। এ অবস্থায় নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনকে ‘ইতিবাচক’ হিসেবে দেখছেন দলগুলোর নেতারা। তাঁরা বলেছেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়
২ ঘণ্টা আগেনির্বাচন কমিশনে আড়াই মাসের শূন্যতা কাটল অবশেষে। গতকাল বৃহস্পতিবার অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
৩ ঘণ্টা আগে