নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ছাড়াও দলীয় নেতাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ দেওয়ার কারণ জানিয়েছেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘নির্বাচন বানচাল করার জন্য অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছিল। সবার (আওয়ামী লীগের) জন্য প্রার্থিতা উন্মুক্ত না থাকলে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাশাপাশি বাংলাদেশের গণতন্ত্র হরণ করা হতো।’
গতকাল শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। পাশাপাশি তিনি দ্রব্যমূল্য কমাতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে চাঁদাবাজি ও অবৈধ মজুতদারি বন্ধ করতে দলীয় জনপ্রতিনিধিদের উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিশেষ করে পরিবহনের ক্ষেত্রে বা পাইকারি বাজারে–এসব জায়গায় চাঁদাবাজি ও অবৈধ মজুতদারি বন্ধ করতে হবে। পাইকারি বাজারে চাঁদাবাজি, চলার পথের চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। আপনারা এখানে আছেন বিভিন্ন এলাকার প্রতিনিধি, এখানে আপনাদের দৃষ্টি দিতে হবে।’
সভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদ ও জাতীয় পরিষদের সদস্য ছাড়াও মহানগর, জেলা, উপজেলা ও পৌরসভা কমিটির নেতা, দলীয় ও দলের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য, সব স্থানীয় সরকার সংস্থায় দল থেকে নির্বাচিত মেয়র বা চেয়ারম্যান এবং দলের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকেরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি দেখেছেন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে যাতে ভোটাররা না আসে, নির্বাচন অবাধ হতে না পারে এবং নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা সহজ হয়, তা নিয়ে বড় ধরনের ষড়যন্ত্র হয়েছে। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, সেই লক্ষ্যে আমি এই নির্বাচনকে উন্মুক্ত করেছি, যাতে অন্তত একজন প্রতিপক্ষ থেকে যাবে এবং নির্বাচনটি হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক। ভোটাররা আসবে, তারা তাদের পছন্দ অনুযায়ী ভোট দেবে, তারা যাকে খুশি তাকে ভোট দেবে, জনগণ সেই অধিকার পাবে।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হয়েছে বলে শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘যারা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, তাদের সুস্পষ্টভাবে বলতে হবে যে, কী দেখে বলছে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয় নাই। সেটা তারা বলছে না; বলে যাচ্ছে, নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ হয় নাই। কিছু দেশীয়-আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে এ ধরনের কথা বলা হয়। যে দেশই বলুক, তাদের কাছে আমার প্রশ্ন, কীভাবে, কোথায় সমস্যা? তাদের বলতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশে নির্বাচন হয়েছে, সেটা এখনো তাদের বিরোধীদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। এমনকি নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় খুনোখুনি হয়ে গেছে। কিন্তু বাংলাদেশে নির্বাচনটা অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে হয়েছে। জনপ্রশাসন, সশস্ত্র বাহিনী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাই নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করেছে।
নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র হয়েছিল—এমনটি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ভোটার যেন না আসে, নির্বাচনটা অবাধ না হয়, নির্বাচনটা যেন হতে না পারে সেই চেষ্টা ছিল; নির্বাচন হওয়ার পরে যাতে প্রশ্ন তোলা যায় যে এই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। কাজেই নিষেধাজ্ঞা দাও, ওইটা দাও। তিনি বলেন, ‘সেইভাবে নির্বাচন করেছি বলেই আজকে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারছে না। অনেকেই বলে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারছে না। এই কথাটা আমাদের নেতা-কর্মীদের মাথায় রাখতে হবে।’
নির্বাচন ঘিরে নৌকা ও দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে, তা দূর করার নির্দেশনা দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। তিনি বলেন, ‘যেটা হয়ে গেছে, সেটা হয়ে গেছে, এখন ভুলে যেতে হবে। সবাই এক হয়ে কাজ করতে হবে। জনগণের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রেখে কাজ করতে হবে। যদি কোথাও কোনো সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে সেটা সমাধানের জন্য আমরা আছি, কেন্দ্রীয় কমিটি করবে। কিন্তু নিজেদের মধ্যে কোনো আত্মঘাতী সংঘাত যেন না হয় সেদিকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। দোষারোপ করার অর্থ হয় না।’
উপজেলা নির্বাচন উন্মুক্ত রাখা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘জনগণের কাছে কার গ্রহণযোগ্যতা সেটাই দেখব।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ছাড়াও দলীয় নেতাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ দেওয়ার কারণ জানিয়েছেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘নির্বাচন বানচাল করার জন্য অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছিল। সবার (আওয়ামী লীগের) জন্য প্রার্থিতা উন্মুক্ত না থাকলে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাশাপাশি বাংলাদেশের গণতন্ত্র হরণ করা হতো।’
গতকাল শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। পাশাপাশি তিনি দ্রব্যমূল্য কমাতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে চাঁদাবাজি ও অবৈধ মজুতদারি বন্ধ করতে দলীয় জনপ্রতিনিধিদের উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিশেষ করে পরিবহনের ক্ষেত্রে বা পাইকারি বাজারে–এসব জায়গায় চাঁদাবাজি ও অবৈধ মজুতদারি বন্ধ করতে হবে। পাইকারি বাজারে চাঁদাবাজি, চলার পথের চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। আপনারা এখানে আছেন বিভিন্ন এলাকার প্রতিনিধি, এখানে আপনাদের দৃষ্টি দিতে হবে।’
সভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদ ও জাতীয় পরিষদের সদস্য ছাড়াও মহানগর, জেলা, উপজেলা ও পৌরসভা কমিটির নেতা, দলীয় ও দলের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য, সব স্থানীয় সরকার সংস্থায় দল থেকে নির্বাচিত মেয়র বা চেয়ারম্যান এবং দলের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকেরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি দেখেছেন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে যাতে ভোটাররা না আসে, নির্বাচন অবাধ হতে না পারে এবং নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা সহজ হয়, তা নিয়ে বড় ধরনের ষড়যন্ত্র হয়েছে। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, সেই লক্ষ্যে আমি এই নির্বাচনকে উন্মুক্ত করেছি, যাতে অন্তত একজন প্রতিপক্ষ থেকে যাবে এবং নির্বাচনটি হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক। ভোটাররা আসবে, তারা তাদের পছন্দ অনুযায়ী ভোট দেবে, তারা যাকে খুশি তাকে ভোট দেবে, জনগণ সেই অধিকার পাবে।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হয়েছে বলে শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘যারা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, তাদের সুস্পষ্টভাবে বলতে হবে যে, কী দেখে বলছে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয় নাই। সেটা তারা বলছে না; বলে যাচ্ছে, নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ হয় নাই। কিছু দেশীয়-আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে এ ধরনের কথা বলা হয়। যে দেশই বলুক, তাদের কাছে আমার প্রশ্ন, কীভাবে, কোথায় সমস্যা? তাদের বলতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশে নির্বাচন হয়েছে, সেটা এখনো তাদের বিরোধীদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। এমনকি নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় খুনোখুনি হয়ে গেছে। কিন্তু বাংলাদেশে নির্বাচনটা অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে হয়েছে। জনপ্রশাসন, সশস্ত্র বাহিনী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাই নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করেছে।
নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র হয়েছিল—এমনটি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ভোটার যেন না আসে, নির্বাচনটা অবাধ না হয়, নির্বাচনটা যেন হতে না পারে সেই চেষ্টা ছিল; নির্বাচন হওয়ার পরে যাতে প্রশ্ন তোলা যায় যে এই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। কাজেই নিষেধাজ্ঞা দাও, ওইটা দাও। তিনি বলেন, ‘সেইভাবে নির্বাচন করেছি বলেই আজকে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারছে না। অনেকেই বলে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারছে না। এই কথাটা আমাদের নেতা-কর্মীদের মাথায় রাখতে হবে।’
নির্বাচন ঘিরে নৌকা ও দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে, তা দূর করার নির্দেশনা দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। তিনি বলেন, ‘যেটা হয়ে গেছে, সেটা হয়ে গেছে, এখন ভুলে যেতে হবে। সবাই এক হয়ে কাজ করতে হবে। জনগণের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রেখে কাজ করতে হবে। যদি কোথাও কোনো সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে সেটা সমাধানের জন্য আমরা আছি, কেন্দ্রীয় কমিটি করবে। কিন্তু নিজেদের মধ্যে কোনো আত্মঘাতী সংঘাত যেন না হয় সেদিকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। দোষারোপ করার অর্থ হয় না।’
উপজেলা নির্বাচন উন্মুক্ত রাখা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘জনগণের কাছে কার গ্রহণযোগ্যতা সেটাই দেখব।’
বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ব্যবসায়িক অংশীদারিত্বের উপর জোর দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মার্কিন সাময়িকী টাইমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছে, তিনি ব্যবসায়িক অংশীদার হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক নির্ম
৩ ঘণ্টা আগে‘আওয়ামী লীগও অন্য যে কোনো দলের মতো নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে। আমরা তাঁদের রাজনৈতিক ময়দানে প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত। তবে এর আগে তাদের আচরণ এবং অতীতে সংঘটিত অপরাধের জন্য দায় মেনে নিতে হবে। একবার তাঁরা আইনি বাধাগুলো কাটিয়ে উঠলে নির্বাচনে তাদের স্বাগত জানানো হবে।’
৪ ঘণ্টা আগেমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের ক্লাসের অ্যাসাইনমেন্ট হিসেবে তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী তথ্যপ্রাপ্তির আবেদন করতে দিলে এই আইন সম্পর্কে ধারণা ও বাস্তবায়ন বাড়বে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)-এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান।
৫ ঘণ্টা আগেপুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটে ৫৪ জন কর্মকর্তাকে বদলি ও নতুন কর্মস্থলে পদায়ন করা হয়েছে। এই কর্মকর্তাদের মধ্যে ৩১ জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং ২৩ জন সহকারী পুলিশ সুপার রয়েছেন। গতকাল বুধবার (২০ নভেম্বর) প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেছেন বিদায়ী পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম।
৬ ঘণ্টা আগে