নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আগামী জুলাই থেকে কাস্টমস আইন-২০২৩ বাস্তবায়ন শুরু হবে। এছাড়া ১০ লাখ বা এর বেশি টাকার মূল্য সংযোজন কর (মূসক) পরিশোধে ই-পেমেন্ট বা ই-চালান ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হবে।
আজ রোববার জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের বাজেট বাস্তবায়ন অগ্রগতি প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান।
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষে মূল্যস্ফীতি সরকারের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে নেমে আসবে বলে জাতীয় সংসদকে জানান তিনি। তাঁর আশা সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি, আমদানি নিয়ন্ত্রণ, সরকারের ব্যয়ে কৃচ্ছ্রসাধনসহ সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে বছর শেষে মূল্যস্ফীতি নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে থাকবে।
উপস্থাপিত প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে রাজস্ব আয়, রপ্তানির প্রবৃদ্ধি, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির ব্যয়, ব্যাপক মুদ্রার সরবরাহের মতো মৌলিক অর্থনৈতিক চলকগুলো সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে। রপ্তানি আয়ে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তবে সরকারের কৃচ্ছ্রসাধনের ফলে আমদানি ব্যয় নেতিবাচক। সার্বিকভাবে চলতি অর্থবছরে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন হবে বলে এই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়া উপস্থাপিত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, উৎসে কর কাটার জন্য Electronic Tax Deduction at Source (ETDS) ব্যবস্থা করা করা হবে। এছাড়া Electronic Fiscal Device (EFD) এবং Sales Data Controller (SDC) মেশিন বসানোর কার্যক্রম চলছে। থার্ড পার্টির মাধ্যমে এ কাজ দ্রুত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। নতুন করদাতা শনাক্তকরণ, মিডিয়াম অ্যান্ড লং টার্ম রেভিনিউ স্ট্র্যাটেজি প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জাতীয় সংসদকে জানানো হয়েছে। এতে অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে রাজস্ব সংগ্রহ বাড়বে বলে অর্থ প্রতিমন্ত্রী মনে করেন।
জুলাই থেকে ডিসেম্বর সময়ে কর রাজস্ব ১৩.৯ শতাংশ বেড়েছে। সরকারি ব্যয় হয়েছে ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮৯৮ কোটি টাকা, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ৫.৬২ শতাংশ বেশি। প্রথম ছয় মাসে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে মোট বরাদ্দের ২৩.৩ শতাংশ, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ১.৫ শতাংশ বেশি। ডিসেম্বর শেষে রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ২৭.৫৪ বিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ০.৮৪ % বেশি।
অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে আমদানি ব্যয় ১৯.৮০% কমেছে। বিলাসদ্রব্যের আমদানি পরিশোধ করা এবং মিতব্যয়িতার কারণে আমদানি কমেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
জুলাই থেকে ডিসেম্বর সময়ে প্রবাস আয় এসেছে ১০.৭৮ বিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের তুলনায় ২.৯১% বেশি।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সরকারের নির্ধারিত অগ্রাধিকারগুলোর মধ্যে অন্যতম উল্লেখ করে অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফীতিকে সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সরকার গত বছর থেকেই বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে আসছে। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত, আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের মূল্য-বৃদ্ধি এবং মার্কিন ডলারের মূল্য বৃদ্ধির কারণে সারা বিশ্বে উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপ দেখা যায়, যার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশেও মূল্যস্ফীতির চাপ প্রকট হয়েছে।
মূল্যস্ফীতির মতো বৈদেশিক মুদ্রার মজুত শক্ত অবস্থানে ফিরে আসা, রাজস্ব সংগ্রহ বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যও অর্জন সম্ভব হবে বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন ওয়াসিকা আয়শা খান। তিনি বলেন, সরকার ইতিমধ্যে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধির বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। তাই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ খুব দ্রুত শক্ত অবস্থানে ফিরে আসবে।
তিনি বলেন, বিগত কয়েক বছর ধরে কোভিড এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ অন্যান্য ভূরাজনৈতিক কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭.৫ % থেকে কমিয়ে ৬.৫% নির্ধারণ করা হয়েছে। বিভিন্ন ভূরাজনৈতিক কারণে বর্তমানে বিশ্ব অর্থনীতিতে যে বিরূপ প্রভাব চলমান আছে, তা থেকে বাংলাদেশও মুক্ত নয়। কিন্তু সকল বৈরী পরিস্থিতি মোকাবিলা করে বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যেতে সক্ষম হবে।
আগামী জুলাই থেকে কাস্টমস আইন-২০২৩ বাস্তবায়ন শুরু হবে। এছাড়া ১০ লাখ বা এর বেশি টাকার মূল্য সংযোজন কর (মূসক) পরিশোধে ই-পেমেন্ট বা ই-চালান ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হবে।
আজ রোববার জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের বাজেট বাস্তবায়ন অগ্রগতি প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান।
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষে মূল্যস্ফীতি সরকারের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে নেমে আসবে বলে জাতীয় সংসদকে জানান তিনি। তাঁর আশা সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি, আমদানি নিয়ন্ত্রণ, সরকারের ব্যয়ে কৃচ্ছ্রসাধনসহ সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে বছর শেষে মূল্যস্ফীতি নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে থাকবে।
উপস্থাপিত প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে রাজস্ব আয়, রপ্তানির প্রবৃদ্ধি, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির ব্যয়, ব্যাপক মুদ্রার সরবরাহের মতো মৌলিক অর্থনৈতিক চলকগুলো সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে। রপ্তানি আয়ে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তবে সরকারের কৃচ্ছ্রসাধনের ফলে আমদানি ব্যয় নেতিবাচক। সার্বিকভাবে চলতি অর্থবছরে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন হবে বলে এই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়া উপস্থাপিত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, উৎসে কর কাটার জন্য Electronic Tax Deduction at Source (ETDS) ব্যবস্থা করা করা হবে। এছাড়া Electronic Fiscal Device (EFD) এবং Sales Data Controller (SDC) মেশিন বসানোর কার্যক্রম চলছে। থার্ড পার্টির মাধ্যমে এ কাজ দ্রুত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। নতুন করদাতা শনাক্তকরণ, মিডিয়াম অ্যান্ড লং টার্ম রেভিনিউ স্ট্র্যাটেজি প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জাতীয় সংসদকে জানানো হয়েছে। এতে অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে রাজস্ব সংগ্রহ বাড়বে বলে অর্থ প্রতিমন্ত্রী মনে করেন।
জুলাই থেকে ডিসেম্বর সময়ে কর রাজস্ব ১৩.৯ শতাংশ বেড়েছে। সরকারি ব্যয় হয়েছে ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮৯৮ কোটি টাকা, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ৫.৬২ শতাংশ বেশি। প্রথম ছয় মাসে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে মোট বরাদ্দের ২৩.৩ শতাংশ, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ১.৫ শতাংশ বেশি। ডিসেম্বর শেষে রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ২৭.৫৪ বিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ০.৮৪ % বেশি।
অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে আমদানি ব্যয় ১৯.৮০% কমেছে। বিলাসদ্রব্যের আমদানি পরিশোধ করা এবং মিতব্যয়িতার কারণে আমদানি কমেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
জুলাই থেকে ডিসেম্বর সময়ে প্রবাস আয় এসেছে ১০.৭৮ বিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের তুলনায় ২.৯১% বেশি।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সরকারের নির্ধারিত অগ্রাধিকারগুলোর মধ্যে অন্যতম উল্লেখ করে অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফীতিকে সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সরকার গত বছর থেকেই বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে আসছে। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত, আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের মূল্য-বৃদ্ধি এবং মার্কিন ডলারের মূল্য বৃদ্ধির কারণে সারা বিশ্বে উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপ দেখা যায়, যার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশেও মূল্যস্ফীতির চাপ প্রকট হয়েছে।
মূল্যস্ফীতির মতো বৈদেশিক মুদ্রার মজুত শক্ত অবস্থানে ফিরে আসা, রাজস্ব সংগ্রহ বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যও অর্জন সম্ভব হবে বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন ওয়াসিকা আয়শা খান। তিনি বলেন, সরকার ইতিমধ্যে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধির বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। তাই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ খুব দ্রুত শক্ত অবস্থানে ফিরে আসবে।
তিনি বলেন, বিগত কয়েক বছর ধরে কোভিড এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ অন্যান্য ভূরাজনৈতিক কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭.৫ % থেকে কমিয়ে ৬.৫% নির্ধারণ করা হয়েছে। বিভিন্ন ভূরাজনৈতিক কারণে বর্তমানে বিশ্ব অর্থনীতিতে যে বিরূপ প্রভাব চলমান আছে, তা থেকে বাংলাদেশও মুক্ত নয়। কিন্তু সকল বৈরী পরিস্থিতি মোকাবিলা করে বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যেতে সক্ষম হবে।
গ্রীষ্মকালীন মৌসুমি ফল/আম পরিবহনের জন্য ডাক বিভাগের স্পিড পোস্টের মাধ্যমে প্রায় সব কটি জেলা শহরে (বান্দরবান খাগড়াছড়ি, নেত্রকোনা বাদে) ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছে দেবে ডাক বিভাগ।
৫ মিনিট আগেফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বাংলাদেশ সব সময় ফিলিস্তিনের পাশে রয়েছে। আল আকসা মসজিদের নামে স্মারক পাসপোর্ট ইস্যুর আশ্বাস ও ফিলিস্তিন টিভি প্রতিনিধি সফর নিয়েও আলোচনা হয়।
১২ মিনিট আগেবাণিজ্য এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। আগের দুই মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে নতুন করে তাঁকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
২১ মিনিট আগেঅনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত হাইকমিশনার মো. রিয়াজ হামিদুল্লাহ। এ উপলক্ষে বিভিন্ন দেশের দূতাবাস ও হাই কমিশনের কূটনীতিক, দিল্লির নাগরিক সমাজের সদস্য এবং সাংবাদিকদের নিয়ে এক উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়।
৩ ঘণ্টা আগে