সৌগত বসু, ঢাকা
মেট্রোরেল পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষ ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) টানা চারটি নিয়োগে সরকারি বয়সসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। এসব নিয়োগে ২২ জনের চাকরি স্থায়ী করার বিষয়টি নিয়েও প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। ডিএমটিসিএল বর্তমানে এমআরটি লাইন-৬ প্রকল্পে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ট্রেনে যাত্রী পরিবহন করে।
সরকারি বিধি অনুযায়ী নবম গ্রেডের নিয়োগের জন্য বয়সসীমা ৩০ বছর, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে তা ৩২ বছর। ডিএমটিসিএল সূত্রে জানা যায়, কোম্পানি চারটি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিজ্ঞপ্তিতে বয়সসীমা ৩৫ বছর নির্ধারণ করেছিল। এতে করে সরকারি বিধি মেনে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে চাকরি স্থায়ীকরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্নবিদ্ধ নিয়োগগুলো হয়েছে সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিকের সময়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, বর্তমানে এ নিয়োগপ্রাপ্তদের চাকরি স্থায়ীকরণের প্রক্রিয়া চললেও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে সরকারি বিধি মেনে নিয়োগপ্রাপ্তদের চাকরি নিশ্চিত করা হয়নি। সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ অনুযায়ী, ডিএমটিসিএলের সমস্ত নিয়োগপ্রক্রিয়ায় সরকারি বিধি মেনে চলার কথা থাকলেও তা উপেক্ষিত হয়েছে।
গত ২০ নভেম্বর সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার কাছে এই বিষয়ে স্মারকলিপি দিয়েছে ‘ডিএমটিসিএলের আওতাধীন এমআরটি লাইনসমূহে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত জনবল’ নামে একটি পক্ষ। তারা এসব নিয়োগের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। অন্যদিকে গত ১৪ আগস্ট নিয়োগপ্রাপ্তরাও ডিএমটিসিএলের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানের কাছে চাকরি স্থায়ী করার জন্য চিঠি দিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এমআরটি লাইন-৬ প্রকল্পের ৪৭ জন কর্মচারীর চাকরি স্থায়ী করার সুপারিশ করেছে অর্থ বিভাগ ও পরিকল্পনা কমিশন। এর মধ্যে নবম গ্রেডের ২২ জন রয়েছেন। এমআরটি লাইন-৬-এর সংশোধিত জনবলকাঠামোতে ১৪১টি পদের অনুমোদন ছিল। এর মধ্যে ৫৮টি পদ সরাসরি নিয়োগের জন্য নির্ধারণ করা হয়।
ডিএমটিসিএল সূত্রে জানা যায়, কোম্পানির আওতাধীন লাইনগুলো পরিচালনায় বিশেষ ও সাধারণ–এই দুই ধরনের বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তবে সাধারণ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রদানে সরকারি নীতি মানা হয়নি।
আজকের পত্রিকার কাছে থাকা তালিকা অনুযায়ী নবম গ্রেডে নিয়োগপ্রাপ্ত ২২ জনের মধ্যে ১৫ জন ২০১৯ সালের ২২ জুলাই যোগ দেন। তাঁদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ শুরু হয় ২০২১ সালের ২২ জুলাই থেকে। বাকিদের যোগদানের তারিখ ২০১৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে। চুক্তি ২০২১ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে শুরু হয়, যা ২০২৬ থেকে ২০২৯ পর্যন্ত চলবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, কোম্পানির সার্ভিস রুলে ৩৫ বছর বয়সসীমার কথা উল্লেখ থাকলেই কেবল এ ধরনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া যাবে। তবে ওই বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার সময় কোনো অনুমোদিত সার্ভিস রুল ছিল না।
চাকরি স্থায়ীকরণ সমস্যা নিয়ে জানতে চাইলে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ গত শনিবার বলেন, এই সমস্যা নিরসনে অতিরিক্ত সচিব মো. আছির উদ্দীন সরদারকে প্রধান করে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি কর্মকর্তাদের বিভিন্ন দাবি শুনছে। তাদের সুপারিশ এলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সার্ভিস রুল নিয়েও একটি কমিটি করা হয়েছে, যারা ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে মতামত জানাবে।
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব সার্ভিস রুল না থাকলে এবং সেই প্রতিষ্ঠান যদি সরকারি নিয়োগবিধি অনুসরণ না করে নিয়োগ দেয়, তাহলে সেই নিয়োগকে অবৈধ গণ্য করা যেতে পারে।
মেট্রোরেল পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষ ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) টানা চারটি নিয়োগে সরকারি বয়সসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। এসব নিয়োগে ২২ জনের চাকরি স্থায়ী করার বিষয়টি নিয়েও প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। ডিএমটিসিএল বর্তমানে এমআরটি লাইন-৬ প্রকল্পে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ট্রেনে যাত্রী পরিবহন করে।
সরকারি বিধি অনুযায়ী নবম গ্রেডের নিয়োগের জন্য বয়সসীমা ৩০ বছর, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে তা ৩২ বছর। ডিএমটিসিএল সূত্রে জানা যায়, কোম্পানি চারটি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিজ্ঞপ্তিতে বয়সসীমা ৩৫ বছর নির্ধারণ করেছিল। এতে করে সরকারি বিধি মেনে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে চাকরি স্থায়ীকরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্নবিদ্ধ নিয়োগগুলো হয়েছে সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিকের সময়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, বর্তমানে এ নিয়োগপ্রাপ্তদের চাকরি স্থায়ীকরণের প্রক্রিয়া চললেও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে সরকারি বিধি মেনে নিয়োগপ্রাপ্তদের চাকরি নিশ্চিত করা হয়নি। সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ অনুযায়ী, ডিএমটিসিএলের সমস্ত নিয়োগপ্রক্রিয়ায় সরকারি বিধি মেনে চলার কথা থাকলেও তা উপেক্ষিত হয়েছে।
গত ২০ নভেম্বর সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার কাছে এই বিষয়ে স্মারকলিপি দিয়েছে ‘ডিএমটিসিএলের আওতাধীন এমআরটি লাইনসমূহে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত জনবল’ নামে একটি পক্ষ। তারা এসব নিয়োগের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। অন্যদিকে গত ১৪ আগস্ট নিয়োগপ্রাপ্তরাও ডিএমটিসিএলের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানের কাছে চাকরি স্থায়ী করার জন্য চিঠি দিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এমআরটি লাইন-৬ প্রকল্পের ৪৭ জন কর্মচারীর চাকরি স্থায়ী করার সুপারিশ করেছে অর্থ বিভাগ ও পরিকল্পনা কমিশন। এর মধ্যে নবম গ্রেডের ২২ জন রয়েছেন। এমআরটি লাইন-৬-এর সংশোধিত জনবলকাঠামোতে ১৪১টি পদের অনুমোদন ছিল। এর মধ্যে ৫৮টি পদ সরাসরি নিয়োগের জন্য নির্ধারণ করা হয়।
ডিএমটিসিএল সূত্রে জানা যায়, কোম্পানির আওতাধীন লাইনগুলো পরিচালনায় বিশেষ ও সাধারণ–এই দুই ধরনের বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তবে সাধারণ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রদানে সরকারি নীতি মানা হয়নি।
আজকের পত্রিকার কাছে থাকা তালিকা অনুযায়ী নবম গ্রেডে নিয়োগপ্রাপ্ত ২২ জনের মধ্যে ১৫ জন ২০১৯ সালের ২২ জুলাই যোগ দেন। তাঁদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ শুরু হয় ২০২১ সালের ২২ জুলাই থেকে। বাকিদের যোগদানের তারিখ ২০১৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে। চুক্তি ২০২১ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে শুরু হয়, যা ২০২৬ থেকে ২০২৯ পর্যন্ত চলবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, কোম্পানির সার্ভিস রুলে ৩৫ বছর বয়সসীমার কথা উল্লেখ থাকলেই কেবল এ ধরনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া যাবে। তবে ওই বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার সময় কোনো অনুমোদিত সার্ভিস রুল ছিল না।
চাকরি স্থায়ীকরণ সমস্যা নিয়ে জানতে চাইলে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ গত শনিবার বলেন, এই সমস্যা নিরসনে অতিরিক্ত সচিব মো. আছির উদ্দীন সরদারকে প্রধান করে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি কর্মকর্তাদের বিভিন্ন দাবি শুনছে। তাদের সুপারিশ এলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সার্ভিস রুল নিয়েও একটি কমিটি করা হয়েছে, যারা ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে মতামত জানাবে।
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব সার্ভিস রুল না থাকলে এবং সেই প্রতিষ্ঠান যদি সরকারি নিয়োগবিধি অনুসরণ না করে নিয়োগ দেয়, তাহলে সেই নিয়োগকে অবৈধ গণ্য করা যেতে পারে।
নির্বাচনে মনোনয়ন-বাণিজ্য ও অদৃশ্য নির্বাচনী ব্যয় বা কালোটাকার ব্যবহার বন্ধ করার উপায় খুঁজে পাচ্ছে না নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। অংশীজনদের সঙ্গে এবং নিজেদের মধ্যে আলোচনায়ও এর সমাধান মেলেনি। কমিশন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের পক্ষে। এ ছাড়া সংস্কার কমিশন প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমানো এবং
৬ ঘণ্টা আগেদেশের স্বাস্থ্য খাতের সিংহভাগ অবকাঠামো, রোগ প্রতিরোধ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা ও সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালিত হয় পাঁচ বছর মেয়াদি কৌশলগত পরিকল্পনা বা অপারেশনাল প্ল্যানের (ওপি) মাধ্যমে। বর্তমানে ওপি চলমান না থাকায় পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় একরকম স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। গত জুলাইয়ে ‘পঞ্চম স্বাস্থ্য, জনসংখ্য
৮ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে ইসলামি চরমপন্থা আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ধর্মের বিষয়ে বাংলাদেশের তরুণেরা খুবই পক্ষপাতহীন উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, তরুণেরা দেশকে নতুন করে গড়তে চান।
১১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে তদন্ত কমিশন। দুই দেশের মধ্যে বন্দি বিনিময়ের কার্যক্রম এবং আটক ব্যক্তিদের সম্ভাব্য পরিণতি সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্য তুলে ধরতে গিয়ে কমিশন তাদের প্রতিবেদনে জানায়, ‘বাংলাদেশে গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা জনসমক্ষে একটি আলোচিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে...
১২ ঘণ্টা আগে