Ajker Patrika

ধরাছোঁয়ার বাইরে খুনি, জঙ্গি ও দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীসহ ৬০০ কারাবন্দী

  • গণ-অভ্যুত্থানের সময় ১৮টি কারাগার ক্ষতিগ্রস্ত হয়
  • ৫টি কারাগার থেকে ২ হাজার ২০০ জনের মতো বন্দী পালিয়ে যায়
  • ফিরে আসা ও গ্রেপ্তার মিলিয়ে ১ হাজার ৫৮২ জন
  • ৭০টি কারাগারে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে, আরোপ করা হয়েছে কড়াকড়ি
রাসেল মাহমুদ, ঢাকা
আপডেট : ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩: ৩৫
কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার। ছবি: সংগৃহীত
কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার। ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের সময় দেশের বিভিন্ন কারাগারে হামলা ঘটনার পর পলাতক ২ হাজারের বেশি বন্দীর মধ্যে এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে ৬০০ জনের বেশি। তাদের মধ্যে সাজাপ্রাপ্ত খুনি, জঙ্গি, দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারিসহ বিভিন্ন অপরাধী রয়েছে। আন্দোলনের অস্থির সময়ের ওই জেল পালানোর ঘটনার পর দেশের ৭০টি কারাগারে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। আরোপ করা হয়েছে নানা কড়াকড়ি।

কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গণ-অভ্যুত্থানের সময় দেশের ১৮টি কারাগার বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৫টি থেকে ২ হাজার ২০০ জনের মতো বন্দী পালিয়ে যায়। এসব বন্দীর মধ্যে অনেকে স্বেচ্ছায় ফিরে এসেছে। ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ফিরে আসা ও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার হওয়া বন্দীর সংখ্যা ১ হাজার ৫৮২ জন। বাকি ৬০০-র কিছু বেশি এখনো পলাতক।

হামলার শিকার কারাগারগুলোর জেল সুপাররা বলছেন, হামলার পর মামলা করা হয়েছে। কারাগার থেকে পলাতক বন্দীদের গ্রেপ্তারের দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। অন্যদিকে কারা কর্তৃপক্ষ বন্দীদের পালানোর ঘটনার পর কারাগারগুলোর নিরাপত্তা বাড়িয়েছে।

পলাতক বন্দীদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের উপমহাপরিদর্শক (অপারেশন) রেজাউল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, কারাগার থেকে পলাতক বন্দীদের অনেককেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখনো যারা পলাতক, তাদের গ্রেপ্তার করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিশেষ তৎপরতা চালাচ্ছে।

হামলার করার পর বন্দী পালিয়ে যাওয়া পাঁচটি কারাগার হচ্ছে নরসিংদী জেলা কারাগার, শেরপুর জেলা কারাগার, গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার, কুষ্টিয়া জেলা কারাগার ও সাতক্ষীরা জেলা কারাগার। এর মধ্যে নরসিংদী জেলা কারাগারে বড় ধরনের গোলযোগ হয়েছিল। ছাত্র-জনতার গত বছরের সরকারবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে দুর্বৃত্তরা ১৯ জুলাই নরসিংদী জেলা কারাগারে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে। এ ঘটনায় সেখান থেকে ৯ জঙ্গিসহ ৮২৬ জন বন্দী পালিয়ে যায়। বিভিন্ন ধরনের প্রায় ৮৫টি অস্ত্র লুট করা হয়। হামলা ও লুটের কারণে কারাগারটিতে প্রায় ১২ কোটি ৩৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, পলাতক বন্দীদের মধ্যে ৭০ জন জঙ্গি রয়েছে। তারা বিগত সরকারের আমলে বিভিন্ন সময় জঙ্গিবাদী তৎপরতার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়ে বন্দী ছিল।

বদলে যাওয়া নরসিংদী কারাগার

ঘটনার ৬ মাস পর ১৯ জানুয়ারি কারাগারটিতে গিয়ে দেখা যায়, ক্ষতিগ্রস্ত প্রধান ফটক থেকে শুরু করে প্রায় প্রতিটি ভবনই মেরামত করা হয়েছে। লাগানো হয়েছে রং। সামনের ফটকের ভেতরে দুই পাশে দাঁড়ানো দুজন নিরাপত্তারক্ষী। ফটকের পাশেই একটি ওয়াচ টাওয়ার। তবে এ প্রতিবেদক যাওয়ার সময় সেখানে কোনো নিরাপত্তারক্ষী ছিল না। বাইরের গেটের পাশের ছোট একটি ঘর থেকে বন্দীদের সঙ্গে দেখা করতে আসা লোকদের অনুমতিপত্র দেওয়া হচ্ছিল। ফটকের ঠিক সামনেই কারা কর্মকর্তাদের কার্যালয়। তার কাছাকাছি স্থানেই পড়ে ছিল হামলার সময় পুড়ে যাওয়া কারাগারের নিজস্ব একটি গাড়ি।

কারাগার সূত্রে জানা যায়, ৩৪৪ জন ধারণক্ষমতার কারাগারটিতে বর্তমানে বন্দী রয়েছে ৭৮০ জন। কর্তৃপক্ষ জানায়, হামলার পর বাইরের দেয়ালে কাঁটাতার বসানোর পাশাপাশি ভবন মেরামত, কারাগারের ভেতরে দাঙ্গা ইউনিট বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

কারাগারের পাশের দোকানি মজিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হামলার পর দেয়ালের ওপর কাঁটাতার লাগানো হয়েছে। গেটেও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। আগের চেয়ে এখন বন্দীদের আত্মীয়রা দেখা করতে কম আসে। তবে এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।’

এ সময় মাদক মামলায় গ্রেপ্তার স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে আসা এক নারীকে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। আজকের পত্রিকাকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই নারী বলেন, ‘স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে আসছি। অনেকক্ষণ ধরে দাঁড়ায়া আছি। ঢুকতে দিবে কি না, তা জানি না।’

নরসিংদী জেলা কারাগারের সুপারিনটেনডেন্ট শামীম ইকবাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হামলা ও অগ্নিসংযোগের পর ৩ মাস কারাগারটিতে কোনো বন্দী ছিল না। সবকিছু মেরামত করা হয়েছে। বাইরের দেয়ালে কাঁটাতার বসানোসহ কারাগারের সতর্কতা বাড়ানো হয়েছে। কর্মকর্তা এবং রক্ষীরা সকাল ও বিকেলে দুই ভাগে দায়িত্ব পালন করছেন।

হামলার শিকার অন্য কারাগারগুলোতেও নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে সার্বিক নজরদারি। বন্দীদের চলাচলে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। ফিরে আসা বা আবার গ্রেপ্তার হওয়া বন্দীদের ওপর বিশেষ নজরদারি করছেন কারাগারগুলোর প্রহরীরা।

গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ-আল-মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া ৪৫ জন বন্দীকে আবার ধরা হয়েছে। তাদের বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়েছে। পালানো বন্দীদের জেলকোড অনুযায়ী ডাণ্ডাবেড়ি ও লাল টুপি পরিয়ে আলাদা রাখা হয়েছে। তবে যাদের আটক হওয়ার তিন মাস হয়ে গেছে, তাদের আবার অন্যদের সঙ্গে রাখা হচ্ছে। নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।’

সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন বলেন, কারাগারগুলোর ঘটনার পেছনে দুটি দুর্বলতা ছিল। একটি অবকাঠামোগত, অন্যটি বহিঃনিরাপত্তা। বাইরের নিরাপত্তার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের অনুপস্থিতির কারণে হামলা ঘটেছিল। এ ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যবস্থাপনাগত দুর্বলতাও ছিল।

এখনো পলাতক বন্দীদের বিষয়ে কারা অধিদপ্তর কী ধরনের ব্যবস্থা নেবে, জানতে চাইলে কারা মহাপরিদর্শক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বন্দীরা পালানোর পর আমরা মামলা করেছি। তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। তারা পলাতকদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে।’

কারাগারের নিরাপত্তার বিষয়ে মহাপরিদর্শক বলেন, ‘কারাগারগুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। অবকাঠামোগত দুর্বলতা যেসব কারাগারে রয়েছে, সেগুলো মেরামতের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে থানায় অভিযোগ

হাদির জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায়, সিঙ্গাপুরে যাত্রা দুপুরে

আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

আনিস আলমগীর এখনো ডিবি কার্যালয়ে

অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই বিচে হামলায় নিহত বেড়ে ১৫, আহত ৪০ জনেরও বেশি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বাংলা ভাষার প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম চালু

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বাংলা ভাষার প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম কাগজ ডট এআই—এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাংলা ভাষার প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম কাগজ ডট এআই—এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাংলা ভাষায় এই প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম ‘কাগজ ডট এআই— kagoj. ai’ চালু করা হয়েছে। একই সঙ্গে উন্মোচন করা হয়েছে নতুন বাংলা ফন্ট ‘জুলাই।’

আজ সোমবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ দুটি প্রযুক্তির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব বলেন, ‘গত ২ সপ্তাহে ৪ হাজার মানুষ এটি পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করেছেন। তারা ভালো ফল পেয়েছেন। বাংলা ভাষাকে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিতে এর এপিআই উন্মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে। সাইবার সুরক্ষা নিশ্চিত করে সোর্স কোডও উন্মুক্ত করা হবে। ভাষার স্থানীয় সাংস্কৃতিক ধারা অক্ষুণ্ন রাখতে অচিরেই প্রতিটি নৃগোষ্ঠীর ভাষার ১০ হাজার ওরাল মিনিট সংগ্রহ করা হবে। তৈরি করা হবে বাংলা এলএমএল। ডেভেলপমেন্ট জার্নি এবং এই ইকো সিস্টেমের মধ্যে নিয়ে আসতে পারলে ভাষাগুলোকে সাইবার স্পেসে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হবে।’

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ‘কাগজ ডট এআই’ বাংলা ভাষাভিত্তিক লেখালেখি, দাপ্তরিক নথি প্রস্তুত, ভাষা প্রক্রিয়াকরণ ও কনটেন্ট তৈরিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার নিশ্চিত করবে, যা বাংলা ভাষার ডিজিটাল অগ্রযাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। বাংলা ভাষার জন্য এর আগে এ ধরনের পূর্ণাঙ্গ এআই প্ল্যাটফর্ম চালু হয়নি।

অন্যদিকে নতুন বাংলা ফন্ট ‘জুলাই’ দাপ্তরিক ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়েছে। যা কম্পিউটারনির্ভর বাংলা লেখার ক্ষেত্রে বিদ্যমান বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা দূর করতে সহায়ক হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আজম, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জহিরুল ইসলামসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধন হওয়া দুইটি সেবা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষা সমৃদ্ধকরণ’ প্রকল্পের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে থানায় অভিযোগ

হাদির জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায়, সিঙ্গাপুরে যাত্রা দুপুরে

আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

আনিস আলমগীর এখনো ডিবি কার্যালয়ে

অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই বিচে হামলায় নিহত বেড়ে ১৫, আহত ৪০ জনেরও বেশি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার কারণেই হাদি গুলিবিদ্ধ: ফরহাদ মজহার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ১৯
সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন ফরহাদ মজহার। ছবি: আজকের পত্রিকা
সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন ফরহাদ মজহার। ছবি: আজকের পত্রিকা

শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার কারণেই ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক, চিন্তক ও কবি ফরহাদ মজহার। তিনি বলেছেন, ‘২০২৪ সালের ৮ আগস্টের সাংবিধানিক প্রতিবিপ্লব আততায়ী রাজনীতির ভিত্তি তৈরি করেছে এবং শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ করা তার দৃশ্যমান প্রমাণ।’

আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে ‘আততায়ী রাজনীতি ও গণকর্তব্য’—শীর্ষক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন। ভাববৈঠকি ও গণ-অভ্যুত্থান সুরক্ষা মঞ্চ নামের সংগঠন এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

ফরহাদ মজহার বলেন, ‘এটি কোনো আবেগতাড়িত অভিযোগ নয়, বরং এটি বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতা, সংবিধানিক ধারাবাহিকতা এবং ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার অনিবার্য পরিণতি।’

পুরোনো কাঠামো ভাঙনের পর নতুন করে গাঠনিক ক্ষমতা প্রয়োগের যে ঐতিহাসিক সুযোগ তৈরি হয়েছিল, ৮ আগস্টের সাংবিধানিক সিদ্ধান্ত সেটিকে বন্ধ করে দেয়—বলেও মন্তব্য করেন ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে যে ভাঙনটি ঘটেছিল, তা ছিল কেবল সরকার পরিবর্তনের নয়, তা ছিল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বৈধতার উৎস নিয়ে একটি মৌলিক প্রশ্ন-গণসার্বভৌমত্ব বনাম প্রশাসনিক-বিচারিক কর্তৃত্ব।’

তাঁর মতে, ‘এই ভাঙনের পর নতুন করে গাঠনিক ক্ষমতা প্রয়োগের যে ঐতিহাসিক সুযোগ তৈরি হয়েছিল, ৮ আগস্টের সাংবিধানিক সিদ্ধান্ত সেটিকে বন্ধ করে দেয়। অর্থাৎ জনগণের প্রত্যক্ষ রাজনৈতিক শক্তিকে পাশ কাটিয়ে পুরোনো সংবিধান, পুরোনো রাষ্ট্রযন্ত্র ও পুরোনো প্রতিষ্ঠানগুলোকে অক্ষুণ্ন রেখে ক্ষমতার ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করা হয়।’ তিনি মনে করেন, বর্তমান মুহূর্তটিই হলো সাংবিধানিক প্রতিবিপ্লব যেখানে বিপ্লবী পরিস্থিতিকে আইনের ভাষায় ‘নিয়ন্ত্রণ’ করে। অর্থাৎ পুরোনো ক্ষমতা-বণ্টন পুনঃস্থাপন করা হয় বলে মনে করেন ফরহাদ মজহার।

কোনো রাষ্ট্রই প্রতিষ্ঠান-নিরপেক্ষ নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যখন পুরোনো ব্যবস্থা ভাঙনের মুখে পড়ে, তখন ক্ষমতাবান সংগঠনগুলো রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী, আমলাতন্ত্র, বিচারিক কাঠামো, দলীয় ক্যাডার নেটওয়ার্ক নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য সহিংসতা, ভয় ও দমনমূলক কৌশলের দিকে ঝুঁকে পড়ে। ৮ আগস্টের পর ঠিক এই কাজটিই হয়েছে। শেখ হাসিনার আমলে গড়ে ওঠা ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থাকেই আদতে সংবিধান রক্ষার অজুহাতে টিকিয়ে রাখা হয়েছে।’

‘সংবিধান বাঁচানোর’ নামে মূলত এই ব্যবস্থাই রক্ষা করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নতুন গঠনতন্ত্র ছাড়া জনগণের মুক্তি নেই এবং সেখানে প্রত্যেকে অংশগ্রহণ করতে হবে। ৫ আগস্ট অভ্যুত্থানকে ধরে রাখতে হবে, ৮ আগস্টের প্রতিবিপ্লবকে প্রত্যাখ্যান করতে হবে।’

ফরহাদ মজহার বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের তাৎপর্য হলো জনগণের হাতে ক্ষমতা দিতে হবে। বিশেষত শ্রেণিভিত্তিক রাজনীতি যারা করেন, তাদের গণ-অভ্যুত্থানের তাৎপর্য বোঝা উচিত। সমাজে গণসার্বভৌমত্ব মানে জনগণের হাতে ক্ষমতা বিষয়টি পরিষ্কার নয়।’

সরকার ও রাষ্ট্র এক নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সমাজে একটি পরিষ্কার ধারণা নেই যে—সরকার এবং রাষ্ট্র এক নয়। অধিকাংশ মানুষ সরকার ও রাষ্ট্রকে গুলিয়ে ফেলে। সরকার গঠন করাকে রাষ্ট্র গঠন করা বলা যায় না। রাষ্ট্র গঠন করে জনগণ। রাষ্ট্র গঠনের সময় জনগণ কিছু সর্বজনীন নীতি প্রস্তাব করে। একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি হলো রাষ্ট্র এমন কোনো আইন করতে পারবে না যা দ্বারা ব্যক্তির মর্যাদা এবং ব্যক্তির স্বাধীনতা, অধিকার হরণ করা হয়। এই নীতিটি হলো ফ্যাসিবাদবিরোধী একটা প্রস্তাব।’

রাজনৈতিক দলগুলো সংবিধান প্রণয়নে গঠনতন্ত্র প্রণয়নে দাবি তোলেনি মন্তব্য করেন ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, ‘তারা প্রত্যেকেই সংসদের সার্বভৌমত্ব চায়, যাতে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে যা খুশি আইন প্রণয়ন এবং লুটপাট করতে পারে। বাংলাদেশের সংবিধানে প্রধানমন্ত্রী নির্বাহী ক্ষমতাধারী, সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। যার মানে, এখানে কোনো গণতন্ত্র নেই। এই সংবিধান থাকা মানে গণতন্ত্রহীনতা এবং জনগণের অধিকার কেড়ে নেওয়া।’

নির্বাচনের মাধ্যমে যারা ক্ষমতায় যাবে, তারা জনগণের ক্ষমতা হরণ করবে, মর্যাদা হরণ করবে এবং লুটপাট করবে বলে উল্লেখ করে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘কেন মানুষ নির্বাচন নিয়ে এত ব্যস্ত? কারণ, নির্বাচনের মাধ্যমে যারা ক্ষমতায় যাবে, তারা জনগণের ক্ষমতা হরণ করবে, মর্যাদা হরণ করবে এবং ব্যাংক ও বড় বড় প্রকল্প লুটপাট করবে। সমস্যা নির্বাচন না, বরং নির্বাচন পদ্ধতি। রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের অন্যান্য মৌলিক অধিকার উপেক্ষা করে শুধু ভোটের অধিকারের পক্ষে কথা বলে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে থানায় অভিযোগ

হাদির জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায়, সিঙ্গাপুরে যাত্রা দুপুরে

আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

আনিস আলমগীর এখনো ডিবি কার্যালয়ে

অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই বিচে হামলায় নিহত বেড়ে ১৫, আহত ৪০ জনেরও বেশি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাদির ওপর হামলা বিচ্ছিন্ন ঘটনা, আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়নি: সিইসি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ০১
এ এম এম নাসির উদ্দিন। ফাইল ছবি
এ এম এম নাসির উদ্দিন। ফাইল ছবি

‎ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরীফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বলে মনে করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। আজ ‎‎সোমবার সকালে গুলশানে ইয়ুথ ভোটার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

‎‎আইনশৃঙ্খলা অবনতি সুষ্ঠু ভোটের বাধা হবে কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলার অবনতি হলো কোথায়? মাঝেমধ্যে দুয়েকটা খুন-খারাবি হয়। হাদির একটা ঘটনা হয়েছে। আমরা এগুলোকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মনে করি। এই ধরনের ঘটনা তো সবসময়ই ছিল। অতীতেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।

প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আহসানউল্লাহ মাস্টার এবং সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া-এর প্রসঙ্গ টেনে সিইসি বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা তো সবসময় ছিল। এ ধরনের ঘটনা হয় বাংলাদেশে, এটা নতুন কিছু না।’

সিইসি আরও বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বরং উন্নতি হয়েছে। ৫ই আগস্ট ২০২৪-এর সঙ্গে তুলনা করুন। যখন থানাগুলো ইনঅ্যাক্টিভ ছিল। পুলিশ স্টেশনে ওয়ার্ক করছিল না। এখন তো অনেক উন্নতি হয়েছে ইনশাআল্লাহ। আমরা তো শান্তিতে চলাফেরা করতে পারছি। শান্তিতে ঘুমাতে পারছি। আমরা গতকালই আমাদের শীর্ষ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করেছি এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছি। ইনশাআল্লাহ, আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত। তারা নিশ্চিত করেছে যে নির্বাচনের সময় পর্যন্ত শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকবে এবং সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন আয়োজনে তারা সক্ষম।’

মিডিয়াসহ বিভিন্ন মহলে নির্বাচন নিয়ে কিছু আশঙ্কা হয়তো আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে আমাদের কোনো সংশয় নেই। আমরা সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত। ইনশাআল্লাহ, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং তা হবে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে, সকলের সহযোগিতা নিয়ে। এ ব্যাপারে কোনোই শঙ্কা নেই, যা-ই আসুক না কেন। যত ধরনের দুশ্চিন্তা মাথায় আসুক না কেন, দুশ্চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন। নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে সবাই মিলে যাতে আমরা নির্বাচনটা করতে পারি। ‎’

সিইসি আরও বলেন, ‘আপনারা নিশ্চিন্ত থাকুন, নির্বাচন সঠিক সময়ে, সঠিকভাবে, একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। জাতিকে আমরা যে ওয়াদা দিয়েছি, নির্বাচন কমিশন ইনশাআল্লাহ তা পরিপালনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আপনাদের সকলকে সঙ্গে নিয়ে একটি সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠান করব ইনশাআল্লাহ। ‎

সিইসি আরও বলেন, ‘সর্বোপরি, এইবার একটি গণভোটও একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হতে হবে। এই সমস্ত দিক থেকে এটি নিঃসন্দেহে ঐতিহাসিক। আমরা যে সাহস করে এই পথে নেমে পড়েছি, আমাদের এই সাহসী পদক্ষেপের সঙ্গে যদি আপনাদের সকলের, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের, অংশগ্রহণ থাকে, তাহলে ইনশাআল্লাহ আমরা সফল হব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে থানায় অভিযোগ

হাদির জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায়, সিঙ্গাপুরে যাত্রা দুপুরে

আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

আনিস আলমগীর এখনো ডিবি কার্যালয়ে

অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই বিচে হামলায় নিহত বেড়ে ১৫, আহত ৪০ জনেরও বেশি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

অপ্রত্যাশিত ব্যক্তিদের আনাগোনা: সুপ্রিম কোর্টের এজলাসকক্ষে প্রবেশ সীমিত

বাসস, ঢাকা  
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

দেশের সর্বোচ্চ বিচারালয় সুপ্রিম কোর্টের এজলাসকক্ষগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতির আদেশে আজ সোমবার থেকে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের কোর্ট রুমে (এজলাসকক্ষে) আইনজীবী ছাড়া বিচারপ্রার্থী বা অন্য কোনো অপ্রত্যাশিত ব্যক্তির প্রবেশাধিকার সীমিত ও নিয়ন্ত্রিত থাকবে। এই আদেশ আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সিদ্দিকীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নতুন নির্দেশনার কথা জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট দেশের বিচার অঙ্গনের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। প্রধান বিচারপতি, বিচারপতিবৃন্দ, মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি।

সম্প্রতি লক্ষ্য করা গেছে, আদালতে আগত কিছু বিচারপ্রার্থী, মামলাসংশ্লিষ্ট এবং অপ্রত্যাশিত ব্যক্তি এজলাসে প্রবেশ করছেন, যা আদালতের নিরাপত্তা, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ এবং বিচারকাজ পরিচালনায় বাধা সৃষ্টি করছে। একই সঙ্গে বিচারপতি, আইনজীবী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। এই পরিস্থিতি এড়াতেই নিরাপত্তার স্বার্থে এই কড়াকড়ি আরোপ করা হলো।

এজলাসকক্ষের প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের জন্যও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে যেকোনো ধরনের সমাবেশ, মিছিল, বৈধ বা অবৈধ সব ধরনের অস্ত্র, মারণাস্ত্র, বিস্ফোরক এবং মাদকদ্রব্য বহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

নতুন এই নিরাপত্তা আদেশ ১৫ ডিসেম্বর (সোমবার) থেকে কার্যকর হয়েছে এবং ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। আদালত স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি এই আদেশ অমান্য করেন, তবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আদালত এ বিষয়ে আইনজীবী, তাঁদের সহকারী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বিচারপ্রার্থীদের সচেতন ও সতর্ক থাকার জন্য বিশেষভাবে নির্দেশ দিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে থানায় অভিযোগ

হাদির জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায়, সিঙ্গাপুরে যাত্রা দুপুরে

আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

আনিস আলমগীর এখনো ডিবি কার্যালয়ে

অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই বিচে হামলায় নিহত বেড়ে ১৫, আহত ৪০ জনেরও বেশি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত