নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশের সংবিধানের চার মূলনীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক বিষয়গুলো বিলোপ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জাতিগত বিভ্রান্তি দূরীকরণ এবং ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে সংসদ সদস্যদের ক্ষমতায়নে সংবিধান পর্যালোচনায় সংসদীয় কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) (একাংশ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু। তিনি সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান করে সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে এই সংবিধান পর্যালোচনা কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেন।
আজ শনিবার জাতীয় সংসদ সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ১৪৭ বিধিতে উত্থাপন করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে ইনু এসব কথা বলেন। জাতীয় সংসদের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে গত শুক্রবার জাতীয় সংসদে স্মারক বক্তব্য দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
প্রধানমন্ত্রী দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ করার পরিকল্পনায় এগিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান হাসানুল হক ইনু। তিনি বলেন, এর জন্য প্রয়োজন সম্পূরক আইনকানুন, আধুনিক প্রশাসন এবং আরও অংশগ্রহণমূলক গণতান্ত্রিক সংসদীয় ব্যবস্থা, প্রশাসনের ওপর আরও নজরদারির ব্যবস্থা।’
ইনু বলেন, আরও অংশগ্রহণমূলক ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে রাজনীতির মাঠে যে প্রস্তাবগুলো আলোচনায় আছে, সেগুলো আমলে নিয়ে, বিবেচনায় নিয়ে সংবিধান সংশোধনের একটি সংসদীয় কমিটি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করা উচিত।
ইনু বলেন, যে আলোচনাগুলো মাঠে আছে, প্রচলিত নির্বাচন পদ্ধতির পাশাপাশি দলভিত্তিক সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি, শ্রেণি-পেশার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও স্থানীয় সরকার নিয়ে একটি উচ্চকক্ষ গঠন করা। এবং অনাস্থা বিল ও অর্থবিল ও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা বিল বাদ দিয়ে ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে এমপিদের আইন তৈরিতে আরও ক্ষমতা প্রদান, সংসদের স্থায়ী কমিটিতে উন্মুক্ত করা, সকল স্থানীয় সরকার প্রতিনিধির পূর্ণ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা এবং সংবিধান ৫৯ ও ৬০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করা।
হাসানুল হক ইনু বলেন, সর্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা, শিক্ষা ব্যবস্থা, খাদ্য ব্যবস্থা ও সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং ইন্টারনেট সর্বজনীন ব্যবহার অধিকার সংবিধানের মৌলিক অধিকার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে স্বীকৃতি দিয়ে বাস্তবায়ন করতে রাষ্ট্রকে বাধ্য করা। বিচারপতিদের নিয়োগ ও অভিশংসনের বিষয়টি আবার পর্যালোচনা করা। রাষ্ট্রের কোনো লিঙ্গ, ধর্ম, জাতপাত নেই। স্বয়ং মহানবী (স.) মদিনা সনদে কোনো বিসমিল্লাহ ব্যবহার করেননি। উনি কোনো দিনই ধর্মকে ব্যবহার করেননি।
সংবিধান পর্যালোচনায় সংসদীয় কমিটি গঠনের প্রস্তাব করে হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘সংবিধানের চারনীতি পুনর্জীবনের পরে এই সাংঘর্ষিক অবস্থা (বিসমিল্লাহ ও রাষ্ট্রধর্ম) আমাদের বিব্রত করছে। সংবিধানের এই সাংঘর্ষিক অবস্থা থেকে রেহাই দেওয়ার জন্য সংবিধানের মূল কাঠামোর সঙ্গে যা যা সাংঘর্ষিক তা বিলোপের বিবেচনা করা। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জাতিগোষ্ঠী সম্পর্কে বিভ্রান্তি দূর করা এবং তাদের আত্মপরিচয় আরও স্পষ্ট করা। এসব আলোচনার বিষয়গুলো নিয়ে আমি সংবিধান পর্যালোচনারর জন্য সংসদনেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান করে সংসদে প্রতিনিধিত্বশীল সব রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে সংবিধান পর্যালোচনার জন্য বিশেষ কমিটি গঠনের প্রস্তাব করছি।’
বিএনপি-জামায়াতের কঠোর সমালোচনা করে ইনু বলেন, নষ্ট রাজনীতির ধারক-বাহক বিএনপি ও জামায়াত তথাকথিত ২৭ দফা ও ১০ দফা দিয়ে সংবিধানের খোলনলচে বদলে দেওয়ার হুংকার ছেড়েছে। সংবিধানটাকে বাতিল করার কথা বলছে।
হাসানুল হক ইনু বলেন, বিএনপি পঁচাত্তরের পর যেসব অপরাধ করেছে, এখনো তার পক্ষে সাফাই গাইছে। বিএনপি আসলে মুখে বাংলাদেশ, অন্তরে পাকিস্তান বলে জপ করছে। বিএনপি আসলে বাংলাদেশের রাজনীতির মাঠে পাকিস্তানের বদলি খেলোয়াড়। প্রক্সি প্লেয়ার। বিএনপি সংবিধান খেয়ে ফেলতে চায়। রাজাকারদের রাজনীতির মধ্যে আবার ফিরিয়ে আনতে চায়। তারা সাংবিধানিক ধারা বানচাল করতে চায়। অসাংবিধানিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়। কোনো মাঝামাঝি রাস্তা নয়, বিএনপিকে রুখেই দিতে হবে। রাজনীতির মাঠ থেকে বিতাড়িত করতে হবে।
বাংলাদেশের সংবিধানের চার মূলনীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক বিষয়গুলো বিলোপ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জাতিগত বিভ্রান্তি দূরীকরণ এবং ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে সংসদ সদস্যদের ক্ষমতায়নে সংবিধান পর্যালোচনায় সংসদীয় কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) (একাংশ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু। তিনি সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান করে সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে এই সংবিধান পর্যালোচনা কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেন।
আজ শনিবার জাতীয় সংসদ সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ১৪৭ বিধিতে উত্থাপন করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে ইনু এসব কথা বলেন। জাতীয় সংসদের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে গত শুক্রবার জাতীয় সংসদে স্মারক বক্তব্য দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
প্রধানমন্ত্রী দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ করার পরিকল্পনায় এগিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান হাসানুল হক ইনু। তিনি বলেন, এর জন্য প্রয়োজন সম্পূরক আইনকানুন, আধুনিক প্রশাসন এবং আরও অংশগ্রহণমূলক গণতান্ত্রিক সংসদীয় ব্যবস্থা, প্রশাসনের ওপর আরও নজরদারির ব্যবস্থা।’
ইনু বলেন, আরও অংশগ্রহণমূলক ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে রাজনীতির মাঠে যে প্রস্তাবগুলো আলোচনায় আছে, সেগুলো আমলে নিয়ে, বিবেচনায় নিয়ে সংবিধান সংশোধনের একটি সংসদীয় কমিটি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করা উচিত।
ইনু বলেন, যে আলোচনাগুলো মাঠে আছে, প্রচলিত নির্বাচন পদ্ধতির পাশাপাশি দলভিত্তিক সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি, শ্রেণি-পেশার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও স্থানীয় সরকার নিয়ে একটি উচ্চকক্ষ গঠন করা। এবং অনাস্থা বিল ও অর্থবিল ও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা বিল বাদ দিয়ে ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে এমপিদের আইন তৈরিতে আরও ক্ষমতা প্রদান, সংসদের স্থায়ী কমিটিতে উন্মুক্ত করা, সকল স্থানীয় সরকার প্রতিনিধির পূর্ণ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা এবং সংবিধান ৫৯ ও ৬০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করা।
হাসানুল হক ইনু বলেন, সর্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা, শিক্ষা ব্যবস্থা, খাদ্য ব্যবস্থা ও সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং ইন্টারনেট সর্বজনীন ব্যবহার অধিকার সংবিধানের মৌলিক অধিকার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে স্বীকৃতি দিয়ে বাস্তবায়ন করতে রাষ্ট্রকে বাধ্য করা। বিচারপতিদের নিয়োগ ও অভিশংসনের বিষয়টি আবার পর্যালোচনা করা। রাষ্ট্রের কোনো লিঙ্গ, ধর্ম, জাতপাত নেই। স্বয়ং মহানবী (স.) মদিনা সনদে কোনো বিসমিল্লাহ ব্যবহার করেননি। উনি কোনো দিনই ধর্মকে ব্যবহার করেননি।
সংবিধান পর্যালোচনায় সংসদীয় কমিটি গঠনের প্রস্তাব করে হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘সংবিধানের চারনীতি পুনর্জীবনের পরে এই সাংঘর্ষিক অবস্থা (বিসমিল্লাহ ও রাষ্ট্রধর্ম) আমাদের বিব্রত করছে। সংবিধানের এই সাংঘর্ষিক অবস্থা থেকে রেহাই দেওয়ার জন্য সংবিধানের মূল কাঠামোর সঙ্গে যা যা সাংঘর্ষিক তা বিলোপের বিবেচনা করা। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জাতিগোষ্ঠী সম্পর্কে বিভ্রান্তি দূর করা এবং তাদের আত্মপরিচয় আরও স্পষ্ট করা। এসব আলোচনার বিষয়গুলো নিয়ে আমি সংবিধান পর্যালোচনারর জন্য সংসদনেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান করে সংসদে প্রতিনিধিত্বশীল সব রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে সংবিধান পর্যালোচনার জন্য বিশেষ কমিটি গঠনের প্রস্তাব করছি।’
বিএনপি-জামায়াতের কঠোর সমালোচনা করে ইনু বলেন, নষ্ট রাজনীতির ধারক-বাহক বিএনপি ও জামায়াত তথাকথিত ২৭ দফা ও ১০ দফা দিয়ে সংবিধানের খোলনলচে বদলে দেওয়ার হুংকার ছেড়েছে। সংবিধানটাকে বাতিল করার কথা বলছে।
হাসানুল হক ইনু বলেন, বিএনপি পঁচাত্তরের পর যেসব অপরাধ করেছে, এখনো তার পক্ষে সাফাই গাইছে। বিএনপি আসলে মুখে বাংলাদেশ, অন্তরে পাকিস্তান বলে জপ করছে। বিএনপি আসলে বাংলাদেশের রাজনীতির মাঠে পাকিস্তানের বদলি খেলোয়াড়। প্রক্সি প্লেয়ার। বিএনপি সংবিধান খেয়ে ফেলতে চায়। রাজাকারদের রাজনীতির মধ্যে আবার ফিরিয়ে আনতে চায়। তারা সাংবিধানিক ধারা বানচাল করতে চায়। অসাংবিধানিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়। কোনো মাঝামাঝি রাস্তা নয়, বিএনপিকে রুখেই দিতে হবে। রাজনীতির মাঠ থেকে বিতাড়িত করতে হবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি প্রকল্পে সাশ্রয় হওয়া টাকায় আরও ৩৫টি কোচ (বগি) কেনার সিদ্ধান্ত হলেও নির্দিষ্ট মেয়াদে সেগুলো আসছে না। যে সময়ে আসবে, তখন টাকা পরিশোধে জটিলতার কারণে এই প্রকল্পের মেয়াদ আগামী বছর জুন পর্যন্ত এক বছর বাড়ানো হচ্ছে।
৬ ঘণ্টা আগেপরপর দুটি দুর্ঘটনায় উড়ে যায় বাসের ছাদ। বাসে যাত্রী ছিলেন ৬০ জন। আহতও হন বেশ কয়েকজন। তবে এরপরও বাস থামাননি চালক। ছাদবিহীন বাস বেপরোয়া গতিতে চালিয়েছেন প্রায় ৫ কিলোমিটার। এরপর যাত্রী ও ওই পথে চলা অন্যদের রোষের মুখ বাস থামিয়ে পালিয়ে যান চালক।
৮ ঘণ্টা আগেপররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যার দায় স্বীকার করে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থনা ও স্বাধীনতা-পূর্ব অভিন্ন সম্পদের বকেয়া অর্থ দাবি’ করা হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন। কিন্তু পাকিস্তানের দিক থেকে যে বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে, তাতে এই অমীমাংসিত
১০ ঘণ্টা আগেমিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বেশির ভাগ এলাকা বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির দখলে থাকায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান ‘দ্বিধাগ্রস্ত’ বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেছেন, আরাকান আর্মি রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃত নয়, আন্তর্জাতিকভাবেও স্বীকৃত নয়, তাই আনুষ্ঠানিক আলোচ
১১ ঘণ্টা আগে