ড. মিজানুর রহমান
যা কিছু ঘটছে, সেগুলো আমাদের সংবিধান ও আইনকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে ঘটছে। সংবিধানের প্রতি ন্যূনতম শ্রদ্ধাবোধ না জানিয়ে এসব করা হচ্ছে। একটা স্বাধীন দেশে একজন নাগরিকের মানুষ হিসেবে যে মর্যাদা আছে, মর্যাদাসম্পন্ন জীবনযাপন করার অধিকার আছে, প্রতিটা নাগরিকের মৌলিক অধিকার রয়েছে–সম্পূর্ণরূপে এ অধিকারগুলো অবজ্ঞা- প্রদর্শন করে এই কাজগুলো করা হচ্ছে।
একজন অপরাধী অথবা যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপিত হবে, সেই অভিযুক্তের অভিযোগের যথাযথ বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এবং তদন্ত ও বিচারের মাধ্যমে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত কাউকে অপরাধী বলা যাবে না। সে অভিযুক্ত হতে পারে; কিন্তু সে অপরাধী নয়। যেহেতু সে অপরাধী নয়, তাই অপরাধ প্রমাণের আগেই তাকে কালিমালিপ্ত নামে সম্বোধন করার ফলে তার মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করা হয় এবং তার সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুণ্ণ করা হয়।
এখানে সংবাদমাধ্যমেরও সমালোচনা করার প্রয়োজন আছে। আজ দুপুরবেলা দেখছিলাম টিভির স্ক্রলে দেখাচ্ছে, পরীমণির অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যদি কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তি জড়িত থাকেন, তাঁদেরও তদন্ত করে খুঁজে বের করা হবে। অনৈতিক কাজ মানেই তো অপরাধ নয়। আমাদের মন্ত্রী বলেছেন, আমরা এক দিনে এক কোটি মানুষকে টিকা দেব। কিন্তু আজ কয়েক লাখ টিকা দিলাম। উনি যা করেছিলেন তা একটি অনৈতিক কাজ, জাতিকে মিথ্যা কথা বলেছেন। কিন্তু মিথ্যা বলাটা তো অপরাধ নয়। সেটার জন্য আপনাকে কেউ আটক করে শাস্তি দিতে পারে না। সুতরাং পরীমণি কী অনৈতিক কাজ করেছে না-করেছে, আমরা ঘরে-বাইরে কী অনৈতিক কর্মকাণ্ড করে বেড়াচ্ছি, সেটা তো রাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে তার বিচার হতে পারে না।
অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য পুলিশ, র্যাব যদি আটক করে থাকে, তবে তারা তাদের সীমা অতিক্রম করেছে। আমি বলব, সেখানে তাদের কোনো আইনগত অধিকারই নেই। এখানে তারা তাদের ক্ষমতার অন্যায় প্রয়োগ করছে। আমাদের আইনের শাসন এমনিতে খুবই দুর্বল। এসব কর্মকাণ্ডে তা আরও দুর্বল হচ্ছে। রাষ্ট্রের দম্ভের কাছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির শক্তির কাছে এবং সংবিধান ও আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শনের মাধ্যমে একটা স্বাধীন দেশে স্বাধীনতার ৫০ বছরে আমরা ক্রমশই আরও অসহায় হয়ে যাচ্ছি।
আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকা এবং সে সম্পর্কে রাজনৈতিক যে অঙ্গীকারগুলো রয়েছে, তা শক্তভাবে ব্যক্ত করার মাধ্যমে এই সংকট সমাধান সম্ভব। শুধু কথার ফুলঝুরি দিয়ে নয়, রাজনৈতিক অঙ্গীকারগুলো কাজের মাধ্যমে প্রমাণ রাখতে হবে।
যা কিছু ঘটছে, সেগুলো আমাদের সংবিধান ও আইনকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে ঘটছে। সংবিধানের প্রতি ন্যূনতম শ্রদ্ধাবোধ না জানিয়ে এসব করা হচ্ছে। একটা স্বাধীন দেশে একজন নাগরিকের মানুষ হিসেবে যে মর্যাদা আছে, মর্যাদাসম্পন্ন জীবনযাপন করার অধিকার আছে, প্রতিটা নাগরিকের মৌলিক অধিকার রয়েছে–সম্পূর্ণরূপে এ অধিকারগুলো অবজ্ঞা- প্রদর্শন করে এই কাজগুলো করা হচ্ছে।
একজন অপরাধী অথবা যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপিত হবে, সেই অভিযুক্তের অভিযোগের যথাযথ বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এবং তদন্ত ও বিচারের মাধ্যমে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত কাউকে অপরাধী বলা যাবে না। সে অভিযুক্ত হতে পারে; কিন্তু সে অপরাধী নয়। যেহেতু সে অপরাধী নয়, তাই অপরাধ প্রমাণের আগেই তাকে কালিমালিপ্ত নামে সম্বোধন করার ফলে তার মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করা হয় এবং তার সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুণ্ণ করা হয়।
এখানে সংবাদমাধ্যমেরও সমালোচনা করার প্রয়োজন আছে। আজ দুপুরবেলা দেখছিলাম টিভির স্ক্রলে দেখাচ্ছে, পরীমণির অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যদি কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তি জড়িত থাকেন, তাঁদেরও তদন্ত করে খুঁজে বের করা হবে। অনৈতিক কাজ মানেই তো অপরাধ নয়। আমাদের মন্ত্রী বলেছেন, আমরা এক দিনে এক কোটি মানুষকে টিকা দেব। কিন্তু আজ কয়েক লাখ টিকা দিলাম। উনি যা করেছিলেন তা একটি অনৈতিক কাজ, জাতিকে মিথ্যা কথা বলেছেন। কিন্তু মিথ্যা বলাটা তো অপরাধ নয়। সেটার জন্য আপনাকে কেউ আটক করে শাস্তি দিতে পারে না। সুতরাং পরীমণি কী অনৈতিক কাজ করেছে না-করেছে, আমরা ঘরে-বাইরে কী অনৈতিক কর্মকাণ্ড করে বেড়াচ্ছি, সেটা তো রাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে তার বিচার হতে পারে না।
অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য পুলিশ, র্যাব যদি আটক করে থাকে, তবে তারা তাদের সীমা অতিক্রম করেছে। আমি বলব, সেখানে তাদের কোনো আইনগত অধিকারই নেই। এখানে তারা তাদের ক্ষমতার অন্যায় প্রয়োগ করছে। আমাদের আইনের শাসন এমনিতে খুবই দুর্বল। এসব কর্মকাণ্ডে তা আরও দুর্বল হচ্ছে। রাষ্ট্রের দম্ভের কাছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির শক্তির কাছে এবং সংবিধান ও আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শনের মাধ্যমে একটা স্বাধীন দেশে স্বাধীনতার ৫০ বছরে আমরা ক্রমশই আরও অসহায় হয়ে যাচ্ছি।
আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকা এবং সে সম্পর্কে রাজনৈতিক যে অঙ্গীকারগুলো রয়েছে, তা শক্তভাবে ব্যক্ত করার মাধ্যমে এই সংকট সমাধান সম্ভব। শুধু কথার ফুলঝুরি দিয়ে নয়, রাজনৈতিক অঙ্গীকারগুলো কাজের মাধ্যমে প্রমাণ রাখতে হবে।
আওয়ামী লীগের সঙ্গে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) নাম জুড়ে দিয়ে ওই তিন দলসহ মোট ১১টি দলকে কোনো রাজনৈতিক কার্যক্রম চালানোর অনুমতি না দিতে অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনা চেয়ে রিট করার সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে দেশে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছিল। ১১টি দলের তালিকায় এলডিপির নামও
৭ ঘণ্টা আগেঅত্যন্ত ভারাক্রান্ত মন নিয়ে এই লেখাটা লিখছি। রাষ্ট্র ও সমাজ নিয়ে অন্য একটি প্রবন্ধ লিখব বলে ভেবেছিলাম। গত রোববার থেকেই বুকের মধ্যে কেমন যেন পাথরচাপা একটা কষ্ট অনুভব করছি। প্রথমে টেলিভিশনে খবরে দেখলাম, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির তিন ছাত্র মারা গেছেন। যে তিন ছাত্র মারা গেছেন, তাঁদের সমবয়সী হবে
৭ ঘণ্টা আগেবাংলা ভাষায় বহুল পরিচিত একটি শব্দ হলো কালাজ্বর। শব্দটি কমবেশি আমরা সবাই শুনেছি। এমনকি কেউ কেউ কালাজ্বরে আক্রান্তও হয়েছি। কিন্তু এই জ্বরকে কালাজ্বর কেন বলা হয়? কালো রঙের সঙ্গে এর কি কোনো সম্পর্ক রয়েছে? জ্বরের প্রকারভেদে রঙের কি আদৌ কোনো ভূমিকা রয়েছে? যদি না থাকে তাহলে প্রশ্ন হলো, কেন এ জ্বরকে কালাজ্ব
৭ ঘণ্টা আগেসাংবাদিকদের হয়রানি করা কোনো গণতান্ত্রিক সমাজের বৈশিষ্ট্য হতে পারে না। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থল ও বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের ইমিগ্রেশনে যেভাবে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে, তা কেবল পেশাগত বাধার উদাহরণ নয়, এটি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং মুক্তচিন্তার ওপর একধরনের চাপ। এই ধরনের আচরণ রাষ্ট্রের মৌলিক চেতনা ও মানব
৮ ঘণ্টা আগে