রেজোয়ান হক, সিনিয়র সাংবাদিক
দেশে চলমান কোটা আন্দোলন ইস্যুতে সব পক্ষের জন্য সম্মানজনক সমাধান হতে পারে মধ্যপন্থা অবলম্বন, যা এই আন্দোলনের কারণে মানুষের চরম দুর্ভোগেরও অবসান ঘটাতে পারে। আর মধ্যপন্থাটি হলো—কোটা পুরোপুরি বাতিল নয়, আবার পুরোপুরি পুনর্বহালও নয় বরং পদ্ধতিটি সংস্কার করে কোটার পরিমাণ কমিয়ে আনা।
২০১৮ সালে সরকার প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে কোটা পদ্ধতি পুরোপুরি বাতিল করে দিলেও, আন্দোলনকারীরা কিন্তু তা চায়নি। তারা চেয়েছিল কোটা সংস্কার। তখন কোটা ছিল মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বা নাতি-নাতনিদের জন্য শতকরা ৩০ ভাগ, নারী ১০ ভাগ, জেলা ১০ ভাগ, উপজাতি ৫ ভাগ, প্রতিবন্ধী ১ ভাগ; সব মিলিয়ে ৫৬ ভাগ। আন্দোলনকারীরা এটা ১০ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু সরকার পুরোপুরি কোটা তুলে দিয়ে সেই আন্দোলন থামাতে পারলেও সমস্যা যে ছিলই, চলতি আন্দোলন তার প্রমাণ।
মুক্তিযোদ্ধা কোটা ফিরিয়ে আনতে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তানদের তরফে হাইকোর্টে রিট আবেদন এবং তাদের পক্ষে আদালতের রায়ের পর শিক্ষার্থীরা ফের আন্দোলনে নেমেছে। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করেছে। তার অর্থ হলো-এই মামলায় সরকার কোটাব্যবস্থা বাতিলের আগের অবস্থানেই আছে। কিন্তু আন্দোলনকারীরা কেন যেন মনে করছে, এটা সরকারের কৌশল।
কোটার বিরুদ্ধে মতামত দৃশ্যত জোরালো মনে হলেও কোটার পক্ষেও মত রয়েছে। সংবিধানের ২৯ অনুচ্ছেদেও সরকারি চাকরিতে নাগরিকদের উপযুক্ত প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার নির্দেশনা রয়েছে। তাহলে মধ্যপন্থাই তো সমাধান। কোটা পুনর্বহাল নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে শুধু রাষ্ট্রপক্ষই নয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রও আজ আপিল করেছে। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ শিগগিরই বিষয়টি নিষ্পত্তি করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। আদালতের রায়ই শিরোধার্য।
তবে আন্দোলনকারীদের মূল অবস্থান যেহেতু কোটা বাতিল নয়, এই পদ্ধতির সংস্কার। অন্যদিকে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার এবং সমাজের অনগ্রসর অংশের জন্য কোটা থাকার পক্ষেও যেহেতু মতামত আছে, সে ক্ষেত্রে একজন শান্তিপ্রিয় নাগরিক হিসেবে আমার প্রস্তাব হলো—উচ্চ আদালত নিজেই কোটা কমিয়ে নির্ধারণ করে দেবেন অথবা কোটা থাকবে তবে আগের চেয়ে কম-এমন নির্দেশনা দিয়ে কোটার পরিমাণ নির্ধারণের জন্য একটি কমিটি বা কমিশন গঠনের নির্দেশ দিতে পারেন। তাহলে হয়তো সব কূলই রক্ষা হবে।
দেশে চলমান কোটা আন্দোলন ইস্যুতে সব পক্ষের জন্য সম্মানজনক সমাধান হতে পারে মধ্যপন্থা অবলম্বন, যা এই আন্দোলনের কারণে মানুষের চরম দুর্ভোগেরও অবসান ঘটাতে পারে। আর মধ্যপন্থাটি হলো—কোটা পুরোপুরি বাতিল নয়, আবার পুরোপুরি পুনর্বহালও নয় বরং পদ্ধতিটি সংস্কার করে কোটার পরিমাণ কমিয়ে আনা।
২০১৮ সালে সরকার প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে কোটা পদ্ধতি পুরোপুরি বাতিল করে দিলেও, আন্দোলনকারীরা কিন্তু তা চায়নি। তারা চেয়েছিল কোটা সংস্কার। তখন কোটা ছিল মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বা নাতি-নাতনিদের জন্য শতকরা ৩০ ভাগ, নারী ১০ ভাগ, জেলা ১০ ভাগ, উপজাতি ৫ ভাগ, প্রতিবন্ধী ১ ভাগ; সব মিলিয়ে ৫৬ ভাগ। আন্দোলনকারীরা এটা ১০ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু সরকার পুরোপুরি কোটা তুলে দিয়ে সেই আন্দোলন থামাতে পারলেও সমস্যা যে ছিলই, চলতি আন্দোলন তার প্রমাণ।
মুক্তিযোদ্ধা কোটা ফিরিয়ে আনতে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তানদের তরফে হাইকোর্টে রিট আবেদন এবং তাদের পক্ষে আদালতের রায়ের পর শিক্ষার্থীরা ফের আন্দোলনে নেমেছে। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করেছে। তার অর্থ হলো-এই মামলায় সরকার কোটাব্যবস্থা বাতিলের আগের অবস্থানেই আছে। কিন্তু আন্দোলনকারীরা কেন যেন মনে করছে, এটা সরকারের কৌশল।
কোটার বিরুদ্ধে মতামত দৃশ্যত জোরালো মনে হলেও কোটার পক্ষেও মত রয়েছে। সংবিধানের ২৯ অনুচ্ছেদেও সরকারি চাকরিতে নাগরিকদের উপযুক্ত প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার নির্দেশনা রয়েছে। তাহলে মধ্যপন্থাই তো সমাধান। কোটা পুনর্বহাল নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে শুধু রাষ্ট্রপক্ষই নয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রও আজ আপিল করেছে। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ শিগগিরই বিষয়টি নিষ্পত্তি করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। আদালতের রায়ই শিরোধার্য।
তবে আন্দোলনকারীদের মূল অবস্থান যেহেতু কোটা বাতিল নয়, এই পদ্ধতির সংস্কার। অন্যদিকে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার এবং সমাজের অনগ্রসর অংশের জন্য কোটা থাকার পক্ষেও যেহেতু মতামত আছে, সে ক্ষেত্রে একজন শান্তিপ্রিয় নাগরিক হিসেবে আমার প্রস্তাব হলো—উচ্চ আদালত নিজেই কোটা কমিয়ে নির্ধারণ করে দেবেন অথবা কোটা থাকবে তবে আগের চেয়ে কম-এমন নির্দেশনা দিয়ে কোটার পরিমাণ নির্ধারণের জন্য একটি কমিটি বা কমিশন গঠনের নির্দেশ দিতে পারেন। তাহলে হয়তো সব কূলই রক্ষা হবে।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সামনে নীতিনির্ধারণী একটি বিষয় অগ্রাধিকার বিবেচনার জন্য অপেক্ষমাণ আছে, আর তা হলো, রাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিবর্তন করা, নাকি যথাশিগগির নির্বাচন আয়োজন করা? অনেক ধরনের রাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিবর্তনের জন্য জাতীয় সংসদের বিকল্প কিছু আছে বলে মনে হয় না।
৯ ঘণ্টা আগেকিছু কিছু বিতর্ক তৈরি করা হয় সমসাময়িক বিষয় থেকে দৃষ্টি দূরে সরিয়ে রাখার জন্য। পুরো পাকিস্তান আমলেই রবীন্দ্রনাথকে ঘিরে বিতর্ক জারি রাখা হয়েছিল। আমলাতন্ত্র আর সামরিক আমলাতন্ত্র মিলে পাকিস্তান নামক দেশটায় যে স্বৈরশাসন কায়েম করে রেখেছিল, সেদিকে যেন সচেতন মানুষের চোখ না যায়, সে অভিসন্ধি থেকেই রবীন্দ্রনাথ
৯ ঘণ্টা আগেএকটি কলা। হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন। একটি সাধারণ কলা, যা নিলামে বিক্রি হলো ৭৪ কোটি টাকায়। এটি শিল্প, না কৌতুক, না সামাজিক শ্লেষ—নাকি তিনটির মিশেল? ইতালীয় শিল্পী মরিজিও ক্যাটালানের এই ‘কমেডিয়ান’ আমাদের শিল্পের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি আর বাজারজাত সৃজনশীলতার প্রশ্ন নিয়ে ভাবতে বাধ্য করে।
৯ ঘণ্টা আগে‘গণতন্ত্র মঞ্চ’র অন্যতম নেতা সাইফুল হক বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ছাত্রজীবনে তিনি ছাত্র ঐক্য ফোরামের নেতা ছিলেন। তিনি পত্রিকায় নিয়মিত কলাম লেখেন। এখন পর্যন্ত ২০টি বই লিখেছেন। অন্তর্বর্তী সরকার এবং দেশের রাজনীতি নিয়ে...
১ দিন আগে