সম্পাদকীয়
গতকাল বিকেল ৪টা ৩৬ মিনিটে দেশের এক প্রভাবশালী নেতার হাঁচি রাজনীতিতে নতুন ঝড় তুলেছে। হাঁচি সাধারণত শারীরিক প্রতিক্রিয়া হলেও, যেহেতু এটি একজন জাতীয় নেতার মুখ থেকে এসেছে, তাই প্রশ্ন উঠেছে—এই হাঁচি কি নিছকই এলার্জি, নাকি এর পেছনে কোনো গভীর রাজনৈতিক বার্তা লুকিয়ে আছে?
প্রথমে হাঁচির শব্দটি ছিল স্বাভাবিক—‘হ্যাচ্ছো!’ কিন্তু ভক্ত নেতা-কর্মীরা সঙ্গে সঙ্গে দাবি করেন, এটি আসলে ‘ঘোষণা’জাতীয় কিছু, যা বুঝতে হলে অন্তর্দৃষ্টির দরকার। এক কর্মী বলেন, ‘আমি ঠিক শুনেছি—নেতা বলছিলেন “যাচ্ছি”। এর মানে, সরকার পতনের সিগন্যাল!’
অপর এক ভক্ত বলেন, ‘না ভাই, উনি আসলে বলছিলেন “আসছি”, এর মানে উনি আবারও নির্বাচনে নামছেন!’
এরপর শুরু হয় মিডিয়ার মহোৎসব। এক টিভি চ্যানেলের স্ক্রলে লেখা হয়—‘নেতার হাঁচি: ২০২৬-এর ইঙ্গিত?’
অন্য চ্যানেল লাইভ টক শোতে পাঁচজন বিশ্লেষক এনে প্রশ্ন তোলে: ‘এই হাঁচির সময় তিনি কাকে দেখছিলেন? পাশে কে ছিল? ছাতা ছিল নাকি ফ্যান?’
একজন বললেন, ‘দেখুন, আমরা জানি উনি জাতীয় সমস্যা নিয়ে ভাবেন। অতিরিক্ত চাপেই হয়তো হাঁচি দিয়েছেন।’
অন্যজন পাল্টা প্রশ্ন ছুড়লেন, ‘কিন্তু প্রশ্ন হলো—এই চাপ দিল কে?’
ফেসবুকে একজন লিখলেন, ‘এই হাঁচির পেছনে নিশ্চয় আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র আছে। মনে রাখবেন, আগেও নেতারা হাঁচির পরেই রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটিয়েছেন।’
ইতিমধ্যে কয়েকজন তাত্ত্বিক বলছেন, এই হাঁচি আসলে ‘বিকল্প ভাবনার’ সূচনা। নাক দিয়ে নয়, এটা এসেছে মগজ থেকে—এমনকি মগজ থেকেও না, এসেছে হৃদয় থেকে।
ডাক্তাররাও আর চুপ থাকতে পারলেন না। এক বিশেষজ্ঞ জানালেন, ‘এটা শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে হতে পারে।’ সঙ্গে সঙ্গে একটি দল সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই বিশেষজ্ঞকে ‘বিক্রীত আত্মা’ ঘোষণা করল।
কেউ কেউ আবার বলছে, ‘এটা আসলে গোপন কোড। যারা বোঝে, তারাই বোঝে।’
এমনও বলা হচ্ছে, হাঁচির তিনটি ধাপ ছিল—প্রথমটি ‘ধ্বংস’, দ্বিতীয়টি ‘পুনর্গঠন’, আর তৃতীয়টি ‘নতুন জাগরণ’।
এদিকে বিরোধী দল বলছে, ‘নেতার হাঁচি আমাদের ওপর ছুড়ে দেওয়া চ্যালেঞ্জ। আমরা তার জবাব দেব কাশির মাধ্যমে।’
একই সঙ্গে একটি গণমিছিলের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে: ‘নাকে রুমাল ধরো—গণতন্ত্র বাঁচাও।’
সবশেষে, হাঁচি দেওয়া সেই নেতা সাংবাদিকদের বললেন, ‘আরে ভাই, আমি স্রেফ ঠান্ডা লেগে হাঁচি দিয়েছি।’
কিন্তু জনগণ বলছে, ‘এই কথাটাও ষড়যন্ত্র চাপা দেওয়ার অংশ!’
হাঁচির শব্দ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে একদল ভাষাতাত্ত্বিক নতুন একটি থিসিস তৈরি করছেন: ‘হ্যাচ্ছো শব্দের ফ্রিকোয়েন্সি বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায়, এতে অন্তর্নিহিত রয়েছে “চেইঞ্জ”-এর বার্তা।’ এ প্রসঙ্গে একজন বললেন, ‘এই শব্দে “ছ” আর “চ” আছে, যা “ছোঁয়া” এবং “চেতনা” দুইয়ের ইঙ্গিত। অর্থাৎ, হাঁচি আমাদের চেতনাকে জাগিয়ে তুলতে চেয়েছে।’
একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসংগঠন এই হাঁচিকে কেন্দ্র করে সেমিনারের আয়োজন করেছে: ‘নেতার হাঁচি এবং জাতীয় রাজনীতির পুনর্জন্ম’—যেখানে থাকবে স্ক্রিন অ্যানালাইসিস, ফেসিয়াল রিঅ্যাকশন ডিসকাশন এবং পলিটিক্যাল ইনটেন্ট রিডিং সেশন।
অন্যদিকে, চায়ের স্টলে বসে থাকা সাধারণ জনগণ এই হাঁচিকে ঘিরে দুটি দলে ভাগ হয়ে গেছে—‘হাঁচি বিশ্বাসী’ ও ‘হাঁচি সংশয়বাদী’। এক দলের দাবি, ‘নেতা কিছু না কিছু বোঝাতে চেয়েছেন, এটা নিশ্চিত।’ অন্য দল বলে, ‘না ভাই, আপনি এত সিরিয়াস হলে হাঁচিও ভয় পেয়ে পালাবে!’
সোশ্যাল মিডিয়ায় মিমের বন্যা বয়ে গেছে—একটি ছবিতে নেতাকে দেখা যাচ্ছে হাঁচি দেওয়ার ভঙ্গিতে, নিচে লেখা: ‘আপনি তো স্রেফ হাঁচলেন, আর তারা ভাবছে আপনি সরকার ফেলে দিচ্ছেন!’
তবে সবচেয়ে রহস্যময় ঘটনা ঘটেছে আজ ভোরে, যখন এক ইউটিউবার দাবি করেছেন—তিনি হাঁচির ফ্রেম-বাই-ফ্রেম বিশ্লেষণ করে বুঝেছেন, ‘নেতার চোখ ডান দিকে তাকিয়ে ছিল, যার মানে হচ্ছে ডানপন্থী জোটের দিকে সায়।’
এইভাবে একটি সাধারণ শারীরিক প্রতিক্রিয়া হয়ে উঠেছে রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজতত্ত্ব, ফোক মনস্তত্ত্ব এবং মিডিয়া পাগলামির যুগল সমারোহ।
এখন মানুষ আশায় বুক বাঁধছে—নেতা পরেরবার কাশি দিলেই বুঝি নতুন মন্ত্রিসভা ঘোষণা হবে, আর হাই তুললেই বুঝতে হবে সংসদ ভেঙে যাচ্ছে! বাংলাদেশে এখন ‘স্বাস্থ্য’ আর ‘রাজনীতি’ একই নিশ্বাসে—আর সেটা যদি হাঁচি হয়, তবে তো কথাই নেই!
গতকাল বিকেল ৪টা ৩৬ মিনিটে দেশের এক প্রভাবশালী নেতার হাঁচি রাজনীতিতে নতুন ঝড় তুলেছে। হাঁচি সাধারণত শারীরিক প্রতিক্রিয়া হলেও, যেহেতু এটি একজন জাতীয় নেতার মুখ থেকে এসেছে, তাই প্রশ্ন উঠেছে—এই হাঁচি কি নিছকই এলার্জি, নাকি এর পেছনে কোনো গভীর রাজনৈতিক বার্তা লুকিয়ে আছে?
প্রথমে হাঁচির শব্দটি ছিল স্বাভাবিক—‘হ্যাচ্ছো!’ কিন্তু ভক্ত নেতা-কর্মীরা সঙ্গে সঙ্গে দাবি করেন, এটি আসলে ‘ঘোষণা’জাতীয় কিছু, যা বুঝতে হলে অন্তর্দৃষ্টির দরকার। এক কর্মী বলেন, ‘আমি ঠিক শুনেছি—নেতা বলছিলেন “যাচ্ছি”। এর মানে, সরকার পতনের সিগন্যাল!’
অপর এক ভক্ত বলেন, ‘না ভাই, উনি আসলে বলছিলেন “আসছি”, এর মানে উনি আবারও নির্বাচনে নামছেন!’
এরপর শুরু হয় মিডিয়ার মহোৎসব। এক টিভি চ্যানেলের স্ক্রলে লেখা হয়—‘নেতার হাঁচি: ২০২৬-এর ইঙ্গিত?’
অন্য চ্যানেল লাইভ টক শোতে পাঁচজন বিশ্লেষক এনে প্রশ্ন তোলে: ‘এই হাঁচির সময় তিনি কাকে দেখছিলেন? পাশে কে ছিল? ছাতা ছিল নাকি ফ্যান?’
একজন বললেন, ‘দেখুন, আমরা জানি উনি জাতীয় সমস্যা নিয়ে ভাবেন। অতিরিক্ত চাপেই হয়তো হাঁচি দিয়েছেন।’
অন্যজন পাল্টা প্রশ্ন ছুড়লেন, ‘কিন্তু প্রশ্ন হলো—এই চাপ দিল কে?’
ফেসবুকে একজন লিখলেন, ‘এই হাঁচির পেছনে নিশ্চয় আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র আছে। মনে রাখবেন, আগেও নেতারা হাঁচির পরেই রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটিয়েছেন।’
ইতিমধ্যে কয়েকজন তাত্ত্বিক বলছেন, এই হাঁচি আসলে ‘বিকল্প ভাবনার’ সূচনা। নাক দিয়ে নয়, এটা এসেছে মগজ থেকে—এমনকি মগজ থেকেও না, এসেছে হৃদয় থেকে।
ডাক্তাররাও আর চুপ থাকতে পারলেন না। এক বিশেষজ্ঞ জানালেন, ‘এটা শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে হতে পারে।’ সঙ্গে সঙ্গে একটি দল সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই বিশেষজ্ঞকে ‘বিক্রীত আত্মা’ ঘোষণা করল।
কেউ কেউ আবার বলছে, ‘এটা আসলে গোপন কোড। যারা বোঝে, তারাই বোঝে।’
এমনও বলা হচ্ছে, হাঁচির তিনটি ধাপ ছিল—প্রথমটি ‘ধ্বংস’, দ্বিতীয়টি ‘পুনর্গঠন’, আর তৃতীয়টি ‘নতুন জাগরণ’।
এদিকে বিরোধী দল বলছে, ‘নেতার হাঁচি আমাদের ওপর ছুড়ে দেওয়া চ্যালেঞ্জ। আমরা তার জবাব দেব কাশির মাধ্যমে।’
একই সঙ্গে একটি গণমিছিলের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে: ‘নাকে রুমাল ধরো—গণতন্ত্র বাঁচাও।’
সবশেষে, হাঁচি দেওয়া সেই নেতা সাংবাদিকদের বললেন, ‘আরে ভাই, আমি স্রেফ ঠান্ডা লেগে হাঁচি দিয়েছি।’
কিন্তু জনগণ বলছে, ‘এই কথাটাও ষড়যন্ত্র চাপা দেওয়ার অংশ!’
হাঁচির শব্দ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে একদল ভাষাতাত্ত্বিক নতুন একটি থিসিস তৈরি করছেন: ‘হ্যাচ্ছো শব্দের ফ্রিকোয়েন্সি বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায়, এতে অন্তর্নিহিত রয়েছে “চেইঞ্জ”-এর বার্তা।’ এ প্রসঙ্গে একজন বললেন, ‘এই শব্দে “ছ” আর “চ” আছে, যা “ছোঁয়া” এবং “চেতনা” দুইয়ের ইঙ্গিত। অর্থাৎ, হাঁচি আমাদের চেতনাকে জাগিয়ে তুলতে চেয়েছে।’
একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসংগঠন এই হাঁচিকে কেন্দ্র করে সেমিনারের আয়োজন করেছে: ‘নেতার হাঁচি এবং জাতীয় রাজনীতির পুনর্জন্ম’—যেখানে থাকবে স্ক্রিন অ্যানালাইসিস, ফেসিয়াল রিঅ্যাকশন ডিসকাশন এবং পলিটিক্যাল ইনটেন্ট রিডিং সেশন।
অন্যদিকে, চায়ের স্টলে বসে থাকা সাধারণ জনগণ এই হাঁচিকে ঘিরে দুটি দলে ভাগ হয়ে গেছে—‘হাঁচি বিশ্বাসী’ ও ‘হাঁচি সংশয়বাদী’। এক দলের দাবি, ‘নেতা কিছু না কিছু বোঝাতে চেয়েছেন, এটা নিশ্চিত।’ অন্য দল বলে, ‘না ভাই, আপনি এত সিরিয়াস হলে হাঁচিও ভয় পেয়ে পালাবে!’
সোশ্যাল মিডিয়ায় মিমের বন্যা বয়ে গেছে—একটি ছবিতে নেতাকে দেখা যাচ্ছে হাঁচি দেওয়ার ভঙ্গিতে, নিচে লেখা: ‘আপনি তো স্রেফ হাঁচলেন, আর তারা ভাবছে আপনি সরকার ফেলে দিচ্ছেন!’
তবে সবচেয়ে রহস্যময় ঘটনা ঘটেছে আজ ভোরে, যখন এক ইউটিউবার দাবি করেছেন—তিনি হাঁচির ফ্রেম-বাই-ফ্রেম বিশ্লেষণ করে বুঝেছেন, ‘নেতার চোখ ডান দিকে তাকিয়ে ছিল, যার মানে হচ্ছে ডানপন্থী জোটের দিকে সায়।’
এইভাবে একটি সাধারণ শারীরিক প্রতিক্রিয়া হয়ে উঠেছে রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজতত্ত্ব, ফোক মনস্তত্ত্ব এবং মিডিয়া পাগলামির যুগল সমারোহ।
এখন মানুষ আশায় বুক বাঁধছে—নেতা পরেরবার কাশি দিলেই বুঝি নতুন মন্ত্রিসভা ঘোষণা হবে, আর হাই তুললেই বুঝতে হবে সংসদ ভেঙে যাচ্ছে! বাংলাদেশে এখন ‘স্বাস্থ্য’ আর ‘রাজনীতি’ একই নিশ্বাসে—আর সেটা যদি হাঁচি হয়, তবে তো কথাই নেই!
দেশের সংবিধান, পুলিশ, স্থানীয় সরকার, নির্বাচন, বিচারব্যবস্থাসহ বিভিন্ন খাতে সংস্কারের নানা আলাপ হয়েছে, হচ্ছে। কিন্তু এই সময়ে অর্থনৈতিক সংস্কার নিয়ে খুব বেশি কিছু করা হয়েছে কি না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন অর্থনীতি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারেরই গঠন করা শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১৮ ঘণ্টা আগেঈশ্বরকে এখনো বুঝে উঠতে পারিনি আমরা। এ কারণে মানবদেহ থাকলেও মনুষ্যত্ব, মানবিকতা নেই কিংবা মানুষ হয়ে উঠতে পারিনি। ঈশ্বরকে বোঝার জন্য আমরা দায়বদ্ধ নই, যদিও আমাদের দায়বদ্ধতার প্রসঙ্গটি এখানে আসার কথা ছিল না। শব্দটি প্রযোজ্য নয় এখানে। কিন্তু জন্ম, মৃত্যু ও ধর্মকে পুঁজি করে এক অদৃশ্য নাগপাশে বাঁধা পড়ে
১৮ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ ও কার্যপরিধি নিয়ে রাজনৈতিক ও নাগরিক সমাজে আলোচনা ও বিতর্ক শুরু হয়েছে। এক অংশ মনে করে, অন্তর্বর্তী সরকার শুধু নির্বাচন পরিচালনার জন্য যথেষ্ট নয়; বিচার বিভাগে সংস্কার, হাসিনা সরকারের হত্যা-নির্যাতন, গুম-খুন ও দুর্নীতির বিচার, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরপেক্ষকরণসহ নানা
১৯ ঘণ্টা আগেঢাকা শহরে পরিবহনের অব্যবস্থাপনার কারণে নগরবাসী কাহিল অনেক আগে থেকেই। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে যানজটের অসহনীয় যন্ত্রণা। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বর্তমান সরকারের কিছু উদ্যোগ গ্রহণের কারণে মানুষ আশার আলো দেখতে পেলেও সময়ের সঙ্গে সেই আশাও নিরাশায় পরিণত হয়েছে। মূলত পরিবহনমালিক ও নেতাদের অসহযোগিতার কারণে
১৯ ঘণ্টা আগে