সম্পাদকীয়
প্রতিদিন নিত্যপণ্যের দাম হু হু করে বেড়েই চলছে। সীমিত আয়ের মানুষদের এখন ত্রাহি মধুসূদন অবস্থা। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে জীবনযাত্রার ব্যয়ের সঙ্গে আয়ের ব্যবধান বাড়ছে। ফলে নিম্নবিত্ত, এমনকি মধ্যবিত্ত মানুষের জীবনও পড়েছে সংকটে। জীবন যেন থমকে যাচ্ছে। এ নিয়ে রাষ্ট্রের কর্তাব্যক্তিরা আদতেই কিছু ভাবছেন কি না, কিংবা সে ভাবনা সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের জীবনে কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারছে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে আজকের পত্রিকায় ‘বাঁধাকপি, টমেটো আর আলুতে সপ্তাহ পার’ শিরোনামে সংবাদ ছাপা হয়েছে। সত্যিই মানুষের জীবন চালানো যে কষ্টকর হয়ে গেছে, তা জানা যাচ্ছে সংবাদে প্রকাশিত জনৈক ব্যক্তির কথায়। তিনি আগে বাচ্চাদের জন্য সপ্তাহে একটা মুরগি কেনার চেষ্টা করতেন। এখন খাবারের তালিকা থেকে মুরগি বাদ দিয়েছেন। মাছ-গরুর মাংস তো আরও আগেই বাদ দিয়েছেন। এক সপ্তাহ ধরে শুধু আলু আর বাঁধাকপি দিয়ে চলছে তাঁদের খাওয়া-দাওয়া। বাচ্চারা ভালো কিছু খাওয়ার জন্য কান্নাকাটি করলেও আর্থিক অবস্থা সে সুযোগ আর দেয় না। এ আর্তি থেকে বোঝা যাচ্ছে সাধারণ মানুষের জীবন কেমন চলছে।
বাজারে জিনিসপত্রের দামে যে আগুন লেগেছে, তা বোঝা যায় দামের দিকে তাকালে। সংসারের খরচের সঙ্গে আয়ের সামঞ্জস্য বিধানের জন্য অনেককেই অনেক প্রয়োজনীয় জিনিস তালিকা থেকে বাদ দিতে হচ্ছে। সংসারের বোঝা কমানোর জন্য অনেকে চিকিৎসা খরচ এবং সন্তানদের পড়াশোনার খরচও ঠিকভাবে জোগাড় করতে পারছেন না।
মানুষের খাদ্যতালিকায় প্রোটিন খুব প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। কিন্তু সে যদি তিন বেলা শুধু শাকসবজি খায়, তাহলে তো তার শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব দেখা দেবে। গরিবের প্রোটিন ডিমের দামও তো আকাশছোঁয়া।
একটি পরিবার কীভাবে তাদের প্রতিদিনের জীবন নির্বাহ করবে, তা নির্ভর করে তাদের আয়, চাহিদা এবং দ্রব্যমূল্যের ওপর। প্রয়োজনীয় প্রতিটি পণ্যের মূল্য যখন অসহনীয় পর্যায়ে এবং ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে না, তখন তাদের জীবন অসামঞ্জস্যপূর্ণ হয়ে যায়। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের পাশাপাশি বেড়েই চলছে বাসা ও পরিবহন-ভাড়া, চিকিৎসা ও শিক্ষা খাতের ব্যয়। সরকারি-বেসরকারি সেবার দামও বাড়ছে। এ কারণে বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঘোড়া জনগণকে হতাশার রাজ্যে নিয়ে যাচ্ছে। জীবনযাত্রার মানেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এ কারণে মানুষ দিন দিন অসহিষ্ণু, রাগী, বদমেজাজি ও অমানবিক হয়ে উঠছে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়ার অনেকগুলো কারণের মধ্যে একটি বড় কারণ তো সিন্ডিকেট। কালোবাজারি, মুনাফাখোর, মজুতদারেরাও আরেকটি কারণ। অতিরিক্ত কর বৃদ্ধি; চাঁদাবাজি এবং সংরক্ষণ, সরবরাহ ও বণ্টনের অব্যবস্থাপনার কারণেও দাম বাড়ছে। আমাদের অর্থনীতিতে মধ্যস্বত্বভোগী একটা শ্রেণি আছে, তারাই মূলত জিনিসপত্রের দাম বাড়ার অন্যতম কারণ।
সরকারকে বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত অভিযান চালাতে হবে। একই সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে। বাজারে জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার বিকল্প নেই। নিম্ন আয়ের মানুষের একটু খেয়ে-পরে বেঁচে থাকতে দিন।
প্রতিদিন নিত্যপণ্যের দাম হু হু করে বেড়েই চলছে। সীমিত আয়ের মানুষদের এখন ত্রাহি মধুসূদন অবস্থা। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে জীবনযাত্রার ব্যয়ের সঙ্গে আয়ের ব্যবধান বাড়ছে। ফলে নিম্নবিত্ত, এমনকি মধ্যবিত্ত মানুষের জীবনও পড়েছে সংকটে। জীবন যেন থমকে যাচ্ছে। এ নিয়ে রাষ্ট্রের কর্তাব্যক্তিরা আদতেই কিছু ভাবছেন কি না, কিংবা সে ভাবনা সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের জীবনে কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারছে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে আজকের পত্রিকায় ‘বাঁধাকপি, টমেটো আর আলুতে সপ্তাহ পার’ শিরোনামে সংবাদ ছাপা হয়েছে। সত্যিই মানুষের জীবন চালানো যে কষ্টকর হয়ে গেছে, তা জানা যাচ্ছে সংবাদে প্রকাশিত জনৈক ব্যক্তির কথায়। তিনি আগে বাচ্চাদের জন্য সপ্তাহে একটা মুরগি কেনার চেষ্টা করতেন। এখন খাবারের তালিকা থেকে মুরগি বাদ দিয়েছেন। মাছ-গরুর মাংস তো আরও আগেই বাদ দিয়েছেন। এক সপ্তাহ ধরে শুধু আলু আর বাঁধাকপি দিয়ে চলছে তাঁদের খাওয়া-দাওয়া। বাচ্চারা ভালো কিছু খাওয়ার জন্য কান্নাকাটি করলেও আর্থিক অবস্থা সে সুযোগ আর দেয় না। এ আর্তি থেকে বোঝা যাচ্ছে সাধারণ মানুষের জীবন কেমন চলছে।
বাজারে জিনিসপত্রের দামে যে আগুন লেগেছে, তা বোঝা যায় দামের দিকে তাকালে। সংসারের খরচের সঙ্গে আয়ের সামঞ্জস্য বিধানের জন্য অনেককেই অনেক প্রয়োজনীয় জিনিস তালিকা থেকে বাদ দিতে হচ্ছে। সংসারের বোঝা কমানোর জন্য অনেকে চিকিৎসা খরচ এবং সন্তানদের পড়াশোনার খরচও ঠিকভাবে জোগাড় করতে পারছেন না।
মানুষের খাদ্যতালিকায় প্রোটিন খুব প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। কিন্তু সে যদি তিন বেলা শুধু শাকসবজি খায়, তাহলে তো তার শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব দেখা দেবে। গরিবের প্রোটিন ডিমের দামও তো আকাশছোঁয়া।
একটি পরিবার কীভাবে তাদের প্রতিদিনের জীবন নির্বাহ করবে, তা নির্ভর করে তাদের আয়, চাহিদা এবং দ্রব্যমূল্যের ওপর। প্রয়োজনীয় প্রতিটি পণ্যের মূল্য যখন অসহনীয় পর্যায়ে এবং ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে না, তখন তাদের জীবন অসামঞ্জস্যপূর্ণ হয়ে যায়। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের পাশাপাশি বেড়েই চলছে বাসা ও পরিবহন-ভাড়া, চিকিৎসা ও শিক্ষা খাতের ব্যয়। সরকারি-বেসরকারি সেবার দামও বাড়ছে। এ কারণে বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঘোড়া জনগণকে হতাশার রাজ্যে নিয়ে যাচ্ছে। জীবনযাত্রার মানেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এ কারণে মানুষ দিন দিন অসহিষ্ণু, রাগী, বদমেজাজি ও অমানবিক হয়ে উঠছে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়ার অনেকগুলো কারণের মধ্যে একটি বড় কারণ তো সিন্ডিকেট। কালোবাজারি, মুনাফাখোর, মজুতদারেরাও আরেকটি কারণ। অতিরিক্ত কর বৃদ্ধি; চাঁদাবাজি এবং সংরক্ষণ, সরবরাহ ও বণ্টনের অব্যবস্থাপনার কারণেও দাম বাড়ছে। আমাদের অর্থনীতিতে মধ্যস্বত্বভোগী একটা শ্রেণি আছে, তারাই মূলত জিনিসপত্রের দাম বাড়ার অন্যতম কারণ।
সরকারকে বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত অভিযান চালাতে হবে। একই সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে। বাজারে জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার বিকল্প নেই। নিম্ন আয়ের মানুষের একটু খেয়ে-পরে বেঁচে থাকতে দিন।
১৫ বছর ধরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বলার চেষ্টা করেছে, বাংলাদেশে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত দরকার। ফ্যাসিবাদী কাঠামো থেকে বের হওয়ার জন্য নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত খুব প্রয়োজন। সেই বন্দোবস্তের রূপরেখাটা কেমন হবে, সেটা নিয়ে বহু বছর ধরে কথা হচ্ছে।
১৮ ঘণ্টা আগেযেকোনো সরকারের অজনপ্রিয় তথা জনবিচ্ছিন্ন হওয়া এবং তার পরিণতিতে পতনের পেছনে আমলাতন্ত্রের বিরাট ভূমিকা থাকে। বিপরীতে সরকারের জনপ্রিয় হওয়ার পেছনেও প্রধান ভূমিকা রাখতে পারে তার প্রশাসনযন্ত্র। কেননা, সরকারের নীতি ও পরিকল্পনা এবং তার রাজনৈতিক কর্মসূচিগুলো মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়িত হয় প্রশাসনের লোকজনের মাধ্যমেই
১৮ ঘণ্টা আগেনভেম্বর মাসে ঢাকা শহরের অবস্থা কতটা অরক্ষিত ছিল, সেটা বোঝা যাবে ১১ নভেম্বর প্রকাশিত একটি সংবাদে। সংক্ষেপে সে খবরটি এ রকম: রোকেয়া হলে ডাকাতি গত মঙ্গলবার দিবাগত শেষ রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলে এক মারাত্মক ডাকাতি সংঘটিত হয়। দুষ্কৃতিকারীরা হলের প্রভোষ্ট ও হলে অবস্থানকারী ছাত্রীদের হাজার হাজার
১৯ ঘণ্টা আগেপ্রতিকূলে চলা মানুষেরাই। আমাদের খাই খাই স্বভাবের সমাজে একজন ব্যতিক্রমী মানুষের উদাহরণ ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার পাহাড়ভাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা খোরশেদ আলী। তিনি একাই ১ লাখ ১০ হাজার তালগাছ রোপণ করেছেন। এ জন্য তিনি নিজের জমি বিক্রি করতেও কার্পণ্য করেননি। আর্থিকভাবে তেমন সচ্ছল নন খোরশেদ। অভাব-অনটন তাঁর সংসারে
১৯ ঘণ্টা আগে