সম্পাদকীয়
ডিজেল ও কেরোসিনের দাম এক লাফে বেড়েছে লিটারপ্রতি ১৫ টাকা। ৬৫ টাকা থেকে হয়েছে ৮০ টাকা। শতকরা ২৩ শতাংশ। ডিজেল ও কেরোসিন অবশ্য নিজে নিজে দাম বাড়াতে পারে না। কাউকে না কাউকে বাড়াতে হয়। আমাদের দেশের সরকার গত বুধবার রাতে এক নির্বাহী আদেশে এই দাম বাড়ানোর কথা জানিয়েছে। দাম বাড়ানোর পক্ষে যুক্তি হলো, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম ক্রমেই বাড়ছে। তা ছাড়া, ২০১৬ সালের পর আর জ্বালানির দাম আমাদের দেশে সেভাবে বাড়েনি।
বেশি দামে কিনে কম দামে বিক্রি করা যায় না। তাই বিশ্ববাজারে দাম বাড়লে আমাদের দেশে না বাড়িয়ে উপায় কী? দাম কমা-বাড়া কোনো অস্বাভাবিক বিষয় নয়। বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম যেমন বাড়ে, তেমনি কমেও। আমাদের দেশে বাড়ার কথা শুনে দাম বাড়ানো হয়, কমার সময় দাম কমানোর কোনো দৃষ্টান্ত কি আমাদের সামনে আছে? কথা আরও আছে। বিশ্ববাজারে যে দাম বেড়েছে, আমাদের দেশে কি তার সঙ্গে সংগতি রেখে দাম বাড়ানো হয়েছে? বিশ্ববাজারে যে দাম বেড়েছে তাতে বাংলাদেশে ৮০ টাকা লিটার করা যথাযথ হয়নি বলে জ্বালানি খাতের বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। একবারে লিটারে ১৫ টাকা দাম বাড়লে তা মানুষের মনেও বড় ধাক্কা দেয়। জ্বালানির দাম বাড়লে তার প্রতিক্রিয়া জনজীবনে নানাভাবে পড়ে। পরিবহন ব্যয় বাড়বে। সেই সঙ্গে বাড়বে জিনিসপত্রের দাম। সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে আছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম অব্যাহতভাবে বাড়তে থাকায়। মানুষের আয় বাড়ছে না। কিন্তু ব্যয় বাড়ছেই। জ্বালানির দাম বাড়ায় মানুষের নাভিশ্বাস উঠবে। জনস্বার্থের কথা সরকারের অগ্রাধিকার বিবেচনায় থাকলে হুট
করে এই করোনায় বিপর্যস্ত সময়ে ডিজেল-কেরোসিনের দাম এতটা বাড়ানো হতো না।
বলা হচ্ছে, ভারতে জ্বালানি তেলের দাম বাংলাদেশের থেকে অনেক বেশি। তাই জ্বালানি তেলের চোরাচালান ঠেকাতেও আমাদের দেশে দাম বাড়ানো যুক্তিসংগত। এ তো মাথাব্যথার জন্য মাথা কেটে ফেলার মতো যুক্তি! চোরাচালান বন্ধ করতে অক্ষম, তাই দাম বাড়িয়ে সক্ষমতা দেখানো।
এখন আবার এই যুক্তিও হাজির করা হতে পারে যে, বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় তো আড়াই হাজার মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে। এই গড় হিসাবে সব সময় গোলমেলে। আয় যাদের বেড়েছে, তাদের বেড়েছে হয়তো হাজার বা লাখের হিসাবে। সেটা কত শতাংশ মানুষের? বেশির ভাগ মানুষেরই তো আয় না বেড়ে ব্যয় বেড়েছে। মানুষের গড় ব্যয় কত বেড়েছে, সে হিসাব একসঙ্গে পাওয়া না গেলে গড় মাথাপিছু আয় বাড়ার সংবাদে কারও মন খুশিতে নেচে উঠবে বলে মনে হয় না।
গড় হিসাবের একটি গল্প মনে পড়ছে। এক ব্যক্তির শরীরের একাংশ একটি ঠান্ডা জায়গায় এবং অন্য অংশ গরম জায়গায় রেখে গড় পরিমাপ করা হলো—নাতিশীতোষ্ণ! আমাদের গড় মাথাপিছু আয়ের হিসাব তো এমনই।
জ্বালানি তেলের দাম না বাড়িয়ে ভর্তুকি দিয়ে সমন্বয় করে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ লাঘবের বিষয়টি কি সরকার ভাবতে পারে না?
ডিজেল ও কেরোসিনের দাম এক লাফে বেড়েছে লিটারপ্রতি ১৫ টাকা। ৬৫ টাকা থেকে হয়েছে ৮০ টাকা। শতকরা ২৩ শতাংশ। ডিজেল ও কেরোসিন অবশ্য নিজে নিজে দাম বাড়াতে পারে না। কাউকে না কাউকে বাড়াতে হয়। আমাদের দেশের সরকার গত বুধবার রাতে এক নির্বাহী আদেশে এই দাম বাড়ানোর কথা জানিয়েছে। দাম বাড়ানোর পক্ষে যুক্তি হলো, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম ক্রমেই বাড়ছে। তা ছাড়া, ২০১৬ সালের পর আর জ্বালানির দাম আমাদের দেশে সেভাবে বাড়েনি।
বেশি দামে কিনে কম দামে বিক্রি করা যায় না। তাই বিশ্ববাজারে দাম বাড়লে আমাদের দেশে না বাড়িয়ে উপায় কী? দাম কমা-বাড়া কোনো অস্বাভাবিক বিষয় নয়। বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম যেমন বাড়ে, তেমনি কমেও। আমাদের দেশে বাড়ার কথা শুনে দাম বাড়ানো হয়, কমার সময় দাম কমানোর কোনো দৃষ্টান্ত কি আমাদের সামনে আছে? কথা আরও আছে। বিশ্ববাজারে যে দাম বেড়েছে, আমাদের দেশে কি তার সঙ্গে সংগতি রেখে দাম বাড়ানো হয়েছে? বিশ্ববাজারে যে দাম বেড়েছে তাতে বাংলাদেশে ৮০ টাকা লিটার করা যথাযথ হয়নি বলে জ্বালানি খাতের বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। একবারে লিটারে ১৫ টাকা দাম বাড়লে তা মানুষের মনেও বড় ধাক্কা দেয়। জ্বালানির দাম বাড়লে তার প্রতিক্রিয়া জনজীবনে নানাভাবে পড়ে। পরিবহন ব্যয় বাড়বে। সেই সঙ্গে বাড়বে জিনিসপত্রের দাম। সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে আছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম অব্যাহতভাবে বাড়তে থাকায়। মানুষের আয় বাড়ছে না। কিন্তু ব্যয় বাড়ছেই। জ্বালানির দাম বাড়ায় মানুষের নাভিশ্বাস উঠবে। জনস্বার্থের কথা সরকারের অগ্রাধিকার বিবেচনায় থাকলে হুট
করে এই করোনায় বিপর্যস্ত সময়ে ডিজেল-কেরোসিনের দাম এতটা বাড়ানো হতো না।
বলা হচ্ছে, ভারতে জ্বালানি তেলের দাম বাংলাদেশের থেকে অনেক বেশি। তাই জ্বালানি তেলের চোরাচালান ঠেকাতেও আমাদের দেশে দাম বাড়ানো যুক্তিসংগত। এ তো মাথাব্যথার জন্য মাথা কেটে ফেলার মতো যুক্তি! চোরাচালান বন্ধ করতে অক্ষম, তাই দাম বাড়িয়ে সক্ষমতা দেখানো।
এখন আবার এই যুক্তিও হাজির করা হতে পারে যে, বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় তো আড়াই হাজার মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে। এই গড় হিসাবে সব সময় গোলমেলে। আয় যাদের বেড়েছে, তাদের বেড়েছে হয়তো হাজার বা লাখের হিসাবে। সেটা কত শতাংশ মানুষের? বেশির ভাগ মানুষেরই তো আয় না বেড়ে ব্যয় বেড়েছে। মানুষের গড় ব্যয় কত বেড়েছে, সে হিসাব একসঙ্গে পাওয়া না গেলে গড় মাথাপিছু আয় বাড়ার সংবাদে কারও মন খুশিতে নেচে উঠবে বলে মনে হয় না।
গড় হিসাবের একটি গল্প মনে পড়ছে। এক ব্যক্তির শরীরের একাংশ একটি ঠান্ডা জায়গায় এবং অন্য অংশ গরম জায়গায় রেখে গড় পরিমাপ করা হলো—নাতিশীতোষ্ণ! আমাদের গড় মাথাপিছু আয়ের হিসাব তো এমনই।
জ্বালানি তেলের দাম না বাড়িয়ে ভর্তুকি দিয়ে সমন্বয় করে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ লাঘবের বিষয়টি কি সরকার ভাবতে পারে না?
১৫ বছর ধরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বলার চেষ্টা করেছে, বাংলাদেশে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত দরকার। ফ্যাসিবাদী কাঠামো থেকে বের হওয়ার জন্য নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত খুব প্রয়োজন। সেই বন্দোবস্তের রূপরেখাটা কেমন হবে, সেটা নিয়ে বহু বছর ধরে কথা হচ্ছে।
১৮ ঘণ্টা আগেযেকোনো সরকারের অজনপ্রিয় তথা জনবিচ্ছিন্ন হওয়া এবং তার পরিণতিতে পতনের পেছনে আমলাতন্ত্রের বিরাট ভূমিকা থাকে। বিপরীতে সরকারের জনপ্রিয় হওয়ার পেছনেও প্রধান ভূমিকা রাখতে পারে তার প্রশাসনযন্ত্র। কেননা, সরকারের নীতি ও পরিকল্পনা এবং তার রাজনৈতিক কর্মসূচিগুলো মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়িত হয় প্রশাসনের লোকজনের মাধ্যমেই
১৮ ঘণ্টা আগেনভেম্বর মাসে ঢাকা শহরের অবস্থা কতটা অরক্ষিত ছিল, সেটা বোঝা যাবে ১১ নভেম্বর প্রকাশিত একটি সংবাদে। সংক্ষেপে সে খবরটি এ রকম: রোকেয়া হলে ডাকাতি গত মঙ্গলবার দিবাগত শেষ রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলে এক মারাত্মক ডাকাতি সংঘটিত হয়। দুষ্কৃতিকারীরা হলের প্রভোষ্ট ও হলে অবস্থানকারী ছাত্রীদের হাজার হাজার
১৮ ঘণ্টা আগেপ্রতিকূলে চলা মানুষেরাই। আমাদের খাই খাই স্বভাবের সমাজে একজন ব্যতিক্রমী মানুষের উদাহরণ ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার পাহাড়ভাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা খোরশেদ আলী। তিনি একাই ১ লাখ ১০ হাজার তালগাছ রোপণ করেছেন। এ জন্য তিনি নিজের জমি বিক্রি করতেও কার্পণ্য করেননি। আর্থিকভাবে তেমন সচ্ছল নন খোরশেদ। অভাব-অনটন তাঁর সংসারে
১৮ ঘণ্টা আগে