সম্পাদকীয়
১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি গৌরবময় দিন। এটি আমাদের জন্য কেবল একটি তারিখ নয়, বরং একটি অনুভূতি, একটি পরিচয় এবং একটি চিরন্তন বিজয়ের প্রতীক। ১৯৭১ সালের বিজয় ছিল বাঙালির ঐক্য, সাহস এবং অবিচল সংকল্পের জয়। আমাদের জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পূর্ণতার বিজয়ে মিশে আছে লাখো শহীদের আত্মত্যাগ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের অপরিসীম সাহস।
১৯৭১ সালে মুক্তিকামী বাঙালিরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে। সেই ঐক্যের পেছনে ছিল হাজার বছরের শোষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার অভিজ্ঞতা, নিজের পরিচয়ের প্রতি আস্থা, আর জাতির সম্মিলিত উদ্দীপনা। আর এই ঐক্য ও উদ্দীপনার মহানায়ক ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি।
২০২৪ সালের এই বিজয় দিবস আমাদের সামনে একটি নতুন প্রেক্ষাপট এনেছে। আমরা নতুন এক বিজয়ের সম্মুখীন হয়েছি। তবে আমাদের মনে রাখতে হবে, কোনো বিজয়ই একাত্তরের বিজয়ের সমকক্ষ হতে পারে না। স্বাধীনতার চেয়ে বড় গৌরব আর কোনো কিছুই হতে পারে না।
একাত্তরে আমাদের শত্রু ছিল সুস্পষ্ট—বিদেশি শক্তি এবং তাদের দেশীয় দোসররা। আজকের শত্রু হয়তো অনেক বেশি জটিল, অনেক বেশি অভ্যন্তরীণ। বৈষম্য, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং নৈতিক অবক্ষয় আমাদের সত্যিকারের শত্রু। একাত্তরে আমরা জাতি হিসেবে যেভাবে ঐক্যবদ্ধ ছিলাম, আজ সেই ঐক্য না থাকাই স্বাভাবিক।
বিজয় ধরে রাখা মানে কেবল পতাকা ওড়ানো নয়। এর মানে হলো দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা। যে স্বপ্ন নিয়ে লাখো মানুষ প্রাণ দিয়েছিল, সেই স্বপ্ন পূরণে আমরা কতটা সফল? বৈষম্য এখনো রয়েছে, বিচারহীনতার সংস্কৃতি আমাদের পিছিয়ে দিচ্ছে এবং ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ গণতন্ত্রকে দুর্বল করছে। বিজয় দিবসের প্রকৃত অর্থ তখনই বাস্তবায়িত হবে, যখন আমরা প্রতিটি মানুষের জন্য সমান অধিকার এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে পারব।
একাত্তরে আমাদের কৌশল ছিল শত্রু-মিত্র চিহ্নিত করা এবং সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য লড়াই করা। আজকের দিনেও সেই কৌশলের প্রয়োজন আছে। শত্রুর সঙ্গে আপস করা কেবল জাতির জন্য ক্ষতিকর নয়, বরং এটি আমাদের আদর্শকেই কলঙ্কিত করে। আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং অভ্যন্তরীণ নীতির ক্ষেত্রে সতর্কতা, বিচক্ষণতা এবং সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ জরুরি।
বিজয় দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে জাতি হিসেবে আমাদের সংগ্রাম এখনো শেষ হয়নি। একাত্তরের বিজয় আমাদের পথ দেখিয়েছে, এখন প্রয়োজন সেই পথ ধরে এগিয়ে গিয়ে একটি প্রকৃত সমতাভিত্তিক, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ গড়ে তোলা। বিজয়কে অর্থবহ করতে হলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এমন একটি দেশ রেখে যেতে হবে, যেখানে তারা গৌরবের সঙ্গে বলতে পারবে—আমরা আমাদের স্বাধীনতা এবং বিজয়ের প্রকৃত অর্থ বুঝতে পেরেছি এবং সেটিকে রক্ষা করতে পেরেছি।
আজকের বিজয় দিবসে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমাদের শপথ হোক—বিজয়ের চেতনায় নতুন করে জাগ্রত হয়ে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি গৌরবময় দিন। এটি আমাদের জন্য কেবল একটি তারিখ নয়, বরং একটি অনুভূতি, একটি পরিচয় এবং একটি চিরন্তন বিজয়ের প্রতীক। ১৯৭১ সালের বিজয় ছিল বাঙালির ঐক্য, সাহস এবং অবিচল সংকল্পের জয়। আমাদের জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পূর্ণতার বিজয়ে মিশে আছে লাখো শহীদের আত্মত্যাগ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের অপরিসীম সাহস।
১৯৭১ সালে মুক্তিকামী বাঙালিরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে। সেই ঐক্যের পেছনে ছিল হাজার বছরের শোষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার অভিজ্ঞতা, নিজের পরিচয়ের প্রতি আস্থা, আর জাতির সম্মিলিত উদ্দীপনা। আর এই ঐক্য ও উদ্দীপনার মহানায়ক ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি।
২০২৪ সালের এই বিজয় দিবস আমাদের সামনে একটি নতুন প্রেক্ষাপট এনেছে। আমরা নতুন এক বিজয়ের সম্মুখীন হয়েছি। তবে আমাদের মনে রাখতে হবে, কোনো বিজয়ই একাত্তরের বিজয়ের সমকক্ষ হতে পারে না। স্বাধীনতার চেয়ে বড় গৌরব আর কোনো কিছুই হতে পারে না।
একাত্তরে আমাদের শত্রু ছিল সুস্পষ্ট—বিদেশি শক্তি এবং তাদের দেশীয় দোসররা। আজকের শত্রু হয়তো অনেক বেশি জটিল, অনেক বেশি অভ্যন্তরীণ। বৈষম্য, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং নৈতিক অবক্ষয় আমাদের সত্যিকারের শত্রু। একাত্তরে আমরা জাতি হিসেবে যেভাবে ঐক্যবদ্ধ ছিলাম, আজ সেই ঐক্য না থাকাই স্বাভাবিক।
বিজয় ধরে রাখা মানে কেবল পতাকা ওড়ানো নয়। এর মানে হলো দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা। যে স্বপ্ন নিয়ে লাখো মানুষ প্রাণ দিয়েছিল, সেই স্বপ্ন পূরণে আমরা কতটা সফল? বৈষম্য এখনো রয়েছে, বিচারহীনতার সংস্কৃতি আমাদের পিছিয়ে দিচ্ছে এবং ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ গণতন্ত্রকে দুর্বল করছে। বিজয় দিবসের প্রকৃত অর্থ তখনই বাস্তবায়িত হবে, যখন আমরা প্রতিটি মানুষের জন্য সমান অধিকার এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে পারব।
একাত্তরে আমাদের কৌশল ছিল শত্রু-মিত্র চিহ্নিত করা এবং সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য লড়াই করা। আজকের দিনেও সেই কৌশলের প্রয়োজন আছে। শত্রুর সঙ্গে আপস করা কেবল জাতির জন্য ক্ষতিকর নয়, বরং এটি আমাদের আদর্শকেই কলঙ্কিত করে। আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং অভ্যন্তরীণ নীতির ক্ষেত্রে সতর্কতা, বিচক্ষণতা এবং সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ জরুরি।
বিজয় দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে জাতি হিসেবে আমাদের সংগ্রাম এখনো শেষ হয়নি। একাত্তরের বিজয় আমাদের পথ দেখিয়েছে, এখন প্রয়োজন সেই পথ ধরে এগিয়ে গিয়ে একটি প্রকৃত সমতাভিত্তিক, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ গড়ে তোলা। বিজয়কে অর্থবহ করতে হলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এমন একটি দেশ রেখে যেতে হবে, যেখানে তারা গৌরবের সঙ্গে বলতে পারবে—আমরা আমাদের স্বাধীনতা এবং বিজয়ের প্রকৃত অর্থ বুঝতে পেরেছি এবং সেটিকে রক্ষা করতে পেরেছি।
আজকের বিজয় দিবসে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমাদের শপথ হোক—বিজয়ের চেতনায় নতুন করে জাগ্রত হয়ে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
বিজয় দিবস উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এক্স হ্যান্ডেলে দেওয়া একটি পোস্ট নিয়ে বাংলাদেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয়েছে। ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে শুরু করে বাংলাদেশের সব গণমাধ্যমেই প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর যৌথ কমান্ডের কাছে পাকিস্তানি
১৫ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের একটি সম্ভাব্য সময়সূচি ঘোষণার পর বিষয়টি নিয়ে সরকার ও রাজনৈতিক দলের মধ্যে পারস্পরিক সন্দেহের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তারা এ নিয়ে দলের বক্তব্য স্পষ্ট ক
১৫ ঘণ্টা আগেডিসেম্বর মাসে এসে বোঝা যাচ্ছিল, পাকিস্তানিদের চাপিয়ে দেওয়া সেন্সরশিপ সেভাবে কাজ করছে না। বহু খবরই তখন প্রকাশিত হচ্ছিল অবরুদ্ধ নগরীর সংবাদপত্রে। ইন্দিরা গান্ধীর বক্তব্য নিয়ে প্রতিবেদন কিংবা আওয়ামী লীগ নেতাদের বিবৃতি একই দিনে প্রকাশিত হলো। সেদিন ইত্তেফাক ‘পিটুনি কর’ বিষয়ক রিপোর্টটির যে শিরোনাম করেছিল,
১৫ ঘণ্টা আগেপৃথিবীতে গণহত্যা কিংবা জেনোসাইড কম হয়নি। যত যুদ্ধের যত গণকবর রয়েছে, সেগুলো বর্বরতার সাক্ষ্য দেয়, ইতিহাসের সাক্ষ্য দেয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হলোকাস্টে নিহত মানুষের গণকবর যেমন সাক্ষ্য দেয়, রুয়ান্ডার নিয়াবারোঙ্গো নদীও সাক্ষ্য দেয়, তার বুক দিয়ে ভেসে গেছে রক্তস্নাত মানুষের লাশ। তবে বর্বরতার চরম মাত্রা মনে
১৫ ঘণ্টা আগে