সম্পাদকীয়
সদ্যই আমরা ২০২৪ সালকে বিদায় জানিয়েছি। আজ নতুন বছর, ২০২৫ সালকে স্বাগত জানানোর পালা। সময়ের গতিতে এক বছর শেষ হয়ে নতুন আরেকটি বছরের সূচনা হয়েছে। নতুন বছরের আগমন মানুষের মনে সব সময়ই নিয়ে আসে নতুন আশা, নতুন স্বপ্ন। বাংলাদেশের মানুষের জন্য এই নতুন বছর কেমন হবে, তা নিয়ে আলোচনা কম হচ্ছে না চারদিকে। তবে আশাবাদ নিয়েই শুরু করতে চাই নতুন বছর।
প্রিয় স্বদেশ বিগত বছরে নানা প্রত্যাশিত-অপ্রত্যাশিত ঘটনার মধ্য দিয়ে পার হয়েছে। করোনার করাঘাত রয়ে গিয়েছিল অর্থনীতিতে। সেটি যেন আগুন ধরিয়ে স্ফুলিঙ্গের মতো ছড়িয়ে গিয়েছিল। তৈরি হয়েছে শক্ত বাজার সিন্ডিকেট। আর রাজনীতি? রাজনীতি যেন এই বছরটির জন্যই অপেক্ষা করছিল। রাজনীতি বদল তথা পরিবর্তনের বছর ছিল ২০২৪ সাল। বাংলাদেশের ইতিহাসে যোগ হয়েছে রাজনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়—ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান থেকে শুরু করে বিগত সরকারের গদিচ্যুত হওয়া, অন্তর্বর্তী সরকার গঠন এবং পরবর্তী অস্থিরতার ঘটনাগুলো নিশ্চয়ই প্রজন্মের পর প্রজন্মের রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক জ্ঞানকে ঋদ্ধ করবে।
উন্নয়নের ডঙ্কা বাজিয়ে বছরের পর বছর যারা ক্ষমতায় ছিল, বিদায়ী বছরে উন্নয়নের পেছনে অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারি বা দুর্নীতির বিষয়টিও উঠে এসেছে জনসমক্ষে—গণ-অভ্যুত্থানের আগে এবং পরেও। একের পর এক রাজনীতিবিদ-আমলাদের দুর্নীতির খবর ফাঁস হওয়া দেশের জন্য মোটেও প্রীতিকর কিছু ছিল না। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এসব যথেষ্ট ছিল। সঙ্গে যোগ হয় গুম-খুনের খবরগুলো। আর অভ্যুত্থান-পরবর্তী নিরাপত্তার অভাবজনিত ঘটনাগুলো পুরো দেশেই ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রাখছে এখনো।
বিদায়ী বছরের শেষ দিনটিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সমাবেশ এবং ওই সমাবেশের সম্ভাব্য ঘোষণা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে যে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল, শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণাপত্র তৈরি করার কথাও জানানো হয়েছে। জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে এটা তৈরি করে শিগগিরই তা জাতির সামনে তুলে ধরা হবে।
তবে গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র তৈরির বিষয়টি ঐকমত্যের ভিত্তিতে নিষ্পত্তি হবে কি
না, তা নিয়েও সংশয় আছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতভিন্নতা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে জনগণের দায়দায়িত্ব বেশি। দেশের এই ক্রান্তিকালে প্রত্যেক নাগরিককে নিজ নিজ ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করে দেশকে এগিয়ে নিতে কাজ করতে হবে। তরুণ প্রজন্মের ওপর দেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে। তাদের কাছ থেকে দায়িত্বশীল আচরণই প্রত্যাশিত।
পরিবেশ দূষণ, জলবায়ু পরিবর্তন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো বৈশ্বিক সমস্যা থেকে বাংলাদেশও মুক্ত নয়। পরিবেশদূষণের ফলে বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে রাজধানী। নতুন বছরে তাই পরিবেশ সুরক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। গাছ লাগানো, পানি সাশ্রয় করা, প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানো—এগুলো নিছক কাজ নয়, দেশ তথা পৃথিবীকে বাসযোগ্য করার পদক্ষেপ।
আমরা দেশের সব নাগরিকের জন্য শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নতি কামনা করি। নতুন সূর্য উঠেছে আজ, সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা।
সদ্যই আমরা ২০২৪ সালকে বিদায় জানিয়েছি। আজ নতুন বছর, ২০২৫ সালকে স্বাগত জানানোর পালা। সময়ের গতিতে এক বছর শেষ হয়ে নতুন আরেকটি বছরের সূচনা হয়েছে। নতুন বছরের আগমন মানুষের মনে সব সময়ই নিয়ে আসে নতুন আশা, নতুন স্বপ্ন। বাংলাদেশের মানুষের জন্য এই নতুন বছর কেমন হবে, তা নিয়ে আলোচনা কম হচ্ছে না চারদিকে। তবে আশাবাদ নিয়েই শুরু করতে চাই নতুন বছর।
প্রিয় স্বদেশ বিগত বছরে নানা প্রত্যাশিত-অপ্রত্যাশিত ঘটনার মধ্য দিয়ে পার হয়েছে। করোনার করাঘাত রয়ে গিয়েছিল অর্থনীতিতে। সেটি যেন আগুন ধরিয়ে স্ফুলিঙ্গের মতো ছড়িয়ে গিয়েছিল। তৈরি হয়েছে শক্ত বাজার সিন্ডিকেট। আর রাজনীতি? রাজনীতি যেন এই বছরটির জন্যই অপেক্ষা করছিল। রাজনীতি বদল তথা পরিবর্তনের বছর ছিল ২০২৪ সাল। বাংলাদেশের ইতিহাসে যোগ হয়েছে রাজনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়—ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান থেকে শুরু করে বিগত সরকারের গদিচ্যুত হওয়া, অন্তর্বর্তী সরকার গঠন এবং পরবর্তী অস্থিরতার ঘটনাগুলো নিশ্চয়ই প্রজন্মের পর প্রজন্মের রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক জ্ঞানকে ঋদ্ধ করবে।
উন্নয়নের ডঙ্কা বাজিয়ে বছরের পর বছর যারা ক্ষমতায় ছিল, বিদায়ী বছরে উন্নয়নের পেছনে অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারি বা দুর্নীতির বিষয়টিও উঠে এসেছে জনসমক্ষে—গণ-অভ্যুত্থানের আগে এবং পরেও। একের পর এক রাজনীতিবিদ-আমলাদের দুর্নীতির খবর ফাঁস হওয়া দেশের জন্য মোটেও প্রীতিকর কিছু ছিল না। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এসব যথেষ্ট ছিল। সঙ্গে যোগ হয় গুম-খুনের খবরগুলো। আর অভ্যুত্থান-পরবর্তী নিরাপত্তার অভাবজনিত ঘটনাগুলো পুরো দেশেই ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রাখছে এখনো।
বিদায়ী বছরের শেষ দিনটিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সমাবেশ এবং ওই সমাবেশের সম্ভাব্য ঘোষণা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে যে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল, শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণাপত্র তৈরি করার কথাও জানানো হয়েছে। জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে এটা তৈরি করে শিগগিরই তা জাতির সামনে তুলে ধরা হবে।
তবে গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র তৈরির বিষয়টি ঐকমত্যের ভিত্তিতে নিষ্পত্তি হবে কি
না, তা নিয়েও সংশয় আছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতভিন্নতা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে জনগণের দায়দায়িত্ব বেশি। দেশের এই ক্রান্তিকালে প্রত্যেক নাগরিককে নিজ নিজ ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করে দেশকে এগিয়ে নিতে কাজ করতে হবে। তরুণ প্রজন্মের ওপর দেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে। তাদের কাছ থেকে দায়িত্বশীল আচরণই প্রত্যাশিত।
পরিবেশ দূষণ, জলবায়ু পরিবর্তন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো বৈশ্বিক সমস্যা থেকে বাংলাদেশও মুক্ত নয়। পরিবেশদূষণের ফলে বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে রাজধানী। নতুন বছরে তাই পরিবেশ সুরক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। গাছ লাগানো, পানি সাশ্রয় করা, প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানো—এগুলো নিছক কাজ নয়, দেশ তথা পৃথিবীকে বাসযোগ্য করার পদক্ষেপ।
আমরা দেশের সব নাগরিকের জন্য শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নতি কামনা করি। নতুন সূর্য উঠেছে আজ, সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা।
বর্তমানে মিয়ানমারের রাখাইন এলাকা বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির দখলে। ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করে রাখাইনের ১৭টি শহরের ভেতর ১৪টি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে বলে আরাকান আর্মি দাবি করছে। দখল করা শহরের মধ্যে বাংলাদেশের সীমান্তসংলগ্ন মংডু, বুথিডাং এবং চিন রাজ্যের প
২২ মিনিট আগেরাষ্ট্রীয় প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র বাংলাদেশ সচিবালয়ের একটি উঁচু ভবনে কয়েক দিন আগে ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে গঠিত উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বিদ্যুতের লুজ কানেকশন থেকে ওই ঘটনার সূত্রপাত বলে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে। সে সিদ্ধান্তের আলোকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্ম
২৫ মিনিট আগেগণ-অভ্যুত্থান যখন আগস্ট থেকে জানুয়ারিতে এসে পা রেখেছে, তখন বিভিন্ন সংগঠনের সৃষ্ট অনেক ঘটনাতেই রাজনৈতিক জটিলতা বেড়ে ওঠার আলামত দেখা যাচ্ছে। যে স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনে যুক্ত হয়েছিল মানুষ, আন্দোলন শেষে তা এখন কিছুটা শীতল। আন্দোলনের নেতৃত্ব ও কর্তৃত্ব নিয়ে জমে উঠেছে বিতর্ক। যে যার মতো করে নিজেদেরই আন্দোলন
৩৫ মিনিট আগেবাংলাদেশে বটতলার একজন উকিল ছিলেন। বটতলার হলে কী হবে, তিনি ছিলেন ‘পূর্ব পাকিস্তানের’ গভর্নর—জবরদস্ত শাসক মোনায়েম খান। তাঁর দাপটে পূর্ব পাকিস্তান ছিল কম্পমান। কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের এই স্বৈরশাসক একবার তাঁর ওস্তাদ ‘পাকিস্তানের’ স্বঘোষিত ফিল্ড মার্শাল প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের কাছ থেকে হুকুম পান...
১ দিন আগে