সম্পাদকীয়
মায়ের হাতে ধোঁয়াওঠা গরম ভাত, সঙ্গে পুকুর থেকে ধরা তাজা কই বা শিং মাছের ঝোল। আহা! এ যে অমৃত! জানি ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে গিয়ে এ রকম নানান মধুর ঘটনাবহুল কয়েকটি দিন কাটানো আমাদের চিরায়ত সংস্কৃতির অংশ। তাই টানা লকডাউনের পর কিছুটা ছাড়া পেয়ে যান্ত্রিকতার খোলশ ভেঙে মানুষ নগর ছেড়ে মাটির টানে ছুটবেন–এটাই স্বাভাবিক। এ জন্য কয়েক দিন ধরেই চলছে আয়োজন। এরই মধ্যে হয়তো অনেকেই ঢাকা ছেড়েছেন। যাঁরা এখনো আছেন, তাঁরাও নিশ্চয় বাক্সপেটরা গোছাতে শুরু করেছেন। মনের আনন্দে বাড়ি যাবেন, ঈদ করবেন—কী যে শান্তি!
করোনায় দিনে গড়ে দুই শতাধিক মানুষ মারা যাচ্ছে। এর মধ্যেও সরকার সবকিছু খুলে দিয়েছে। এ সিদ্ধান্ত কতটা ঠিক হলো, তা নিয়ে নিশ্চয় বিশেষজ্ঞরা বলবেন। তবে এটুকু বলা যায়, সামনের দিন আরও ঝুঁকিপূর্ণ। গণমাধ্যমে খবর ও ছবি দেখা যাচ্ছে। মানুষ গাদাগাদি করে বাড়ি ফিরছে। গরুর হাঁটগুলো উপচে পড়ছে মানুষের চাপে। সত্যি সত্যি একটি মেগা উৎসবে অংশ নিয়েছি আমরা! বিষয়টি এমন মনে হচ্ছে যে—আগে উৎসব, পরে জীবন!
এটা ঠিক, দীর্ঘ লকডাউনে ব্যবসা-বাণিজ্য বসে গেছে। তাদের কিছুটা স্বস্তি দরকার। অনেক কৃষকের একমাত্র সহায়সম্বল একটি গরু, সেটি ঈদে বিক্রি করা জরুরি। আরও কত জরুরি কারণে হয়তো একটা সুযোগ সরকার দিয়েছে। কিন্তু নাগরিক হিসেবে আমরা এই সুযোগের অপব্যবহার করছি কি না, ভাবা দরকার।
আসলে সবকিছু খুলে দেওয়া মানে এটা সবার জন্য ভালো খবর নয়। এতে দল বেঁধে সবার খুশিতে শামিল হওয়ার কোনো কারণ নেই। সবার ভাবা উচিত, এটা স্বাভাবিক সময় নয়। একটি বিশেষ পরিস্থিতি পার করছি আমরা। ভাবছি না যে, কী ভয়ংকর রূপে ক্রমেই আমাদের নিজেদের ঘরে ঢুকে যাচ্ছে করোনা। কারও কারও পরিবারের একাধিক প্রিয় মানুষকে কেড়ে নিয়েছে এই মরণব্যাধি।
বিষয়টিকে আমরা হালকাভাবেই নিয়েছি মনে হয়। সবারই মনে রাখতে হবে, নিজের জীবনের সুরক্ষা নিজেকেই দিতে হবে। সাধারণ মানুষের একধরনের চাপের মুখে সরকার সবকিছু শিথিল করলেও করোনার সংক্রমণের বিষয়টি ভুলে গেলে চলবে না। সরকার শিথিল করল বলেই সবাই অতি উৎসাহে রাস্তায় নেমে পড়ল, শপিংয়ে কেনাকাটায় ব্যস্ত হয়ে গেল—এটা ঠিক নয়। নিতান্ত জরুরি ছাড়া কারও বাইরে বের হওয়া বন্ধ করুন। হাটে গিয়ে পশু কেনার চেয়ে অনলাইনেও কেনার সুযোগ রয়েছে। এই সুযোগ কাজে লাগানো যায়। শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা উচিত। অবশ্যই মাস্ক পরা ও দূরত্ব মেনে চলাচল করা এখন জীবনেরই অংশ। মনে রাখতে হবে, এই বিশেষ সময়ে স্বাভাবিক সময়ের মতো আচরণ বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে।
মায়ের হাতে ধোঁয়াওঠা গরম ভাত, সঙ্গে পুকুর থেকে ধরা তাজা কই বা শিং মাছের ঝোল। আহা! এ যে অমৃত! জানি ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে গিয়ে এ রকম নানান মধুর ঘটনাবহুল কয়েকটি দিন কাটানো আমাদের চিরায়ত সংস্কৃতির অংশ। তাই টানা লকডাউনের পর কিছুটা ছাড়া পেয়ে যান্ত্রিকতার খোলশ ভেঙে মানুষ নগর ছেড়ে মাটির টানে ছুটবেন–এটাই স্বাভাবিক। এ জন্য কয়েক দিন ধরেই চলছে আয়োজন। এরই মধ্যে হয়তো অনেকেই ঢাকা ছেড়েছেন। যাঁরা এখনো আছেন, তাঁরাও নিশ্চয় বাক্সপেটরা গোছাতে শুরু করেছেন। মনের আনন্দে বাড়ি যাবেন, ঈদ করবেন—কী যে শান্তি!
করোনায় দিনে গড়ে দুই শতাধিক মানুষ মারা যাচ্ছে। এর মধ্যেও সরকার সবকিছু খুলে দিয়েছে। এ সিদ্ধান্ত কতটা ঠিক হলো, তা নিয়ে নিশ্চয় বিশেষজ্ঞরা বলবেন। তবে এটুকু বলা যায়, সামনের দিন আরও ঝুঁকিপূর্ণ। গণমাধ্যমে খবর ও ছবি দেখা যাচ্ছে। মানুষ গাদাগাদি করে বাড়ি ফিরছে। গরুর হাঁটগুলো উপচে পড়ছে মানুষের চাপে। সত্যি সত্যি একটি মেগা উৎসবে অংশ নিয়েছি আমরা! বিষয়টি এমন মনে হচ্ছে যে—আগে উৎসব, পরে জীবন!
এটা ঠিক, দীর্ঘ লকডাউনে ব্যবসা-বাণিজ্য বসে গেছে। তাদের কিছুটা স্বস্তি দরকার। অনেক কৃষকের একমাত্র সহায়সম্বল একটি গরু, সেটি ঈদে বিক্রি করা জরুরি। আরও কত জরুরি কারণে হয়তো একটা সুযোগ সরকার দিয়েছে। কিন্তু নাগরিক হিসেবে আমরা এই সুযোগের অপব্যবহার করছি কি না, ভাবা দরকার।
আসলে সবকিছু খুলে দেওয়া মানে এটা সবার জন্য ভালো খবর নয়। এতে দল বেঁধে সবার খুশিতে শামিল হওয়ার কোনো কারণ নেই। সবার ভাবা উচিত, এটা স্বাভাবিক সময় নয়। একটি বিশেষ পরিস্থিতি পার করছি আমরা। ভাবছি না যে, কী ভয়ংকর রূপে ক্রমেই আমাদের নিজেদের ঘরে ঢুকে যাচ্ছে করোনা। কারও কারও পরিবারের একাধিক প্রিয় মানুষকে কেড়ে নিয়েছে এই মরণব্যাধি।
বিষয়টিকে আমরা হালকাভাবেই নিয়েছি মনে হয়। সবারই মনে রাখতে হবে, নিজের জীবনের সুরক্ষা নিজেকেই দিতে হবে। সাধারণ মানুষের একধরনের চাপের মুখে সরকার সবকিছু শিথিল করলেও করোনার সংক্রমণের বিষয়টি ভুলে গেলে চলবে না। সরকার শিথিল করল বলেই সবাই অতি উৎসাহে রাস্তায় নেমে পড়ল, শপিংয়ে কেনাকাটায় ব্যস্ত হয়ে গেল—এটা ঠিক নয়। নিতান্ত জরুরি ছাড়া কারও বাইরে বের হওয়া বন্ধ করুন। হাটে গিয়ে পশু কেনার চেয়ে অনলাইনেও কেনার সুযোগ রয়েছে। এই সুযোগ কাজে লাগানো যায়। শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা উচিত। অবশ্যই মাস্ক পরা ও দূরত্ব মেনে চলাচল করা এখন জীবনেরই অংশ। মনে রাখতে হবে, এই বিশেষ সময়ে স্বাভাবিক সময়ের মতো আচরণ বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে জুতার মালা গলায় দিয়ে লাঞ্ছিত করেছে একদল দুর্বৃত্ত। এই দুর্বৃত্তরা জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি করেন বলে খবরে প্রকাশ। তাঁরা এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে এলাকাছাড়া করেছেন। বর্ষীয়ান এই মুক্তিযোদ্ধা একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন। তাঁর কথা শুনতে শুনতে মনে হলো, অপমান কি তাঁকে করা হলো, ন
৩ ঘণ্টা আগেএ বছর প্রায় শেষের পথে। এদিকে আরবের সবচেয়ে জনবহুল দেশটি ধীরে ধীরে ঘুণে ধরা রাজনৈতিক শৃঙ্খলে এক স্থবির ম্যামথ হয়ে রয়ে গেছে। শাসকদের দেশে বৈধতা নেই। কেবল পশ্চিমা ও উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর কাছ থেকে পাওয়া নগদ অর্থ দেশটিকে টিকিয়ে রেখেছে। এই দেশগুলো সব সময় মিসরে শাসকদের বিরুদ্ধে জনবিস্ফোরণের আশঙ্কায় থাকে।
৩ ঘণ্টা আগেডিসেম্বরের ইউরোপে শীত জাঁকিয়ে বসতে শুরু করে। আকাশ থেকে নেমে আসে পেঁজা তুলার মতো নরম তুলতুলে তুষার। শ্বেত শুভ্রতার অপার্থিব এবং পবিত্র সৌন্দর্যে ঢেকে যায় চারদিক! এ সময়ে মহাসমারোহে বড়দিন আসে। উষ্ণতার ফল্গুধারায় উদ্বেলিত হয় হৃদয়। অন্ধকার নামতেই নানা বর্ণের আলোকসজ্জায় উজ্জ্বল হয় নগর, বন্দর, বাড়িঘর। ধর্ম
৩ ঘণ্টা আগেডিসেম্বরের প্রান্তে এসে আমরা যখন নতুন বছরের আশা-প্রত্যাশা নিয়ে বিশ্লেষণ করতে থাকি, ঠিক তখনই আসে বছরের শেষ উৎসব বড়দিন, যা ভালোবাসা ও একতার বার্তা বহন করে। বড়দিন মানেই শান্তি, ভালোবাসা এবং নতুন সূচনার প্রতীক। যিশুখ্রিষ্টের জন্মদিন হিসেবে পালিত হলেও ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবাই মিলে উদ্যাপন করে বড়দিন। বাং
৩ ঘণ্টা আগে