মইনুল হাসান
ডিসেম্বরের ইউরোপে শীত জাঁকিয়ে বসতে শুরু করে। আকাশ থেকে নেমে আসে পেঁজা তুলার মতো নরম তুলতুলে তুষার। শ্বেত শুভ্রতার অপার্থিব এবং পবিত্র সৌন্দর্যে ঢেকে যায় চারদিক! এ সময়ে মহাসমারোহে বড়দিন আসে। উষ্ণতার ফল্গুধারায় উদ্বেলিত হয় হৃদয়। অন্ধকার নামতেই নানা বর্ণের আলোকসজ্জায় উজ্জ্বল হয় নগর, বন্দর, বাড়িঘর। ধর্মের গণ্ডি ছাড়িয়ে ‘বড়দিন’ এখন এক সর্বজনীন উৎসবের নাম। আর তাই, ক্যালেন্ডারের পাতা বেয়ে বড়দিন যতই এগিয়ে আসতে থাকে, ততই মনটা বড় হতে থাকে। এ বছর মন অনেক বেশি বড় হওয়ার আরেকটি আনন্দঘন কারণ আছে, তা হলো অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া, ধ্বংসস্তূপ থেকে আবারও মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে ইতিহাসের সাক্ষী, বিশ্বের বিস্ময়, জগদ্বিখ্যাত ক্যাথেড্রাল, নোত্র্ দাম দ্য পারি।
নোত্র্ দাম দ্য পারি অর্থাৎ প্যারিসের ‘কুমারী মেরির গির্জা’ শুধু একটি সাধারণ উপাসনালয় নয়, নির্মাণশৈলীর বৈচিত্র্য, জটিলতা, কারিগরি এবং শৈল্পিক উৎকর্ষে মানব ইতিহাসের এক বিস্ময়কর স্থাপনা। স্থাপত্য, প্রকৌশল এবং প্রত্নতত্ত্বের এক অসাধারণ এবং রহস্যময় নিদর্শন। প্রতিবছর প্রায় ১ কোটি ১৪ লাখ পর্যটক আসেন এই মধ্যযুগীয় ক্যাথলিক ক্যাথিড্রাল ফরাসি গথিক স্থাপত্যের অপূর্ব এই স্থাপনাটি দেখতে।
সপ্তম লুই তখন ফ্রান্সের রাজা। প্যারিসের বিশপ মোরিস দ্য সুলির উদ্যোগে ১১৬৩ সালে এই গির্জার কাজ অর্থাৎ এই বিশাল কর্মযজ্ঞের সূচনা ঘটে এবং পুরো এক শতাব্দী লেগে যায় নির্মাণে। বলা হয় ১২৬৩ সালে কাজ শেষ হয়েছিল। আসলে তা নয়, আরও বহু বছর ধরে চলে এর বিভিন্ন অংশের পূর্ণতা দিতে।
নোত্র্ দাম দ্য পারি লম্বায় ১৩০ মিটার বা ৪২৭ ফুট, প্রস্থে ৪৮ মিটার বা ১৫৮ ফুট। উচ্চতা ৩৫ মিটার বা ১১৫ ফুট। তবে একদম শীর্ষে স্থাপিত টাওয়ারটির কারণে এর উচ্চতা ৬৯ মিটার বা ১২৬ ফুট। বহু বছর যাবৎ স্থাপত্যসৌকর্যের অনুপম এই দৃষ্টান্তটি ছিল প্যারিসের সর্বোচ্চ স্থাপনা। সেন নদীর তীর ঘেঁষে, প্যারিসের ৪ নম্বর প্রশাসনিক মহল্লায় অবস্থিত ৫ হাজার ৫০০ বর্গমিটার বা প্রায় ৬০ হাজার বর্গফুটের সুবিশাল এই ক্যাথেড্রালে একত্রে ৭ হাজার মানুষের স্থান সংকুলানের ব্যবস্থা রয়েছে।
ফ্রান্সের ইতিহাসের সাক্ষী এই গির্জায় বহু রাজরাজড়ার অভিষেক, বিয়ে, শেষযাত্রার অনুষ্ঠান হয়েছে। যুদ্ধ জয়ের আনন্দ উৎসবসহ বহু ইতিহাস বুকে ধারণ করে মানুষের নির্মিত স্থাপনাটি ফ্রান্সের জাতীয় জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছে।
১৮৩১ সালে ফরাসি সাহিত্যিক ভিক্তর উগোর বিখ্যাত প্রেমের উপন্যাস ‘নোতরদামের কুঁজো’ প্রকাশিত হলে বিশ্বব্যাপী সাড়া পড়ে যায়। সেই থেকে প্রতিবছর অধিকসংখ্যক কৌতূহলী পর্যটক ভিড় জমান এই গির্জাটি নিজের চোখে একবার দেখতে।
২০১৩ সালে, ৮৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনকালে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ক্যাথেড্রালটি সংস্কার করার। ২০১৯ সালে যখন সংস্কারের কাজ প্রায় শেষের দিকে, সেদিনটি ছিল সোমবার, ১৫ এপ্রিল সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিট। সারা দিনের কর্মক্লান্ত মানুষের ঘরে ফেরার সময়। প্যারিসের রাস্তায় ভিড়। সে সময় দ্রুতগতিতে সারা দেশে খবর ছড়িয়ে পড়ে, আগুনে পুড়ে যাচ্ছে ক্যাথেড্রাল। সাইরেনের বিকট শব্দে নগর কাঁপিয়ে চারদিক থেকে ছুটে এল সারে সারে গাড়ি নিয়ে অগ্নিনির্বাপণকারী দল। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী সব জরুরি কাজ ফেলে রেখে খুব দ্রুত পৌঁছে গেলেন সেখানে। বহু নাগরিকের সঙ্গে অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে দেখতে লাগলেন, ফরাসি জাতির স্মৃতিঘর পুড়ে যাচ্ছে। আকাশে লেলিহান শিখা ছড়িয়ে হিংস্র আগুন পুড়িয়ে দিচ্ছে ইতিহাস। নগরীতে প্রাণের ধুকপুকানি যেন থেমে যাচ্ছে। টেলিভিশনের সামনে সে সময় অনেকেই ডুকরে কেঁদে উঠলেন। সর্বনাশা অগ্নিকাণ্ডের কারণে এই অসাধারণ স্থাপনাটি প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। এই ঘটনায় পুরো ফরাসি জাতি শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়ে। সে শোকের ছায়া ফ্রান্সের সীমানা ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়ে পৃথিবীর দেশে দেশে।
দেশ-বিদেশের মানুষের আবেগ, কষ্ট অনুধাবন করে দেশটির প্রেসিডেন্ট দৃঢ় চিত্তে ঘোষণা দেন যে আগামী পাঁচ বছর সময়ের মধ্যে মধ্যযুগীয় স্থাপনাটি অবিকল সেই আগের মতো করেই পুনর্নির্মাণ করা হবে। আর এমন বিশাল এবং জটিল কর্মযজ্ঞ পরিচালনার দায়িত্ব দিলেন বহু কৃতির খ্যাতিমান নায়ক, সাবেক সেনাপ্রধান জঁ-লুই জর্জলাকে। তারপরও তখন এমন অল্প সময়ে বিশাল কর্মযজ্ঞ সম্ভব হবে না বলেই ধরে নিয়েছিল অধিকাংশ মানুষ।
দেখতে দেখতে মহাকালে আরও পাঁচ বছর যোগ হলো। মাঝখানে অতিমারি কোভিড-১৯ পৃথিবীব্যাপী মরণ কামড় দিয়েছে। তা সত্ত্বেও ২ হাজারের বেশি দক্ষ মানুষ, তাঁদের প্রতিভা, ইচ্ছাশক্তি, মেধাশক্তিতে ভর করে, সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রমে অসাধ্য সাধন করেছেন। ২৫০টি প্রতিষ্ঠানের ইতিহাসবিদ, বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ, কারিগর, শিল্পী এবং সাধারণ শ্রমিকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছিল সত্যিই অভাবনীয়। বিশ্বের ১৫০টি দেশ থেকে অনুদান পাঠিয়ে এই কর্মযজ্ঞে যোগ দিয়েছিলেন সব ধর্ম, বর্ণ আর শ্রেণির ৩ লাখ ৪০ হাজার মানুষ। এই শতাব্দীতে নোত্র্ দাম দ্য পারি পুনর্নির্মাণ ছিল এক অসম্ভবকে সম্ভব করার অনন্য নিদর্শন। আর এ জন্য খরচ হয়েছে প্রায় ৮৫ কোটি ইউরো।
নতুন করে গড়ে তোলা কুমারী মেরির গির্জা, ইতিহাসের স্মারক সুরম্য অট্টালিকার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ঘিরে ৭ ও ৮ ডিসেম্বর প্যারিস ছিল পৃথিবীর রাজধানী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বহু দেশের রাষ্ট্রপ্রধানেরা। যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও উপস্থিত ছিলেন এই অনুষ্ঠানে। উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের স্ত্রী। বাদ যাননি ইলন মাস্ক, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও। বিশ্বনেতাদের সরব উপস্থিতিতে উপাসনালয় চত্বর পরিণত হয়েছিল ভূ-রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে।
সব থেকে বড় কথা, মানুষের ভালোবাসায় চোখ ধাঁধানো ঔজ্জ্বল্য নিয়ে আবারও মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে নোত্র্ দাম দ্য পারি, নয় শতাব্দীর ইতিহাস। এ বছর বড়দিনে বড় বিস্ময়।
ডিসেম্বরের ইউরোপে শীত জাঁকিয়ে বসতে শুরু করে। আকাশ থেকে নেমে আসে পেঁজা তুলার মতো নরম তুলতুলে তুষার। শ্বেত শুভ্রতার অপার্থিব এবং পবিত্র সৌন্দর্যে ঢেকে যায় চারদিক! এ সময়ে মহাসমারোহে বড়দিন আসে। উষ্ণতার ফল্গুধারায় উদ্বেলিত হয় হৃদয়। অন্ধকার নামতেই নানা বর্ণের আলোকসজ্জায় উজ্জ্বল হয় নগর, বন্দর, বাড়িঘর। ধর্মের গণ্ডি ছাড়িয়ে ‘বড়দিন’ এখন এক সর্বজনীন উৎসবের নাম। আর তাই, ক্যালেন্ডারের পাতা বেয়ে বড়দিন যতই এগিয়ে আসতে থাকে, ততই মনটা বড় হতে থাকে। এ বছর মন অনেক বেশি বড় হওয়ার আরেকটি আনন্দঘন কারণ আছে, তা হলো অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া, ধ্বংসস্তূপ থেকে আবারও মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে ইতিহাসের সাক্ষী, বিশ্বের বিস্ময়, জগদ্বিখ্যাত ক্যাথেড্রাল, নোত্র্ দাম দ্য পারি।
নোত্র্ দাম দ্য পারি অর্থাৎ প্যারিসের ‘কুমারী মেরির গির্জা’ শুধু একটি সাধারণ উপাসনালয় নয়, নির্মাণশৈলীর বৈচিত্র্য, জটিলতা, কারিগরি এবং শৈল্পিক উৎকর্ষে মানব ইতিহাসের এক বিস্ময়কর স্থাপনা। স্থাপত্য, প্রকৌশল এবং প্রত্নতত্ত্বের এক অসাধারণ এবং রহস্যময় নিদর্শন। প্রতিবছর প্রায় ১ কোটি ১৪ লাখ পর্যটক আসেন এই মধ্যযুগীয় ক্যাথলিক ক্যাথিড্রাল ফরাসি গথিক স্থাপত্যের অপূর্ব এই স্থাপনাটি দেখতে।
সপ্তম লুই তখন ফ্রান্সের রাজা। প্যারিসের বিশপ মোরিস দ্য সুলির উদ্যোগে ১১৬৩ সালে এই গির্জার কাজ অর্থাৎ এই বিশাল কর্মযজ্ঞের সূচনা ঘটে এবং পুরো এক শতাব্দী লেগে যায় নির্মাণে। বলা হয় ১২৬৩ সালে কাজ শেষ হয়েছিল। আসলে তা নয়, আরও বহু বছর ধরে চলে এর বিভিন্ন অংশের পূর্ণতা দিতে।
নোত্র্ দাম দ্য পারি লম্বায় ১৩০ মিটার বা ৪২৭ ফুট, প্রস্থে ৪৮ মিটার বা ১৫৮ ফুট। উচ্চতা ৩৫ মিটার বা ১১৫ ফুট। তবে একদম শীর্ষে স্থাপিত টাওয়ারটির কারণে এর উচ্চতা ৬৯ মিটার বা ১২৬ ফুট। বহু বছর যাবৎ স্থাপত্যসৌকর্যের অনুপম এই দৃষ্টান্তটি ছিল প্যারিসের সর্বোচ্চ স্থাপনা। সেন নদীর তীর ঘেঁষে, প্যারিসের ৪ নম্বর প্রশাসনিক মহল্লায় অবস্থিত ৫ হাজার ৫০০ বর্গমিটার বা প্রায় ৬০ হাজার বর্গফুটের সুবিশাল এই ক্যাথেড্রালে একত্রে ৭ হাজার মানুষের স্থান সংকুলানের ব্যবস্থা রয়েছে।
ফ্রান্সের ইতিহাসের সাক্ষী এই গির্জায় বহু রাজরাজড়ার অভিষেক, বিয়ে, শেষযাত্রার অনুষ্ঠান হয়েছে। যুদ্ধ জয়ের আনন্দ উৎসবসহ বহু ইতিহাস বুকে ধারণ করে মানুষের নির্মিত স্থাপনাটি ফ্রান্সের জাতীয় জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছে।
১৮৩১ সালে ফরাসি সাহিত্যিক ভিক্তর উগোর বিখ্যাত প্রেমের উপন্যাস ‘নোতরদামের কুঁজো’ প্রকাশিত হলে বিশ্বব্যাপী সাড়া পড়ে যায়। সেই থেকে প্রতিবছর অধিকসংখ্যক কৌতূহলী পর্যটক ভিড় জমান এই গির্জাটি নিজের চোখে একবার দেখতে।
২০১৩ সালে, ৮৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনকালে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ক্যাথেড্রালটি সংস্কার করার। ২০১৯ সালে যখন সংস্কারের কাজ প্রায় শেষের দিকে, সেদিনটি ছিল সোমবার, ১৫ এপ্রিল সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিট। সারা দিনের কর্মক্লান্ত মানুষের ঘরে ফেরার সময়। প্যারিসের রাস্তায় ভিড়। সে সময় দ্রুতগতিতে সারা দেশে খবর ছড়িয়ে পড়ে, আগুনে পুড়ে যাচ্ছে ক্যাথেড্রাল। সাইরেনের বিকট শব্দে নগর কাঁপিয়ে চারদিক থেকে ছুটে এল সারে সারে গাড়ি নিয়ে অগ্নিনির্বাপণকারী দল। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী সব জরুরি কাজ ফেলে রেখে খুব দ্রুত পৌঁছে গেলেন সেখানে। বহু নাগরিকের সঙ্গে অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে দেখতে লাগলেন, ফরাসি জাতির স্মৃতিঘর পুড়ে যাচ্ছে। আকাশে লেলিহান শিখা ছড়িয়ে হিংস্র আগুন পুড়িয়ে দিচ্ছে ইতিহাস। নগরীতে প্রাণের ধুকপুকানি যেন থেমে যাচ্ছে। টেলিভিশনের সামনে সে সময় অনেকেই ডুকরে কেঁদে উঠলেন। সর্বনাশা অগ্নিকাণ্ডের কারণে এই অসাধারণ স্থাপনাটি প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। এই ঘটনায় পুরো ফরাসি জাতি শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়ে। সে শোকের ছায়া ফ্রান্সের সীমানা ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়ে পৃথিবীর দেশে দেশে।
দেশ-বিদেশের মানুষের আবেগ, কষ্ট অনুধাবন করে দেশটির প্রেসিডেন্ট দৃঢ় চিত্তে ঘোষণা দেন যে আগামী পাঁচ বছর সময়ের মধ্যে মধ্যযুগীয় স্থাপনাটি অবিকল সেই আগের মতো করেই পুনর্নির্মাণ করা হবে। আর এমন বিশাল এবং জটিল কর্মযজ্ঞ পরিচালনার দায়িত্ব দিলেন বহু কৃতির খ্যাতিমান নায়ক, সাবেক সেনাপ্রধান জঁ-লুই জর্জলাকে। তারপরও তখন এমন অল্প সময়ে বিশাল কর্মযজ্ঞ সম্ভব হবে না বলেই ধরে নিয়েছিল অধিকাংশ মানুষ।
দেখতে দেখতে মহাকালে আরও পাঁচ বছর যোগ হলো। মাঝখানে অতিমারি কোভিড-১৯ পৃথিবীব্যাপী মরণ কামড় দিয়েছে। তা সত্ত্বেও ২ হাজারের বেশি দক্ষ মানুষ, তাঁদের প্রতিভা, ইচ্ছাশক্তি, মেধাশক্তিতে ভর করে, সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রমে অসাধ্য সাধন করেছেন। ২৫০টি প্রতিষ্ঠানের ইতিহাসবিদ, বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ, কারিগর, শিল্পী এবং সাধারণ শ্রমিকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছিল সত্যিই অভাবনীয়। বিশ্বের ১৫০টি দেশ থেকে অনুদান পাঠিয়ে এই কর্মযজ্ঞে যোগ দিয়েছিলেন সব ধর্ম, বর্ণ আর শ্রেণির ৩ লাখ ৪০ হাজার মানুষ। এই শতাব্দীতে নোত্র্ দাম দ্য পারি পুনর্নির্মাণ ছিল এক অসম্ভবকে সম্ভব করার অনন্য নিদর্শন। আর এ জন্য খরচ হয়েছে প্রায় ৮৫ কোটি ইউরো।
নতুন করে গড়ে তোলা কুমারী মেরির গির্জা, ইতিহাসের স্মারক সুরম্য অট্টালিকার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ঘিরে ৭ ও ৮ ডিসেম্বর প্যারিস ছিল পৃথিবীর রাজধানী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বহু দেশের রাষ্ট্রপ্রধানেরা। যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও উপস্থিত ছিলেন এই অনুষ্ঠানে। উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের স্ত্রী। বাদ যাননি ইলন মাস্ক, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও। বিশ্বনেতাদের সরব উপস্থিতিতে উপাসনালয় চত্বর পরিণত হয়েছিল ভূ-রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে।
সব থেকে বড় কথা, মানুষের ভালোবাসায় চোখ ধাঁধানো ঔজ্জ্বল্য নিয়ে আবারও মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে নোত্র্ দাম দ্য পারি, নয় শতাব্দীর ইতিহাস। এ বছর বড়দিনে বড় বিস্ময়।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে জুতার মালা গলায় দিয়ে লাঞ্ছিত করেছে একদল দুর্বৃত্ত। এই দুর্বৃত্তরা জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি করেন বলে খবরে প্রকাশ। তাঁরা এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে এলাকাছাড়া করেছেন। বর্ষীয়ান এই মুক্তিযোদ্ধা একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন। তাঁর কথা শুনতে শুনতে মনে হলো, অপমান কি তাঁকে করা হলো, ন
১৪ ঘণ্টা আগেএ বছর প্রায় শেষের পথে। এদিকে আরবের সবচেয়ে জনবহুল দেশটি ধীরে ধীরে ঘুণে ধরা রাজনৈতিক শৃঙ্খলে এক স্থবির ম্যামথ হয়ে রয়ে গেছে। শাসকদের দেশে বৈধতা নেই। কেবল পশ্চিমা ও উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর কাছ থেকে পাওয়া নগদ অর্থ দেশটিকে টিকিয়ে রেখেছে। এই দেশগুলো সব সময় মিসরে শাসকদের বিরুদ্ধে জনবিস্ফোরণের আশঙ্কায় থাকে।
১৪ ঘণ্টা আগেডিসেম্বরের প্রান্তে এসে আমরা যখন নতুন বছরের আশা-প্রত্যাশা নিয়ে বিশ্লেষণ করতে থাকি, ঠিক তখনই আসে বছরের শেষ উৎসব বড়দিন, যা ভালোবাসা ও একতার বার্তা বহন করে। বড়দিন মানেই শান্তি, ভালোবাসা এবং নতুন সূচনার প্রতীক। যিশুখ্রিষ্টের জন্মদিন হিসেবে পালিত হলেও ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবাই মিলে উদ্যাপন করে বড়দিন। বাং
১৪ ঘণ্টা আগেশেষ হতে চলল আরও একটি বছর, ২০২৪। বাংলাদেশ তো বটেই, সারা পৃথিবীতে নানা পটপরিবর্তন ঘটেছে। নতুন প্রেক্ষাপটে নানা পরিবর্তনে রচিত হচ্ছে অর্থনৈতিক পরিমণ্ডল। যেকোনো পরিবর্তন কিংবা সংকটে, কোনো কিছুতে থেমে নেই আমাদের কৃষি। নতুন নতুন উদ্যোগে উন্মোচন হচ্ছে এক একটি সম্ভাবনা। আমাদের উর্বরা মাটি, কৃষকের নিজস্ব উদ্
২ দিন আগে