সম্পাদকীয়
চট্টগ্রামের রেলওয়ে মালিকানাধীন সিআরবির শিরীষতলায় আয়োজিত বসন্তবরণ উৎসব মাঝপথে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আয়োজকদের দাবি, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েই তাঁরা অনুষ্ঠানটি শুরু করেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করে দ্বিতীয় পর্বের আগে অনুমতি বাতিল করায় উৎসবটি বন্ধ করতে বাধ্য হন আয়োজকেরা। এ নিয়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে আজকের পত্রিকায় ১৬ ফেব্রুয়ারি একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
১৪ ফেব্রুয়ারি দেশের নানা জায়গায় এ রকম ঘটনা ঘটেছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় ‘তৌহিদী জনতার’ ব্যানারে আরও কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে, তাতে মনে হচ্ছে দেশের সংস্কৃতি চর্চার পরিবেশ মারাত্মক হুমকির মধ্য পড়েছে। দেশে এত কিছু ঘটনার পরেও সরকারের কোনো ধরনের ভূমিকা চোখে পড়ছে না। অবস্থা দেখে প্রশ্ন জাগছে, দেশ আসলে কে চালাচ্ছে—সরকার, না অন্য কেউ!
ঢাকার উত্তরায় বসন্তবরণ উৎসব বাতিল করা হয়েছে, টাঙ্গাইলে ঘুড়ি উৎসব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, ঢাকা মহানগর নাট্যোৎসব স্থগিত করা হয়েছে, টাঙ্গাইলে ১৪ ফেব্রুয়ারি তৌহিদী জনতা ফার্মেসিতে কনডম বিক্রি করতে নিষেধ করেছিল। দোকানদারেরা সেটা না মানায় কয়েকটি ফার্মেসিতে হামলা করেছে এবং সর্বশেষ বইমেলায় স্যানিট্যারি ন্যাপকিনের দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এসব ঘটনার টাইমফ্রেম কিন্তু লম্বা না, এগুলো ঘটেছে মাত্র দুই দিনের মধ্যে।
এই ঘটনায় বেশ কিছু প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। প্রথমত, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ঠিক কী কারণে অনুমতি বাতিল করেছে, তা স্পষ্ট নয়। তারা যদি কোনো সুনির্দিষ্ট কারণে অনুমতি বাতিল করে থাকে, তবে তা আয়োজকদের আগে জানানো উচিত ছিল। দ্বিতীয়ত, এই ঘটনা সংস্কৃতিচর্চার ক্ষেত্রে একটি বড় বাধা। চট্টগ্রামে বসন্তবরণ উৎসবটি অনেক বছর ধরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কিন্তু এ বছরই তা করতে দেওয়া হলো না।
সরকারের দায়িত্ব হলো এ ধরনের ঘটনার আসল কুশীলবদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, কেউ যেন আইন নিজের হাতে তুলে না নেয়। প্রশ্ন হলো, যাঁরা আইন নিজের হাতে তুলে নিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে তিনি কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? সরকার যদি এসব মব জাস্টিসের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে না পারে, তাহলে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে কীভাবে?
আগের সরকারের আমলে একধরনের মব জাস্টিস ছিল, বর্তমান সরকারের আমলে আরেক ধরনের মব জাস্টিস চলছে। এটা কোনোভাবে চলতে পারে না। মব জাস্টিস খোদ আদালত প্রাঙ্গণেও হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে মাজার, দরবার, খানকায় হামলা হয়েছে। আর এসব হামলার বিরুদ্ধে সরকার নির্দেশ দিয়েই চুপচাপ বসে আছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের বয়স ছয় মাস হয়েছে। দু-একটি ক্ষেত্র ছাড়া আমরা কোথাও সরকারের তেমন সক্রিয়তা দেখতে পাচ্ছি না। বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুবই নাজুক।
সরকার সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়েছে। আগে সেনাসদস্যরা ম্যাজিস্ট্রেটদের অধীনে অভিযান চালাতেন। তাঁরা সরাসরি ক্ষমতা পাওয়ার পর পরিস্থিতির কী বদল ঘটল? সরকারকেই কিন্তু উত্তর দিতে হবে। এভাবে কি দেশ চলতে পারে?
চট্টগ্রামের রেলওয়ে মালিকানাধীন সিআরবির শিরীষতলায় আয়োজিত বসন্তবরণ উৎসব মাঝপথে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আয়োজকদের দাবি, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েই তাঁরা অনুষ্ঠানটি শুরু করেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করে দ্বিতীয় পর্বের আগে অনুমতি বাতিল করায় উৎসবটি বন্ধ করতে বাধ্য হন আয়োজকেরা। এ নিয়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে আজকের পত্রিকায় ১৬ ফেব্রুয়ারি একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
১৪ ফেব্রুয়ারি দেশের নানা জায়গায় এ রকম ঘটনা ঘটেছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় ‘তৌহিদী জনতার’ ব্যানারে আরও কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে, তাতে মনে হচ্ছে দেশের সংস্কৃতি চর্চার পরিবেশ মারাত্মক হুমকির মধ্য পড়েছে। দেশে এত কিছু ঘটনার পরেও সরকারের কোনো ধরনের ভূমিকা চোখে পড়ছে না। অবস্থা দেখে প্রশ্ন জাগছে, দেশ আসলে কে চালাচ্ছে—সরকার, না অন্য কেউ!
ঢাকার উত্তরায় বসন্তবরণ উৎসব বাতিল করা হয়েছে, টাঙ্গাইলে ঘুড়ি উৎসব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, ঢাকা মহানগর নাট্যোৎসব স্থগিত করা হয়েছে, টাঙ্গাইলে ১৪ ফেব্রুয়ারি তৌহিদী জনতা ফার্মেসিতে কনডম বিক্রি করতে নিষেধ করেছিল। দোকানদারেরা সেটা না মানায় কয়েকটি ফার্মেসিতে হামলা করেছে এবং সর্বশেষ বইমেলায় স্যানিট্যারি ন্যাপকিনের দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এসব ঘটনার টাইমফ্রেম কিন্তু লম্বা না, এগুলো ঘটেছে মাত্র দুই দিনের মধ্যে।
এই ঘটনায় বেশ কিছু প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। প্রথমত, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ঠিক কী কারণে অনুমতি বাতিল করেছে, তা স্পষ্ট নয়। তারা যদি কোনো সুনির্দিষ্ট কারণে অনুমতি বাতিল করে থাকে, তবে তা আয়োজকদের আগে জানানো উচিত ছিল। দ্বিতীয়ত, এই ঘটনা সংস্কৃতিচর্চার ক্ষেত্রে একটি বড় বাধা। চট্টগ্রামে বসন্তবরণ উৎসবটি অনেক বছর ধরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কিন্তু এ বছরই তা করতে দেওয়া হলো না।
সরকারের দায়িত্ব হলো এ ধরনের ঘটনার আসল কুশীলবদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, কেউ যেন আইন নিজের হাতে তুলে না নেয়। প্রশ্ন হলো, যাঁরা আইন নিজের হাতে তুলে নিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে তিনি কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? সরকার যদি এসব মব জাস্টিসের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে না পারে, তাহলে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে কীভাবে?
আগের সরকারের আমলে একধরনের মব জাস্টিস ছিল, বর্তমান সরকারের আমলে আরেক ধরনের মব জাস্টিস চলছে। এটা কোনোভাবে চলতে পারে না। মব জাস্টিস খোদ আদালত প্রাঙ্গণেও হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে মাজার, দরবার, খানকায় হামলা হয়েছে। আর এসব হামলার বিরুদ্ধে সরকার নির্দেশ দিয়েই চুপচাপ বসে আছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের বয়স ছয় মাস হয়েছে। দু-একটি ক্ষেত্র ছাড়া আমরা কোথাও সরকারের তেমন সক্রিয়তা দেখতে পাচ্ছি না। বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুবই নাজুক।
সরকার সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়েছে। আগে সেনাসদস্যরা ম্যাজিস্ট্রেটদের অধীনে অভিযান চালাতেন। তাঁরা সরাসরি ক্ষমতা পাওয়ার পর পরিস্থিতির কী বদল ঘটল? সরকারকেই কিন্তু উত্তর দিতে হবে। এভাবে কি দেশ চলতে পারে?
দীর্ঘ সাড়ে পনেরো বছর পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্কের সমীকরণ বদলে দিয়েছে। গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের হাল ধরেন শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মূলত এর পর থেকেই দুই দেশের সম্পর্কে একধরনের শীতলতা সৃষ্টি হয়েছে। একসময়ের
৮ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো প্রচারণার মাধ্যমে বাস্তবতাকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা। আওয়ামী লীগ সরকার দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থেকে একধরনের ‘গণতান্ত্রিক কর্তৃত্ববাদী’ শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করে, যেখানে বিরোধীদের দুর্বল করা এবং আন্দোলন দমনের জন্য নানামুখী কৌশল প্রয়োগ করা হয়েছিল।
৮ ঘণ্টা আগেগত বছরই এ দেশের সর্বস্তরের মানুষ বৈষম্যের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে একটা রেজিমের পতন ঘটিয়েছিল। এ জন্য অসংখ্য তাজা প্রাণ বলি দিতে হয়েছে। কিন্তু আমলাতন্ত্রে যে কোনো পরিবর্তন হয়নি, সেটা বুঝতে তেমন কোনো সমস্যা হয় না। আমলারা নিজের গামলা ভরার বিষয়টি ভালো বোঝেন। এ নিয়েই ২০ এপ্রিল আজকের পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত
৮ ঘণ্টা আগেদেশের সংবিধান, পুলিশ, স্থানীয় সরকার, নির্বাচন, বিচারব্যবস্থাসহ বিভিন্ন খাতে সংস্কারের নানা আলাপ হয়েছে, হচ্ছে। কিন্তু এই সময়ে অর্থনৈতিক সংস্কার নিয়ে খুব বেশি কিছু করা হয়েছে কি না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন অর্থনীতি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারেরই গঠন করা শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
১ দিন আগে