সম্পাদকীয়
আজ ২০২১-২২ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট। অর্থমন্ত্রী আ. হ. ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে বিকেলে বাজেট উপস্থাপন করবেন। ইতিমধ্যে জানা গেছে, এবারের বাজেট হবে ৬ লাখ ৩ হাজার কোটি টাকার। আপাতদৃষ্টিতে দেখলে মনে হবে এ বাজেট চলতি বাজেট থেকে প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা বেশি। বাস্তবে জিডিপির শতাংশের হিসাবে ধরলে আসলে এ বাজেট চলতি বাজেট থেকে ছোট। ফলে বাজেটের আকার নিয়ে যে মাতামাতি, তার প্রকৃত ভিত্তি নেই। আসছে বাজেটের আকার জিডিপির মাত্র ১৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
অথচ চলতি বাজেটের আকার জিডিপির ১৭ দশমিক ৯০ শতাংশ। কারণ প্রস্তাবিত বাজেটের আকার বাড়লেও গত এক বছরে জিডিপির আকার বাড়ায় এ অঙ্ক ছোট হয়ে গেছে।
তা ছাড়া, খবরে জানা গেছে, বাজেটের বেশির ভাগ খরচই হবে অনুন্নয়ন তথা দেশ পরিচালনার পেছনে। ঋণের সুদ আর সরকারি চাকুরেদের বেতন-ভাতায়। ফলে করোনার ক্ষতি থেকে অর্থনীতি বাঁচানোর যে কথা বলা হচ্ছে, প্রকৃত হিসাবে তার প্রতিফলনও বাজেটে খুব একটা দেখা যাবে না। করোনার মতো একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে বিশেষ বাজেট বরাদ্দ রাখার প্রয়োজন হলেও এর প্রভাব দেখা যাবে সামান্যই। আর বাজেট দেওয়া হলেও এ দেশে তা বাস্তবায়ন হার খুবই দুর্বল। অদক্ষতা ও অপচয়ের কবলে পড়ে প্রতিটি বাজেট। বরাদ্দের টাকা খরচে নজরদারির অভাব থাকায় প্রায় অনিয়ম, দুর্নীতির খবর পাওয়া যায়।
তবে রাজস্ব খাতে বেসরকারি ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা শ্রেণিকে কিছু কর ছাড় দেওয়া হচ্ছে। এটা ভালো খবর। এর ফলে তারা তাদের ব্যবসা গোছাতে বিশেষ সুবিধা পেতে পারেন। তবে সরকার রাজস্ব হারাবে। এ কথা মাথায় রেখে বাজেটে করের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হয়নি। ফলে টাকার অঙ্কে বড় বাজেট করায় যে বাড়তি টাকা খরচের কথা ভাবা হচ্ছে, তা জোগাতে সরকারকে ঋণ করতে হবে বেশি হারে। এতে সরকারের ঘাটতির চাপ বাড়বে।
এ জন্য বিদেশি উৎস আর সঞ্চয়পত্রে নির্ভরতা বেশি দেখা যাবে। এ জন্য ঋণের সুদের পেছনে আসছে অর্থবছরে বেশি খরচ করতে হবে। এটা সরকারের জন্য দায় বাড়াবে।
সব মিলিয়ে সরকার যে বড় বাজেট করছে বলে আত্মতৃপ্তিতে আছে, এটা মনে করার কারণ নেই। কারণ এটা কেবলই অঙ্কের মারপ্যাঁচ আর গতানুগতিক বাজেট। সবচেয়ে বড় কথা, বাজেট যাই হোক, তা বাস্তবায়ন হলো কিনা, এটাই বড় কথা। বড় বড় অঙ্কের হিসাব করা হলো বাজেট দেওয়ার সময়। আর অর্থবছর শেষে দেখা গেল, বাস্তবায়নে হতাশা ছাড়া আর কিছু নয়। এমন বাজেট দিয়ে কী লাভ? বাজেটকে বাস্তবায়নযোগ্য করতে হবে। জড়িত সবাইকে এই বার্তা দিতে হবে যে, এটা জনগণের করের টাকা। এর যথাযথ ব্যবহার করতে হবে। কৃচ্ছ সাধন করতে হবে। অপচয় রোধ এবং অপ্রয়োজনীয় বিদেশভ্রমণ বন্ধ করতে হবে।
যারা অনিয়ম–দুর্নীতিতে জড়াবে তাদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে হবে। সর্বস্তরে জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। আমরা মনে করি, যে বাজেট দেওয়া হয়েছে এটিও যদি দক্ষতার সঙ্গে বাস্তবায়ন করা যায় তবে অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
আর আসছে বাজেটে যেহেতু কর বাড়ানো হচ্ছে না, ফলে যে রাজস্ব ক্ষতি হবে, সেটা করের আওতা বাড়িয়ে, বেশি বেশি করদাতাকে করজালের ভেতরে এনে এ ক্ষতি পোষানোর পদক্ষেপ নিতে হবে। মোট কথা বাজেটকে সফল করতে হবে।
আজ ২০২১-২২ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট। অর্থমন্ত্রী আ. হ. ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে বিকেলে বাজেট উপস্থাপন করবেন। ইতিমধ্যে জানা গেছে, এবারের বাজেট হবে ৬ লাখ ৩ হাজার কোটি টাকার। আপাতদৃষ্টিতে দেখলে মনে হবে এ বাজেট চলতি বাজেট থেকে প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা বেশি। বাস্তবে জিডিপির শতাংশের হিসাবে ধরলে আসলে এ বাজেট চলতি বাজেট থেকে ছোট। ফলে বাজেটের আকার নিয়ে যে মাতামাতি, তার প্রকৃত ভিত্তি নেই। আসছে বাজেটের আকার জিডিপির মাত্র ১৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
অথচ চলতি বাজেটের আকার জিডিপির ১৭ দশমিক ৯০ শতাংশ। কারণ প্রস্তাবিত বাজেটের আকার বাড়লেও গত এক বছরে জিডিপির আকার বাড়ায় এ অঙ্ক ছোট হয়ে গেছে।
তা ছাড়া, খবরে জানা গেছে, বাজেটের বেশির ভাগ খরচই হবে অনুন্নয়ন তথা দেশ পরিচালনার পেছনে। ঋণের সুদ আর সরকারি চাকুরেদের বেতন-ভাতায়। ফলে করোনার ক্ষতি থেকে অর্থনীতি বাঁচানোর যে কথা বলা হচ্ছে, প্রকৃত হিসাবে তার প্রতিফলনও বাজেটে খুব একটা দেখা যাবে না। করোনার মতো একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে বিশেষ বাজেট বরাদ্দ রাখার প্রয়োজন হলেও এর প্রভাব দেখা যাবে সামান্যই। আর বাজেট দেওয়া হলেও এ দেশে তা বাস্তবায়ন হার খুবই দুর্বল। অদক্ষতা ও অপচয়ের কবলে পড়ে প্রতিটি বাজেট। বরাদ্দের টাকা খরচে নজরদারির অভাব থাকায় প্রায় অনিয়ম, দুর্নীতির খবর পাওয়া যায়।
তবে রাজস্ব খাতে বেসরকারি ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা শ্রেণিকে কিছু কর ছাড় দেওয়া হচ্ছে। এটা ভালো খবর। এর ফলে তারা তাদের ব্যবসা গোছাতে বিশেষ সুবিধা পেতে পারেন। তবে সরকার রাজস্ব হারাবে। এ কথা মাথায় রেখে বাজেটে করের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হয়নি। ফলে টাকার অঙ্কে বড় বাজেট করায় যে বাড়তি টাকা খরচের কথা ভাবা হচ্ছে, তা জোগাতে সরকারকে ঋণ করতে হবে বেশি হারে। এতে সরকারের ঘাটতির চাপ বাড়বে।
এ জন্য বিদেশি উৎস আর সঞ্চয়পত্রে নির্ভরতা বেশি দেখা যাবে। এ জন্য ঋণের সুদের পেছনে আসছে অর্থবছরে বেশি খরচ করতে হবে। এটা সরকারের জন্য দায় বাড়াবে।
সব মিলিয়ে সরকার যে বড় বাজেট করছে বলে আত্মতৃপ্তিতে আছে, এটা মনে করার কারণ নেই। কারণ এটা কেবলই অঙ্কের মারপ্যাঁচ আর গতানুগতিক বাজেট। সবচেয়ে বড় কথা, বাজেট যাই হোক, তা বাস্তবায়ন হলো কিনা, এটাই বড় কথা। বড় বড় অঙ্কের হিসাব করা হলো বাজেট দেওয়ার সময়। আর অর্থবছর শেষে দেখা গেল, বাস্তবায়নে হতাশা ছাড়া আর কিছু নয়। এমন বাজেট দিয়ে কী লাভ? বাজেটকে বাস্তবায়নযোগ্য করতে হবে। জড়িত সবাইকে এই বার্তা দিতে হবে যে, এটা জনগণের করের টাকা। এর যথাযথ ব্যবহার করতে হবে। কৃচ্ছ সাধন করতে হবে। অপচয় রোধ এবং অপ্রয়োজনীয় বিদেশভ্রমণ বন্ধ করতে হবে।
যারা অনিয়ম–দুর্নীতিতে জড়াবে তাদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে হবে। সর্বস্তরে জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। আমরা মনে করি, যে বাজেট দেওয়া হয়েছে এটিও যদি দক্ষতার সঙ্গে বাস্তবায়ন করা যায় তবে অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
আর আসছে বাজেটে যেহেতু কর বাড়ানো হচ্ছে না, ফলে যে রাজস্ব ক্ষতি হবে, সেটা করের আওতা বাড়িয়ে, বেশি বেশি করদাতাকে করজালের ভেতরে এনে এ ক্ষতি পোষানোর পদক্ষেপ নিতে হবে। মোট কথা বাজেটকে সফল করতে হবে।
মারপ্যাঁচ বাংলা ভাষার একটি অতিপরিচিত শব্দ। এ শব্দটির কবলে পড়েনি এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যে ভারি মুশকিল এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। যাপিত জীবনে কখনো কখনো আমরা অন্যের কথার মারপ্যাঁচে পড়েছি, আবার কখনো নিজের কথার মারপ্যাঁচ দিয়ে উদ্দেশ্যও হাসিল করেছি।
৬ মিনিট আগেবাংলাদেশের রাজনীতিতে সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা দীর্ঘদিন ধরে চললেও ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর এই আলোচনা ভিন্নমাত্রা পেয়েছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য বেশ কয়েকটি কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটিগুলো কাজ করছে।
১৮ মিনিট আগেবীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে জুতার মালা গলায় দিয়ে লাঞ্ছিত করেছে একদল দুর্বৃত্ত। এই দুর্বৃত্তরা জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি করেন বলে খবরে প্রকাশ। তাঁরা এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে এলাকাছাড়া করেছেন। বর্ষীয়ান এই মুক্তিযোদ্ধা একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন। তাঁর কথা শুনতে শুনতে মনে হলো, অপমান কি তাঁকে করা হলো, ন
১ দিন আগেএ বছর প্রায় শেষের পথে। এদিকে আরবের সবচেয়ে জনবহুল দেশটি ধীরে ধীরে ঘুণে ধরা রাজনৈতিক শৃঙ্খলে এক স্থবির ম্যামথ হয়ে রয়ে গেছে। শাসকদের দেশে বৈধতা নেই। কেবল পশ্চিমা ও উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর কাছ থেকে পাওয়া নগদ অর্থ দেশটিকে টিকিয়ে রেখেছে। এই দেশগুলো সব সময় মিসরে শাসকদের বিরুদ্ধে জনবিস্ফোরণের আশঙ্কায় থাকে।
১ দিন আগে