সম্পাদকীয়
আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনান নামের এক ব্যক্তি রংপুর থেকে ঢাকা রওনা দিয়েছিলেন গত ১০ জুন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর দুই সহযোগী ও গাড়িচালক। তাঁরা ঢাকা পৌঁছেছিলেন গভীর রাতে। ঢাকা পৌঁছার খবর পরিবার পেলেও তারপর থেকে তিন সঙ্গীসহ তিনি নিখোঁজ হয়ে যান আকস্মিকভাবে। আদনানের নিখোঁজ হওয়ার খবর বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার হওয়ার পর শুরু হয় নানা জল্পনাকল্পনা। তিনি কি আত্মগোপন করেন, নাকি তাঁকে কেউ অপহরণ করে? আত্মগোপন করলে কেন, গুম বা অপহরণ হলেই বা কেন? আদনানের নাম যারা আগে শোনেননি, তাঁরাও তাঁর ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে ওঠেন।
‘ইসলামি বক্তা’ হিসেবে তাঁকে তাঁর বক্তব্য-বক্তৃতার জন্য গুম বা অপহরণ করা হয়ে থাকতে পারে। আবার এমন কথাও কেউ কেউ বলেন যে, নিজেকে আরও জনপ্রিয় বা খ্যাতিমান করে তোলার জন্য তিনি একটি ‘নাটক’ সাজিয়েছেন। আসল রহস্য বা ঘটনা আমরা কেউ জানি না। হয়তো জানতেও পারব না। এমন গুম কিংবা অপহরণ এবং অপহৃত ব্যক্তির ফিরে আসার ঘটনা আগে একাধিক ঘটেছে। আদনানও ১৮ জুন তিন সঙ্গীসহ রংপুরে ফিরে গেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, তিনি স্বেচ্ছায় গাইবান্ধায় এক পরিচিতজনের বাসায় লুকিয়ে ছিলেন। পুলিশের বক্তব্য অনেকের কাছেই বিশ্বাসযোগ্য হয়নি।
আদনানের বক্তৃতা যারা শুনেছেন, তাঁরা জানেন, ইসলামের তথাকথিত অন্য ‘আলেম’দের থেকে আলাদা কিছু তিনি বলেন না। অন্যদের মতো আদনানও বিদ্বেষ প্রচার করেন। প্রচলিত সমাজ, রাষ্ট্র, রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষাব্যবস্থার বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেন। তবে তিনি বলেন শান্তভাবে, কিছুটা বিনয়ী ভঙ্গিতে। আধুনিক সভ্যতার সব ‘নেয়ামত’কে তিনি অস্বীকার করতে ‘অনুরোধ’ করেন, বস্তুবাদিতা থেকে সরে ভাববাদিতার আশ্রয়ে আসতে ‘দাওয়াত’ দেন। আধুনিক শিক্ষাকে ‘বাতিল’-এর খাতায় রেখে ‘ইসলামিক’ শিক্ষাকেই শুধু জ্ঞান বলে ভাবতে উদ্বুদ্ধ করেন। এটাও মনে করা হচ্ছে যে, পরধর্ম বিদ্বেষ ও জঙ্গিবাদ ব্যবহার করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের স্বপ্ন যাঁরা দেখেন, তাঁদের নেপথ্য মদদদাতার ভূমিকাও হয়তো আদনান পালন করছেন।
আদনানের বক্তৃতা, তৎপরতা যদি দেশের সংবিধান ও প্রচলিত আইনের সঙ্গে সাংঘর্ঘিক হয়ে থাকে, তাঁর সম্পর্কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে যদি রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতার কোনো তথ্যপ্রমাণ থাকে, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা করা যেতে পারে। কিন্তু খোলাসা করে কিছু না বলে কোনো ‘গোপন’ ব্যবস্থা গ্রহণ সমর্থনযোগ্য নয়। মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বাধা দেওয়া যেমন অনুচিত, তেমনি সমাজ, রাষ্ট্র, ধর্ম সম্প্রদায়ের জন্য ক্ষতিকর মত অবাধে প্রকাশের ওপর বিধিনিষেধও থাকা উচিত। কথা বলার অধিকার অবশ্যই চাই। আবার দায়িত্ববান হওয়ার দিকটিও উপেক্ষা করার নয়।
আত্মপ্রচারের আকাঙ্ক্ষা থেকে নিজে, নাকি তাঁকে অধিকতর জনপ্রিয় করে তুলতে বিশেষ কোনো মহল অথবা সরকারের কোনো সংস্থা তাঁকে ‘শিক্ষা’ দিতে কয়েকদিন ‘গায়েব’ রেখেছিল, সে ‘রহস্য’ উন্মোচন হওয়া দরকার।
আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনান নামের এক ব্যক্তি রংপুর থেকে ঢাকা রওনা দিয়েছিলেন গত ১০ জুন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর দুই সহযোগী ও গাড়িচালক। তাঁরা ঢাকা পৌঁছেছিলেন গভীর রাতে। ঢাকা পৌঁছার খবর পরিবার পেলেও তারপর থেকে তিন সঙ্গীসহ তিনি নিখোঁজ হয়ে যান আকস্মিকভাবে। আদনানের নিখোঁজ হওয়ার খবর বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার হওয়ার পর শুরু হয় নানা জল্পনাকল্পনা। তিনি কি আত্মগোপন করেন, নাকি তাঁকে কেউ অপহরণ করে? আত্মগোপন করলে কেন, গুম বা অপহরণ হলেই বা কেন? আদনানের নাম যারা আগে শোনেননি, তাঁরাও তাঁর ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে ওঠেন।
‘ইসলামি বক্তা’ হিসেবে তাঁকে তাঁর বক্তব্য-বক্তৃতার জন্য গুম বা অপহরণ করা হয়ে থাকতে পারে। আবার এমন কথাও কেউ কেউ বলেন যে, নিজেকে আরও জনপ্রিয় বা খ্যাতিমান করে তোলার জন্য তিনি একটি ‘নাটক’ সাজিয়েছেন। আসল রহস্য বা ঘটনা আমরা কেউ জানি না। হয়তো জানতেও পারব না। এমন গুম কিংবা অপহরণ এবং অপহৃত ব্যক্তির ফিরে আসার ঘটনা আগে একাধিক ঘটেছে। আদনানও ১৮ জুন তিন সঙ্গীসহ রংপুরে ফিরে গেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, তিনি স্বেচ্ছায় গাইবান্ধায় এক পরিচিতজনের বাসায় লুকিয়ে ছিলেন। পুলিশের বক্তব্য অনেকের কাছেই বিশ্বাসযোগ্য হয়নি।
আদনানের বক্তৃতা যারা শুনেছেন, তাঁরা জানেন, ইসলামের তথাকথিত অন্য ‘আলেম’দের থেকে আলাদা কিছু তিনি বলেন না। অন্যদের মতো আদনানও বিদ্বেষ প্রচার করেন। প্রচলিত সমাজ, রাষ্ট্র, রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষাব্যবস্থার বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেন। তবে তিনি বলেন শান্তভাবে, কিছুটা বিনয়ী ভঙ্গিতে। আধুনিক সভ্যতার সব ‘নেয়ামত’কে তিনি অস্বীকার করতে ‘অনুরোধ’ করেন, বস্তুবাদিতা থেকে সরে ভাববাদিতার আশ্রয়ে আসতে ‘দাওয়াত’ দেন। আধুনিক শিক্ষাকে ‘বাতিল’-এর খাতায় রেখে ‘ইসলামিক’ শিক্ষাকেই শুধু জ্ঞান বলে ভাবতে উদ্বুদ্ধ করেন। এটাও মনে করা হচ্ছে যে, পরধর্ম বিদ্বেষ ও জঙ্গিবাদ ব্যবহার করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের স্বপ্ন যাঁরা দেখেন, তাঁদের নেপথ্য মদদদাতার ভূমিকাও হয়তো আদনান পালন করছেন।
আদনানের বক্তৃতা, তৎপরতা যদি দেশের সংবিধান ও প্রচলিত আইনের সঙ্গে সাংঘর্ঘিক হয়ে থাকে, তাঁর সম্পর্কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে যদি রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতার কোনো তথ্যপ্রমাণ থাকে, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা করা যেতে পারে। কিন্তু খোলাসা করে কিছু না বলে কোনো ‘গোপন’ ব্যবস্থা গ্রহণ সমর্থনযোগ্য নয়। মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বাধা দেওয়া যেমন অনুচিত, তেমনি সমাজ, রাষ্ট্র, ধর্ম সম্প্রদায়ের জন্য ক্ষতিকর মত অবাধে প্রকাশের ওপর বিধিনিষেধও থাকা উচিত। কথা বলার অধিকার অবশ্যই চাই। আবার দায়িত্ববান হওয়ার দিকটিও উপেক্ষা করার নয়।
আত্মপ্রচারের আকাঙ্ক্ষা থেকে নিজে, নাকি তাঁকে অধিকতর জনপ্রিয় করে তুলতে বিশেষ কোনো মহল অথবা সরকারের কোনো সংস্থা তাঁকে ‘শিক্ষা’ দিতে কয়েকদিন ‘গায়েব’ রেখেছিল, সে ‘রহস্য’ উন্মোচন হওয়া দরকার।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে জুতার মালা গলায় দিয়ে লাঞ্ছিত করেছে একদল দুর্বৃত্ত। এই দুর্বৃত্তরা জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি করেন বলে খবরে প্রকাশ। তাঁরা এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে এলাকাছাড়া করেছেন। বর্ষীয়ান এই মুক্তিযোদ্ধা একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন। তাঁর কথা শুনতে শুনতে মনে হলো, অপমান কি তাঁকে করা হলো, ন
১৪ ঘণ্টা আগেএ বছর প্রায় শেষের পথে। এদিকে আরবের সবচেয়ে জনবহুল দেশটি ধীরে ধীরে ঘুণে ধরা রাজনৈতিক শৃঙ্খলে এক স্থবির ম্যামথ হয়ে রয়ে গেছে। শাসকদের দেশে বৈধতা নেই। কেবল পশ্চিমা ও উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর কাছ থেকে পাওয়া নগদ অর্থ দেশটিকে টিকিয়ে রেখেছে। এই দেশগুলো সব সময় মিসরে শাসকদের বিরুদ্ধে জনবিস্ফোরণের আশঙ্কায় থাকে।
১৪ ঘণ্টা আগেডিসেম্বরের ইউরোপে শীত জাঁকিয়ে বসতে শুরু করে। আকাশ থেকে নেমে আসে পেঁজা তুলার মতো নরম তুলতুলে তুষার। শ্বেত শুভ্রতার অপার্থিব এবং পবিত্র সৌন্দর্যে ঢেকে যায় চারদিক! এ সময়ে মহাসমারোহে বড়দিন আসে। উষ্ণতার ফল্গুধারায় উদ্বেলিত হয় হৃদয়। অন্ধকার নামতেই নানা বর্ণের আলোকসজ্জায় উজ্জ্বল হয় নগর, বন্দর, বাড়িঘর। ধর্ম
১৪ ঘণ্টা আগেডিসেম্বরের প্রান্তে এসে আমরা যখন নতুন বছরের আশা-প্রত্যাশা নিয়ে বিশ্লেষণ করতে থাকি, ঠিক তখনই আসে বছরের শেষ উৎসব বড়দিন, যা ভালোবাসা ও একতার বার্তা বহন করে। বড়দিন মানেই শান্তি, ভালোবাসা এবং নতুন সূচনার প্রতীক। যিশুখ্রিষ্টের জন্মদিন হিসেবে পালিত হলেও ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবাই মিলে উদ্যাপন করে বড়দিন। বাং
১৪ ঘণ্টা আগে