সম্পাদকীয়
এ রকম হৃদয়ছেঁড়া কান্না কি এই প্রথম দেখলাম? আগুনে পুড়ে কয়লা হওয়া লাশের মিছিলও কি আমাদের চোখে পড়ল এই প্রথম? এই যে পঞ্চাশের বেশি শ্রমিকের জীবন চলে গেল এক নিমেষে, সেই জীবনগুলো কি কোনো কারণেই মূল্যবান নয়?
ভণিতা করে বক্তৃতাবাজি করলে বলতে হবে, প্রতিটি জীবনই মূল্যবান। কিন্তু আদতে আমাদের চলমান জীবনে এই মৃত্যুগুলো সত্যিই কি কোনো মানে তৈরি করে? কিছুদিনের মধ্যে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ভুলতায় ঘটা এই অগ্নিকাণ্ডে নিহতরা যখন পরিণত হবেন সংখ্যায়, তখন আমরা কী করব? আমরা তখন এই শোকগাথায় ডুবে ভাবব, জীবন এমনই! ভাবব, তবু জীবন বয়ে চলে।
ভুল কথা। জীবন এমনই নয়। এভাবে জীবন বয়ে চলতে পারে না। এর পরেও জীবন যে বয়ে চলে, তার কারণ হলো, জীবনযাপনে মানবিকতা আর নৈতিকতার দাম দিতে শিখিনি আমরা। এক একটা জীবন্ত মানুষ মুহূর্তে লাশে পরিণত হয় আর আমরা তাকে সংখ্যা ভাবতে শুরু করি–এটা কখনোই মনুষ্যজীবনের চাওয়া-পাওয়ার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ হতে পারে না।
আমাদের মনে পড়ে যাবে, ২০১০ সালের ৩ জুন রাজধানীর নিমতলীতে কেমিক্যাল গুদামে রাসায়নিক দাহ্য পদার্থে আগুন লেগে মারা গিয়েছিলেন ১২৫ জন। ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে চকবাজারের চুড়িহাট্টার অগ্নিকাণ্ডে নিহত হয়েছিলেন ৮১ জন। এ রকম অগ্নিকাণ্ড কিন্তু আরও অনেক ঘটেছে এবং তা মানুষের চোখে নিয়ে এসেছে সমুদ্র।
রূপগঞ্জের সজীব গ্রুপের হাশেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কারখানায় বৃহস্পতিবার বিকেলে আগুন লাগার রহস্য হয়তো উদ্ঘাটন করা হবে। সেসব জানার পর হা-হুতাশ করা মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাবে। পত্রিকায় লিখবেন বিশেষজ্ঞরা, টেলিভিশনে এসে মতামত দেবেন তাঁরা। কিন্তু বাস্তবে তাঁদের বক্তব্য থেকে জ্ঞান আহরণ করা ছাড়া আর কিছুই হবে না। কোনো কারখানায় নিরাপত্তাব্যবস্থা ঠিক আছে কি না, অগ্নিকাণ্ডের মতো ব্যাপার ঘটলে তা থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় আছে কি না, কারখানা থেকে বের হওয়ার পথ আছে কি না, সেগুলো মেনে চলতে কি আমরা বাধ্য করতে পেরেছি মালিকদের? কমপ্লায়েন্স নীতিমালা বলে যা আছে, তা আদতেই এরা মেনে চলে কি? না চললে কীভাবে এই অসম্পূর্ণতা নিয়ে কারখানাগুলো চলছে?
এটাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে চালিয়ে দেওয়া যাবে না। কর্মক্ষেত্রে শ্রমজীবী অসহায় মানুষের ন্যূনতম মানবাধিকার ও নিরাপত্তা রক্ষা না করেই শিল্পকারখানাগুলো চলছে কী করে, সেই প্রশ্নের উত্তর চাওয়ার সময়ও পেরিয়ে গেছে বহু আগে। কয়েক বছরের ব্যবধানে একই ধরনের বড় বড় ট্র্যাজিক অগ্নিকাণ্ডের সম্মুখীন হচ্ছি আমরা; কিন্তু তা বন্ধ করার বা করতে বাধ্য করার কোনো আলামত দেখছি না। কেন এভাবে এখনো চলছে, তার জবাবদিহি চাইছি।
স্বজনের লাশ দেখার উৎকণ্ঠা নিয়ে যেসব মানুষ কাঁদছিলেন ভুলতার সেই কারখানার সামনে, তাঁদের হৃদয়ের অসহায়ত্বের সঙ্গী হয়ে আমরা উচ্চারণ করছি: নাকে তেল দিয়ে ঘুমানোর সময় নয় এটা। কারখানা কর্তৃপক্ষকে কোনোভাবেই দায়মুক্তি দেওয়া চলবে না।
এ রকম হৃদয়ছেঁড়া কান্না কি এই প্রথম দেখলাম? আগুনে পুড়ে কয়লা হওয়া লাশের মিছিলও কি আমাদের চোখে পড়ল এই প্রথম? এই যে পঞ্চাশের বেশি শ্রমিকের জীবন চলে গেল এক নিমেষে, সেই জীবনগুলো কি কোনো কারণেই মূল্যবান নয়?
ভণিতা করে বক্তৃতাবাজি করলে বলতে হবে, প্রতিটি জীবনই মূল্যবান। কিন্তু আদতে আমাদের চলমান জীবনে এই মৃত্যুগুলো সত্যিই কি কোনো মানে তৈরি করে? কিছুদিনের মধ্যে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ভুলতায় ঘটা এই অগ্নিকাণ্ডে নিহতরা যখন পরিণত হবেন সংখ্যায়, তখন আমরা কী করব? আমরা তখন এই শোকগাথায় ডুবে ভাবব, জীবন এমনই! ভাবব, তবু জীবন বয়ে চলে।
ভুল কথা। জীবন এমনই নয়। এভাবে জীবন বয়ে চলতে পারে না। এর পরেও জীবন যে বয়ে চলে, তার কারণ হলো, জীবনযাপনে মানবিকতা আর নৈতিকতার দাম দিতে শিখিনি আমরা। এক একটা জীবন্ত মানুষ মুহূর্তে লাশে পরিণত হয় আর আমরা তাকে সংখ্যা ভাবতে শুরু করি–এটা কখনোই মনুষ্যজীবনের চাওয়া-পাওয়ার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ হতে পারে না।
আমাদের মনে পড়ে যাবে, ২০১০ সালের ৩ জুন রাজধানীর নিমতলীতে কেমিক্যাল গুদামে রাসায়নিক দাহ্য পদার্থে আগুন লেগে মারা গিয়েছিলেন ১২৫ জন। ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে চকবাজারের চুড়িহাট্টার অগ্নিকাণ্ডে নিহত হয়েছিলেন ৮১ জন। এ রকম অগ্নিকাণ্ড কিন্তু আরও অনেক ঘটেছে এবং তা মানুষের চোখে নিয়ে এসেছে সমুদ্র।
রূপগঞ্জের সজীব গ্রুপের হাশেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কারখানায় বৃহস্পতিবার বিকেলে আগুন লাগার রহস্য হয়তো উদ্ঘাটন করা হবে। সেসব জানার পর হা-হুতাশ করা মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাবে। পত্রিকায় লিখবেন বিশেষজ্ঞরা, টেলিভিশনে এসে মতামত দেবেন তাঁরা। কিন্তু বাস্তবে তাঁদের বক্তব্য থেকে জ্ঞান আহরণ করা ছাড়া আর কিছুই হবে না। কোনো কারখানায় নিরাপত্তাব্যবস্থা ঠিক আছে কি না, অগ্নিকাণ্ডের মতো ব্যাপার ঘটলে তা থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় আছে কি না, কারখানা থেকে বের হওয়ার পথ আছে কি না, সেগুলো মেনে চলতে কি আমরা বাধ্য করতে পেরেছি মালিকদের? কমপ্লায়েন্স নীতিমালা বলে যা আছে, তা আদতেই এরা মেনে চলে কি? না চললে কীভাবে এই অসম্পূর্ণতা নিয়ে কারখানাগুলো চলছে?
এটাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে চালিয়ে দেওয়া যাবে না। কর্মক্ষেত্রে শ্রমজীবী অসহায় মানুষের ন্যূনতম মানবাধিকার ও নিরাপত্তা রক্ষা না করেই শিল্পকারখানাগুলো চলছে কী করে, সেই প্রশ্নের উত্তর চাওয়ার সময়ও পেরিয়ে গেছে বহু আগে। কয়েক বছরের ব্যবধানে একই ধরনের বড় বড় ট্র্যাজিক অগ্নিকাণ্ডের সম্মুখীন হচ্ছি আমরা; কিন্তু তা বন্ধ করার বা করতে বাধ্য করার কোনো আলামত দেখছি না। কেন এভাবে এখনো চলছে, তার জবাবদিহি চাইছি।
স্বজনের লাশ দেখার উৎকণ্ঠা নিয়ে যেসব মানুষ কাঁদছিলেন ভুলতার সেই কারখানার সামনে, তাঁদের হৃদয়ের অসহায়ত্বের সঙ্গী হয়ে আমরা উচ্চারণ করছি: নাকে তেল দিয়ে ঘুমানোর সময় নয় এটা। কারখানা কর্তৃপক্ষকে কোনোভাবেই দায়মুক্তি দেওয়া চলবে না।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে জুতার মালা গলায় দিয়ে লাঞ্ছিত করেছে একদল দুর্বৃত্ত। এই দুর্বৃত্তরা জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি করেন বলে খবরে প্রকাশ। তাঁরা এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে এলাকাছাড়া করেছেন। বর্ষীয়ান এই মুক্তিযোদ্ধা একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন। তাঁর কথা শুনতে শুনতে মনে হলো, অপমান কি তাঁকে করা হলো, ন
২ ঘণ্টা আগেএ বছর প্রায় শেষের পথে। এদিকে আরবের সবচেয়ে জনবহুল দেশটি ধীরে ধীরে ঘুণে ধরা রাজনৈতিক শৃঙ্খলে এক স্থবির ম্যামথ হয়ে রয়ে গেছে। শাসকদের দেশে বৈধতা নেই। কেবল পশ্চিমা ও উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর কাছ থেকে পাওয়া নগদ অর্থ দেশটিকে টিকিয়ে রেখেছে। এই দেশগুলো সব সময় মিসরে শাসকদের বিরুদ্ধে জনবিস্ফোরণের আশঙ্কায় থাকে।
২ ঘণ্টা আগেডিসেম্বরের ইউরোপে শীত জাঁকিয়ে বসতে শুরু করে। আকাশ থেকে নেমে আসে পেঁজা তুলার মতো নরম তুলতুলে তুষার। শ্বেত শুভ্রতার অপার্থিব এবং পবিত্র সৌন্দর্যে ঢেকে যায় চারদিক! এ সময়ে মহাসমারোহে বড়দিন আসে। উষ্ণতার ফল্গুধারায় উদ্বেলিত হয় হৃদয়। অন্ধকার নামতেই নানা বর্ণের আলোকসজ্জায় উজ্জ্বল হয় নগর, বন্দর, বাড়িঘর। ধর্ম
২ ঘণ্টা আগেডিসেম্বরের প্রান্তে এসে আমরা যখন নতুন বছরের আশা-প্রত্যাশা নিয়ে বিশ্লেষণ করতে থাকি, ঠিক তখনই আসে বছরের শেষ উৎসব বড়দিন, যা ভালোবাসা ও একতার বার্তা বহন করে। বড়দিন মানেই শান্তি, ভালোবাসা এবং নতুন সূচনার প্রতীক। যিশুখ্রিষ্টের জন্মদিন হিসেবে পালিত হলেও ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবাই মিলে উদ্যাপন করে বড়দিন। বাং
৩ ঘণ্টা আগে