সম্পাদকীয়
ওস্তাদ শাহাদাত হোসেন খান এক সংগীত আবহে বড় হয়েছেন। শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতীয় উপমহাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী সংগীত পরিবারের সদস্য তিনি। সেই ধারা তাঁরা এখনো বজায় রেখে চলছেন। তাঁর বাবা ওস্তাদ আবেদ হোসেন খান একজন প্রখ্যাত উচ্চাঙ্গসংগীতশিল্পী ও সেতারবাদক ছিলেন। তাঁর দাদা ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁ উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতজ্ঞ এবং ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর ছোট ভাই। তাঁর দুই চাচা প্রখ্যাত সংগীতজ্ঞ বাহাদুর হোসেন খান এবং সংগীত গবেষক ও লেখক মোবারক হোসেন খান। সেই বংশীয় ঐতিহ্যবাহী ধারায় তাঁর দুই যমজ মেয়ে আফসানা খান সেতারবাদক ও রুখসানা খান সরোদবাদক।
শাহাদাত হোসেন খানের জন্ম ১৯৫৮ সালের ৬ জুলাই কুমিল্লায়। তবে তাঁদের পৈতৃক বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামে।
মাত্র সাত বছর বয়সে পিতার কাছে তাঁর তবলা ও সরোদ শিক্ষার হাতেখড়ি হয়। পরে তিনি চাচা বাহাদুর হোসেন খানের কাছে সরোদের তালিম গ্রহণ করেন। ১৯৭২ সালে ‘আলাউদ্দিন খাঁ সংগীত সম্মেলন’-এ বাহাদুর হোসেনের সঙ্গে যুগলবন্দী হয়ে সরোদ পরিবেশন করেন। পরে ১৯৮৫ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার আলী আকবর কলেজ অব মিউজিক থেকে সংগীত বিষয়ে স্নাতক সমমানের পরীক্ষায় পাস করে ‘বাদ্যলংকার’ ডিগ্রি লাভ করেন। তার আগে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে এমএ পাস করেন।
কর্মজীবনে তিনি সরকারি সংগীত কলেজের ডেমোনেস্ট্রেশন-কাম-লেকচারার, সংগীতবিষয়ক বক্তা ও প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উচ্চতর প্রশিক্ষণ কোর্সে সেতার, সরোদ, বেহালা, বাঁশি ও গিটারের প্রশিক্ষক ছিলেন। তিনি সংগীত একাডেমিতে কণ্ঠ ও যন্ত্রসংগীতেরও প্রশিক্ষক ছিলেন।
শাহাদাত হোসেন খান ‘মৃত্যুহীন প্রাণ’ ও ‘মিট বাংলাদেশ’ নামক দুটি প্রামাণ্যচিত্রের সংগীত পরিচালনা করেছেন। তাঁর সরোদের অ্যালবাম বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য থেকে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি বিশ্বের অনেক দেশে আমন্ত্রিত হয়ে সরোদ বাজিয়ে বিপুল খ্যাতি অর্জন করেছেন।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২০২০ সালের ২৮ নভেম্বর ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন একুশে পদকপ্রাপ্ত এই সরোদবাদক।
ওস্তাদ শাহাদাত হোসেন খান এক সংগীত আবহে বড় হয়েছেন। শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতীয় উপমহাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী সংগীত পরিবারের সদস্য তিনি। সেই ধারা তাঁরা এখনো বজায় রেখে চলছেন। তাঁর বাবা ওস্তাদ আবেদ হোসেন খান একজন প্রখ্যাত উচ্চাঙ্গসংগীতশিল্পী ও সেতারবাদক ছিলেন। তাঁর দাদা ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁ উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতজ্ঞ এবং ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর ছোট ভাই। তাঁর দুই চাচা প্রখ্যাত সংগীতজ্ঞ বাহাদুর হোসেন খান এবং সংগীত গবেষক ও লেখক মোবারক হোসেন খান। সেই বংশীয় ঐতিহ্যবাহী ধারায় তাঁর দুই যমজ মেয়ে আফসানা খান সেতারবাদক ও রুখসানা খান সরোদবাদক।
শাহাদাত হোসেন খানের জন্ম ১৯৫৮ সালের ৬ জুলাই কুমিল্লায়। তবে তাঁদের পৈতৃক বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামে।
মাত্র সাত বছর বয়সে পিতার কাছে তাঁর তবলা ও সরোদ শিক্ষার হাতেখড়ি হয়। পরে তিনি চাচা বাহাদুর হোসেন খানের কাছে সরোদের তালিম গ্রহণ করেন। ১৯৭২ সালে ‘আলাউদ্দিন খাঁ সংগীত সম্মেলন’-এ বাহাদুর হোসেনের সঙ্গে যুগলবন্দী হয়ে সরোদ পরিবেশন করেন। পরে ১৯৮৫ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার আলী আকবর কলেজ অব মিউজিক থেকে সংগীত বিষয়ে স্নাতক সমমানের পরীক্ষায় পাস করে ‘বাদ্যলংকার’ ডিগ্রি লাভ করেন। তার আগে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে এমএ পাস করেন।
কর্মজীবনে তিনি সরকারি সংগীত কলেজের ডেমোনেস্ট্রেশন-কাম-লেকচারার, সংগীতবিষয়ক বক্তা ও প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উচ্চতর প্রশিক্ষণ কোর্সে সেতার, সরোদ, বেহালা, বাঁশি ও গিটারের প্রশিক্ষক ছিলেন। তিনি সংগীত একাডেমিতে কণ্ঠ ও যন্ত্রসংগীতেরও প্রশিক্ষক ছিলেন।
শাহাদাত হোসেন খান ‘মৃত্যুহীন প্রাণ’ ও ‘মিট বাংলাদেশ’ নামক দুটি প্রামাণ্যচিত্রের সংগীত পরিচালনা করেছেন। তাঁর সরোদের অ্যালবাম বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য থেকে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি বিশ্বের অনেক দেশে আমন্ত্রিত হয়ে সরোদ বাজিয়ে বিপুল খ্যাতি অর্জন করেছেন।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২০২০ সালের ২৮ নভেম্বর ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন একুশে পদকপ্রাপ্ত এই সরোদবাদক।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পরদিন থেকেই বিভিন্ন মহল সরকারের কাছে নানা দাবিদাওয়া উত্থাপন করে আসছে। এসব দাবিদাওয়া আদায়ের কৌশল হিসেবে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, সচিবালয়, শিক্ষা বোর্ডসহ রাষ্ট্রীয় দপ্তর, রাজপথ ইত্যাদি ঘেরাওয়ের একটি প্রবণতাও বেশ জোরেশোরেই লক্ষ করা যাচ্ছে
২ ঘণ্টা আগেবিরোধী দলবিহীন দুটি ভোট ও একটি নৈশ ভোটের ‘বিশাল জয়ে’ তৃপ্তির ঢেকুর তুলে শেখ হাসিনা দিব্যি কর্তৃত্ববাদী পন্থায় এবং এক ভয়ের রাজত্ব কায়েম করে সরকার পরিচালনা করে আসছিলেন। আর পারিষদবর্গ ছিলেন স্তুতিতে মুখর। একদিকে তাঁদের ছিল জেদ ও দম্ভ, অন্যদিকে বিত্তশালী হয়ে ওঠার আলাদিনের চেরাগ। মানুষের...
৩ ঘণ্টা আগেছোট একটি প্রচারপত্র। তাতে খানিকটা বড় করে লেখা—লুণ্ঠিত অর্থ উদ্ধার করব, বিনা সুদে পুঁজি নেব। অহিংস গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশ নামে একটি সংগঠন এই দাবিতে জনসমাবেশের আহ্বান জানায়। সোমবার সকাল ১০টায় রাজধানীর শাহবাগে উপস্থিত থাকতে বলা হলেও রোববার দিবাগত রাত থেকেই বিভিন্ন...
৩ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানের জাতির পিতা ছিলেন মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ। আমরা তাঁকে ভুলে যেতে চাইব। কেননা মৃতের সঙ্গে ঝগড়া নেই। জুলিয়াস সিজার প্রসঙ্গে শেক্সপিয়ারের মার্ক অ্যান্টর্নি যে বলেছিলেন তাঁর বিখ্যাত বক্তৃতায়, মৃতের ভালো কাজগুলো প্রায় সবই কবরে মিশে যায়, খারাপ কাজগুলোই বেঁচে থাকে, সেই কথা ঘুরিয়ে দিয়ে আমরা...
১ দিন আগে