সম্পাদকীয়
ঈদুল আজহায় থাকে ত্যাগের মহিমা। থাকে হাটে যাওয়ার আনন্দ, কোরবানির পশু কেনার আনন্দ। ঈদের দিন গোশত নিয়ে ছোটাছুটিতেও কী যে আনন্দ! ঈদ মানেই তো আনন্দ। ইসলামের ইতিহাসে এই ত্যাগের তাৎপর্য লুকিয়ে আছে ইবরাহিম (আ.)-এর সেই ঘটনায়, যেটা সবার জানা। তবু আবার বর্ণনা করা যাক। নবী ইবরাহিম (আ.) স্বপ্নে দেখলেন, মহান আল্লাহ তাআলা তাঁকে তাঁর সবচেয়ে প্রিয় বস্তুটি রবের নামে কোরবানি দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
তাঁর কাছে সবচেয়ে প্রিয়, পুত্র ইসমাইল (আ.)। আল্লাহর নির্দেশ পালন করার জন্য পুত্রকেই তিনি কোরবানি দিতে প্রস্তুত হলেন। কোরবানির উদ্দেশ্যে আরাফাতের ময়দানে রওনা হলে ইবরাহিম (আ.) ও তাঁর পরিবারকে শয়তান প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করে, যেন আল্লাহর কাজ করা থেকে নবী বিরত থাকেন। সে সময় ইবরাহিম (আ.) শয়তানের উদ্দেশে পাথর ছুড়ে মারেন। যা হোক, ইবরাহিম (আ.) যখন প্রিয় পুত্রকে কোরবানি করতে নিয়ে গেলেন, ঠিক তখনই বিস্মিত হয়ে দেখলেন তাঁর পুত্রের পরিবর্তে একটি পশু কোরবানি হয়েছে। পুত্রের কোনো ক্ষতি হয়নি। মহান আল্লাহ ইবরাহিম (আ.)-এর অন্তর পরীক্ষা করে নিলেন এ ঘটনার মাধ্যমে। আর নবী হয়ে উঠলেন আল্লাহর একজন প্রিয় বন্ধু।
পবিত্র ঈদুল আজহায় আমরা কামনা করি, দূর হোক সব অশুভ। এই ঈদেই আমরা ত্যাগ করতে পারি হিংসা, বিদ্বেষ। করোনার ভয়াবহতার মধ্যে কোলাকুলি না করে দূর থেকে হাসিমুখে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে পারি। জড়িয়ে ধরতে পারি অদৃশ্য ভালোবাসাকে।
এ বছরটায় কিছুটা চিরাচরিত আনন্দ ত্যাগ করে অন্য রকম আনন্দ করা যায় না? এই যেমন মাস্ক পরে, দূরত্ব বজায় রেখে! বিনা কারণে বাইরে না গিয়ে। খুব সহজ কিন্তু। ব্যাপারটা নির্ভর করে চাওয়ার ওপর। আমরা চাইলেই ঘরে থাকতে পারি। মুঠোফোনে এপার-ওপার গপ্পো করে ভাগ করে নিতে পারি ঈদের আনন্দ। গল্প করতে করতে খিলখিলিয়ে হাসতে পারি। মুখের মুখোশ আর হাতের দস্তানা না খুলেই গোশতের বিলিবণ্টন করতে পারি। পারি একটুখানি দূরত্ব বজায় রেখে সারা দিনের কাজ সারতে। কঠিন কিছু কি?
পশুর হাটে ভিড়। যাঁরা অনলাইনে কোরবানির পশু কিনে ফেলেছেন, তাঁদের সাধুবাদ জানাই। ঈদের অন্য রকম কেনাকাটায় একটা ভিন্ন আনন্দ আছে। আর যাঁরা হাটে যাচ্ছেন, তাঁদের প্রতিও বরাবরের মতো অনুরোধ থাকছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। সুস্থ থাকার মতো আনন্দ আর কী আছে বলুন?
স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবকিছুই তো করা যায়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদ পালন করলে করোনাকে কশাঘাত করাও হয়তো সম্ভব। মুখে মাস্ক রেখেই বলতে পারি, ‘ঈদ মোবারক’। ঈদ মানুষের মনে পবিত্রতা আনুক। ত্যাগের মহিমা ছড়িয়ে পড়ুক সবখানে। প্রিয় পাঠক, লেখক, বিজ্ঞাপনদাতা ও শুভানুধ্যায়ী—সবার প্রতি রইল ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা।
ঈদুল আজহায় থাকে ত্যাগের মহিমা। থাকে হাটে যাওয়ার আনন্দ, কোরবানির পশু কেনার আনন্দ। ঈদের দিন গোশত নিয়ে ছোটাছুটিতেও কী যে আনন্দ! ঈদ মানেই তো আনন্দ। ইসলামের ইতিহাসে এই ত্যাগের তাৎপর্য লুকিয়ে আছে ইবরাহিম (আ.)-এর সেই ঘটনায়, যেটা সবার জানা। তবু আবার বর্ণনা করা যাক। নবী ইবরাহিম (আ.) স্বপ্নে দেখলেন, মহান আল্লাহ তাআলা তাঁকে তাঁর সবচেয়ে প্রিয় বস্তুটি রবের নামে কোরবানি দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
তাঁর কাছে সবচেয়ে প্রিয়, পুত্র ইসমাইল (আ.)। আল্লাহর নির্দেশ পালন করার জন্য পুত্রকেই তিনি কোরবানি দিতে প্রস্তুত হলেন। কোরবানির উদ্দেশ্যে আরাফাতের ময়দানে রওনা হলে ইবরাহিম (আ.) ও তাঁর পরিবারকে শয়তান প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করে, যেন আল্লাহর কাজ করা থেকে নবী বিরত থাকেন। সে সময় ইবরাহিম (আ.) শয়তানের উদ্দেশে পাথর ছুড়ে মারেন। যা হোক, ইবরাহিম (আ.) যখন প্রিয় পুত্রকে কোরবানি করতে নিয়ে গেলেন, ঠিক তখনই বিস্মিত হয়ে দেখলেন তাঁর পুত্রের পরিবর্তে একটি পশু কোরবানি হয়েছে। পুত্রের কোনো ক্ষতি হয়নি। মহান আল্লাহ ইবরাহিম (আ.)-এর অন্তর পরীক্ষা করে নিলেন এ ঘটনার মাধ্যমে। আর নবী হয়ে উঠলেন আল্লাহর একজন প্রিয় বন্ধু।
পবিত্র ঈদুল আজহায় আমরা কামনা করি, দূর হোক সব অশুভ। এই ঈদেই আমরা ত্যাগ করতে পারি হিংসা, বিদ্বেষ। করোনার ভয়াবহতার মধ্যে কোলাকুলি না করে দূর থেকে হাসিমুখে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে পারি। জড়িয়ে ধরতে পারি অদৃশ্য ভালোবাসাকে।
এ বছরটায় কিছুটা চিরাচরিত আনন্দ ত্যাগ করে অন্য রকম আনন্দ করা যায় না? এই যেমন মাস্ক পরে, দূরত্ব বজায় রেখে! বিনা কারণে বাইরে না গিয়ে। খুব সহজ কিন্তু। ব্যাপারটা নির্ভর করে চাওয়ার ওপর। আমরা চাইলেই ঘরে থাকতে পারি। মুঠোফোনে এপার-ওপার গপ্পো করে ভাগ করে নিতে পারি ঈদের আনন্দ। গল্প করতে করতে খিলখিলিয়ে হাসতে পারি। মুখের মুখোশ আর হাতের দস্তানা না খুলেই গোশতের বিলিবণ্টন করতে পারি। পারি একটুখানি দূরত্ব বজায় রেখে সারা দিনের কাজ সারতে। কঠিন কিছু কি?
পশুর হাটে ভিড়। যাঁরা অনলাইনে কোরবানির পশু কিনে ফেলেছেন, তাঁদের সাধুবাদ জানাই। ঈদের অন্য রকম কেনাকাটায় একটা ভিন্ন আনন্দ আছে। আর যাঁরা হাটে যাচ্ছেন, তাঁদের প্রতিও বরাবরের মতো অনুরোধ থাকছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। সুস্থ থাকার মতো আনন্দ আর কী আছে বলুন?
স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবকিছুই তো করা যায়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদ পালন করলে করোনাকে কশাঘাত করাও হয়তো সম্ভব। মুখে মাস্ক রেখেই বলতে পারি, ‘ঈদ মোবারক’। ঈদ মানুষের মনে পবিত্রতা আনুক। ত্যাগের মহিমা ছড়িয়ে পড়ুক সবখানে। প্রিয় পাঠক, লেখক, বিজ্ঞাপনদাতা ও শুভানুধ্যায়ী—সবার প্রতি রইল ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে জুতার মালা গলায় দিয়ে লাঞ্ছিত করেছে একদল দুর্বৃত্ত। এই দুর্বৃত্তরা জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি করেন বলে খবরে প্রকাশ। তাঁরা এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে এলাকাছাড়া করেছেন। বর্ষীয়ান এই মুক্তিযোদ্ধা একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন। তাঁর কথা শুনতে শুনতে মনে হলো, অপমান কি তাঁকে করা হলো, ন
২ ঘণ্টা আগেএ বছর প্রায় শেষের পথে। এদিকে আরবের সবচেয়ে জনবহুল দেশটি ধীরে ধীরে ঘুণে ধরা রাজনৈতিক শৃঙ্খলে এক স্থবির ম্যামথ হয়ে রয়ে গেছে। শাসকদের দেশে বৈধতা নেই। কেবল পশ্চিমা ও উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর কাছ থেকে পাওয়া নগদ অর্থ দেশটিকে টিকিয়ে রেখেছে। এই দেশগুলো সব সময় মিসরে শাসকদের বিরুদ্ধে জনবিস্ফোরণের আশঙ্কায় থাকে।
২ ঘণ্টা আগেডিসেম্বরের ইউরোপে শীত জাঁকিয়ে বসতে শুরু করে। আকাশ থেকে নেমে আসে পেঁজা তুলার মতো নরম তুলতুলে তুষার। শ্বেত শুভ্রতার অপার্থিব এবং পবিত্র সৌন্দর্যে ঢেকে যায় চারদিক! এ সময়ে মহাসমারোহে বড়দিন আসে। উষ্ণতার ফল্গুধারায় উদ্বেলিত হয় হৃদয়। অন্ধকার নামতেই নানা বর্ণের আলোকসজ্জায় উজ্জ্বল হয় নগর, বন্দর, বাড়িঘর। ধর্ম
২ ঘণ্টা আগেডিসেম্বরের প্রান্তে এসে আমরা যখন নতুন বছরের আশা-প্রত্যাশা নিয়ে বিশ্লেষণ করতে থাকি, ঠিক তখনই আসে বছরের শেষ উৎসব বড়দিন, যা ভালোবাসা ও একতার বার্তা বহন করে। বড়দিন মানেই শান্তি, ভালোবাসা এবং নতুন সূচনার প্রতীক। যিশুখ্রিষ্টের জন্মদিন হিসেবে পালিত হলেও ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবাই মিলে উদ্যাপন করে বড়দিন। বাং
২ ঘণ্টা আগে