সম্পাদকীয়
করোনাভাইরাস মহামারিতে ঘরবন্দী মানুষ, বৃত্তবন্দী জীবন। মাঝে মাঝে সংক্রমণ কমলে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে শ্লথগতিতে কিছুটা হলেও কাজকর্ম চলে, সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে আবারও বন্ধ হয়ে যায়। গত ১৪ মাসের জীবনচিত্রটা এমনই। কিন্তু সবচেয়ে বিপদ ঘটেছে শিক্ষাক্ষেত্রে। এক দিনের জন্যও কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলেনি। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় বা বেসরকারি স্কুল-কলেজ অনলাইনভিত্তিক পড়াশোনা চালিয়ে গেলেও সাধারণ শিক্ষাক্ষেত্রের বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই এই অনলাইনেরও বাইরে ছিল। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীই অনলাইনভিত্তিক কার্যক্রমে অংশ নেয়নি।
এই দীর্ঘ সময় শিক্ষাঙ্গন বন্ধ থাকায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মচারীরা যেমন বিপাকে পড়েছেন, তেমনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো দিন দিন ভঙ্গুর হয়ে যাচ্ছে। তার ওপর এমন কিছু ঘটনা ঘটছে, যা একেবারেই অনভিপ্রেত।
১২ জুলাই ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়পলাশবাড়ি উচ্চবিদ্যালয়ে রাত ১২টায় নৈশপ্রহরীকে বেঁধে রেখে চারটি শ্রেণিকক্ষে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। দাহ্য পদার্থ দিয়ে আগুন দেওয়ায় দ্রুতই আসবাবসহ সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তার আগে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে তালা ভেঙে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, প্রজেক্টরসহ অফিসের কাগজপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
জানা যায়, এলাকার দুই ব্যক্তির সঙ্গে ১০ শতাংশ জমির মালিকানা নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলছিল বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির। একাধিকবার মীমাংসার জন্য বসা হলেও কোনো সুরাহা হয়নি। ফলে বিদ্যালয়টিই আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হলো।
আরেকটি ঘটনা। আজকাল স্থানের সংকীর্ণতার কারণে শিশুরা খেলার মাঠ পায় না। শহরের স্কুলগুলোতে মাঠ নেই বললেই চলে। শুধু গ্রামের স্কুলগুলোতেই মাঠের অস্তিত্ব এখনো আছে। সেই মাঠ যদি চাষাবাদের জন্য ভাড়া দেওয়া হয়, যেমনটা হয়েছে ঝালকাঠি জেলার একটি উপজেলায়, তাহলে শিক্ষার্থীদের শারীরিক এবং মানসিক চর্চার জায়গাটা নিদারুণ সংকটে পড়বে।
কথা হলো, শিক্ষাঙ্গন না খুললে কি তাতে আগুন দিতে হবে? বা স্কুলের মাঠ ভাড়া দিয়ে হালচাষ করতে হবে? শীত নিবারণের জন্য আগুনের উত্তাপ দরকারি হলেও ঘরে আগুন দিয়ে নিশ্চয়ই কেউ উত্তাপ নিতে চায় না। বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করা, আগুন দেওয়া, ভাঙচুর করা–এসব আমাদের সামাজিক অস্থিরতার বহিঃপ্রকাশ, নৈতিকতার অবক্ষয়।
বিদ্যালয়ের জায়গায় বিদ্যালয় থাকুক, মাঠের জায়গায় মাঠ থাকুক। টিকা কার্যক্রম দ্রুত হলে শিগগিরই করোনার প্রকোপ কমে যাবে, খুলে যাবে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পদচারণে মুখরিত হয়ে উঠবে শিক্ষাঙ্গন।
জমি, জায়গা, ভবন, মাঠ ইত্যাদি নিয়ে সমস্যা থাকলে অন্যভাবে তার সমাধান হতে হবে, একেবারে শিক্ষাঙ্গনের বাইরে। কিন্তু কোনোক্রমেই শিক্ষাঙ্গনকে আঘাত করা যাবে না, ধ্বংস করা যাবে না।
যাঁরা আগুন দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটিয়েছেন, যাঁরা স্কুলমাঠ চাষের জন্য ভাড়া দিয়েছেন, তাঁদের দ্রুত বিচারের সম্মুখীন করতে হবে। যেন একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে। আর মনে রাখতে হবে, এসব অপরাধ মোটেও সামান্য নয়।
করোনাভাইরাস মহামারিতে ঘরবন্দী মানুষ, বৃত্তবন্দী জীবন। মাঝে মাঝে সংক্রমণ কমলে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে শ্লথগতিতে কিছুটা হলেও কাজকর্ম চলে, সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে আবারও বন্ধ হয়ে যায়। গত ১৪ মাসের জীবনচিত্রটা এমনই। কিন্তু সবচেয়ে বিপদ ঘটেছে শিক্ষাক্ষেত্রে। এক দিনের জন্যও কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলেনি। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় বা বেসরকারি স্কুল-কলেজ অনলাইনভিত্তিক পড়াশোনা চালিয়ে গেলেও সাধারণ শিক্ষাক্ষেত্রের বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই এই অনলাইনেরও বাইরে ছিল। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীই অনলাইনভিত্তিক কার্যক্রমে অংশ নেয়নি।
এই দীর্ঘ সময় শিক্ষাঙ্গন বন্ধ থাকায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মচারীরা যেমন বিপাকে পড়েছেন, তেমনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো দিন দিন ভঙ্গুর হয়ে যাচ্ছে। তার ওপর এমন কিছু ঘটনা ঘটছে, যা একেবারেই অনভিপ্রেত।
১২ জুলাই ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়পলাশবাড়ি উচ্চবিদ্যালয়ে রাত ১২টায় নৈশপ্রহরীকে বেঁধে রেখে চারটি শ্রেণিকক্ষে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। দাহ্য পদার্থ দিয়ে আগুন দেওয়ায় দ্রুতই আসবাবসহ সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তার আগে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে তালা ভেঙে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, প্রজেক্টরসহ অফিসের কাগজপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
জানা যায়, এলাকার দুই ব্যক্তির সঙ্গে ১০ শতাংশ জমির মালিকানা নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলছিল বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির। একাধিকবার মীমাংসার জন্য বসা হলেও কোনো সুরাহা হয়নি। ফলে বিদ্যালয়টিই আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হলো।
আরেকটি ঘটনা। আজকাল স্থানের সংকীর্ণতার কারণে শিশুরা খেলার মাঠ পায় না। শহরের স্কুলগুলোতে মাঠ নেই বললেই চলে। শুধু গ্রামের স্কুলগুলোতেই মাঠের অস্তিত্ব এখনো আছে। সেই মাঠ যদি চাষাবাদের জন্য ভাড়া দেওয়া হয়, যেমনটা হয়েছে ঝালকাঠি জেলার একটি উপজেলায়, তাহলে শিক্ষার্থীদের শারীরিক এবং মানসিক চর্চার জায়গাটা নিদারুণ সংকটে পড়বে।
কথা হলো, শিক্ষাঙ্গন না খুললে কি তাতে আগুন দিতে হবে? বা স্কুলের মাঠ ভাড়া দিয়ে হালচাষ করতে হবে? শীত নিবারণের জন্য আগুনের উত্তাপ দরকারি হলেও ঘরে আগুন দিয়ে নিশ্চয়ই কেউ উত্তাপ নিতে চায় না। বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করা, আগুন দেওয়া, ভাঙচুর করা–এসব আমাদের সামাজিক অস্থিরতার বহিঃপ্রকাশ, নৈতিকতার অবক্ষয়।
বিদ্যালয়ের জায়গায় বিদ্যালয় থাকুক, মাঠের জায়গায় মাঠ থাকুক। টিকা কার্যক্রম দ্রুত হলে শিগগিরই করোনার প্রকোপ কমে যাবে, খুলে যাবে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পদচারণে মুখরিত হয়ে উঠবে শিক্ষাঙ্গন।
জমি, জায়গা, ভবন, মাঠ ইত্যাদি নিয়ে সমস্যা থাকলে অন্যভাবে তার সমাধান হতে হবে, একেবারে শিক্ষাঙ্গনের বাইরে। কিন্তু কোনোক্রমেই শিক্ষাঙ্গনকে আঘাত করা যাবে না, ধ্বংস করা যাবে না।
যাঁরা আগুন দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটিয়েছেন, যাঁরা স্কুলমাঠ চাষের জন্য ভাড়া দিয়েছেন, তাঁদের দ্রুত বিচারের সম্মুখীন করতে হবে। যেন একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে। আর মনে রাখতে হবে, এসব অপরাধ মোটেও সামান্য নয়।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে জুতার মালা গলায় দিয়ে লাঞ্ছিত করেছে একদল দুর্বৃত্ত। এই দুর্বৃত্তরা জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি করেন বলে খবরে প্রকাশ। তাঁরা এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে এলাকাছাড়া করেছেন। বর্ষীয়ান এই মুক্তিযোদ্ধা একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন। তাঁর কথা শুনতে শুনতে মনে হলো, অপমান কি তাঁকে করা হলো, ন
২ ঘণ্টা আগেএ বছর প্রায় শেষের পথে। এদিকে আরবের সবচেয়ে জনবহুল দেশটি ধীরে ধীরে ঘুণে ধরা রাজনৈতিক শৃঙ্খলে এক স্থবির ম্যামথ হয়ে রয়ে গেছে। শাসকদের দেশে বৈধতা নেই। কেবল পশ্চিমা ও উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর কাছ থেকে পাওয়া নগদ অর্থ দেশটিকে টিকিয়ে রেখেছে। এই দেশগুলো সব সময় মিসরে শাসকদের বিরুদ্ধে জনবিস্ফোরণের আশঙ্কায় থাকে।
২ ঘণ্টা আগেডিসেম্বরের ইউরোপে শীত জাঁকিয়ে বসতে শুরু করে। আকাশ থেকে নেমে আসে পেঁজা তুলার মতো নরম তুলতুলে তুষার। শ্বেত শুভ্রতার অপার্থিব এবং পবিত্র সৌন্দর্যে ঢেকে যায় চারদিক! এ সময়ে মহাসমারোহে বড়দিন আসে। উষ্ণতার ফল্গুধারায় উদ্বেলিত হয় হৃদয়। অন্ধকার নামতেই নানা বর্ণের আলোকসজ্জায় উজ্জ্বল হয় নগর, বন্দর, বাড়িঘর। ধর্ম
২ ঘণ্টা আগেডিসেম্বরের প্রান্তে এসে আমরা যখন নতুন বছরের আশা-প্রত্যাশা নিয়ে বিশ্লেষণ করতে থাকি, ঠিক তখনই আসে বছরের শেষ উৎসব বড়দিন, যা ভালোবাসা ও একতার বার্তা বহন করে। বড়দিন মানেই শান্তি, ভালোবাসা এবং নতুন সূচনার প্রতীক। যিশুখ্রিষ্টের জন্মদিন হিসেবে পালিত হলেও ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবাই মিলে উদ্যাপন করে বড়দিন। বাং
২ ঘণ্টা আগে