সম্পাদকীয়
করোনাকালে এক ফন্দি করেছেন মাদক ব্যবসায়ীরা। জরুরি পণ্যের ছদ্মবেশে মাদক পাঠিয়ে দিচ্ছেন এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায়। চট্টগ্রামের রংপুরে পণ্যবাহী ট্রাকে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে ইয়াবা, গাঁজা ও ফেনসিডিল।
মাদক যে আমাদের দেশের তরুণদের মধ্যে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়েছে, তা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। এই নেশা হয়ে উঠেছে সাম্যবাদী। ধনী-গরিব সবার মাঝেই পেয়েছে একই রকম প্রশ্রয়। তবে কে কোন মাদকে অভ্যস্ত হবে, সেটা নির্ণীত হচ্ছে পুঁজিবাদের নিয়মে। চাইলেই সবার হাতে এলএসডি আসবে না। ওটা বনেদি নেশা। আবার ড্যান্ডি সেবন করতে হলে অভিজাত নেশাখোর হওয়ার দরকার নেই।
মাদকে আসক্ত হয়ে যাওয়ার পর সেটা ধরা পড়লে কতটা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়, তা ভুক্তভোগীমাত্রই জানে। কালো অর্থনীতি বেড়ে ওঠার বড় ক্ষেত্র এই মাদক। হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালারা ঢাকা থাকে গোপন চাদরে। এই বিশাল চক্রে কত ধরনের পেশার মানুষ যুক্ত, সেটা হয়তো আমরা ধারণাও করতে পারব না। শুধু আমাদের দেশেই নয়, পৃথিবীর সর্বত্রই মাদকের মাফিয়া চক্র যথেষ্ট শক্তিশালী। এদের বশে আনতে হলে সংশ্লিষ্ট মহলের যে সংকল্প ও দক্ষতা দরকার, সেটা খুব একটা দেখা যায় না।
লেখালেখি করলে মাদকের বিপদ সম্পর্কে হয়তো সচেতনতা বাড়ে; কিন্তু যারা মাদক সেবন করছে, তারা সেসব পড়ে দেখে না। আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে নেশা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করবে কেউ–সেটাও কষ্টকল্পনা। আমরা বরং মাদক সংগ্রহের জন্য যে কৌশলগুলো আবিষ্কার হয়ে গেছে, সেগুলোর গলায় লাগাম পরানো যায় কি না, সে ব্যাপারে কথা বলি। যেমন ইয়াবা সংগ্রহের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, ইমো, ভাইবার গ্রুপ রয়েছে। সাংকেতিক ভাষায় কথা বলা হয় সেখানে। মোবাইলে টাকা পাঠিয়ে দিলেই ঘরে বসে পাওয়া যায় ‘আরাধ্য’ বস্তু। পথশিশুদের মন জয় করে নিয়েছে ড্যান্ডি নামে একধরনের সল্যুশন। একটু চোখ মেললেই আপনার আশপাশে এই নেশাগ্রস্ত শিশু-কিশোরদের দেখতে পাবেন। রিহ্যাবিলিটেশনের কথা বলা হচ্ছে বারবার; কিন্তু হাতে মাদক পৌঁছানোর পথ বন্ধ করতে না পারলে সেটাও খুব কাজে আসবে বলে মনে হয় না।
স্মল আর্মস, মানুষ পাচার ও মাদক ব্যবসার আন্তর্জাতিক চক্র আছে, চোরাকারবারিদের কাছে যা খুব প্রিয়। মুনাফাটাই আসল তাদের কাছে। পরিবার, শিক্ষালয়, কর্মক্ষেত্র—সর্বত্র মাদকসেবীকে সহজে চিহ্নিত করা সহজ নয়। এদের সবার পারিবারিক জীবন থাকে এমনও নয়। সেই সঙ্গে কোন পেশার, কে হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা হয়ে মাদকের ক্ষেত্রে মদদ দিচ্ছে, সেটাও তো জানা যায় না। তাই সচেতনতার পাশাপাশি ওই বাঁশিওয়ালা ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের নিরস্ত করাটাই হতে পারে মাদক থেকে বেরিয়ে আসার প্রথম কার্যকর পদক্ষেপ। ফাঁকা বুলি আর টেবিলটক এ ক্ষেত্রে কোনো কাজে দেবে না।
করোনাকালে এক ফন্দি করেছেন মাদক ব্যবসায়ীরা। জরুরি পণ্যের ছদ্মবেশে মাদক পাঠিয়ে দিচ্ছেন এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায়। চট্টগ্রামের রংপুরে পণ্যবাহী ট্রাকে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে ইয়াবা, গাঁজা ও ফেনসিডিল।
মাদক যে আমাদের দেশের তরুণদের মধ্যে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়েছে, তা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। এই নেশা হয়ে উঠেছে সাম্যবাদী। ধনী-গরিব সবার মাঝেই পেয়েছে একই রকম প্রশ্রয়। তবে কে কোন মাদকে অভ্যস্ত হবে, সেটা নির্ণীত হচ্ছে পুঁজিবাদের নিয়মে। চাইলেই সবার হাতে এলএসডি আসবে না। ওটা বনেদি নেশা। আবার ড্যান্ডি সেবন করতে হলে অভিজাত নেশাখোর হওয়ার দরকার নেই।
মাদকে আসক্ত হয়ে যাওয়ার পর সেটা ধরা পড়লে কতটা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়, তা ভুক্তভোগীমাত্রই জানে। কালো অর্থনীতি বেড়ে ওঠার বড় ক্ষেত্র এই মাদক। হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালারা ঢাকা থাকে গোপন চাদরে। এই বিশাল চক্রে কত ধরনের পেশার মানুষ যুক্ত, সেটা হয়তো আমরা ধারণাও করতে পারব না। শুধু আমাদের দেশেই নয়, পৃথিবীর সর্বত্রই মাদকের মাফিয়া চক্র যথেষ্ট শক্তিশালী। এদের বশে আনতে হলে সংশ্লিষ্ট মহলের যে সংকল্প ও দক্ষতা দরকার, সেটা খুব একটা দেখা যায় না।
লেখালেখি করলে মাদকের বিপদ সম্পর্কে হয়তো সচেতনতা বাড়ে; কিন্তু যারা মাদক সেবন করছে, তারা সেসব পড়ে দেখে না। আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে নেশা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করবে কেউ–সেটাও কষ্টকল্পনা। আমরা বরং মাদক সংগ্রহের জন্য যে কৌশলগুলো আবিষ্কার হয়ে গেছে, সেগুলোর গলায় লাগাম পরানো যায় কি না, সে ব্যাপারে কথা বলি। যেমন ইয়াবা সংগ্রহের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, ইমো, ভাইবার গ্রুপ রয়েছে। সাংকেতিক ভাষায় কথা বলা হয় সেখানে। মোবাইলে টাকা পাঠিয়ে দিলেই ঘরে বসে পাওয়া যায় ‘আরাধ্য’ বস্তু। পথশিশুদের মন জয় করে নিয়েছে ড্যান্ডি নামে একধরনের সল্যুশন। একটু চোখ মেললেই আপনার আশপাশে এই নেশাগ্রস্ত শিশু-কিশোরদের দেখতে পাবেন। রিহ্যাবিলিটেশনের কথা বলা হচ্ছে বারবার; কিন্তু হাতে মাদক পৌঁছানোর পথ বন্ধ করতে না পারলে সেটাও খুব কাজে আসবে বলে মনে হয় না।
স্মল আর্মস, মানুষ পাচার ও মাদক ব্যবসার আন্তর্জাতিক চক্র আছে, চোরাকারবারিদের কাছে যা খুব প্রিয়। মুনাফাটাই আসল তাদের কাছে। পরিবার, শিক্ষালয়, কর্মক্ষেত্র—সর্বত্র মাদকসেবীকে সহজে চিহ্নিত করা সহজ নয়। এদের সবার পারিবারিক জীবন থাকে এমনও নয়। সেই সঙ্গে কোন পেশার, কে হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা হয়ে মাদকের ক্ষেত্রে মদদ দিচ্ছে, সেটাও তো জানা যায় না। তাই সচেতনতার পাশাপাশি ওই বাঁশিওয়ালা ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের নিরস্ত করাটাই হতে পারে মাদক থেকে বেরিয়ে আসার প্রথম কার্যকর পদক্ষেপ। ফাঁকা বুলি আর টেবিলটক এ ক্ষেত্রে কোনো কাজে দেবে না।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে জুতার মালা গলায় দিয়ে লাঞ্ছিত করেছে একদল দুর্বৃত্ত। এই দুর্বৃত্তরা জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি করেন বলে খবরে প্রকাশ। তাঁরা এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে এলাকাছাড়া করেছেন। বর্ষীয়ান এই মুক্তিযোদ্ধা একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন। তাঁর কথা শুনতে শুনতে মনে হলো, অপমান কি তাঁকে করা হলো, ন
২ ঘণ্টা আগেএ বছর প্রায় শেষের পথে। এদিকে আরবের সবচেয়ে জনবহুল দেশটি ধীরে ধীরে ঘুণে ধরা রাজনৈতিক শৃঙ্খলে এক স্থবির ম্যামথ হয়ে রয়ে গেছে। শাসকদের দেশে বৈধতা নেই। কেবল পশ্চিমা ও উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর কাছ থেকে পাওয়া নগদ অর্থ দেশটিকে টিকিয়ে রেখেছে। এই দেশগুলো সব সময় মিসরে শাসকদের বিরুদ্ধে জনবিস্ফোরণের আশঙ্কায় থাকে।
২ ঘণ্টা আগেডিসেম্বরের ইউরোপে শীত জাঁকিয়ে বসতে শুরু করে। আকাশ থেকে নেমে আসে পেঁজা তুলার মতো নরম তুলতুলে তুষার। শ্বেত শুভ্রতার অপার্থিব এবং পবিত্র সৌন্দর্যে ঢেকে যায় চারদিক! এ সময়ে মহাসমারোহে বড়দিন আসে। উষ্ণতার ফল্গুধারায় উদ্বেলিত হয় হৃদয়। অন্ধকার নামতেই নানা বর্ণের আলোকসজ্জায় উজ্জ্বল হয় নগর, বন্দর, বাড়িঘর। ধর্ম
৩ ঘণ্টা আগেডিসেম্বরের প্রান্তে এসে আমরা যখন নতুন বছরের আশা-প্রত্যাশা নিয়ে বিশ্লেষণ করতে থাকি, ঠিক তখনই আসে বছরের শেষ উৎসব বড়দিন, যা ভালোবাসা ও একতার বার্তা বহন করে। বড়দিন মানেই শান্তি, ভালোবাসা এবং নতুন সূচনার প্রতীক। যিশুখ্রিষ্টের জন্মদিন হিসেবে পালিত হলেও ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবাই মিলে উদ্যাপন করে বড়দিন। বাং
৩ ঘণ্টা আগে